Sunday, July 6, 2014

খৃষ্টান মিশনারীদের দালালী ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে ষোযন্ত্রের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে জুতাবৃষ্টির পর রাঙ্গামাটিতে বাঙালী ছাত্রদের হামলার শিকার হলো বাংলাদেশের কুখ্যাত নাস্তিক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশনের (সিএইচটি) কো-চেয়ারপার্সন সুলতানা কামাল চক্রবর্তী সহ তার সহযোগীরা।

খৃষ্টান মিশনারীদের দালালী ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে ষোযন্ত্রের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে জুতাবৃষ্টির পর রাঙ্গামাটিতে বাঙালী ছাত্রদের হামলার শিকার হলো বাংলাদেশের কুখ্যাত নাস্তিক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক
আন্তর্জাতিক কমিশনের (সিএইচটি) কো-চেয়ারপার্সন সুলতানা কামাল চক্রবর্তী সহ তার সহযোগীরা।
এতে চার জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সিএইচটি কমিশনের সদস্যরা হলেন-
অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল,
খুশী কবির, ড.স্বপন আদনান, হানা শামস আহমেদ।
এদিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার
দিকে সিএইচটির গাড়ি বহর জেলা শহরের পর্যটন মোটেল থেকে বের হয়ে একশ গজ দূরে গেলেই এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- রাঙামাটি সদর কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ সোহেল (৪৭), পিআইডির ড. ইফতেখারুজ্জামান, কলামিস্ট ইলোরা দেওয়ান ও গাড়ি চালক। এতে চালকের নাম জানা যায়নি।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত
করে জানান, সিএইচটি কমিশনের ৫
সদস্যসহ আহতদের কড়া নিরাপত্তায়
প্রথমে রাঙামাটি কতোয়ালি থানায়
নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের চট্টগ্রাম
সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ সোহেল
বলেন, ‘অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এসময় সংঘর্ষে তিনিসহ চার জন আহত হয়েছেন।’
এর আগে সকালে ৫ সদস্যকে পর্যটন
মোটেলে অবরুদ্ধ করে রাখে বাঙালি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকাল সোয়া ১০টা থেকে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ কর্মীরা মোটেলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় নেতাকর্মীরা শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কগুলো অবরোধ করে রাখে।
এতে যান চলচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে শুক্রবার বাঙালি সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা ব্যাপক
বিক্ষোভের মুখে পার্বত্য খাগড়াছড়ি থেকে বের হয়ে জুতাবৃষ্টি অতিক্রম করে চট্টগ্রাম গিয়ে রাতের অন্ধকারে রাঙামাটি শহরে এসে পৌঁছায় সিএইচটি কমিশনের সদস্যরা। শুক্রবার
রাতে অনেকটা গোপনীয়ভাবেই পাহাড়ি এই শহরে প্রবেশ করেন তারা।
পরে রাতে চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তারা। কমিশন সদস্যগণ রাঙামাটি পর্যটন মোটেলে রাত যাপনের উদ্দেশ্যে চলে যান। রাঙামাটির পর্যটন কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসন সূত্র কমিশন সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পর্যটন মোটেলে অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, কমিশনের সদস্য অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল,
খুশী কবির, ড. স্বপন আদনান, হানা শামস আহমেদ সেখানে অবস্থান করছেন। এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম
কমিশনকে বিতর্কিত, পক্ষপাতদুষ্ট ও খৃষ্টান মিশনারীদের দালাল আখ্যা দিয়ে তাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে ৪ ও ৫ জুলাই রাঙামাটি জেলায় অবরোধের ডাক দিয়েছিলো ৬টি বাঙালিভিত্তিক সংগঠন। শুক্রবার সকাল থেকে অবরোধ শুরু হলেও দুপুরে কমিশন সদস্যরা খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভেরমুখে সফর বাতিল করে চট্টগ্রাম চলে গেছে জানিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় সংগঠনগুলো। কিন্তু এরই মধ্যে কমিশন সদস্যরা প্রশাসনের কাছে কোনো প্রকার তথ্য না দিয়েই অনেকটা গোপনেই রাঙামাটির
শহরে আসেন।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসনকে কোনো কিছু না জানিয়ে, গোপনে কমিশন সদস্যদের
রাঙামাটি আসার খবরে তোলপাড় ও
কৌতুহল সৃষ্ঠি হয়েছে সারা শহর জুড়ে।
রাতেই খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল
পর্যটন মোটেলে গেলেও সেখানে অবস্থান নেয়া কমিশন সদস্যরা ক্লান্তি ও শারীরিক দুর্বলতার কারণে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না জানা গেছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনু সোহেল ইমতিয়াজ জানিয়েছেন, তারা আমাদের কোনো কিছুই না জানিয়ে রাঙামাটিতে এসেছে এবং আমাদের কোনো নিরাপত্তা সহযোগিতাও চায়নি। তবুও নিজেদের দায়িত্বের অংশ হিসেবে আমি রাতেই পর্যটন মোটেলে গেছি, কিন্তু সেখানে তাদের সঙ্গে খুব একটা কথা বলার সুযোগ হয়নি।
উল্লেখ্য শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলে সংবাদ সম্মেলন
করাকালে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদকর্মীরা মোটেলের
সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু
করে। ৩০ মিনিটের মধ্যে খাগড়াছড়ি ত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে তাদের উপর জুতা নিক্ষেপপ করে বাঙ্গালী ছাত্ররা। দ্রুত খাগড়াছড়ি ছেড়ে চট্টগ্রামের দিকে রওনা দিয়ে দিক পরিবর্তন করে কৌশলে রাঙামাটি প্রবেশ করেন তারা।


No comments:

Post a Comment