জনাব ওবায়দুল কাদের, কখনও অধীনস্তদের চর থাপ্পর মারেন, কখনও ফাঁপা বুলি ঝাড়েন, এইতো পদ্মা সেতু হোল। কোনও কাজ না করলেও এক দঙ্গল সাংবাদিক নিয়ে সবসময় লাইমলাইটে থাকেন। শেখ হাসিনার চাইতেও বেশী এয়ারটাইম উপভোগ করেন। অত্যন্ত বিশ্রী রকমের ইংরেজি উচ্চারণে কথায় কথায় ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজি বলার চেষ্টা করেন, যা তাকে সকলের হাসির পাত্র করে। দামী দামী স্যুইট, দামী ঘড়ি, চশমা ব্যবহার করেন, দামী কোলোন ব্যবহার করেন। রাত কাটান হাইক্লাস কলগার্লদের সাথে। একটা ইমেজ মেইন্টেইন করেন। কিন্তু এসবের পিছে যে এক জঘন্য গডফাডার হিসেবেই তিনি যে কাজ করেন তা কি জানেন ? সদ্য ফেনীর ফুলগাজীর একরাম হত্যার মূল গ্রীন সিগন্যাল যে তিনিই দিয়েছেন, সেটা কি জানেন ? না জানলে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। অনেক অজানা তথ্য জানবেন ইনশাল্লাহ।
ফেনীর ফুলগাজি একদম সীমান্তবর্তী এলাকা। ভারতের ত্রিপুরা থেকে চট্টগ্রাম বাইপাস করে সরাসরি দেশের অভ্যন্তরে চোরাচালানের একটি হটস্পট সেটি। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়াতে ফেণীর ঐ বিশেষ এলাকাটার উপর নজড় ছিলো অনেকেরই । মন্ত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় সাংসদ সবাই ঐ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে ছিলেন মরিয়া । একরামুল হক (যে কিনা ফেণীর কুখ্যাত গডফাদার জয়নাল হাজারির স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ছিলো ) ছিলো ঐ এলাকার নিয়ন্ত্রক ।মূলতো নিজাম হাজারীর প্রতিনিধি হিসেবের স্থানীয় চোরাচালানী নিয়ন্ত্রণ করতেন । যাই হোক ।খুব সম্প্রতি একরামুল হক নিজাম হাজারীর বশ্যতা স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং উপজেলা নির্বাচনে ফেণী সদর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সিদ্ধান্ত নেয় ।এই সিদ্ধান্ত কে নিজাম হাজারী তাঁর স্থানীয় আধিপত্যের প্রতি হুমকি স্বরূপ দেখে ।বিষয়টি মধ্যস্থতা করার জন্য শেখ হাসিনা ব্যাক্তিগত ভাবে ওবায়দুল কাদের কে নির্দেশনা দেয় । একরামুল হক ওবায়দুল কাদেরের সাথে চরম দূর্ব্যবহার করলেও পরে চাপে পরে সদর থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে । কিন্তু স্থানীয় চাঁদাবাজি এবং চোরাচালানীর হিস্যা নিজাম হাজারী কে দেওয়া বন্ধ করে দেয় ।এক্ষেত্রে তাকে সর্বাত্মক সমর্থন দেয় স্থানীয় আরেক গড ফাদার সেলিম চৌধুরী। ওবায়দুল কাদের সেই অপমান ভুলে যাননি। উচিত শিক্ষা দেবার প্রত্যয় নেন তিনি।
মূলতঃ নিজাম হাজারীর একছত্র অবস্থান এর জন্যে হুমকি হয়ে গিয়েছিলো একরামুল। আর গত কিছু দিন আগে একরামুল ফেনীর পতিত গডফাদার জয়নাল হাজারীকে হেলিকাপ্টার করে ফেনী পাইলট ইস্কুল মাঠে নিয়ে আসে! আর এটাই কাল হয়ে যায় একরামুলের জন্যে। কারন এই জয়নাল হাজারী ফেনী এবং নেয়াখালি থেকে বিতাড়িত করেছিলো বর্তমান আওয়ামী প্রভাবশালী নেতা ওবায়দুল কাদেরকে। দীর্ঘ ৬ বছর ফেনীতে প্রবেশ করতে দেয়া হয় নাই হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন নাসিমকে। এদের মিলিত চেষ্টা থেকেই নিজাম হাজারীকে সামনে রেখে ফেনীর রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করা হয় জায়নাল হাজারীকে। বিলোনিয়া বর্ডারের চোরাচালানির হিস্যা, নদী শাসনের বিশাল প্রজেক্ট ও মাদকদ্রব্য ব্যাবসার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে অন্ত কন্দল চলছিলো অনেকদিন যাবত।
কিন্তু শেষ কয়েক দিনের একরামুলের অবস্থান আর পুনরায় জয়নাল হাজারীর ফেনীর রাজনিতীতে সক্রিয় হয়ে উঠায় আঁতে ঘা লাগে ঐ সিন্ডিকেটের। এখানে উল্লেখ্য,ওবায়দুল কাদের তার নিজের নির্বাচনী আসন বসুর হাটে অবস্থান না করে সব সময় ফেনীতেই অবস্থান করেন। কারন ফেনী থেকে প্রতি মাসে তার কাছে প্রায় ৫০ কোটি টাকার মতন চাঁদা যায়।
একরামুল বুঝে যায় যে নিজাম হাজারী ও ওবায়দুল কাদেরের সাথে একসাথে লাগতে যেয়ে কি ভুল করে সে। বিষয়টি নিয়ে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে একরামুল হক সাংবাদিক দের মাধ্যমে কিছু গোপন তথ্য গণ মাধ্যমে প্রকাশ করে দেয় ।এর মাঝে ছিলো নিজাম হাজারীর কারাবাসের থেকে কম সময় জেল খেটেবের হয়ে আসা সহ নানাদিক ।আরো চমকপ্রদ কিছু তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করে দেবার সিদ্ধান্ত নেয় ।কিন্তু সেই সাংবাদিক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিজাম হাজারীকে বিস্তারিত জানিয়ে দেয় ।যার পরিপ্রেক্ষিতে নিজাম হাজারী ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে একরামুল কে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় ।
বিষয়টি আঁচ করতে পেরে একরামুল শরণাপন্ন হন তার আগের বস কুখ্যাত জয়নাল হাজারীর । এসময় ত্রাণকর্তা হিসেবে মঞ্চে আবির্ভাব ঘটে সাবেক গডফাদার জয়নাল হাজারীর । নিজাম হাজারীর পরবর্তী চাল জানতে পেরে একরামুল কে রক্ষা করার জন্য সম্ভাব্য গুম-খুনের খবর সে তাঁর দৈনিক হাজারিকা পত্রিকায় প্রকাশ করে দেয় । যার উদ্দেশ্য ছিলো নিজাম হাজারী যাতে ভয় পেয়ে একরামুল কে হত্যা করা থেকে দূরে থাকে।
১৯ই মে এটি প্রকাশ হওয়ায় ক্রুদ্ধ হয় ওবায়দুল কাদেরে ও নিজাম হাজারী। সিদ্ধান্ত হয় পরের দিনই শেষ করে দেবার একরামুলকে।
কমিশনার শিবলুর নেতৃতে নিজাম হাজারীর ক্যাডাররা একরামুল হত্যাকাণ্ডে অংশ গ্রহন করে। এই ব্যাপারে তারা সাপ্তাহ খানেক আগে থেকেই সকল পরিকল্পনা সম্পন্ন করে আসছিলো। কিলিং মিশনে মোট অংশ গ্রহন করে ৩৫ জন কিলার। আর এদের মধ্যে ১০ জন কে আনা হয় ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে। তারা হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিন আগে ফেনীতে এসে অবস্থান নিয়ে সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে এলাকায় বারবার রেকি করে। অবশেষে ১৯ তারিখ গ্রীন সিগন্যাল পেলেই ২০ তারিখ তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।
নারায়ণগঞ্জ ট্র্যাজেডির পর এরকম একটি ঘটনার মাধ্যমে বিএনপিকে জড়িয়ে ফায়দা লুটার জন্যেও হাসিনার সিগন্যাল পায় ওবাইদুল কাদের। ওবায়দুল কাদেরের স্কুল শিক্ষিকা নামেমাত্র স্ত্রীর নামে বাসুর হাট ও এর আশেপাশের এলাকায় কয়'শ বিঘা জমি আছে। বিশাল চাঁদা ও চোরাকারবারীর ভাগ নিরঙ্কুশ করতে এবং সকলের নজর নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরাতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়। আর নারায়ণগঞ্জে যেমন নজরুলের শ্বশুর শহীদ চ্যায়ারমান গনমাধ্যমের সাথে কথা বলে বলে আওয়ামী লীগের বারোটা বাজিয়েছে, এবার আর তা যাতে না হয়, তাই আগেই একরামুলের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
টিভি এর সামনে এই ভন্ড, লম্পট, দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসের গডফাডার বলেছে যে ফেনীর এই ঘটনা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। সত্য কথাটাই সে বলেছে। শুধু বলেনি যে পরিকল্পনাটা সেই করেছে।
সবাইকে শেয়ার করে জানিয়ে দিন। আর এইসব ভয়ংকর লোকদের মুখোশ উন্মোচন করুন।
* মদ্যপ ওবায়দুল কাদেরের নিশিগমন ও তার নিশিকন্যাদের সম্পর্কে জানতে ওয়েস্টিন হোটেলে পরিচিত হাই কোনও অফিসিয়ালকে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন।
ওবায়দুল কাদের কেন নোয়াখালীর এমপি হয়ে ফেনীতে এতো সময় দিচ্ছেন ? জনাব ওবায়দুল কাদের, কখনও অধীনস্তদের চর থাপ্পর মারেন, কখনও ফাঁপা বুলি ঝাড়েন, এইতো পদ্মা সেতু হোল। কোনও কাজ না করলেও এক দঙ্গল সাংবাদিক নিয়ে সবসময় লাইমলাইটে থাকেন। শেখ হাসিনার চাইতেও বেশী এয়ারটাইম উপভোগ করেন। অত্যন্ত বিশ্রী রকমের ইংরেজি উচ্চারণে কথায় কথায় ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজি বলার চেষ্টা করেন, যা তাকে সকলের হাসির পাত্র করে। দামী দামী স্যুইট, দামী ঘড়ি, চশমা ব্যবহার করেন, দামী কোলোন ব্যবহার করেন। রাত কাটান হাইক্লাস কলগার্লদের সাথে। একটা ইমেজ মেইন্টেইন করেন। কিন্তু এসবের পিছে যে এক জঘন্য গডফাডার হিসেবেই তিনি যে কাজ করেন তা কি জানেন ? সদ্য ফেনীর ফুলগাজীর একরাম হত্যার মূল গ্রীন সিগন্যাল যে তিনিই দিয়েছেন, সেটা কি জানেন ? না জানলে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। অনেক অজানা তথ্য জানবেন ইনশাল্লাহ। ফেনীর ফুলগাজি একদম সীমান্তবর্তী এলাকা। ভারতের ত্রিপুরা থেকে চট্টগ্রাম বাইপাস করে সরাসরি দেশের অভ্যন্তরে চোরাচালানের একটি হটস্পট সেটি। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়াতে ফেণীর ঐ বিশেষ এলাকাটার উপর নজড় ছিলো অনেকেরই । মন্ত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় সাংসদ সবাই ঐ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে ছিলেন মরিয়া । একরামুল হক (যে কিনা ফেণীর কুখ্যাত গডফাদার জয়নাল হাজারির স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ছিলো ) ছিলো ঐ এলাকার নিয়ন্ত্রক ।মূলতো নিজাম হাজারীর প্রতিনিধি হিসেবের স্থানীয় চোরাচালানী নিয়ন্ত্রণ করতেন । যাই হোক ।খুব সম্প্রতি একরামুল হক নিজাম হাজারীর বশ্যতা স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং উপজেলা নির্বাচনে ফেণী সদর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সিদ্ধান্ত নেয় ।এই সিদ্ধান্ত কে নিজাম হাজারী তাঁর স্থানীয় আধিপত্যের প্রতি হুমকি স্বরূপ দেখে ।বিষয়টি মধ্যস্থতা করার জন্য শেখ হাসিনা ব্যাক্তিগত ভাবে ওবায়দুল কাদের কে নির্দেশনা দেয় । একরামুল হক ওবায়দুল কাদেরের সাথে চরম দূর্ব্যবহার করলেও পরে চাপে পরে সদর থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে । কিন্তু স্থানীয় চাঁদাবাজি এবং চোরাচালানীর হিস্যা নিজাম হাজারী কে দেওয়া বন্ধ করে দেয় ।এক্ষেত্রে তাকে সর্বাত্মক সমর্থন দেয় স্থানীয় আরেক গড ফাদার সেলিম চৌধুরী। ওবায়দুল কাদের সেই অপমান ভুলে যাননি। উচিত শিক্ষা দেবার প্রত্যয় নেন তিনি। মূলতঃ নিজাম হাজারীর একছত্র অবস্থান এর জন্যে হুমকি হয়ে গিয়েছিলো একরামুল। আর গত কিছু দিন আগে একরামুল ফেনীর পতিত গডফাদার জয়নাল হাজারীকে হেলিকাপ্টার করে ফেনী পাইলট ইস্কুল মাঠে নিয়ে আসে! আর এটাই কাল হয়ে যায় একরামুলের জন্যে। কারন এই জয়নাল হাজারী ফেনী এবং নেয়াখালি থেকে বিতাড়িত করেছিলো বর্তমান আওয়ামী প্রভাবশালী নেতা ওবায়দুল কাদেরকে। দীর্ঘ ৬ বছর ফেনীতে প্রবেশ করতে দেয়া হয় নাই হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন নাসিমকে। এদের মিলিত চেষ্টা থেকেই নিজাম হাজারীকে সামনে রেখে ফেনীর রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করা হয় জায়নাল হাজারীকে। বিলোনিয়া বর্ডারের চোরাচালানির হিস্যা, নদী শাসনের বিশাল প্রজেক্ট ও মাদকদ্রব্য ব্যাবসার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে অন্ত কন্দল চলছিলো অনেকদিন যাবত। কিন্তু শেষ কয়েক দিনের একরামুলের অবস্থান আর পুনরায় জয়নাল হাজারীর ফেনীর রাজনিতীতে সক্রিয় হয়ে উঠায় আঁতে ঘা লাগে ঐ সিন্ডিকেটের। এখানে উল্লেখ্য,ওবায়দুল কাদের তার নিজের নির্বাচনী আসন বসুর হাটে অবস্থান না করে সব সময় ফেনীতেই অবস্থান করেন। কারন ফেনী থেকে প্রতি মাসে তার কাছে প্রায় ৫০ কোটি টাকার মতন চাঁদা যায়। একরামুল বুঝে যায় যে নিজাম হাজারী ও ওবায়দুল কাদেরের সাথে একসাথে লাগতে যেয়ে কি ভুল করে সে। বিষয়টি নিয়ে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে একরামুল হক সাংবাদিক দের মাধ্যমে কিছু গোপন তথ্য গণ মাধ্যমে প্রকাশ করে দেয় ।এর মাঝে ছিলো নিজাম হাজারীর কারাবাসের থেকে কম সময় জেল খেটেবের হয়ে আসা সহ নানাদিক ।আরো চমকপ্রদ কিছু তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করে দেবার সিদ্ধান্ত নেয় ।কিন্তু সেই সাংবাদিক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিজাম হাজারীকে বিস্তারিত জানিয়ে দেয় ।যার পরিপ্রেক্ষিতে নিজাম হাজারী ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে একরামুল কে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় । বিষয়টি আঁচ করতে পেরে একরামুল শরণাপন্ন হন তার আগের বস কুখ্যাত জয়নাল হাজারীর । এসময় ত্রাণকর্তা হিসেবে মঞ্চে আবির্ভাব ঘটে সাবেক গডফাদার জয়নাল হাজারীর । নিজাম হাজারীর পরবর্তী চাল জানতে পেরে একরামুল কে রক্ষা করার জন্য সম্ভাব্য গুম-খুনের খবর সে তাঁর দৈনিক হাজারিকা পত্রিকায় প্রকাশ করে দেয় । যার উদ্দেশ্য ছিলো নিজাম হাজারী যাতে ভয় পেয়ে একরামুল কে হত্যা করা থেকে দূরে থাকে। ১৯ই মে এটি প্রকাশ হওয়ায় ক্রুদ্ধ হয় ওবায়দুল কাদেরে ও নিজাম হাজারী। সিদ্ধান্ত হয় পরের দিনই শেষ করে দেবার একরামুলকে। কমিশনার শিবলুর নেতৃতে নিজাম হাজারীর ক্যাডাররা একরামুল হত্যাকাণ্ডে অংশ গ্রহন করে। এই ব্যাপারে তারা সাপ্তাহ খানেক আগে থেকেই সকল পরিকল্পনা সম্পন্ন করে আসছিলো। কিলিং মিশনে মোট অংশ গ্রহন করে ৩৫ জন কিলার। আর এদের মধ্যে ১০ জন কে আনা হয় ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে। তারা হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিন আগে ফেনীতে এসে অবস্থান নিয়ে সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে এলাকায় বারবার রেকি করে। অবশেষে ১৯ তারিখ গ্রীন সিগন্যাল পেলেই ২০ তারিখ তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। নারায়ণগঞ্জ ট্র্যাজেডির পর এরকম একটি ঘটনার মাধ্যমে বিএনপিকে জড়িয়ে ফায়দা লুটার জন্যেও হাসিনার সিগন্যাল পায় ওবাইদুল কাদের। ওবায়দুল কাদেরের স্কুল শিক্ষিকা নামেমাত্র স্ত্রীর নামে বাসুর হাট ও এর আশেপাশের এলাকায় কয়'শ বিঘা জমি আছে। বিশাল চাঁদা ও চোরাকারবারীর ভাগ নিরঙ্কুশ করতে এবং সকলের নজর নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরাতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়। আর নারায়ণগঞ্জে যেমন নজরুলের শ্বশুর শহীদ চ্যায়ারমান গনমাধ্যমের সাথে কথা বলে বলে আওয়ামী লীগের বারোটা বাজিয়েছে, এবার আর তা যাতে না হয়, তাই আগেই একরামুলের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। টিভি এর সামনে এই ভন্ড, লম্পট, দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসের গডফাডার বলেছে যে ফেনীর এই ঘটনা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। সত্য কথাটাই সে বলেছে। শুধু বলেনি যে পরিকল্পনাটা সেই করেছে। সবাইকে শেয়ার করে জানিয়ে দিন। আর এইসব ভয়ংকর লোকদের মুখোশ উন্মোচন করুন। * মদ্যপ ওবায়দুল কাদেরের নিশিগমন ও তার নিশিকন্যাদের সম্পর্কে জানতে ওয়েস্টিন হোটেলে পরিচিত হাই কোনও অফিসিয়ালকে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন।
ফেনীর ফুলগাজি একদম সীমান্তবর্তী এলাকা। ভারতের ত্রিপুরা থেকে চট্টগ্রাম বাইপাস করে সরাসরি দেশের অভ্যন্তরে চোরাচালানের একটি হটস্পট সেটি। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়াতে ফেণীর ঐ বিশেষ এলাকাটার উপর নজড় ছিলো অনেকেরই । মন্ত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় সাংসদ সবাই ঐ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে ছিলেন মরিয়া । একরামুল হক (যে কিনা ফেণীর কুখ্যাত গডফাদার জয়নাল হাজারির স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ছিলো ) ছিলো ঐ এলাকার নিয়ন্ত্রক ।মূলতো নিজাম হাজারীর প্রতিনিধি হিসেবের স্থানীয় চোরাচালানী নিয়ন্ত্রণ করতেন । যাই হোক ।খুব সম্প্রতি একরামুল হক নিজাম হাজারীর বশ্যতা স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং উপজেলা নির্বাচনে ফেণী সদর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সিদ্ধান্ত নেয় ।এই সিদ্ধান্ত কে নিজাম হাজারী তাঁর স্থানীয় আধিপত্যের প্রতি হুমকি স্বরূপ দেখে ।বিষয়টি মধ্যস্থতা করার জন্য শেখ হাসিনা ব্যাক্তিগত ভাবে ওবায়দুল কাদের কে নির্দেশনা দেয় । একরামুল হক ওবায়দুল কাদেরের সাথে চরম দূর্ব্যবহার করলেও পরে চাপে পরে সদর থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে । কিন্তু স্থানীয় চাঁদাবাজি এবং চোরাচালানীর হিস্যা নিজাম হাজারী কে দেওয়া বন্ধ করে দেয় ।এক্ষেত্রে তাকে সর্বাত্মক সমর্থন দেয় স্থানীয় আরেক গড ফাদার সেলিম চৌধুরী। ওবায়দুল কাদের সেই অপমান ভুলে যাননি। উচিত শিক্ষা দেবার প্রত্যয় নেন তিনি।
মূলতঃ নিজাম হাজারীর একছত্র অবস্থান এর জন্যে হুমকি হয়ে গিয়েছিলো একরামুল। আর গত কিছু দিন আগে একরামুল ফেনীর পতিত গডফাদার জয়নাল হাজারীকে হেলিকাপ্টার করে ফেনী পাইলট ইস্কুল মাঠে নিয়ে আসে! আর এটাই কাল হয়ে যায় একরামুলের জন্যে। কারন এই জয়নাল হাজারী ফেনী এবং নেয়াখালি থেকে বিতাড়িত করেছিলো বর্তমান আওয়ামী প্রভাবশালী নেতা ওবায়দুল কাদেরকে। দীর্ঘ ৬ বছর ফেনীতে প্রবেশ করতে দেয়া হয় নাই হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন নাসিমকে। এদের মিলিত চেষ্টা থেকেই নিজাম হাজারীকে সামনে রেখে ফেনীর রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করা হয় জায়নাল হাজারীকে। বিলোনিয়া বর্ডারের চোরাচালানির হিস্যা, নদী শাসনের বিশাল প্রজেক্ট ও মাদকদ্রব্য ব্যাবসার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে অন্ত কন্দল চলছিলো অনেকদিন যাবত।
কিন্তু শেষ কয়েক দিনের একরামুলের অবস্থান আর পুনরায় জয়নাল হাজারীর ফেনীর রাজনিতীতে সক্রিয় হয়ে উঠায় আঁতে ঘা লাগে ঐ সিন্ডিকেটের। এখানে উল্লেখ্য,ওবায়দুল কাদের তার নিজের নির্বাচনী আসন বসুর হাটে অবস্থান না করে সব সময় ফেনীতেই অবস্থান করেন। কারন ফেনী থেকে প্রতি মাসে তার কাছে প্রায় ৫০ কোটি টাকার মতন চাঁদা যায়।
একরামুল বুঝে যায় যে নিজাম হাজারী ও ওবায়দুল কাদেরের সাথে একসাথে লাগতে যেয়ে কি ভুল করে সে। বিষয়টি নিয়ে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে একরামুল হক সাংবাদিক দের মাধ্যমে কিছু গোপন তথ্য গণ মাধ্যমে প্রকাশ করে দেয় ।এর মাঝে ছিলো নিজাম হাজারীর কারাবাসের থেকে কম সময় জেল খেটেবের হয়ে আসা সহ নানাদিক ।আরো চমকপ্রদ কিছু তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করে দেবার সিদ্ধান্ত নেয় ।কিন্তু সেই সাংবাদিক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিজাম হাজারীকে বিস্তারিত জানিয়ে দেয় ।যার পরিপ্রেক্ষিতে নিজাম হাজারী ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে একরামুল কে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় ।
বিষয়টি আঁচ করতে পেরে একরামুল শরণাপন্ন হন তার আগের বস কুখ্যাত জয়নাল হাজারীর । এসময় ত্রাণকর্তা হিসেবে মঞ্চে আবির্ভাব ঘটে সাবেক গডফাদার জয়নাল হাজারীর । নিজাম হাজারীর পরবর্তী চাল জানতে পেরে একরামুল কে রক্ষা করার জন্য সম্ভাব্য গুম-খুনের খবর সে তাঁর দৈনিক হাজারিকা পত্রিকায় প্রকাশ করে দেয় । যার উদ্দেশ্য ছিলো নিজাম হাজারী যাতে ভয় পেয়ে একরামুল কে হত্যা করা থেকে দূরে থাকে।
১৯ই মে এটি প্রকাশ হওয়ায় ক্রুদ্ধ হয় ওবায়দুল কাদেরে ও নিজাম হাজারী। সিদ্ধান্ত হয় পরের দিনই শেষ করে দেবার একরামুলকে।
কমিশনার শিবলুর নেতৃতে নিজাম হাজারীর ক্যাডাররা একরামুল হত্যাকাণ্ডে অংশ গ্রহন করে। এই ব্যাপারে তারা সাপ্তাহ খানেক আগে থেকেই সকল পরিকল্পনা সম্পন্ন করে আসছিলো। কিলিং মিশনে মোট অংশ গ্রহন করে ৩৫ জন কিলার। আর এদের মধ্যে ১০ জন কে আনা হয় ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে। তারা হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিন আগে ফেনীতে এসে অবস্থান নিয়ে সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে এলাকায় বারবার রেকি করে। অবশেষে ১৯ তারিখ গ্রীন সিগন্যাল পেলেই ২০ তারিখ তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।
নারায়ণগঞ্জ ট্র্যাজেডির পর এরকম একটি ঘটনার মাধ্যমে বিএনপিকে জড়িয়ে ফায়দা লুটার জন্যেও হাসিনার সিগন্যাল পায় ওবাইদুল কাদের। ওবায়দুল কাদেরের স্কুল শিক্ষিকা নামেমাত্র স্ত্রীর নামে বাসুর হাট ও এর আশেপাশের এলাকায় কয়'শ বিঘা জমি আছে। বিশাল চাঁদা ও চোরাকারবারীর ভাগ নিরঙ্কুশ করতে এবং সকলের নজর নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরাতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়। আর নারায়ণগঞ্জে যেমন নজরুলের শ্বশুর শহীদ চ্যায়ারমান গনমাধ্যমের সাথে কথা বলে বলে আওয়ামী লীগের বারোটা বাজিয়েছে, এবার আর তা যাতে না হয়, তাই আগেই একরামুলের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
টিভি এর সামনে এই ভন্ড, লম্পট, দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসের গডফাডার বলেছে যে ফেনীর এই ঘটনা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। সত্য কথাটাই সে বলেছে। শুধু বলেনি যে পরিকল্পনাটা সেই করেছে।
সবাইকে শেয়ার করে জানিয়ে দিন। আর এইসব ভয়ংকর লোকদের মুখোশ উন্মোচন করুন।
* মদ্যপ ওবায়দুল কাদেরের নিশিগমন ও তার নিশিকন্যাদের সম্পর্কে জানতে ওয়েস্টিন হোটেলে পরিচিত হাই কোনও অফিসিয়ালকে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন।
ওবায়দুল কাদের কেন নোয়াখালীর এমপি হয়ে ফেনীতে এতো সময় দিচ্ছেন ? জনাব ওবায়দুল কাদের, কখনও অধীনস্তদের চর থাপ্পর মারেন, কখনও ফাঁপা বুলি ঝাড়েন, এইতো পদ্মা সেতু হোল। কোনও কাজ না করলেও এক দঙ্গল সাংবাদিক নিয়ে সবসময় লাইমলাইটে থাকেন। শেখ হাসিনার চাইতেও বেশী এয়ারটাইম উপভোগ করেন। অত্যন্ত বিশ্রী রকমের ইংরেজি উচ্চারণে কথায় কথায় ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজি বলার চেষ্টা করেন, যা তাকে সকলের হাসির পাত্র করে। দামী দামী স্যুইট, দামী ঘড়ি, চশমা ব্যবহার করেন, দামী কোলোন ব্যবহার করেন। রাত কাটান হাইক্লাস কলগার্লদের সাথে। একটা ইমেজ মেইন্টেইন করেন। কিন্তু এসবের পিছে যে এক জঘন্য গডফাডার হিসেবেই তিনি যে কাজ করেন তা কি জানেন ? সদ্য ফেনীর ফুলগাজীর একরাম হত্যার মূল গ্রীন সিগন্যাল যে তিনিই দিয়েছেন, সেটা কি জানেন ? না জানলে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। অনেক অজানা তথ্য জানবেন ইনশাল্লাহ। ফেনীর ফুলগাজি একদম সীমান্তবর্তী এলাকা। ভারতের ত্রিপুরা থেকে চট্টগ্রাম বাইপাস করে সরাসরি দেশের অভ্যন্তরে চোরাচালানের একটি হটস্পট সেটি। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়াতে ফেণীর ঐ বিশেষ এলাকাটার উপর নজড় ছিলো অনেকেরই । মন্ত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় সাংসদ সবাই ঐ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে ছিলেন মরিয়া । একরামুল হক (যে কিনা ফেণীর কুখ্যাত গডফাদার জয়নাল হাজারির স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ছিলো ) ছিলো ঐ এলাকার নিয়ন্ত্রক ।মূলতো নিজাম হাজারীর প্রতিনিধি হিসেবের স্থানীয় চোরাচালানী নিয়ন্ত্রণ করতেন । যাই হোক ।খুব সম্প্রতি একরামুল হক নিজাম হাজারীর বশ্যতা স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং উপজেলা নির্বাচনে ফেণী সদর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সিদ্ধান্ত নেয় ।এই সিদ্ধান্ত কে নিজাম হাজারী তাঁর স্থানীয় আধিপত্যের প্রতি হুমকি স্বরূপ দেখে ।বিষয়টি মধ্যস্থতা করার জন্য শেখ হাসিনা ব্যাক্তিগত ভাবে ওবায়দুল কাদের কে নির্দেশনা দেয় । একরামুল হক ওবায়দুল কাদেরের সাথে চরম দূর্ব্যবহার করলেও পরে চাপে পরে সদর থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে । কিন্তু স্থানীয় চাঁদাবাজি এবং চোরাচালানীর হিস্যা নিজাম হাজারী কে দেওয়া বন্ধ করে দেয় ।এক্ষেত্রে তাকে সর্বাত্মক সমর্থন দেয় স্থানীয় আরেক গড ফাদার সেলিম চৌধুরী। ওবায়দুল কাদের সেই অপমান ভুলে যাননি। উচিত শিক্ষা দেবার প্রত্যয় নেন তিনি। মূলতঃ নিজাম হাজারীর একছত্র অবস্থান এর জন্যে হুমকি হয়ে গিয়েছিলো একরামুল। আর গত কিছু দিন আগে একরামুল ফেনীর পতিত গডফাদার জয়নাল হাজারীকে হেলিকাপ্টার করে ফেনী পাইলট ইস্কুল মাঠে নিয়ে আসে! আর এটাই কাল হয়ে যায় একরামুলের জন্যে। কারন এই জয়নাল হাজারী ফেনী এবং নেয়াখালি থেকে বিতাড়িত করেছিলো বর্তমান আওয়ামী প্রভাবশালী নেতা ওবায়দুল কাদেরকে। দীর্ঘ ৬ বছর ফেনীতে প্রবেশ করতে দেয়া হয় নাই হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন নাসিমকে। এদের মিলিত চেষ্টা থেকেই নিজাম হাজারীকে সামনে রেখে ফেনীর রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করা হয় জায়নাল হাজারীকে। বিলোনিয়া বর্ডারের চোরাচালানির হিস্যা, নদী শাসনের বিশাল প্রজেক্ট ও মাদকদ্রব্য ব্যাবসার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে অন্ত কন্দল চলছিলো অনেকদিন যাবত। কিন্তু শেষ কয়েক দিনের একরামুলের অবস্থান আর পুনরায় জয়নাল হাজারীর ফেনীর রাজনিতীতে সক্রিয় হয়ে উঠায় আঁতে ঘা লাগে ঐ সিন্ডিকেটের। এখানে উল্লেখ্য,ওবায়দুল কাদের তার নিজের নির্বাচনী আসন বসুর হাটে অবস্থান না করে সব সময় ফেনীতেই অবস্থান করেন। কারন ফেনী থেকে প্রতি মাসে তার কাছে প্রায় ৫০ কোটি টাকার মতন চাঁদা যায়। একরামুল বুঝে যায় যে নিজাম হাজারী ও ওবায়দুল কাদেরের সাথে একসাথে লাগতে যেয়ে কি ভুল করে সে। বিষয়টি নিয়ে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে একরামুল হক সাংবাদিক দের মাধ্যমে কিছু গোপন তথ্য গণ মাধ্যমে প্রকাশ করে দেয় ।এর মাঝে ছিলো নিজাম হাজারীর কারাবাসের থেকে কম সময় জেল খেটেবের হয়ে আসা সহ নানাদিক ।আরো চমকপ্রদ কিছু তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করে দেবার সিদ্ধান্ত নেয় ।কিন্তু সেই সাংবাদিক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিজাম হাজারীকে বিস্তারিত জানিয়ে দেয় ।যার পরিপ্রেক্ষিতে নিজাম হাজারী ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে একরামুল কে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় । বিষয়টি আঁচ করতে পেরে একরামুল শরণাপন্ন হন তার আগের বস কুখ্যাত জয়নাল হাজারীর । এসময় ত্রাণকর্তা হিসেবে মঞ্চে আবির্ভাব ঘটে সাবেক গডফাদার জয়নাল হাজারীর । নিজাম হাজারীর পরবর্তী চাল জানতে পেরে একরামুল কে রক্ষা করার জন্য সম্ভাব্য গুম-খুনের খবর সে তাঁর দৈনিক হাজারিকা পত্রিকায় প্রকাশ করে দেয় । যার উদ্দেশ্য ছিলো নিজাম হাজারী যাতে ভয় পেয়ে একরামুল কে হত্যা করা থেকে দূরে থাকে। ১৯ই মে এটি প্রকাশ হওয়ায় ক্রুদ্ধ হয় ওবায়দুল কাদেরে ও নিজাম হাজারী। সিদ্ধান্ত হয় পরের দিনই শেষ করে দেবার একরামুলকে। কমিশনার শিবলুর নেতৃতে নিজাম হাজারীর ক্যাডাররা একরামুল হত্যাকাণ্ডে অংশ গ্রহন করে। এই ব্যাপারে তারা সাপ্তাহ খানেক আগে থেকেই সকল পরিকল্পনা সম্পন্ন করে আসছিলো। কিলিং মিশনে মোট অংশ গ্রহন করে ৩৫ জন কিলার। আর এদের মধ্যে ১০ জন কে আনা হয় ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে। তারা হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিন আগে ফেনীতে এসে অবস্থান নিয়ে সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে এলাকায় বারবার রেকি করে। অবশেষে ১৯ তারিখ গ্রীন সিগন্যাল পেলেই ২০ তারিখ তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। নারায়ণগঞ্জ ট্র্যাজেডির পর এরকম একটি ঘটনার মাধ্যমে বিএনপিকে জড়িয়ে ফায়দা লুটার জন্যেও হাসিনার সিগন্যাল পায় ওবাইদুল কাদের। ওবায়দুল কাদেরের স্কুল শিক্ষিকা নামেমাত্র স্ত্রীর নামে বাসুর হাট ও এর আশেপাশের এলাকায় কয়'শ বিঘা জমি আছে। বিশাল চাঁদা ও চোরাকারবারীর ভাগ নিরঙ্কুশ করতে এবং সকলের নজর নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরাতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়। আর নারায়ণগঞ্জে যেমন নজরুলের শ্বশুর শহীদ চ্যায়ারমান গনমাধ্যমের সাথে কথা বলে বলে আওয়ামী লীগের বারোটা বাজিয়েছে, এবার আর তা যাতে না হয়, তাই আগেই একরামুলের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। টিভি এর সামনে এই ভন্ড, লম্পট, দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসের গডফাডার বলেছে যে ফেনীর এই ঘটনা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। সত্য কথাটাই সে বলেছে। শুধু বলেনি যে পরিকল্পনাটা সেই করেছে। সবাইকে শেয়ার করে জানিয়ে দিন। আর এইসব ভয়ংকর লোকদের মুখোশ উন্মোচন করুন। * মদ্যপ ওবায়দুল কাদেরের নিশিগমন ও তার নিশিকন্যাদের সম্পর্কে জানতে ওয়েস্টিন হোটেলে পরিচিত হাই কোনও অফিসিয়ালকে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন।

No comments:
Post a Comment