দাজ্জালের ফেতনা থেকে বাঁচার জন্য সহজ আমলঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“যে ব্যক্তি সুরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের হাত থেকে রক্ষা পাবে।” অন্য এক হাদীসে আছে, “সুরা কাহফের শেষ দশ আয়াত।”
সহীহ মুসলিম, রিয়াদুস স্বালেহীনঃ ১০২১।
> দাজ্জালের ফেতনা থেকে বাঁচার জন্য সুরা কাহফের প্রথম বা শেষের ১০ আয়াত মুখস্থ করার কথা হাদীসে এসেছে, দুইটা হাদীসই সহীহ। যার যেই আয়াত ভালো লাগে, প্রথম বা শেষের যেকোন ১০ আয়াত মুখস্থ করলেই হবে।
>> যারা সকাল সন্ধ্যার ওযীফার মাঝে কুরআন থেকে নির্দিষ্ট অংশ তেলাওয়াত করেন তারা এই ১০ আয়াতকে ওযীফার অংশ হিসেবে সকাল সন্ধ্যায় তেলাওয়াত করতে পারেন।
>>> বাংলা উচ্চারণ দেখে আরবী পড়লে উচ্চারণ ঠিক হয়না। আপনারা অবশ্যই নামাযের জন্য জরুরী কিছু সুরা কেরাত উস্তাদের কাছ থেকে শিখে নেবেন। নারীরা নারী ও পুরুষেরা আর পুরুষের পুরুষ উস্তাদের কাছ থেকে। নারী উস্তাদ না পাওয়া গেলে নারীরা পুরষ উস্তাদের কাছ থেকে শিখলে অবশ্যই কঠোর হিজাব পর্দা ও পুরুষ মাহরাম এর উপস্থিতিতে শিখবেন। এইখান থেকে অনেক ফেতনা হয়, সচেতন সকলেই জানেন।
>>>> উস্তাদ না পেলে আরেকটা কাজ করতে পারেন, মক্কা ও মদীনার ভালো ক্বারী যেমন শায়খ শুরাইম, শায়খ সুদাইস, মাহের আল-মুয়াইকিলি, মিশারি রাশিদ আল-আফাসী উনাদের তেলাওয়াত বারবার শুনে তাদের কপি করবেন এতে সহজে মুখস্থ ও তাজবীদ ঠিক হবে ইন শা' আল্লাহ।
>>>> আমি আরবী উচ্চারণ দিয়ে দেই যাতে করে মূল আরবী যাদের কঠিন লাগে তারা বাংলা উচ্চারণ থেকে সাহায্য নিতে পারেন, কিন্তু আপনার শেখার সুরা/দুয়া শেখার সময় অবশ্যই আরবী হরফের দিকে লক্ষ্য রাখবেন। আর সুরা কাহফের ১০ আয়াতের উচ্চারণ দেওয়ার জন্য অনেকেই অনুরোধ করেছিলেন, আজকে তাই প্রচলিত একটা মুসহাফ থেকে ২টি ছবিতে দিয়ে দেওয়া হলো। আপনারা ছবিগুলো ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন ইন শা আল্লাহ।
যেকোন সুরা মুখস্থ জন্য সহজ পদ্ধতিঃ
সুন্দর একটা তেলাওয়াত নিয়ে বেশ কয়েকবার শুনবেন। এর পরে মুখস্থ করা শুরু করবেন প্রতিদিন ৫ অথবা ১০ আয়াত করে। এইভাবে যতদিন না মুখস্থ হচ্ছে প্রতিদিন বারবার তেলাওয়াত শুনতে থাকবেন ও বারবার পড়ে মুখস্থ করার চেষ্টা করবেন। আর বড় সুরা হলে (যেমন সুরা মুলক মুখস্থ করতে পারেন, এই সুরাটা মুখস্থ রাখা ও প্রতিদিন তেলাওয়াত করার অনেক ফযীলত) প্রতিদিন ১বার তেলাওয়াত করলে ২-১ মাসে এমনিতেই মুখস্থ হয়ে যায়।
সুরা আল-কাহাফ (১৮ নাম্বার সুরা, আয়াত ১-১০)
কাহাফ – অর্থ হচ্ছে – গুহা/Cave.
এই সুরাতে কয়েকজন যুবকের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। যাদেরকে ততকালীন কাফের রাজা বেঈমান বানাতে চাচ্ছিলো। তারা তখন একটা কুকুরসহ গুহায় আশ্রয় নেয় এবং আল্লাহ তখন তাদেরকে একঘুমে ৩০৯ বছর পার করে দেন। তাদেরকে আসহাবে কাহাফ বা গুহাবাসী বলা হয়।
আ'উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম। বিসমিল্লাহির-রাহমানির রাহীম।
১. সব প্রশংসা আল্লাহর যিনি নিজের বান্দার প্রতি এ গ্রন্থ নাযিল করেছেন এবং তাতে কোন বক্রতা রাখেননি।
২. একে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন যা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি ভীষণ বিপদের ভয় প্রদর্শন করে এবং মুমিনদেরকে যারা সৎকর্ম সম্পাদন করে-তাদেরকে সুসংবাদ দান করে যে, তাদের জন্যে উত্তম প্রতিদান রয়েছে।
৩. তারা তাতে চিরকাল অবস্থান করবে।
৪. এবং তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করার জন্যে যারা বলে যে, আল্লাহর সন্তান রয়েছে।
৫. এ সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান নেই এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরও নেই। কত কঠিন তাদের মুখের কথা। তারা যা বলে তা তো সবই মিথ্যা।
৬. যদি তারা এই বিষয়বস্তুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করে, তবে তাদের পশ্চাতে সম্ভবতঃ আপনি পরিতাপ করতে করতে নিজের প্রাণ নিপাত করবেন।
৭. আমি পৃথিবীস্থ সব কিছুকে পৃথিবীর জন্যে শোভা করেছি, যাতে লোকদের পরীক্ষা করি যে, তাদের মধ্যে কে ভাল কাজ করে।
৮. এবং তার উপর যাকিছু রয়েছে, অবশ্যই তা আমি উদ্ভিদশূন্য মাটিতে পরিণত করে দেব।
৯. আপনি কি ধারণা করেন যে, গুহা ও গর্তের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর ছিল ?
১০. যখন যুবকরা পাহাড়ের গুহায় আশ্রয়গ্রহণ করে তখন দোআ করেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্যে আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।
No comments:
Post a Comment