ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট (আইসিল) যোদ্ধাদের হাতে মসুল ও তিকরিতের পতন ঘটার পর সামরা দখলের জন্য প্রচ- লড়াই চলছে। আইসিল যোদ্ধাদের বাগদাদের দিকে অগ্রসর হওয়ার কথা জানা গেছে। আইসিল যোদ্ধারা বাগদাদ ও কারবালা দখলের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এদিকে ইরাকি সেনাবাহিনী তিকরিত পুনর্দখলের কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে অপহৃত তুর্কী নাগরিকদের মুক্তি দেয়া না হলে তাদের উদ্ধারে তুরস্ক এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওদিকে ইরান হস্তক্ষেপের হুমকি দিয়ে জানিয়েছে, তেহরান সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে ইরাকের নূরি আল-মালিকি সরকারকে জোরালো সমর্থন দেবে।
জানা গেছে, আইসিলের বিরুদ্ধে মার্কিন বিমান সহায়তা চেয়েছে ইরাক সরকার। পাশাপাশি মার্কিন বিমান হামলার জন্য ইরাকের আকাশসীমা উন্মুক্ত করে দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বাগদাদ সরকার। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র মনুষ্যচালিত বিমান বা ড্রোনের ব্যবহার নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে।
জানা যায়, বুধবার আইসিল যোদ্ধারা তিকরিত দখল করার পর ইরাক সরকার সারাদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। পরে সরকারের সন্ত্রাস দমন বাহিনী সেখানে পৌঁছে। এ সময় বিমানবাহিনী হামলা চালায়। তাদের সম্মিলিত হামলার পর সরকারি সৈন্যরা তিকরিত পুনর্দখল করে বলে এবং তা তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে রাষ্ট্র পরিচালিত ইরাকিয়া টিভির খবরে বলা হয়।
ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোশিয়ার জেবারি বলেন, ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড আল শাম (আইসিস)-এর সশস্ত্র যোদ্ধারা ইরাকের জন্য ভয়ঙ্কর হুমকির সৃষ্টি করেছে। উল্লেখ্য, আল-কায়েদা সম্পর্কিত আইসিস যোদ্ধারা ইরাকের সুন্নী প্রধান আনবার প্রদেশ থেকে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার রাক্কা প্রদেশ পর্যন্ত একটানা বিস্তৃত ভূখ-ে একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে।
বুধবার সন্ধ্যায় সামারা শহরের উপকণ্ঠে ইরাকি সেনা ও আইসিস যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষ চলার কথা জানা যায়। সামারা বাগদাদ থেকে ৮০ মাইল উত্তরে অবস্থিত। তবে ইসলামী যোদ্ধাদের হাতে শহরটির পতন ঘটেছে কি না তা জানা যায়নি। এদিকে আইসিস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো লড়াই না করায় হুমকির মুখে ইরাকি সেনারা বাগদাদ রক্ষা করতে সক্ষম হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে ইরান সরকার কর্তৃক প্রশিক্ষিত ও অর্থসাহায্যপুষ্ট ইরাকি শিয়া মিলিশিয়ারা বলেছে, তারা বাগদাদ রক্ষায় প্রস্তুত রয়েছে। শিয়া মিলিশিয়ারা বাগদাদে আইসিস সদস্য বলে সন্দেহভাজনদের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকালে প্রচারিত এক শ্রুতি রেকর্ডিংয়ে আইসিল যোদ্ধারা রাজধানী বাগদাদসহ ইরাকের আরো শহর দখলের অঙ্গীকার করেছে। রেকর্ডে আইসিলের মুখপাত্র আবু মোহাম্মদ আল মাদনানি বলেন, বাগদাদ ও কারবালাসহ অন্যান্য শহর দখল করার জন্য লড়াই চলতে থাকবে। আমরা বাগদাদ ও কারবালায় আঘাত হানতে যাচ্ছি। তার জন্য তৈরি হোন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনেক স্থানে ইসলামী যোদ্ধাদের উপস্থিতির আগেই সরকারি সৈন্যরা তাদের অবস্থান পরিত্যাগ করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাত্র কয়েক ডজন আইসিস যোদ্ধার হামলার মুখে বিপুল অস্ত্র সজ্জিত সরকারি বাহিনীর কয়েকশ’ সদস্য পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, মসুল ও তিকরিতের পতনের পর বাগদাদের প্রতি হুমকি সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষিকে ইরাক সরকার মার্কিন বিমান হামলা চালানোর অনুমতি দেয়ার ইঙ্গিত দেয়। একই সাথে তারা আল-কায়েদার শাখা সংগঠন ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড আল শাম বা আইসিস যোদ্ধাদের বিতাড়িত করতে প্রতিশ্রুত সামরিক সাহায্য বিশেষ করে অ্যাপাচি হেলিকপ্টার, এফ-১৬ জঙ্গি বিমান ও নজরদারি সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এ প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র মনুষ্যচালিত জঙ্গি বিমান হামলা চালাবে না ড্রোন হামলা চালাবে সে বিষয়ে কিছু জানাতে কর্মকর্তারা অস্বীকার করেন। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, ওবামা প্রশাসন বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তা করছে। বুধবার পররাষ্ট্র দফতরের মহিলা মুখপাত্র জেন পিসাকি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ বিষয়ে ইরাক ও তুরস্ক সরকারের সাথে আলোচনা করছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মহিলা মুখপাত্র বার্নাডেট মিহান বলেন, ইরাকের সাথে বর্তমান আলোচনায় আইসিসের হুমকির মোকাবিলায় ইরাকিদের সক্ষম করে তোলার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
এদিকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ মালিকির সরকারের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে ও সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মসুলের পতনের পর ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নূরী আল মালিকি প্রচ- চাপের মুখে পড়েছেন। তার এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। মসুলের গভর্নর নগরীর পতনের জন্য তাকে দায়ী করেছেন। সকল রাজনীতিকও একই অভিযোগ করেছেন, যেহেতু তিনিই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। এদিকে মালিকি আইসিসকে বেড়ে উঠতে দেয়ার জন্য সিরিয়া সরকারকে দায়ী করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, তার শিয়া সরকারকে উৎখাতের জন্য সউদী আরব ও কাতার সন্ত্রাসীদের অর্থ যোগাচ্ছে।
এদিকে মালিকির জরুরি অবস্থা ঘোষণার ব্যাপারে ভোট গ্রহণে ইরাকি পার্লামেন্ট ব্যর্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে জরুরি অধিবেশন আহ্বান করা হলেও কিছুসংখ্যক পার্লামেন্ট সদস্য উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানান, যে কারণে কোরাম হয়নি।
ওদিকে মসুলে তুর্কি দূতাবাস থেকে অপহৃত ৪৮ জন স্টাফকে মুক্তি দেয়া না হলে তুরস্ক ইরাকে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে হুমকি দিয়েছে। তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ দাভোতোগলু বলেন, আমাদের নাগরিকদের কোনো ক্ষতি হলে তার জবাব দেয়া হবে। তুরস্ককে আরো পরীক্ষা করার সাহস করা উচিত নয়।
প্রতিবেশী ইরাকে সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ে জোরালো সমর্থন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। ইরানের আরব ও আফ্রিকাবিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, ইরাকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা জোরালো সমর্থন দেব। তিনি আরো বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, ইরাকের সামরিক বাহিনী যথেষ্ট সক্ষমতার সঙ্গে গেরিলাদের মোকাবিলা করবে’।
আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ইরাক যখন গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশটিতে সন্ত্রাসবাদকে সফল হতে দেয়া হবে না। গত মঙ্গলবার ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লিভ্যান্ট বা আইসিল উত্তরাঞ্চলীয় মসুল শহরসহ নেইনাভা প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর ইরান এ কথা বলল। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনও গত বুধবার এক বিবৃতিতে ইসলামপন্থী গেরিলাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইরাক সরকারের প্রতি সমর্থন নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
আইসিস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইরাকে ব্রিটিশ সেনা পাঠাবে না বলে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ জানিয়েছেন। বুধবার তিনি বলেন, ইরাকের পরিস্থিতি যদিও গভীর উদ্বেগজনক, তা সত্ত্বেও ব্রিটেন সেখানে সংশ্লিষ্ট হতে চায় না। তিনি বলেন, এ হুমকি মোকাবিলায় ইরাকের যথেষ্ট সৈন্য আছে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনা সিরিয়া সংকটের সমাধানের ওপর নতুন করে গুরুত্বারোপ করেছে। কারণ, সেখান থেকে সংঘাত প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে, অস্থিতিশীল করে তুলছে ইরাককে। ব্রিটিশ সৈন্যরা পাঁচ বছর আগে ইরাক ত্যাগ করে। তারা আবার ইরাকে ফিরবে কি না জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। সূত্র : ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল, রয়টার্স, এএফপি, আইবি টাইমস, ডি ডব্লিউ।
জানা গেছে, আইসিলের বিরুদ্ধে মার্কিন বিমান সহায়তা চেয়েছে ইরাক সরকার। পাশাপাশি মার্কিন বিমান হামলার জন্য ইরাকের আকাশসীমা উন্মুক্ত করে দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বাগদাদ সরকার। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র মনুষ্যচালিত বিমান বা ড্রোনের ব্যবহার নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে।
জানা যায়, বুধবার আইসিল যোদ্ধারা তিকরিত দখল করার পর ইরাক সরকার সারাদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। পরে সরকারের সন্ত্রাস দমন বাহিনী সেখানে পৌঁছে। এ সময় বিমানবাহিনী হামলা চালায়। তাদের সম্মিলিত হামলার পর সরকারি সৈন্যরা তিকরিত পুনর্দখল করে বলে এবং তা তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে রাষ্ট্র পরিচালিত ইরাকিয়া টিভির খবরে বলা হয়।
ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোশিয়ার জেবারি বলেন, ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড আল শাম (আইসিস)-এর সশস্ত্র যোদ্ধারা ইরাকের জন্য ভয়ঙ্কর হুমকির সৃষ্টি করেছে। উল্লেখ্য, আল-কায়েদা সম্পর্কিত আইসিস যোদ্ধারা ইরাকের সুন্নী প্রধান আনবার প্রদেশ থেকে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার রাক্কা প্রদেশ পর্যন্ত একটানা বিস্তৃত ভূখ-ে একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে।
বুধবার সন্ধ্যায় সামারা শহরের উপকণ্ঠে ইরাকি সেনা ও আইসিস যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষ চলার কথা জানা যায়। সামারা বাগদাদ থেকে ৮০ মাইল উত্তরে অবস্থিত। তবে ইসলামী যোদ্ধাদের হাতে শহরটির পতন ঘটেছে কি না তা জানা যায়নি। এদিকে আইসিস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো লড়াই না করায় হুমকির মুখে ইরাকি সেনারা বাগদাদ রক্ষা করতে সক্ষম হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে ইরান সরকার কর্তৃক প্রশিক্ষিত ও অর্থসাহায্যপুষ্ট ইরাকি শিয়া মিলিশিয়ারা বলেছে, তারা বাগদাদ রক্ষায় প্রস্তুত রয়েছে। শিয়া মিলিশিয়ারা বাগদাদে আইসিস সদস্য বলে সন্দেহভাজনদের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকালে প্রচারিত এক শ্রুতি রেকর্ডিংয়ে আইসিল যোদ্ধারা রাজধানী বাগদাদসহ ইরাকের আরো শহর দখলের অঙ্গীকার করেছে। রেকর্ডে আইসিলের মুখপাত্র আবু মোহাম্মদ আল মাদনানি বলেন, বাগদাদ ও কারবালাসহ অন্যান্য শহর দখল করার জন্য লড়াই চলতে থাকবে। আমরা বাগদাদ ও কারবালায় আঘাত হানতে যাচ্ছি। তার জন্য তৈরি হোন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনেক স্থানে ইসলামী যোদ্ধাদের উপস্থিতির আগেই সরকারি সৈন্যরা তাদের অবস্থান পরিত্যাগ করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাত্র কয়েক ডজন আইসিস যোদ্ধার হামলার মুখে বিপুল অস্ত্র সজ্জিত সরকারি বাহিনীর কয়েকশ’ সদস্য পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, মসুল ও তিকরিতের পতনের পর বাগদাদের প্রতি হুমকি সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষিকে ইরাক সরকার মার্কিন বিমান হামলা চালানোর অনুমতি দেয়ার ইঙ্গিত দেয়। একই সাথে তারা আল-কায়েদার শাখা সংগঠন ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড আল শাম বা আইসিস যোদ্ধাদের বিতাড়িত করতে প্রতিশ্রুত সামরিক সাহায্য বিশেষ করে অ্যাপাচি হেলিকপ্টার, এফ-১৬ জঙ্গি বিমান ও নজরদারি সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এ প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র মনুষ্যচালিত জঙ্গি বিমান হামলা চালাবে না ড্রোন হামলা চালাবে সে বিষয়ে কিছু জানাতে কর্মকর্তারা অস্বীকার করেন। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, ওবামা প্রশাসন বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তা করছে। বুধবার পররাষ্ট্র দফতরের মহিলা মুখপাত্র জেন পিসাকি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ বিষয়ে ইরাক ও তুরস্ক সরকারের সাথে আলোচনা করছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মহিলা মুখপাত্র বার্নাডেট মিহান বলেন, ইরাকের সাথে বর্তমান আলোচনায় আইসিসের হুমকির মোকাবিলায় ইরাকিদের সক্ষম করে তোলার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
এদিকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ মালিকির সরকারের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে ও সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মসুলের পতনের পর ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নূরী আল মালিকি প্রচ- চাপের মুখে পড়েছেন। তার এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। মসুলের গভর্নর নগরীর পতনের জন্য তাকে দায়ী করেছেন। সকল রাজনীতিকও একই অভিযোগ করেছেন, যেহেতু তিনিই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। এদিকে মালিকি আইসিসকে বেড়ে উঠতে দেয়ার জন্য সিরিয়া সরকারকে দায়ী করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, তার শিয়া সরকারকে উৎখাতের জন্য সউদী আরব ও কাতার সন্ত্রাসীদের অর্থ যোগাচ্ছে।
এদিকে মালিকির জরুরি অবস্থা ঘোষণার ব্যাপারে ভোট গ্রহণে ইরাকি পার্লামেন্ট ব্যর্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে জরুরি অধিবেশন আহ্বান করা হলেও কিছুসংখ্যক পার্লামেন্ট সদস্য উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানান, যে কারণে কোরাম হয়নি।
ওদিকে মসুলে তুর্কি দূতাবাস থেকে অপহৃত ৪৮ জন স্টাফকে মুক্তি দেয়া না হলে তুরস্ক ইরাকে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে হুমকি দিয়েছে। তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ দাভোতোগলু বলেন, আমাদের নাগরিকদের কোনো ক্ষতি হলে তার জবাব দেয়া হবে। তুরস্ককে আরো পরীক্ষা করার সাহস করা উচিত নয়।
প্রতিবেশী ইরাকে সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ে জোরালো সমর্থন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। ইরানের আরব ও আফ্রিকাবিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, ইরাকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা জোরালো সমর্থন দেব। তিনি আরো বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, ইরাকের সামরিক বাহিনী যথেষ্ট সক্ষমতার সঙ্গে গেরিলাদের মোকাবিলা করবে’।
আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ইরাক যখন গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশটিতে সন্ত্রাসবাদকে সফল হতে দেয়া হবে না। গত মঙ্গলবার ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লিভ্যান্ট বা আইসিল উত্তরাঞ্চলীয় মসুল শহরসহ নেইনাভা প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর ইরান এ কথা বলল। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনও গত বুধবার এক বিবৃতিতে ইসলামপন্থী গেরিলাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইরাক সরকারের প্রতি সমর্থন নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
আইসিস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইরাকে ব্রিটিশ সেনা পাঠাবে না বলে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ জানিয়েছেন। বুধবার তিনি বলেন, ইরাকের পরিস্থিতি যদিও গভীর উদ্বেগজনক, তা সত্ত্বেও ব্রিটেন সেখানে সংশ্লিষ্ট হতে চায় না। তিনি বলেন, এ হুমকি মোকাবিলায় ইরাকের যথেষ্ট সৈন্য আছে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনা সিরিয়া সংকটের সমাধানের ওপর নতুন করে গুরুত্বারোপ করেছে। কারণ, সেখান থেকে সংঘাত প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে, অস্থিতিশীল করে তুলছে ইরাককে। ব্রিটিশ সৈন্যরা পাঁচ বছর আগে ইরাক ত্যাগ করে। তারা আবার ইরাকে ফিরবে কি না জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। সূত্র : ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল, রয়টার্স, এএফপি, আইবি টাইমস, ডি ডব্লিউ।
No comments:
Post a Comment