Friday, July 11, 2014

হিটলার একদিন মজা করে বলেছিল..

হিটলার একদিন মজা করে বলেছিল..

" আমি চাইলে সব ইহুদীদের হত্যা করতে পারতাম,,কিন্তু কিছু ইহুদী বাচিয়ে রেখেছি,,এই জন্যে যে, যাতে পৃথিবীর মানুষ বুঝতে পারে, আমি কেন ইহুদী হত্যায় মেতেছিলাম"

মুলত হিটলার এর পর ইহুদি আর কারো শাষন পায়নাই। আসুন দেখি কাদের হাতে এই ইহুদি দের মূল শিকড় উপড়ানো হবে মহান আল্লাহ এর ইচ্ছায়।

ফিলিস্তিন আবারও রক্তাত্ত, কিন্তু এই রক্তের বদলা কে নিবে? কিভাবে সম্ভব ফিলিস্তিন মুক্ত করা? কে বা কারা মুক্ত করবে ফিলিস্তিন? হামাস? নাকি স্বঘোষিত খলিফাহ বাগদাদি? নাকি জাতিসংঘের শান্তি চুক্তি?

আছে কি এই প্রশ্নের উত্তর আপনাদের কাছে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে আধুনিকতার সকল জৌলুস মুক্ত হয়ে আমাদের সকলের প্রিয় রাসুলুল্লাহর(সাঃ)হাদীসের দিকে।

উনি আজ থেকে প্রায় চৌদ্দশত বছর আগেই এ ব্যাপারে ভবিষ্যৎ বানী করেছেন যে কে ফিলিস্তিন মুক্ত করবে? কোন বাহিনীর তরবারিই পারবে ইহুদীদের কচুকাটা করতে? যেদিন ইহুদীরা জীবন বাঁচাতে গাছের পেছনে আশ্রয় নিবে, যেদিন ইহুদীরা জীবন বাঁচাতে পাথরের পেছনে আশ্রয় নিবে।কিন্তু সেদিন গাছ ও পাথর তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাবে এবং বলবে, হে মুসলিম!এসো! আমার পেছনে একজন ইহুদি লুকিয়ে আছে, ওকে হত্যা কর! কোন সেই সৌভাগ্যবান মুজাহিদ বাহিনী?

রাসুল সাঃ বলেছেন, "খোরাসান থেকে কালো পতাকাবাহি একটি বাহিনী আসবে যাদেরকে কোন শক্তিই (সকল কুফফার রা জোট বাধলেও) পরাজিত করতে পারবে না যতক্ষন পর্যন্ত না তারা জেরুজালেমে পৌঁছায় (বিজয়ীর বেশে)"। খেয়াল করুণ জেরুজালেম ইহুদীদের দখলে আজ প্রায় ৬৬ বছর দজরে। অতএব রাসুল সাঃ এর ভবিষ্যতবাণীর বাস্তবায়ন হওয়ার সময়ও হয়ে এসেছে।

কোথায় সেই খোরাসান? কারা সেই কালো পতাকা বাহিনী? এই প্রশ্নের উত্তর আপনিই খুজে বের করুণ, আপনার বিবেক বুদ্ধি দিয়ে জানার চেষ্টা করুণ। কে বা কারা সেই কালো পতাকাবাহী বাহিনী।

অবশ্য এক্ষেত্র আমি আপনাদেরকে মোল্লা মুহাম্মদ উমর(হাঃ)ও তালিবান মুজাহিদ সম্পর্কে ডাঃ আয়মান আল জাওয়াহিরির'র (হাঃ) কিছু সাক্ষ্য উপস্থাপন করব। তিনি মোল্লা মুহাম্মদ উমর (হাঃ) সম্পর্কে ২০০৮ এর একটি অফিসিয়াল বার্তায় বলেন,

“জানতে চাও কেন আমরা (আল কায়দা) মোল্লা মুহাম্মদ উমরের কাছে বাইয়াহ দিয়েছি? আমরা অবশ্যই তাকে বাইয়াহ দিয়েছি আর হ্যা, আমরা তাকে বাইয়াহ দিতে পেরে নিজেদেরকে সম্মানিত বোধ করছি। ও দুনিয়ার মুসলিম! আমরা তোমাদেরকেও আহ্বান জানাই মুজাহিদদের এই সত্যবাদি আমীর মোল্লা মুহাম্মদ উমরের কাছে বাইয়াহ দেওয়ার জন্য।”

জানতে চাও, কেন আমরা তাকে (মুহাম্মদ উমর) বাইয়াহ দিয়েছিলাম? আমরা তাড়াহুড়া করে বা অধৈর্য হয়ে অথবা কোন রকম বিচার-বিবেচনা করা ছাড়া এরুপ (মোল্লা উমরকে বাইয়াহ দেয়া) করিনি।আমরা এমন একজন ব্যাক্তিকে বাইয়াহ দিয়েছিলাম যার সঙ্গে আমরা একত্রে বসবাস করেছি,যার সঙ্গে একত্রে চলেছি এবং যাকে আমরা বিভিন্নভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে তার সম্পর্কে আমাদের মূল্যায়ন হচ্ছে, যাদেরকে কারও সঙ্গে তুলনা করা যায় (নবী রাসুল) না তারা ব্যতীত ইসলামের ইতিহাসে অল্প যে সকল মুজাহিদ, মহৎ ও আল্লাহ্‌র উপর নির্ভরশীল ব্যাক্তি এসেছেন তিনি তাদেরই একজন।" আল্লাহু আকবর! আরও কিছু কথা বলার পরে উনি বলেন...

“আমরা সেই ব্যাক্তির কাছে বাইয়াহ দিয়েছি যিনি আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আফগানিস্থানের মুনাফিক মুক্ত করার পরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে জিহাদে অংশগ্রহণ করার এবং বায়তুল মুকাদ্দাস মুক্ত করার। আমরা সেই ব্যক্তিকে বাইয়াহ দিয়েছি যিনি আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইমাম বুখারির জন্মস্থান (উজবেকিস্থান) কমিউনিস্টদের কবল থেকে মুক্ত করার। (ইনশাল্লাহ)” (সম্পূর্ণ বক্তব্যের লিংক কমেন্টে)।

উনি শেষ পর্যন্ত বায়তুল মুকাদ্দাস মুক্ত পারবেন কি পারবেন না তা আল্লাহই ভাল জানেন। কিন্তু মোল্লাা মুহাম্মদ উমরের প্রতুশ্রুতি আর রাসুল সাঃ এর ভবিষ্যৎ বানীর মধ্যে আমি স্পষ্ট মিল দেখতে পাচ্ছি এবং এই মিল যে নিতান্তই কাকতালীয় কোন ঘটনা নয়, তাও অন্যান্য ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করলে আমাদের সামনে পরিষ্কার হয়ে যায়।

দেখুন আজ পর্যন্ত এই তালিবান এক দিনের জন্যও পরাজিত হয়নি। বিশেষ করে জর্জ বুশ ২০০১ সালে যখন তাদের সর্বোচ্চ শক্তি হাতে নিয়ে তালিবান ও আল কায়দার বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিল, তখন অনেকেই মনে করেছিল খেলা বোধহয় এখানেই খতম। মুনাফিকেরা তখন মায়া কান্না শুরু করল আগেই বলেছিলাম এত বাড়াবাড়ি ভাল না। কিন্তু আল্লাহ সুভহানা তায়ালও পরিকল্পনা করেন এবং শয়তানও পরিকল্পনা করে। কিন্তু নিশ্চয় শয়তানের পরিকল্পনা দুর্বল।

যাদের অন্তরে নেফাকি আছে তারা বলবে, আগে দেখি তারা জেরুজালেমে পৌছাতে পারে কিনা! যদি তারা জেরুজালেম মুক্ত করতে পারে তখন তাদেরকে বাইয়াহ দিব। ওহে মুনাফিকের দল! রাসুল সাঃ তোমাদের মত লোকদের জাহান্নামের সংবাদ দিয়েছেন। তোমরা তখন তওবা করলেও আল্লাহ্‌র কাছে সে তওবা কবুল হবে না কারণ তখন তওবার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে।

আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত, “তিনটি ঘটনা একদা ঘটার পরে আরও কোন কল্যাণ হবে না আল্লাহ কে বিশ্বাস করায় যদি না সে এতদিন আল্লাহকে বিশ্বাস করে থাকে... দাজ্জাল, দাব্বাহ (BEAST), সূর্যের পশ্চিম দিক থেকে অভ্যুদয়।” --তিরমিযী

তাই সকল মুসলিম ভাইয়ের প্রতি অনুরোধ আর দেরি না করে মোল্লা মুহাম্মদ উমরের প্রতি আপনার বাইয়াহ দিন। যদি সত্যই ফিলিস্তিনের মা বোনের কান্না আপনার হৃদয়ে আঘাত করে, যদি সত্যি আপনি চান যায়নিস্টদের অত্যাচার থেকে মুসলিম উম্মাহ কে রক্ষা করতে, তবে শরিক হোন কালো পতাকার ছায়া তলে।

আর যারা স্বঘোষিত খলিফার দিকে চেয়ে আছেন তাদের প্রতি আমার সুস্পষ্ট বার্তা। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি তোমাদের এই স্বঘোষিত খলিফাহ জেরুজালেমের একটা গারকাদ গাছও কাটতে পারবে না। যেই আল্লাহ্‌র হাতে আমার জীবন তার শপথ করে আমি বলছি রাসুল সাঃ এর একটি হাদিসও মিথ্যা হতে পারে না। জেরুজালেম খোরাসানি বাহিনীর দ্বারাই মুক্ত হবে, ইরাকি বা মিশরি বাহিনীর দ্বারা নয়। তোমরা যদি সত্যি বায়তুল মুকাদ্দাসের মিনারে কালো পতাকা দেখতে চাও তাহলে সময় নষ্ট না করে এখনই খোরাসানের বাহিনীকে বাইয়াহ দিয়ে দাও, মুখের একটি কথা দিয়ে হলেও সহযোগীতা কর। আর তোমাদের ইরাকি বাহিনীকেও খোরাসানের আমীর মুহাম্মদ উমর হাফিযুল্লাহ’র হাতে শাইখ ওসামার মত বাইয়াহ দিতে বল। মনে রেখ, সারা পৃথিবী থেকেই বরফের উপর হামাগুরি দিয়ে মুসলিমরা খোরাসানে যোগ দিবে কিন্তু যারা খোরাসানের বিরোধীতা করবে বা বাতিল বলবে (যেমনটা আদনানি বলেছে) তারা নিশ্চিত ধ্বংস হয়ে যাবে, কালো পতাকার হাদিসের সাথে এই গোষ্ঠীর কোনই সম্পর্ক নেই। হয়ত পথের মাঝে এরা ঘেউ ঘেউ করে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারবে, কিন্তু খোরাসানের কাফেলা শেষ পর্যন্ত জেরুজালেম মুক্ত করেই ছারবে ইনশাল্লাহ।

যারা রাসুল সাঃ হাদিস জানার পরেও জেরুজালেম মুক্ত কারি কালো পতাকাবাহী বাহিনীকে বাইয়াহ দিবে না অথচ জেরুজালেমের জন্য মায়াকান্না করবে তাদের অনিষ্ট থেকে আমি আল্লাহ'র কাছে আশ্রয় চাই।

[[ ISIS এর বিপক্ষে একটা পোষ্ট দেয়ায় অনেকেই ইনবক্স এ অনেক কিছু বলেছেন। তাদের জন্যে এই পোষ্ট। আমি একনিষ্ঠ ভাবে তালিবান সমর্থক। যারা এদের সাথে বিরুধি হবে। আমি ও তাঁর বিরুধি। সেটা ISIS হোক বা যে কেউ।]] ISIS এখনো সতন্ত্র আছে। সময় সব বলে দিবে।


No comments:

Post a Comment