Tuesday, May 20, 2014


প্রথমে কুপিয়ে, তারপর গুলি করে এবং সবশেষে গাড়িসহ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে হত্যা করা হয়েছে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান
গুলি করে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হলো ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হক একরামকে (৪৫)। লাশটি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে লাশটি নিয়ে রওনা হয়েছেন ফেনী মডেল থানার এসআই মোবারক হোসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অগ্নিদ্বগ্ধ লাশটির সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করতে না পারায় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম পাঠানো হয়েছে।
সকালে ফেনী শহরের অ্যাকাডেমি রোডস্থ বিলাসী সিনেমা হলের সামনে প্রকাশ্য কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার পর একরামের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে লাশ পুড়িয়ে ফেলে দুস্কৃতিকারীরা।
এর জের ধরে তার সমর্থকরা সদর হাসপাতাল মোড এলাকায় ও ফুলগাজীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানায়, সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে শহরের বাসা থেকে ফুলগাজী যাওয়ার পথে বিলাসী সিনেমার সামনে গুলি ও বোমা ফাটিয়ে একদল দুস্কৃতিকারী তার ব্যক্তিগত প্যাডো গাড়ি গতিরোধ করে। গাড়ির সামনের আসনে চালক মামুন ও একরাম চেয়ারম্যান ছাড়াও পেছনের আসনে ব্যবসায়িক পার্টনার হোসেন, ফুলগাজী সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন সামু, দৈনিক ফেনী প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক মহিব্ব্ল্লুাহ ফরহাদ ছিলেন। হামলাকারীরা গাড়িটি ঘিরে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে।
মহিব্বুল্লাহ ফরহাদ জানান, অন্যরা আহত অবস্থায় দৌঁড়ে নামতে পারলেও একরামের বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে একপর্যায়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুস্কৃতিকারীরা। এসময় গুলি ও বোমার শব্দে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। হামলাকারীরা সরে পড়লে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আহতদের গাড়ী চালক মামুন ও হোসেনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ফরহাদ ও সামু ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা একরামকে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে ফেনী ও ফুলগাজীতে তার সমর্থকরা যানবাহন ও দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে বলে পুলিশ সুপার অফিস সূত্র নিশ্চিত করেছে।


No comments:

Post a Comment