Thursday, March 27, 2014

কূটনৈতিক চাপে সরকার বিব্রত.....চাপে পড়েছে আওয়ামী লীগ

রাজনীতি, মানবাধিকার ও শ্রম পরিস্থিতির উন্নয়ন প্রশ্নে বৈশ্বিক চাপ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার পর এবার ‘কড়া বার্তা’ দিয়ে গেছেন ঢাকা সফর করে যাওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের সদস্যরা। নবগঠিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, বিরোধী রাজনীতিক আর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের ভিন্ন ভিন্ন বৈঠকে প্রায় অভিন্ন ভাষায় কথা বলেছেন তারা। ঢাকা ছাড়ার আগে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে বেশ কিছু সুপারিশও করেছেন ইইউ’র সংসদ সদস্যরা। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

গুরুতর অভিযোগগুলোর তদন্তে জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ারকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানাতে সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়ে গেছেন। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং চলমান উপজেলা নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি ও সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা। তাদের মতে, সঙ্কট নিরসনে রাজনৈতিক সংলাপই একমাত্র পথ। ওই সংলাপের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এতে দুই নেত্রীর সমান দায়িত্ব রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার জোর তাগিদ দেয়া হয়েছে। গোলযোগে যে সব উপজেলায় ভোট স্থগিত হয়েছে তার পূর্ণ তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। নাগরিক সমাজের কাজের সুযোগ এবং মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। আইসিটি আইন সংশোধন ও পুলিশের নির্যাতনের ব্যাপারে ন্যূনতম ছাড় না দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে সরকার ও বিরোধী দলের বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠকের উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে। ৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর ৪ সদস্যের ইইউ পার্লামেন্ট প্রতিনিধি দলের প্রথম ঢাকা সফর ছিল এটি। প্রধান বিরোধী জোটসহ বিরোধী দলগুলোর বর্জনের মুখে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেনি ইইউ। তাদের পথ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র ও সংস্থাগুলো। ১৫৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হওয়া এবং বাকি আসনগুলোতে নামমাত্র নির্বাচন হয়েছে। ওই নির্বাচনের ফলের ওপর ভিত্তি করে সরকার গঠিত হয়েছে। এ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই পশ্চিমা দেশগুলো নতুন নির্বাচনের জন্য অব্যাহতভাবে চাপ দিচ্ছে।

No comments:

Post a Comment