Monday, June 2, 2014
এক শিশুকে বাঁচাতে সাতজনের মৃত্যু
কলম্বিয়ায় একটি শিশুকে বাঁচাতে গিয়ে মোট সাতজনের করুণ মৃত্যু ঘটেছে। আর এর নেপথ্যে ছিল মাত্র তিন হাজার রিয়েল (প্রায় আধা ডলার)। একটি কুয়োতে পড়েছিল ওই পয়সা। সেই পয়সা কুড়াতে নেমেছিল ১১ বছরের শিশুটি। তারপর একে একে আরো সাতজন নেমেছিল ওই কুয়োয়। শেষ পর্যন্ত মাত্র একজন প্রাণ নিয়ে ফিরতে পেরেছে। অক্সিজেনের অভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ মনে করছে।
ঘটনাটি ঘটেছে কলম্বিয়ার প্রত্যন্ত একটি গ্রামে।
ভারপ্রাপ্ত জেলা পুলিশপ্রধান মুই ন্যান কম্বোডিয়া ডেইলিকে বলেন, ১৬ ফুট গভীর কুয়ো থেকে পানি তোলার সময় ৫০ বছর বয়স্ক টুই চেনের পকেট থেকে তিন হাজার রিয়েল (প্রায় আধা ডলার) এবং তার লাইটার পড়ে যায়।
হতদরিদ্র চেন বাঁশের তৈরি মই বেয়ে কুয়োয় নেমেছিলেন পয়সাগুলো কুড়াতে। তিনি লাইটারটি পেলেও পয়সাগুলো খুঁজে পাননি। তিনি পয়সাগুলো হারানোর কথা তার ছেলেকে বলেন।
সন্ধ্যার দিকে ১১ বছর বয়স্ক তার এক ছেলে কুয়োতে নামে যদি পাওয়া যায় পয়সাগুলো। খুব গরিব তারা। যদি পাওয়া যায়! কিন্তু সে বুঝতে পারেনি, সন্ধ্যার দিকে কুয়োতে অক্সিজেন কমে যায়।
তার সাড়া না পেয়ে তার দুই বোন চে কেয়া (১৩) ও চে রাতানা (১৫) কুয়োয় নামে। তাদের পরে নামে হে চান্ডে (১২) ও তার ভাই হে সাঙ্গদা (২০)। তারাও ওঠে আসতে না পারায় চেম সকি (১৫), টিপ পুন (৩২) নামে। সব শেষে নামে স পিয়াম (২৭)। একমাত্র সে-ই কুয়ো থেকে জীবিত ওঠতে সক্ষম হয়। তবে সে কিভাবে রক্ষা পেল তার কোনো কথা পত্রিকাটি জানায়নি।
পুলিশ জানিয়েছে, এক ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে সাতটি জীবনের বাতি নিভে যায়। তিনি বলেন, মৃত্যুর কারণ বুঝতে আমরা একটি মুরগি নামিয়েছিলাম কুয়োতে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সেটি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল।
গ্রাম্যপ্রধান দুং চেক বলেন, চেনের পরিবার অত্যন্ত গরিব। তারা প্রতিদিন খাবার খেতে পারে না। এই ঘটনায় তার তিনটি সন্তান মারা গেছে। তবে এখনো তাদের আট সন্তান রয়ে গেছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, চার থেকে ছয় শতাংশ অক্সিজেন মাত্রার মধ্যে যেকোনো মানুষ ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। জ্ঞান হারানো অবস্থা আরো কিছুক্ষণ থাকলে মৃত্যু ঘটে যায়।
Share on facebook Share on twitter
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment