Monday, June 30, 2014

তারাবীর নামাজে বাধা, রথযাত্রি এবং মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ : মসজিদে তালা ঝুলানোর হুমকি পুলিশের

তারাবীর নামাযে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্বামীবাগ মন্দিরের রথযাত্রি এবং মসজিদের মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। মন্দিরের হিন্দু ধর্মাাবলম্বিদের ইটের আঘাতে ৮ থেকে ১০ জন মুসল্লি আশঙ্কাজনক ভাবে আহত হন।

উল্লেখ্য ৮২ নং স্বামীবাগে অবস্থিত  ‘ঐতিহ্যবাহী স্বামীবাগ জামে মসজিদ’  ঢাকার প্রাচীনতম মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম। অপরদিকে ‘স্বামীবাগ মন্দির’  রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত একটি প্রধান হিন্দু মন্দির।
 অনুসন্ধানে জানা যায়  মসজিদ এবং মন্দির দুটি পাশাপাশি অবস্থিত হওয়ার কারনে ইবাদতে বিঘ্ন হওয়ার অভিযোগে বেশ কিছুদিন ধরেই স্থানিয় হিন্দু সম্প্রদায় এবং মসজিদের মুসল্লিরা একপক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করছিল।

সম্প্রতি মন্দিরের পক্ষ থেকে ৭ দিনব্যাপী রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। স্থানিয় মুসল্লিরা দবি করেন এই রথযাত্রার বাদ্য বাজনার কারনে তাদের ইবাদতে সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য মসজিদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হয়নি।

অপর দিকে আজ রথযাত্রায় অসুবিধার কারনে  তারাবির নামাজ চলাকালে মন্দিরের পক্ষ থেকে নামাজ রাত ১০টার মধ্যে শেষ করবার জন্য চাপ দেওয়া হয় মসজিদ কতৃপক্ষকে। কিন্তু তারাবির নামাজ দাবি মোতাবেক যথাসময়ে শেষ না করার কারনে মসজিদের মুসল্লিদের ঢিল ছোড়া শুরু করে মন্দিরের একদল উশৃঙ্খল গোষ্ঠীর পক্ষথেকে।

এ সময়ে ঘটনাস্থলে গেণ্ডারিয়া থানার এসআই অমল কৃষ্ণ উপস্থিত হয়। এবং মসজিদের ইমাম হাফেজ মৌলানা আবুল বাশারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালান। এসময় উপস্থিত মসজিদের মুসল্লিগন এবং মসজিদ কমিটির লোকজনের হস্তক্ষেপে ইমাম কে ছেড়ে দেন এসআই অমল কৃষ্ণ। মসজিদ কমিটির সভাপতি মহাম্মাদ সিরাজ বিডিহেরাল্ড কে জানান ‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে  তারাবির নামাজ রাত ১০টার মধ্যেই শেষ করতে করতে হবে। অন্যথায় মন্দিরের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার কারনে মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। ” বলে হুমকি দেন গেন্ডারিয়া থানার এসআই অমল কৃষ্ণ।

এসময় মসজিদ কমিটির সভাপতি  এসআই অমল কৃষ্ণের কাছে তারাবির নামাজ কিভাবে দ্রুত শেষ করব জানতে চাইলে এসআই অমল কৃষ্ণ  দ্রুত পড়ে তারাবির নামাজ শেষ করবেন বলে জানান।

মসজিদে তালা ঝুলানো কথা শুনে মসজিদের মুসল্লিরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে ঘটনা সামাল দেওয়ার জন্য গেন্ডারিয়া থানার ওসি মেহেদী নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই  মন্দির থেকে একদল লোক দা, লাঠি নিয়ে বের হয়ে মুসল্লিদের ধাওয়া করে বলে অভিযোগ করেন মুসল্লিরা।  হিন্দুদের ইটের আঘাতে ৮ থেকে ১০ জন মুসল্লি আশঙ্কাজনক ভাবে আহত হন।

এ সময় স্থানীয় মুরব্বী এবং মসজিদ কমিটির লোকজন মুসল্লিদের শান্ত রাখার চেস্টা করেন বিধায় বড় ধরনের মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে সাময়িক ভাবে রক্ষা হয় বলে জানান মসজিদ কর্তৃপক্ষ।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৯ গাড়ি দাঙ্গা পুলিশ এসে  পুরো ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানিয় অনেক মুসল্লিরা তাদের বাসায় ফিরতে না পেরে আশেপাশের মসজিদে অবস্থান করছে বলে রাত ১টা ৪০ মিনিটে পর্যন্ত জানা যায়। বিশ্বস্ত সুত্র থেকে জানা যায় ঢাকা ৬ আসন এর সংসদ কাজী ফিরোজ রশিদ বর্তমানে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। এবং মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে সমাধান দিবেন বলে আশ্বাস দেন।

কাজী ফিরোজ রশিদ ঘটনা স্থাল ত্যাগ করলে মন্দিরের ভিতর থেকে  আবারও উস্কানিমূলক শ্লোগান দিতে থাকে “মন্দিরে হামলা কেন,বিচার চাই। মসজিদে হামলা দেও! ওপারের হিন্দু এপারের হিন্দু এক হও”

সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বিবেচনা করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি মুসল্লিদের ধৈর্য ধারন করতে বলেন। হিন্দু ধর্মাাবলম্বিদের মন্দিরের মত পবিত্র জায়গায় কেন দা, কাচি সহ লাঠি-সোটা থাকবে বলে উপস্থিত অনেকেই প্রশ্ন ছুড়েদেন।
প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন

Saturday, June 28, 2014

আগামী সোমবার থেকে রমজান

আজ দেশের কোথাও রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই পবিত্র রমজান শুরু হচ্ছে সোমবার। আগামী ২৫ জুলাই রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে।

শনিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান।

ধর্মমন্ত্রী জানান, সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের কোথাও হিজরি ১৪৩৫ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।

২৯ জুন রবিবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। ৩০ জুলাই সোমবার থেকে রমজান মাস শুরু হবে। আগামী ২৫ জুলাই রাতে (রমজানের ২৭তম রাত) পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে। রোজার প্রস্তুতি হিসেবে রবিবার রাত থেকেই তারাবি নামাজ শুরু হবে।

সভায় ধর্ম সচিব চৌধুরী মো: বাবুল হাসান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি সামিম মোহাম্মদ আফজাল, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা তছির আহামদ, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব প্রফেসর মাওলানা মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনসহ তথ্য মন্ত্রণালয়, স্পারসো, ঢাকা জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

Thursday, June 26, 2014

এএসপিকে শামীম ওসমানের হুমকি : থানায় জিডি

আওয়ামী লীগের সাংসদ শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন পুলিশের এএসপি মো. বশির উদ্দিন।
এএসপি মো. বশির উদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের কেওডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জাল ভোট দেয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। আবদুস সালাম বিষয়টি শামীম ওসমানকে জানান। পরে শামীম ওসমান বশির উদ্দিনকে ছয় বার ফোন করেন।
বশির উদ্দিনের ভাষ্যমতে, ফোনে শামীম ওসমান বলেন, সালাম চেয়ারম্যান কেন্দ্রে ঢুকবে, যা ইচ্ছে তা-ই করবে। তাঁকে কোনো রকম বাধা দেয়া যাবে না।
বশির উদ্দিনের ভাষ্য, শামীম ওসমানের এই কথার জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের আন্ডারে চাকরি করছি। আমার পক্ষে কোনো অনৈতিক কাজ করা সম্ভব নয়।
বশির উদ্দিনের দাবি, তাঁর কথার জবাবে শামীম ওসমান বলেন, বশির উদ্দিন নারায়ণগঞ্জে কীভাবে চাকরি করেন, তা তিনি দেখে নেবেন।

মুঠোফোনে মো. বশির উদ্দিন নামের এই সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি-ট্রাফিক) দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়ায় তিনি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান। বশির জানান, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপনির্বাচন চলাকালে তাকে এ হুমকি দেয়া হয়।

Monday, June 23, 2014

ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডদানকারী বিচারক রউফ আবদুর রহমানকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে

ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডদানকারী বিচারক রউফ আবদুর রহমানকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। সুন্নি বিদ্রোহী সংগঠন আইএসআইএস এ ফাঁসি কার্যকর করে।

সুপ্রিম ইরাকি ক্রিমিনাল ট্রাইব্যুনালের প্রধান হিসেবে ২০০৬ সালে সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আবদুর রহমান। সুন্নি বিদ্রোহীরা ১৬ জুন ৬৯ বছর বয়স্ক ওই বিচারককে আটক করে।
বিচারক রহমান নর্তকীর পোশাক পরে বাগদাদ থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

জর্দানি এমপি খালিল আত্তিয়া তার ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, বিচারক রহমানকে গ্রেফতার ও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, শহীদ সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যুর বদলা নিতে ইরাকি বিপ্লবীরা তাকে আটক করে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
সাদ্দামের সাবেক সহকারী এবং বর্তমানে বিদ্রোহীদের অন্যতম নেতা ইজ্জাত ইব্রাহিম আল দুরিও বিচারক রহমানকে আটক করার খবর তার ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন।

তবে ইরাক সরকার এখনো তার মৃত্যু নিশ্চিত করেনি। তবে তাকে যে আটক করা হয়েছে, সে খবর অস্বীকার করেনি।

কুর্দিশ নগরী হালবিয়ায় জন্মগ্রহণকারী বিচারক রহমান ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে সাদ্দামের বিচার করার দায়িত্ব নেন। বিচারকাজ তখন মাঝপথে ছিল। তার আগের বিচারক রিজগার আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি সাদ্দাম হোসেন ও তার সহযোগীদের প্রতি বেশ নমনীয় ছিলেন।
বিচারক রহমান ১৯৯৬ সালে কুর্দিশ আপিল কোর্টের প্রধান বিচারক নিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৮২ সালে ব্যর্থ অভ্যুত্থানে জড়িত সন্দেহে ১৪৮ জনকে হত্যার অভিযোগে সাদ্দামকে ফাঁসি দিয়েছিলেন। ওই রায়ের পর সাদ্দামের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ঈদ উল আযহার দিন সাদ্দামের ফাঁসি দেয়া হয়।


Saturday, June 21, 2014

শিরক থেকে বাঁচার উপায় কি?

শিরক থেকে বাঁচার উপায় কি?

১. ই’লম বা দ্বীনি জ্ঞান অর্জনঃ
এই কাজটা প্রত্যেক মুসলমান নর ও নারীর উপর ফরয। আল্লাহর আসমা ও সিফাত, এইগুলোর সঠিক অর্থ ও ব্যখ্যা, তাওহীদ কি ও তাওহীদ কতপ্রকার, শিরক কি, শিরক কত প্রকার, কোন কাজগুলো শিরক, এইগুলো কেনো শিরক, কুরআন ও সহীহ হাদীসের উপর ভিত্তি করে দলীল কি – এসম্পর্কে বিস্তারিত জানা থাকলে আপনি শিরককে চিনতে পারবেন ও এইগুলো থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন ইন শা’ আল্লাহ। বিশেষ করে আকীদাহ সম্পর্কে ভালো পড়াশোনা থাকা প্রত্যেকটা মুসলমানের জন্য জরুরী। নিচের এই তিনটা বই সংগ্রহ করে অবশ্যই পড়বেন ও আলেমদের কাছ থেকে এইগুলো ব্যখ্যা জেনে নেবেন।

#ঈমান_আকীদাঃ

তাওহীদ, শিরকসহ ঈমানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানার জন্য অবশ্যই এই বইগুলো বারবার পড়বেন।

ক. বইয়ের নামঃ “আকীদাহ আত-তাহাবীয়া”
এই বইটাতে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকীদাহ সংক্ষেপে বলা হয়েছে। ইসলামী আকীদাহ সম্পর্কে জানার জন্য খুব সুন্দর ছোট একটি বই।
আহসান পাবলিকেশান। দাম – ১৫ টাকা

খ. বইয়ের নামঃ “কিতাব আত-তাওহীদের ব্যাখ্যা”
মূল - শায়খুল ইসলাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহহাব (রহঃ)
ব্যখ্যাঃ শায়খ সালিহ বিন আব্দুল আজীজ ও শায়খ মুহাম্মাদ বিন ইব্রাহীম (রহঃ), তাওহীদ পাবলিকেশান/দারুস সালাম পাবলিকেশান, দাম – ১৫০টাকা।
এই বইটা পড়ে সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাওহীদ ও শিরক সম্পর্কে জানতে পারবেন।

গ. বইয়ের নামঃ “সহীহ আকীদার মানদন্ডে তাবলিগী নিসাব”
মুরাদ বিন আমজাদ, তাওহীদ পাবলিকেশান। দাম – ১৫০ টাকা।

প্রচলিত তাবলীগ জামাত ও ফাযায়েলে আমল বইয়ের মাঝে শিরক বেদাত নিয়ে দলীল ভিত্তিক সুন্দর আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও এই বইটা পড়লে প্রচলিত অনেক শিরক, বেদাত ও জাল হাদী সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পারবেন। কেনো এইগুলো শিরক বেদাত সুন্দরভাবে ব্যখ্যা করা হয়েছে।

_______________________
 
২. দুয়া করাঃ
ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত কুফুরী ও শিরক বেঁচে থাকার জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হয়। এনিয়ে দুয়া মাসুরা আছে, সালাম ফেরানোর পরে দুয়া আছে, হিসনুল মুসলিম বই থেকে দেখে নেবেন।
ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় যেকোনো শিরক থেকে বাঁচার গুরুত্বপূর্ণ একটা দুয়াঃ
কেউ ৪০ বছর আল্লাহর ইবাদত করলো, কতযে নফল সুন্নত নামায পড়লো, রোযা রাখলো - কিন্তু মরণের আগে শিরক করে তোওবা না করেই মারা গেলো... একটা মাত্র শিরক তার সমস্ত আমল নষ্ট করে দেবে (নাউযুবিল্লাহ)!
কেয়ামতের দিন তার আমলগুলোর কোনো ওযন আল্লাহ তাকে দেবেন না, এইগুলোকে ধূলো বালিতে রূপান্তরিত করে দেবেন।
আর জেনে হোক বা না জেনেই হোক যেকেউ, যেকোনো সময় শিরকে লিপ্ত হতে পারে, যে যত বড় নেককারই হোক না কেনো (মা যা' আল্লাহ)।
এইজন্য শিরক করা অথবা অনিচ্ছায় শিরকে লিপ্ত হওয়া থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হয়।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) শেখানো একটা দুয়া আছে, কেউ যদি প্রতিদিন সকাল বিকাল একবার করে পড়েন, তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তাকে শিরক থেকে হেফাজত করবেন।
আপনি কি জানেন, সেই দুয়াটা কি? 
দুয়াটা হচ্ছেঃ

اللَّهُمَّ  إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لاَ أَعْلَمُ

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ’উযুবিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া আনা আ’লাম, ওয়া আস-তাগফিরুকা লিমা লা আ’লাম।
অনুবাদঃ হে আল্লাহ! আমার জানা অবস্থায় তোমার সাথে শিরক করা থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আর আমার অজানা অবস্থায় কোনো শিরক হয়ে গেলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
আহমাদ ৪/৪০৩, হাদীসটি সহীহ, সহীহ আল-জামে ৩/২৩৩।
হিসনুল মুসলিমঃ পৃষ্ঠা ২৪৬।
______________________

৩. রাতের বেলা ঘুমানোর আগে একবার “সুরা কাফিরুন” পড়াঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“এই সুরাটিতে (ক্বুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন বা সুরা কাফিরুন) শিরক থেকে বাঁচার শিক্ষা রয়েছে।”
আবু দাউদঃ ৫০৫৫, তিরমিযী, আহমাদ, ইমাম ইবেন হাজার আসকালানী ও শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
১০০০ সুন্নত, পৃষ্ঠা – ১৬০।
__________________________

উপরের বইগুলো ঢাকার কাটাবনে ইসলামী বইয়ের দোকানগুলোতে পাবেন। এছাড়া তাওহীদ পাবলিকেশানের দোকানগুলোতে পাবেন।

তারাবীহর রাকায়াত সংখ্যা ৮ না ২০?

তারাবীহর রাকায়াত সংখ্যা ৮ না ২০?আল্লামা উসাইমীন (রহ:) এর একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাসম্মানিত শাইখ মোহাম্মাদ সালেহ আল উছাইমীন (র:) বলেন: সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব জগতের প্রভু আল্লাহ তায়ালার জন্য। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ নবী মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবার এবং তাঁর সকল সাহাবীর উপর।অতঃপর আমি তারাবীর নামায বিষয়ে একটি লিফলেট দেখতে পেলাম, যা মুসলমানদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। আমি আরও জানতে পারলাম যে, প্রবন্ধটি কতিপয় মসজিদে পাঠ করা হয়েছে। প্রবন্ধ বা লিফলেটটি খুবই মূল্যবান। কেননা লেখক তাতে তারাবীর নামাযে খুশু-খুযু এবং ধীর স্থিরতা অবলম্বনের উপর উৎসাহ দিয়েছেন। আল্লাহ তাকে ভাল কাজের বিনিময়ে ভাল পুরস্কার দান করুন।তবে প্রবন্ধটির মধ্যে বেশ কিছু আপত্তি রয়েছে, যা বর্ণনা করা ওয়াজিব মনে করছি। লেখক সেখানে উল্লেখ করেছেন যে, ইবনে আব্বাস (রা:) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাযান মাসে বিশ রাকাত তারাবি পড়তেন।এর জবাব হচ্ছে এই হাদীছটি যঈফ। ইবনে হাজার আসকালানী সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যা ফতহুল বারীতে বলেন:وأما ما رواه ابن أبي شيبة” من حديث ابن عباس كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يصلي في رمضان عشرين ركعة والوتر، فإسناده ضعيف، وقد عارضه حديث عائشة هذا الذي في الصحيحين مع كونها أعلم بحال النبي صلى الله عليه وسلم ليلاً من غيرها.“যে হাদীছটি ইবনে আবী শায়বা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাযান মাসে বিশ রাকাত তারাবি ও বিতর পড়তেন-তার সনদ দুর্বল। আর এটি বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত আয়েশা (রা:)এর হাদীছের বিরোধী। আয়েশা (রা:) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাতের অবস্থা অন্যদের চেয়ে বেশী জানতেন।”আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত যে হাদীছটির প্রতি ফতহুল বারীর ভাষ্যকার ইবনে হাজার আসকালানী (রাহ:) ইঙ্গিত করেছেন, তা ইমাম বুখারী এবং মুসলিম স্বীয় কিতাব দ্বয়ে উল্লেখ করেছেন। আবু সালামা আব্দুর রাহমান আয়েশা (রা:)কে জিজ্ঞেস করলেন: রামাযান মাসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর নামায কেমন ছিল? উত্তরে তিনি বললেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রামাযান কিংবা অন্য মাসে রাতের নামায ১১ রাকআতের বেশী পড়তেন না। (বুখারী) মুসলিমের শব্দে বর্ণিত হয়েছে, তিনি প্রথমে আট রাকআত পড়তেন। অতঃপর বিতর পড়তেন।আয়েশা (রা:)এর হাদীছে জোরালো ভাবে এই সংখ্যার উপর যে কোন সংখ্যা অতিরিক্ত করার প্রতিবাদ করা হয়েছে।ইবনে আব্বাস (রা:) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রাতের নামাযের ধরণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন যে, তিনি দুই রাকআত নামায পড়তেন, অতঃপর আরও দুই রাকআত পড়তেন। তারপর আরও দুই রাকআত, এভাবে ১২ রাকআত পূর্ণ করে বিতর পড়তেন। (সহীহ মুসলিম) এতে পরিষ্কার হয়ে গেল যে তাঁর রাতের নামায ১১ রাকআত বা ১৩ রাকআতের মধ্যেই ঘূর্ণ্যমান ছিল।• এখন যদি বলা হয় রাতের নামায (তাহাজ্জুদ) আর তারাবীর নামায এক নয়। কেননা তারাবী হচ্ছে উমর (রা:)এর সুন্নাত। তাহলে উত্তর কি হবে?এ কথার উত্তর হচ্ছে, রামাযান মাসে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর রাতের নামাযই ছিল তারাবী। সাহাবীগণ এটিকে তারাবীহ নাম দিয়েছেন। কেননা তারা এটা খুব দীর্ঘ করে পড়তেন। অতঃপর তারা প্রত্যেক দুই সালামের পর বিশ্রাম নিতেন। তারাবীহ অর্থ বিশ্রাম নেওয়া। তারাবীহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরই সুন্নাত ছিল।সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত হয়েছে, আয়েশা (রা:) হতে বর্ণিত, কোন এক রাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে নামায পড়লেন। তাঁর নামাযকে অনুসরণ করে কিছু লোক নামায পড়ল। অতঃপর দ্বিতীয় রাতেও নামায পড়লেন। এতে লোক সংখ্যা বৃদ্ধি পেল। অতঃপর তৃতীয় বা চতুর্থ রাতে প্রচুর লোকের সমাগম হল। কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবার ঘর থেকে বের হয়ে তাদের কাছে আসলেন না। সকাল হলে তিনি বললেন: আমি তোমাদের কাজ-কর্ম প্রত্যক্ষ করেছি। আমাকে তোমাদের কাছে বের হয়ে আসতে কোন কিছুই বারণ করে নি, কিন্তু আমি ভয় করলাম যে, তা তোমাদের উপর ফরজ করে দেয়া হয় কি না? আর এটি ছিল রামাযান মাসে। (বুখারী ও মুসলিম)• আর যদি বলা হয়, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১১ রাকআত পড়েছেন। তার চেয়ে বেশী পড়তে নিষেধ করেন নি। সুতরাং রাকআত বাড়ানোর মধ্যে বাড়তি ছাওয়াব ও কল্যাণ রয়েছে।তার উত্তরে আমরা বলবো যে, কল্যাণ ও ছাওয়াব হয়ত ১১ রাকআতের মধ্যেই সীমিত। কারণ এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর আমল দ্বারা প্রমাণিত। আর সর্বোত্তম হেদায়েত হচ্ছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হেদায়েত। সুতরাং তাই যদি হয় তাহলে কল্যাণ ও বরকত ১১ রাকআতের মধ্যেই। আর যদি বিশ্বাস করেন যে বাড়ানোর মধ্যেই কল্যাণ, তাহলে বুঝা যাচ্ছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কল্যাণ অর্জনে ত্রুটি করেছেন এবং উত্তম বিষয়টি তার উম্মতের জন্য গোপন করেছেন। নাউযুবিল্লাহ। এ ধরণের বিশ্বাস রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর ক্ষেত্রে অসম্ভব।• যদি বলা হয় ইমাম মালিক তার মুআত্তা গ্রন্থে ইয়াজিদ বিন রুমান থেকে বর্ণনা করেছেন যে,عن يزيد بن رومان قال: كَانَ النَّاسُ يَقُومُونَ فِي زَمَانِ عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ فِي رَمَضَانَ بِثَلاثٍ وَعِشرِينَ رَكعةًইয়াজিদ বিন রুমান থেকে বর্ণিত, লোকেরা উমর বিন খাত্তাব (রা:)এর আমলে রামাযান মাসে কিয়ামুল লাইল (বিতরসহ) ২৩ রাকআত আদায় করতেন। এই হাদীছের জবাবে কি বলবেন?এর জবাব হচ্ছে, হাদীছটি দুর্বল ও সহীহ হাদীছের বিরোধী।দুর্বল হওয়ার কারণ হচ্ছে:(১) তার সনদে ইনকিতা রয়েছে। অর্থাৎ কোন একজন রাবী বাদ পড়েছে। কারণ ইয়াজিদ বিন রুমান উমর (রা:) এর যুগ পায় নি। যেমন ইমাম নববী ও অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ ঘোষণা করেছেন।(২) ইয়াজিদ বিন রুমানের হাদীছটি ইমাম মালিক (র:) তাঁর মুআত্তা গ্রন্থে নির্ভরযোগ্য রাবী মোহাম্মাদ বিন ইউসুফ সায়েব বিন ইয়াজিদ থেকে বর্ণিত সহীহ হাদীছের বিরোধী। সায়েব বিন ইয়াজিদ বলেন:أمر عمر بن الخطاب أبي بن كعب وتميماً الداري أن يقوما للناس بإحدى عشرة ركعةউমর বিন খাত্তাব (রা:) উবাই বিন কা’ব এবং তামীম দারীকে মানুষের জন্য ১১ রাকআত তারাবীর নামায পড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। দেখুন: (দেখুন শরহুয যুরকানী ১/১৩৮)সুতরাং সায়েব বিন ইয়াজিদের হাদীছ তিনটি কারণে ইয়াজিদ বিন রুমানের হাদীছের চেয়ে অধিক গ্রহণযোগ্য। ক) সায়েব বিন ইয়াজিদের হাদীছ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত সহীহ হাদীছের মোতাবেক। উমর (রা:) এ ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর সুন্নাত জানা সত্ত্বে কখনই তা বাদ দিয়ে অন্যটি নির্বাচন করতে পারেন না। খ) ১১ রাকআতের ব্যাপারে সায়েব বিন ইয়াজিদের হাদীছটি সরাসরি উমর (রা:)এর আদেশের দিকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আর ইয়াজিদ বিন রুমানের হাদীছটি উমর (রা:)এর জামানার দিকে নিসবত করা হয়েছে। সুতরাং ইয়াজিদ বিন রুমানের হাদীছে বর্ণিত ২০ রাকআতের উপর উমর (রা:)এর সমর্থন বুঝায়। আর আদেশ সমর্থনের চেয়ে অধিক শক্তিশালী হয়। কেননা ১১ রাকআত তাঁর সরাসরি আদেশ দ্বারা প্রমাণিত। আর সমর্থন কখনও বৈধ বিষয়ের ক্ষেত্রেও হতে পারে, যদিও তা পছন্দের বাইরে হয়।সুতরাং উমর (রা:) ২৩ রাকআতের প্রতি সমর্থন দিয়ে থাকতে পারেন। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এ ব্যাপারে নিষিদ্ধতা পাওয়া যায় না। সাহাবীগণ এ ব্যাপারে ইজতেহাদ করেছিলেন। আর তিনি তাদের ইজতেহাদকে সমর্থন করেছেন। অথচ তিনি ১১ রাকআতই নির্বাচন করে তা আদায় করার আদেশ দিয়েছিলেন। গ) ১১ রাকআতের ব্যাপারে সায়েব বিন ইয়াজিদের হাদীছটি দোষ থেকে মুক্ত। তার সনদ মুত্তাসিল। আর ইয়াজিদ বিন রুমানের হাদীছ দুর্বল। সায়েব বিন ইয়াজিদ থেকে বর্ণনা করেছেন মুহম্মাদ বিন ইউসুফ। তিনি ইয়াজিদ বিন রুমান থেকে অধিক নির্ভর যোগ্য। কেননা মোহাম্মাদ বিন ইউসুফ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, তিনি ছিলেন ثقة ثبت (ছিকাহ ছাবেত)। আর ইয়াজিদ বিন রুমান সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণ বলেছেন যে, তিনি শুধু ثقة (ছিকাহ)। আরউসুলে হাদীছের পরিভাষায় ছিকাহ ছাবেত রাবীর বর্ণনা শুধু ছিকাহ রাবীর বর্ণনা থেকে অধিক গ্রহণযোগ্য।الذي قيل فيه ثقة ثبت مرجح على الذي قيل فيه ثقة فقط كما في مصطلح الحديثআর যদি ধরেও নেওয়া হয় যে, ২৩ রাকআতের ব্যাপারে ইয়াজিদ বিন রুমানের হাদিছটি প্রমাণিত এবং সায়েব বিন ইয়াজিদের বিরোধী নয়, তারপরও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সহীহ সূত্রে বর্ণিত ১১ রাকআতের উপর ইয়াজিদ বিন রুমানের হাদীছে বর্ণিত ২৩ রাকআতকে প্রাধান্য দেয়া কোন ভাবেই সম্ভব নয়। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রামাযান কিংবা অন্য মাসে রাতের নামায ১১ রাকআতের বেশী কখনই পড়েন নি।সর্বোপরি বিষয়টি নিয়ে যেহেতু আমাদের মধ্যে মতবিরোধ হয়ে গেছে, তাই মত বিরোধপূর্ণ বিষয়ে আমাদের করণীয় কি? অবশ্যই আল্লাহ তাআলা এরূপ বিষয়ে আমাদের জন্য সমাধানের ব্যবস্থা করেছেন এবং আমাদেরকে তার কিতাবের দিকে ফেরত যেতে বলেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন:يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّـهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنكُمْ فَإِن تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّـهِ وَالرَّسُولِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّـهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ذَٰلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا“হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ্‌র নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর- যদি তোমরা আল্লাহ্‌ ও কেয়ামত দিবসের ওপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।” (সূরা নিসাঃ ৫৯)সুতরাং মতবিরোধের সময় আল্লাহ তাআলা তাঁর কিতাবের দিকে ফিরে যাওয়া আবশ্যক করে দিয়েছেন এবং রাসূলের জীবদ্দশায় তাঁর কাছে এবং তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সুন্নতের দিকে ফিরে আসতে বলেছেন। আর এটাকেই তিনি কল্যাণ এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহ তআলা আরও বলেন:فَلا وَرَبِّكَ لا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لا يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجاً مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيماً“অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে ন্যায়বিচারক বলে মনে না করে। অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোন রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা সন্তুষ্ট চিত্তে কবুল করে নেবে।” (সূরা নিসাঃ ৬৫)এখানে আল্লাহ তাআলা মানুষের পারস্পরিক বিরোধের সময় আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের হুকুমের দিকে ফিরে যাওয়াকে ঈমানের দাবী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আর আল্লাহ কসম করে বলেছেন যে, যারা রাসূলের হুকুমের সামনে সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ না করবে এবং খুশী মনে তা না মানবে, নিঃসন্দেহে তাদের ঈমান চলে যাবে।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর খুতবা সমূহে সবসময় বলতেন: “সর্বোত্তম কালাম হচ্ছে আল্লাহর কিতাব আর সর্বোত্তম সুন্নাত হচ্ছে রাসূলরে সুন্নাত।” মুসলমানগণ এ ব্যাপারে একমত যে মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর সুন্নাত হচ্ছে সর্বোত্তম পথ। মানুষ জ্ঞানে ও আমলে যতই বড় হোক না কেন, কোন অবস্থাতেই তার কথাকে রাসূলের কথার উপর প্রাধান্য দেয়া যাবে না এবং তার কথাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর কথার চেয়ে উত্তম মনে করা যাবে না।সাহাবীগণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর কথার বিরোধিতা করতে কঠোর ভাষায় নিষেধ করতেন। এ ব্যাপারে ইবনে আব্বাস (রা:)এর কথাটি কতই না বলিষ্ঠ। তিনি বলেন: আমি বলছি, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন আর তোমরা আমার কথার বিরোধিতা করে বলছ আবু বকর ও উমর বলেছেন। আমার আশঙ্কা হচ্ছে তোমাদের এই কথার কারণে আকাশ থেকে প্রস্তর বর্ষণ করে তোমাদেরকে ধ্বংস করা হয় কি না। (দেখুন: যাদুল মাআদঃ ২/১৯৫)এখন যদি কোন মুসলিমকে বলা হয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে নিয়ে ১১ রাকআত তারাবী পড়তেন। আর উমুক ইমাম মানুষকে নিয়ে ২৩ রাকআত পড়াচ্ছেন, তার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাত বাদ দিয়ে কোন ক্রমেই অন্যের সুন্নাত গ্রহণ করা বৈধ হবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত মোতাবেক আমল করাই অধিক উত্তম। আর অধিক উত্তম আমলের জন্যই মানুষ, আসমান-যমীন এবং সকল বস্তু সৃষ্টি করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন:الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلاً“যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন- কে তোমাদের মধ্যে কর্মে অধিক উত্তম?” (সূরা মূলক: ২)আল্লাহ তাআলা আরও বলেন:وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلاً“তিনিই আসমান ও যমীন ছয় দিনে তৈরি করেছেন, তার আরশ ছিল পানির উপরে, তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান যে, তোমাদের মধ্যে কে সবচেয়ে ভাল কাজ করে।” (সূরা হুদ: ৭)আল্লাহ তাআলা এ কথা বলেন নি যে, তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান যে, তোমাদের মধ্যে কে সবচেয়ে বেশী আমল করে? এটি জানা কথা যে, আমলের মধ্যে ইখলাস অর্থাৎ একনিষ্ঠতা যত বেশী হবে এবং সুন্নতের অনুসরণ যত বেশী করা হবে, আমলটি তত বেশী উত্তম হবে।সুতরাং ১১ রাকআত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নতের মোতাবেক হওয়ার কারণে বাড়ানোর চেয়ে ১১ রাকআত পড়াই উত্তম। বিশেষ করে যখন ধীর স্থীরভাবে, ইখলাসের সাথে এবং খুশু-খুযুর সাথে এই ১১ রাকআত পড়া হবে। যাতে ইমাম ও মুক্তাদী সকলেই দুআ এবং জিকিরগুলো সুন্দরভাবে পড়তে পারবে।• যদি বলা হয় ২৩ রাকআত পড়া তো আমীরুল মুমিনীন খলীফা উমর (রা:)এর সুন্নাত। তিনি খোলাফায়ে রাশেদার একজন। তাদের অনুসরণ করার জন্য আমাদেরকে আদেশ দেয়া হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: তোমরা আমার পরে আমার সুন্নাত ও সঠিক পথপ্রান্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতের অনুসরণ করবে।এ কথার জবাবে বলবো যে, ঠিক আছে। উমর (রা:) খোলাফায়ে রাশেদার অন্তর্ভুক্ত। তাদের অনুসরণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে আমাদের ভালভাবে জানতে হবে তারাবীর রাকআত সংখ্যার ব্যাপারে উমর (রা:) এর সুন্নতটি কি?অনুসন্ধান করে আমরা যা জানতে পারলাম, তা হচ্ছে ২৩ রাকআতের বর্ণাগুলো দুর্বল ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত সহীহ হাদীছের বিরোধী। বরং সহীহ সনদে উমর (রা:) উবাই বিন কা’ব ও তামীম দারীকে ১১ রাকআত পড়ানোর আদেশ দিয়েছেন বলেই প্রমাণ পাওয়া যায়।আর যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেই যে উমর (রা:)২৩ রাকআত নির্ধারণ করেছেন, তারপরও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর আমলের বিরুদ্ধে তাঁর কথা দলীল হতে পারে না। আল্লাহর কিতাব, রাসূলের সুন্নাত, সাহাবীদের কথা এবং মুসলমানদের ইজমা দ্বারা প্রমাণিত যে, কারও কথা রাসূলের সুন্নতের সমান হতে পারে না। সে যত বড়ই হোক না কেন? কারও কথা টেনে এনে রাসূলের সুন্নতের বিরুদ্ধে দাঁড় করা যাবে না।ইমাম শাফেয়ী (র:) বলেন:أجمع المسلمون على أن من استبانت له سنة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يحل له أن يدعها لقول أحد“মুসলমানদের সর্বসম্মতিক্রমে কারও কাছে রাসূলের সুন্নাত সুস্পষ্ট হয়ে যাওযার পর তা ছেড়ে দিয়ে অন্যের কথা গ্রহণ করা জায়েজ নয়।”• যারা বলেন, সাহাবীদের জামানা থেকে আজ পর্যন্ত মুসলমানগণ ২৩ রাকআত পড়ে আসছেন। সুতরাং তা ইজমার মত হয়ে গেছে।তাদের এই কথা সঠিক নয়। সাহাবীদের যুগ থেকে আজ পর্যন্ত মুসলমানদের মাঝে তারাবীর রাকআত সংখ্যার ব্যাপারে খেলাফ (মতবিরোধ) চলেই আসছে। হাফেজ ইমাম ইবনে হাজার আসকালী (র:) ফতহুল বারীতে এ ব্যাপারে মতপার্থক্যের কথা আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন: আবান বিন উসমান এবং উমর বিন আব্দুল আজীজের আমলে মদীনাতে ৩৩ রাকআত তারাবী পড়া হতো। ইমাম মালিক (র:) বলেন একশ বছরেরও বেশী সময় পর্যন্ত চলমান ছিল। (দেখুন ফতহুল বারী আলমাকতাবা সালাফীয়া ৪/২৫৩)সুতরাং যেহেতু মুসলমানদের মধ্যে এ ব্যাপারে মতভেদ চলে আসছে, তাই কুরআন ও সুন্নাহর দিকে ফিরে আসাতেই রয়েছে এর সমাধান। আল্লাহ তাআলা বলেন:فإن تنازعتم في شيء فردوه إلى الله والرسول إن كنتم تؤمنون بالله واليوم الآخر ذلك خير وأحسن تأويلا“তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর- যদি তোমরা আল্লাহ্‌ ও কেয়ামত দিবসের ওপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।” (সূরা নিসাঃ ৫৯)সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব জগতের প্রভু আল্লাহ তায়ালার জন্য। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ নবী, তার পরিবার এবং সকল সাহাবীর উপর।মোহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উছাইমীনঃ ০৮/০৯/১৩৯৫ হিজরী।আরবীতে পারদর্শী ভাইদের জন্য ফতোয়ার লিংক দেয়া হলhttp://www.kl28.com/ebnothiminr.php?search=1845একটি সংযোজন:হানাফী মাজহাবের যে সমস্ত বিজ্ঞ আলেম ২০ রাকআত তারাবী পড়ার পক্ষের হাদীছগুলাকে যঈফ বলেছেন, তাদের নামের একটি বিশাল তালিকাঃ১) মুআত্তা ইমাম মুহাম্মাদ, অধ্যায়ঃ কিয়ামে শাহরে রামাযান, পৃষ্ঠা নং-১৩৮। মুস্তফায়ী ছাপা, ১২৯৭ হিঃ।২) নাসবুর রায়া, (২/১৫৩)আল্লামা যায়লাঈ হানাফী,মাজলিসুল ইলমী ছাপা, ভারত।৩) মিরকাতুল মাফাতীহ,(৩/১৯৪) মোল্লা আলী কারী হানাফী, এমদাদীয়া লাইব্রেরী, মুলতান, ভারত।৪) উমদাতুল কারী শরহে সহীহ আল-বুখারী,(৭/১৭৭)প্রণেতা আল্লামা বদরুদ দীন আইনী হানাফী মিশরী ছাপা।৫) ফতহুল কাদীর শরহে বেদায়া (১/৩৩৪) প্রণেতা ইমাম ইবনুল হুমাম হানাফী।৬) হাশিয়ায়ে সহীহ বুখারী (১/১৫৪) প্রণেতা মাওলানা আহমাদ আলী সাহরানপুরী।৭) আল-বাহরুর রায়েক (২/৭২) প্রণেতা ইমাম ইবনে নুজাইম হানাফী।৮)হাশিয়ায়ে দুররে মুখতার (১/২৯৫) প্রণেতা আল্লামা তাহাভী (রঃ)হানাফী।৯) দুররুল মুখতার (ফতোয়া শামী)(১/৪৯৫) প্রণেতা আল্লামা ইবনে আবেদীন হানাফী।১০) হাশিয়াতুল আশবাহ পৃষ্ঠা নং-৯ প্রণেতা সায়্যেদ আহমাদ হামুভী হানাফী।১১) হাশিয়ায়ে কানযুদ দাকায়েক পৃষ্ঠা নং-২৬, প্রণেতা মাওলানা মুহাম্মাদ আহমাদ নানুতুভী।১২) মারাকীউল ফালাহ শরহে নুরুল ইজাহ পৃষ্ঠা নং- ২৪৭, প্রণেতা আবুল হাসান শরানবালালী।১৩) মা ছাবাতা ফিস সুন্নাহ,পৃষ্ঠ নং- ২৯২, প্রণেতা শাইখ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলবী।১৪) মাওলানা আব্দুল হাই লাখনুভী হানাফী বিভিন্ন কিতাবের হাশিয়াতে ২০ রাকআতের হাদীছগুলোকে যঈফ বলেছেন। উদাহরণ স্বরূপ দেখুন উমদাতুর রেআয়া (১/২০৭)।১৫) তালীকুল মুমাজ্জাদ, পৃষ্ঠা নং-১৩৮।১৬) তুহফাতুল আখয়ার পৃষ্ঠা নং-২৮,লাখনু ছাপা।১৭)হাশিয়ায়ে হেদায়া (১/১৫১) কুরআন মহল, করাচী ছাপা।১৮) ফাইযুল বারী,(১/৪২০) প্রণেতা মাওলানা আনোয়ার শাহ কাশমীরী।১৯) আলউরফুয্ শাযী পৃষ্ঠা নং- ৩০৯।২০) কাশফুস সিতর আন সালাতিল বিতর পৃষ্ঠা নং- ২৭।২১) শরহে মুআত্তা ফারসী,(১/১৭৭) প্রণেতা শাহ অলীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী। কুতুব খান রাহীমিয়া, দিল্লী, ১৩৪৬ হিঃ।উপরোক্ত আলেমগণ ছাড়া আরও অনেকেই ২০ রাকআত তারাবীর হাদীছগুলোকে যঈফ বলেছেন। আশা করি উপরোক্ত তথ্যগুলো জানার পর কেউ ২০ রাকআত তারবীর পক্ষের হাদীছগুলো সহীহ বলা থেকে সকলেই বিরত থাকবেন এবং অন্যদেরকেও বিরত রাখার চেষ্টা করবেন। আল্লাহ আমাদের সকলকে সহীহ হাদীছের উপর আমল করার এবং জাল ও যঈফ হাদীছ বর্জন করার তাওফীক দিন। আমীন।অনুবাদ: আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানীসম্পাদনা: আব্দুল্লাহিল হাদী


Friday, June 20, 2014

৯০% মুসলমানের দেশে আর কতো অপমানিত হবার পর এদেশের মানুষদের হুশ হবে ?

ঘটনা---১
গতকাল খিলগাঁও থেকে প্রদানিশিন ২৪ জন মেয়েকে আটক করা হয়েছে । তারা সেখানে রমজানের তাৎপর্য নিয়ে ধর্মীয় বৈঠক করছিলেনভ। এসময় পুলিশ বাড়িটি ঘেড়াও করে তাদের আটক করে । সাংবাদিকরা তাদের আটক করার কারণ জানতে চাইলে খিলগাঁও থানার এসআই সৈয়দ আলী বলেন "তাদের কাছে কিছু ধর্মীয় বই পুস্তক পাওয়া গেছে ।" বাহ! কি চমৎকার !!
ঘটনা---২
গতবছরের মাঝামাঝি কোন এক সময় আওয়ামী টিভি চ্যানেলে দেখেছিলাম মিরপুরের এক মেস থেকে ছাত্রশিবিরের ১০-১২ কর্মীকে আটক করা হয়েছে । সেখান থেকে ২টা টর্চলাইট, কয়েকটা ব্যাটারি, স্কচটেপ ইত্যাদি ভয়ানক মরনাস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে সবচেয়ে ভয়ানক বস্তু "ইসলামী বই" সেখানে পাওয়া গেছে। ভয়াবহ ব্যাপারই বটে!!
আগে টিভি চ্যানেল বা পত্রিকায় ইসলামী বই পেলে লেখতো "জিহাদী বই ।" তারও আগে লেখা হতো "জঙ্গী বই ।" কিন্তু আজকাল রাখঢাক না করেই লিখছে "ইসলামী বই ।"

কি চমৎকার বিবর্তকা !

জঙ্গী বই---> জিহাদী বই ---> ইসলামী বই---> ধর্মীয় বই ।

মানে সময়ের বিবর্তনে আজ সমাজ ও রাষ্ট্রের চোখে ইসলামী ও ধর্মীয় বই রাখা ও পড়াটাও অপরাধের বিষয় । এভাবেই তিলে তিলে আমাদের মনকে এসবের সাথে এডজাস্ট করা হয়েছে । কিন্তু আমরা নিশ্চুপ থেকেছি ও থাকছি ।

শুনেছি শেখ হাসিনা নাকি প্রতিদিন ফজর নামাজ পড়ে কুরআন তেলাওয়াত করে দিন শুরু করেন । তাহলে তাকে কেন কুরআন রাখা ও পড়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হবে না বা কবে হবে ??

ভারতীয় নগ্ন নায়িকাদের নিয়ে কনসার্ট করতে চান ? বাংলাদেশের যে কোন স্থানে অনুমতি ছাড়া এমনকি অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বাসস্থান গণভবনেও করতে পারবেন । কেউ কিছু বলবে না বরং হাসিনা নিজে সাঙ্গপাঙ্গ সহ উপস্থিত থেকে গান গাইবে উৎসাহ দিবে ! কোন হোটেলে, বাসায় নারী-পুরুষ মিলে ইয়াবা, মদ নিয়ে পার্টি করতে চান ? অবশ্যই পুলিশ, সরকার, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সবাই তৈরি, দলবল সহ অংশগ্রহণ করে সফল করে তুলতে !

তাফসীর মাহফিল, ইসলামি আলোচনা সভা করতে চান ? অসম্ভব ! এটা সংবিধান পরিপন্থী বিষয় ! এই হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশ ! ৯০% মুসলমানের ডিজিটাল বাংলাদেশ ! আওয়ামী লীগ ও তাদের পরজীবিরা সবসময় বলার চেষ্ঠা করে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ মানে ধর্মহীনতা নয় । এটা নাকি শুধু ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে পৃথক রাখার নাম, ব্যাক্তিগত ভাবে ইসলাম পালনে নাকি বাঁধা নেই !
তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ এ সরকারের আমলে সারাদেশে হিজাব, পর্দা বিরোধী প্রচারণা চালানো হয়, সকল ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান বলতে গেলে বন্ধ, দাঁড়ি, টুপি, হিজাব দেখলেই পুলিশ ও লীগের আচরণ এমন যে তারা সবাই অপরাধী বা জঙ্গী ! এমনকি ঘরেও যদি কয়েকজন মিলে ধর্মীয় আলোচনা করে তাদেরকে জঙ্গী হিসেবে গ্রেফতার করা হচ্ছে, হয়েছে । তার সর্বশেষ নমুনা দেখা গেলো ঢাকার খিলগাঁও এর একটি বাসা থেকে ছাত্রীসংস্থার ২৪ ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ । তাদের অপরাধ রমজানকে সামনে রেখে তারা ব্যাক্তিগত ভাবে কুরআন তালিমের মতো একটি ঘরোয়া বৈঠক করছিল !

চিন্তা করা যায় বাংলাদেশ আজ কোথায় দাঁড়িয়েছে ?! ৯০% মুসলমানের দেশে ২৬জন নারীকে পুলিশ আটক করেছে কুরআন তালিম করছিল বলে! তারা এই অনুষ্ঠানটি রাস্তায় নয়, হলে নয়, ক্লাবে নয় বরং একটি ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন বাড়িতে করছিল । হাসিনা শেষ পর্যন্ত ঘরের ভিতরও ইসলাম চর্চা নিষিদ্ধ করেছে ?!

নষ্টামিতে বাঁধা নেই, সুন্দরী প্রতিযোগীতার নামে অসভ্যতাতে বাঁধা নেই, অশ্লীল কনসার্টে বাঁধা নেই, বিভিন্ন হোটেল, বাসায় নানা নামে নানা স্টাইলে নারী-পুরুষের অশ্লীলতায় বাঁধা নেই, নৈতিকতা ধ্বংসের কর্মকান্ডে বাঁধা নেই, বাঁধা আছে শুধু ইসলামী অনুষ্ঠানে ?। এমনকি বাসাবাড়িতে করলেও সেখানে বাধাঁ ! ব্যাক্তিগত উদ্যােগে কারো বাসায় কুরআন শিক্ষার অনুষ্ঠান করলেও তাতেও হানা দেয় পুলিশ ? সেখান থেকেও নারী-ছাত্রীদের আটক করা হয় ?!
চোর, ডাকাত, খুনি, ইভটিজার, সন্ত্রাসী,টেন্ডারবাজ, চাদাবাজ্রা প্রকাশ্যে ঘুরবে আর প্রখ্যাত আলেম ওলামারা সহ প্রদানিশিন মহিলারা জেলে ?
এর নামই ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ? এর নামই স্বাধীনতার চেতনা ? এ জন্যই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল ? আওয়ামী সরকারের মূল টার্গেট তাহলে ইসলামহীন বাংলাদেশ ! ৯০% মুসলমানের দেশে আর কতো অপমানিত হবার পর এদেশের মানুষদের হুশ হবে ?!


একসাথে চেক করুন ইয়াহু, জিমেইল, হটমেইল, আউটলুক, লাইভ সহ সব ইমেইল অ্যাকাউন্ট।

একসাথে চেক করুন ইয়াহু, জিমেইল, হটমেইল, আউটলুক, লাইভ সহ সব ইমেইল অ্যাকাউন্ট। =========================================================

আসসালামুয়ালাইকুম।আশা করি মহান আল্লাহর রহমতে সবাই ভালই আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে ইমেইলট্রে নামে একটি সফটওয়্যার শেয়ার করব। প্রথমেই বলে রাখি আপনারা যারা মাইক্রোসফট কর্পোরশনের আউটলুক সার্ভিসটি ডেক্সটপ বা ল্যাপটপে ইউস করেন তারা এই বিষয়টি সম্পর্কে খুব ভাল ভাবে অবগত আছেন। তারপরেও যারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন তাদেরকে বলছি, এই সফটওয়্যারটির (ইমেইলট্রে ) মাধ্যমে আপনি এক সাথে আপনার একাধিক ইমেইল অ্যাকাউন্ট ইয়াহু, জিমেইল, হট মেইল, আউটলুক, লাইভ এর মেইল সহ প্রায় সব ইমেইল অ্যাকাউন্ট চেক করতে পারবেন। প্রতি বার আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করার ঝামেলা নেই।

দেখে নেয়া যাক আপনি কেন (আউটলুক বাদ দিয়ে) এই সফটওয়্যারটি ব্যাবহার করবেনঃ

এক ক্লিকেই একাধিক ইমেইল অ্যাকাউন্ট এর (ইয়াহু, জিমেইল, হট মেইল, আউটলুক, লাইভ সহ প্রায় সব) ইমেইল চেক করতে পারবেন আর সেনডিং , এটাচমেনট ইত্যাদি অন্যান্য মেইলিং সুবিধা তো থাকছেই। আর মেইলগুলো যেহেতু আপনার ডেক্সটপে নামানো হয় তাই অফলাইনে ও নামানো মেইলগুলো দেখতে পারবেন।
সব চাইতে বড় সুবিধা আমার কাছে মনে হয়েছে এর ইজি সেটাপ সুবিধা। শুধু মাত্র সেটাপ এর সময় একবার আপনার ইমেইল অ্যাকাউন্টগুলর আইডি আর পাসওয়ার্ড দিন ব্যাস আপনার কাজ শেষ এর পরে আপনার মেইল গুলো একে একে এমনিতেই নামবে। অপরদিকে মাইক্রোসফট কর্পোরশনের আউটলুক সার্ভিসটি সেটাপ করা সাধারণ ইউসারদের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার বিশেষত হটমেইল অ্যাকাউন্ট অ্যাড করা। আর নতুন আউটলুক (ইমেইল) অ্যাকাউন্ট এর কথাতো বাদই দিলাম।
এর ইন্টারফেস আউট লুক এর চাইতে অনেক সুন্দর।
আপনার অ্যাকাউন্ট এর মেইল গুলো অটোমেটিকালি তিনটি কেটাগোরিতে সাজানো থাকবে। টপ প্রাইওরিটি, লো প্রাইওরিটি, নো প্রাইওরিটি। এবং অবশ্যই আপনি যে কোন মেইল এর প্রাইওরিটি ম্যানুয়ালি চেনজ করতে পারবেন।
আপনার ডেস্কটপ এ একটি আইকন সবসময় শো করবে। কোন মেইল আসলে আপনি সেটা আইকন এ দেখতে পারবেন। যা আউটলুক এ আপনি পাবেন না।
আরেকটি খুব ভাল ফিচার হচ্ছে যখনই আপনার টপ প্রাইওরিটির কোন মেইল আসবে সেটি আপনাকে ভয়েস আলারট এর মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে। বলা বাহুল্য, এটিও আউটলুক এ অনুপস্থিত।
সফটওয়্যারটির সাইজ খুব ছোট (১৩ মেগাবাইট) তাই যারা আউটলুক সার্ভিসটি ব্যাবহার করেন তারাও অন্ততপক্ষে একবার সফটওয়্যারটি ট্রাই করবেন। আর যারা নতুন তারাতো চোখ বন্ধ করে ব্যাবহার করা শুরু করবেন আশা করি।
ইমেইল সেনডারের ছবিও দেখতে পারবেন (আপ করা থাকলে)।
আপনি চাইলে অ্যান্ড্রয়েড ফোনেও এই সফটওয়্যারটি ব্যাবহার করতে পারবেন। গুগল প্লে তে স্পেসিফিকেসন দেখতে ক্লিক করুন এখানে
Windows Xp/ Windows Vista/ Windows 7 Supported.
http://www.emailtray.com/download.html
Check at Yahoo, Gmail, Hotmail, Outlook, the email account including live. = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = = আসসালামুয়ালাইকুম. রহমতে is the great hope all is well with you today a ইমেইলট্রে. software will do that first share you desktop or ইউস ল্যাপটপে সার্ভিসটি কর্পোরশনের who, Microsoft Outlook, they are very good about the way this issue know of people who say they are not yet aware of the issue.With this software, you have more of a (ইমেইলট্রে) email account Yahoo, hot mail, Gmail, Outlook, live mail to this email account will be able to check all with every time ID with password লগিন. There is disagreement to go was taken to see why you (Outlook, with) this software use a করবেনঃ ক্লিকেই more than one email account (Yahoo, Gmail, hot mail, Outlook, live and almost all) will be able to check email and সেনডিং এটাচমেনট, থাকছেই মেইলগুলো and other mailing privileges, etc that is so ডেক্সটপে except you. as offline and you can see all the benefits of the big মেইলগুলো except I think to ask is. its easy সেটাপ privileges. only once at the time of this সেটাপ অ্যাকাউন্টগুলর your email ID and password at the end of your work are your mail after diameter each one কর্পোরশনের one সেটাপ সার্ভিসটি নামবে are to Microsoft Outlook. common ইউসারদের a matter of especially difficult for the Hotmail account is অ্যাড. and new Outlook (To say nothing of its কথাতো account email). out of the interface look much better than this. There are three কেটাগোরিতে অটোমেটিকালি of your account mail. প্রাইওরিটি low প্রাইওরিটি no প্রাইওরিটি, top, and a mail that you must manually be able to প্রাইওরিটি of চেনজ a desktop icon will always show you a mail it you see this icon it is.. that Outlook cannot get you to another very good is ফিচার. When will a mail you your top it প্রাইওরিটির voice That will be given by আলারট., which is missing in Outlook useless. software-sized photographs of very small (13 megabytes) so, they choose people who once ট্রাই সার্ভিসটি use of Outlook software. and those who start to use the new তারাতো closes the eyes hope you can see the email সেনডারের. movies (up to you).
If you want you can use this software ফোনেও অ্যান্ড্রয়েড Google স্পেসিফিকেসন to play, click here to view the Windows Xp/Windows Vista/Windows 7 Supported.
Http://www.emailtray.com/download.html (Translated by Bing)




যে কারণে বন্ধ হয়েছিল ফেসবুক

ফেসবুকে সার্ভিস বন্ধের বার্তা দেখা যায় গতকাল বৃহস্পতিবার। এতে আধঘণ্টার জন্য ফেসবুক অচল হয়ে পড়লে অনেকেই হতাশার কথা বলতে টুইটারকে বেছে নেন। ওই সময় ফেসবুকে ঢুকলে একটি বার্তা দেখতে পান ব্যবহারকারীরা যাতে লেখা ছিল ‘সরি সামথিং ওয়েন্ট রং। উই আর ওয়ার্কিং অন গেটিং দিস ফিক্সড অ্যাজ সুন অ্যাজ উই ক্যান'। এই ঘটনায় ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।


ফেসবুকের হঠাৎ অচল হয়ে পড়ার কারণ কী? ফেসবুকের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন, আমাদের একটি সফটওয়্যার সিস্টেমের কনফিগারেশন আপডেট করতে গিয়ে একটি সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে কিছু সময়ের জন্য ফেসবুক ব্যবহার করতে পারেননি ব্যবহারকারীরা। ফেসবুকের একটি সফটওয়্যারে পরিবর্তন আনার সময় যে সমস্যা দেখা দিয়েছিল আমরা দ্রুত তা সমাধান করে আধঘণ্টার মধ্যে পুরোপুরি আবার ফেসবুককে ঠিক করে ফেলি।


ফেসবুকের ওই মুখপাত্র ই-মেইলে আরও জানান, এ ধরনের সমস্যা সাধারণত সব সময় ঘটে না। এ ধরনের সমস্যা হলে তা থেকে আমরা যে শিক্ষা নিতে পারি তা ভবিষ্যতে ফেসবুককে আরও নির্ভরযোগ্য করে তুলতে সাহায্য করে।


আসছে বিদ্যুৎ চালিত মোটর সাইকেল !


স্বনামধন্য বাইক নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হারলি-ডেভিডসন কি এবার বিদ্যুৎ চালিত মোটর সাইকেল তৈরী করছে ?

সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ছোট্ট টিজার সদৃশ ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে । ভিডিওতে দেখানো মোটর সাইকেলটি দেখে স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে এটা কি এলিয়েন বাইক !

চিরপরিচিত গ্যাস বা তেল চালিত বাইকের মতো নেই কোন গর্জন, নেই কোন ধোঁয়াও ! শব্দ শুনে মনে হতে পারে এটা কোন সায়েন্স ফিকশন সিনেমায় ব্যবহৃত বাইক ।

আরো চমকপ্রদ ব্যাপার হচ্ছে আগত অ্যাভেঞ্জার্স সিনেমাটির সিক্যুয়েল অ্যাভেঞ্জার্স এইজ অফ আল্ট্রন এর শুটিং দৃশ্যে ঠিক এরকমই একটি বাইক দেখা গেছে ! এবং সেটা বিদ্যুৎ চালিত বাইকই ছিল ।

স্কারলেট জোহানসনের স্টান্ট ডাবল হারলি-ডেভিডসনের এই বাইক চালাচ্ছেন এমন ছবি প্রকাশিত হয়েছে ।

পাসপোর্ট নবায়ন পদ্ধতি

নির্দিষ্ট সময়কালের পর নবায়ন করতে হয় পাসপোর্ট, এজন্যে যা যা করনীয়ঃ

প্রথমেই  নবায়নের জন্য পুরনো পাসপোর্টসহ নির্ধারিত আবেদনপত্রের একটি কপি জমা দিতে হবে। বর্তমানে দেশের ৬৭টি কার্যালয়ে পাসপোর্ট নবায়নের কাজ হয়। সে ক্ষেত্রে আপনার কাছাকাছি সুবিধা মতো অথবা  আপনার এলাকার নির্ধারিত অফিসে ফি দিয়ে পাসপোর্ট নবায়ন করতে পারবেন।

পাসপোর্ট নবায়নের জন্য যে সকল নথিপত্র প্রয়োজন-

* নির্দিষ্ট আবেদনপত্র পূরণ।

* সাম্প্রতিক সময়ে তোলা পাসপোর্ট সাইজের (অনধিক ছয় মাস) পাঁচ কপি ছবি।

* আবেদনকারীর বর্তমান পাসপোর্ট।

এরপর-

* নির্দিষ্ট আবেদনপত্র পূরণ করে ব্যাংকে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে রশিদটি ওই আবেদনপত্রের সঙ্গে আঠা দিয়ে লাগিয়ে পাসপোর্ট সহ জমা দিতে হবে।

* আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয় সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।

ডেলিভারি দেওয়া হয় বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে।

ফরম সংগ্রহ করবেন পদ্ধতিঃ

ইন্টারনেট থেকে বিনা মূল্যে আবেদনপত্র সংগ্রহ করা যাবে। বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেই (www.dip.gov.bd) এই আবেদপত্র পাওয়া যাবে। এ ছাড়া ঢাকাসহ দেশের ১০টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকেও বিনা মূল্যে সংগ্রহ করা যাবে এই ফরম। চার পৃষ্ঠার এ আবেদনপত্রে আবেদনকারীকে নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, তাঁদের পেশা, জাতীয়তা, জন্মস্থান, জন্মতারিখ, জন্ম সনদপত্র নম্বর, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা দিতে হবে।

* এসব তথ্য সঠিক এবং নির্ভুলভাবে পূরণ করে আবেদনকারীকে নির্দিষ্ট জায়গায় স্বাক্ষর ও তারিখ লিখতে হবে।

* আবেদনকারীকে একটি ৫৫x৪৫ মিলিমিটার আকারের রঙিন ছবি (পাসপোর্ট সাইজ ছবি) আবেদনপত্রে আঠা দিয়ে লাগানোর পর সত্যায়িত করতে হবে। এমনভাবে সত্যায়িত করতে হবে যেন সত্যায়নকারীর স্বাক্ষর এবং সিলমোহরের অর্ধেক অংশ ছবির ওপর আর বাকি অংশ আবেদনপত্রের কাগজে থাকে।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ

* জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।

* অপ্রাপ্তবয়স্ক (১৫ বছরের কম) আবেদনকারীর ক্ষেত্রে আবেদনকারীর বাবা ও মায়ের একটি করে রঙিন ছবিও লাগবে।

আবেদনপত্র জমা দেওয়ার নিয়মঃ

* দায়িত্বরত কর্মকর্তা আবেদনপত্রটি যাচাই করে সিলসহ স্বাক্ষর করবেন।

* আবেদনপত্রটি জমা নেওয়ার সময় পাসপোর্ট অফিসের দায়িত্বরত ব্যক্তি আপনাকে একটি টোকেন দেবেন।

* সে টোকেনসহ আবেদনপত্রটি নিয়ে ছবি তোলার জন্য আরেকজন কর্মকর্তার কাছে যেতে হবে।

* জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য যেভাবে ছবি তোলা হয়েছিল, এখানেও একইভাবে নির্দিষ্ট মাপের ছবি তোলা হবে।

* ইলেকট্রনিক মেশিনে দুই হাতের আঙুলের ছাপ দিতে হবে।

* এরপর নেওয়া হবে ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর। সেখানে কম্পিউটারে আপনার সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য এন্ট্রি করা হবে।

* এই প্রক্রিয়া শেষে কর্তৃপক্ষ পাসপোর্ট সংগ্রহের জন্য একটি আলাদা প্রিন্টেড কপি বা রশিদ দেবেন এবং আবেদনপত্রটি রেখে আপনাকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করার তারিখও জানিয়ে দেবেন।

* আবেদন ফরম জমা দেওয়ার সময় আবেদনকারীকে অবশ্যই উপস্থিত থাকতে হবে।

সবিশেষ পাসপোর্ট সংগ্রহঃ

* কর্তৃপক্ষের দেওয়া তারিখে পাসপোর্ট সংগ্রহ করা যাবে। তবে মোবাইলে মেসেজ পাওয়ার পর যাওয়া ভাল।

* তবে এই সময়ের মধ্যে অবশ্যই পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষ হতে হবে।

কিছু লক্ষণীয় বিষয়ঃ

* পুরো ঢাকা নগরীকে তিনটি অধিক্ষেত্রে বিভক্ত করা হয়েছে। উত্তরা, আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী। টাকা জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে যার ঠিকানা যে অধিক্ষেত্রের অন্তর্গত, তাকে সেই পাসপোর্ট অফিসে টাকা জমা দিতে হবে।

* ছবি তোলার দিন পরিচ্ছন্ন কাপড় পরে যেতে হবে। তবে সাদা রংয়ের কাপড় পরবেন না।

ভন্ডপীর দেওয়ানবাগীর মুখোশ উন্মোচন

❑ ভন্ডপীর দেওয়ানবাগীর মুখোশ উন্মোচন।

একটু কষ্ট করে পড়ুন এবং পড়া শেষ হলে ছবিটি সবার সাথে শেয়ার করে এই ভণ্ডের মুখোশ সবার মাঝে খুলে দিন।

নাম মাহবুব এ খোদা, সর্বস্তরে দেওয়ানবাগী নামে পরিচিত। জন্ম ২৭ শে অগ্রহায়ন ১৩৫৬ বাংলা মোতাবেক ১৪ ই ডিসেম্বর ১৯৪৯ ইংরেজী। জন্মস্থান ব্রাক্ষনবাড়ীয় জেলার আশুগঞ্জ থানাধীন বাহাদুরপুর গ্রামে। পিতা সৈয়দ আব্দুর রশিদ সরদার। মাতা জোবেদা খাতুন । ছয় ভাই দুই বোন। ভাইদের মধ্যে সর্ব কনিষ্ঠ।এক নজরে দেওয়ানবাগীর লিখা এবং বলা কিছু আকিদা ও উক্তি এবং একই সাথে আকিদা ও উক্তিগুলোর রেফারেন্সও দেয়া হল। বিঃদ্রঃ- দয়া করে প্রতিটা আকিদা ও উক্তি পড়ার পর "নাউজুবিল্লাহ" বলতে ভুলবেন না।
▣ “আমার অসংখ্য মুরিদান স্বপ্ন ও কাশফের মাধ্যমে আল্লাহর দীদার লাভ করেছে। আমার স্ত্রী হামিদা বেগম ও আমার কন্যা তাহমিনা এ খোদা স্বপ্নের মাধ্যমে আল্লাহকে দাড়ী গোফ বিহীন যুবকের ন্যায় দেখতে পায়।” –(সুত্রঃ আল্লাহ কোন পথেঃ২৩)
▣ সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন “শুধু আমি নই, আমার স্ত্রী কন্যা সহ লক্ষ্য লক্ষ্য মুরিদানও আল্লাহকে দেখেছেন” –সুত্রঃ (সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ)

▣ “দেওয়ানবাগে আল্লাহ ও সমস্ত নবী রাসূল, ফেরেস্তারা মিছিল করে এবং আল্লাহ নিজে শ্লোগান দেন।” –সুত্রঃ (সাপ্তাহিক দেওয়ানবাগ, মার্চ ১৯৯৯ ইং)

▣ “আমি এক ভিন্নধর্মের লোককে ওজীফা ও আমল বাতলে দিলাম। ক’দিন পর ঐ বিধর্মী স্বপ্নযোগে মদিনায় গেল। নবিজীর হাতে হাত মিলালো। নিজের সর্বাঙ্গে জিকির অনুভব করতে লাগলো। তারপর থেকে ওই বিধর্মী প্রত্যেক কাজেই অন্তরে আল্লাহর নির্দেশ পেয়ে থাকে।” –সুত্রঃ (মানতের নির্দেশিকাঃ২৩, সূফী ফাউন্ডেশন, ১৪৭ আরামবাগ, ঢাকা)

▣ “কোন লোক যখন নফসীর মাকামে গিয়ে পৌঁছে, তখন তাঁর আর কোন ইবাদাত লাগেনা।” – সুত্রঃ (দেওয়ানবাগী রচিত, আল্লাহ কোন পথে,পৃঃ ৯০)

▣ “জিব্রাইল বলতে আর কেও নন,স্বয়ং আল্লাহ-ই জিব্রাইল।” –সুত্রঃ (মাসিক আত্মার বাণী, ৫ম বর্ষ, ১ম সঙ্খ্যাঃ২১)

▣ “সূর্যোদয় পর্যন্ত সাহরী খাওয়ার সময়। সুভে সাদেক অর্থ প্রভাতকাল। হুজুরেরা ঘুমানোর জন্য তারাতারি আযান দিয়ে দেয়। আপনি কিন্তু খাওয়া বন্ধ করবেন না। আযান দিয়েছে নামাজের জন্য। খাবার বন্ধের জন্য আযান দেয়া হয়না।” –সুত্রঃ (মাসিক আত্মার বাণী, সংখ্যাঃ নভেম্বরঃ ৯৯, পৃঃ ৯)

▣ “মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যুপর্যন্ত হায়াতে জিন্দেগী কে পুলসিরা বলা হয়।” –সুত্রঃ (দেওয়ানবাগী রচিত, আল্লাহ কোন পথে, তৃতীয় সংস্করনঃ ৬০)

▣ “আল্লাহ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে আত্মা এক বিচ্ছেদ যাতনা ভোগ করতে থাকে। প্রভূর পরিচয় নিজের মাঝে না পাওয়া অবস্থায় মৃত্যু হলে সে বেঈমান হয়ে কবরে যাবে। তখন তাঁর আত্মা এমন এক অবস্থায় আটকে পড়ে যে, পুনরায় আল্লাহর সাথে মিলনের পথ খুঁজে পায়না। আর তা আত্তার জন্য কঠিন যন্ত্রনাদায়ক। আত্মার এরূপ চিরস্থায়ী যন্ত্রনাদায়ক অবস্থাকেই জাহান্নাম বা দোযোখ বলা হয়।” –সুত্রঃ (দেওয়ানবাগী রচিত, আল্লাহ কোন পথেঃ ৪৪)

▣ দেওয়ানবাগী নিজেকে ইমাম মাহদী দাবী করেন। অতঃপর দরুদে মাহদী রচনা করে্ন । দরুদে মাহদীঃ “আল্লাহুম্মা ছাল্লী আ’লা সাইয়্ ওয়ালা আ’লা ইমাম মাহদী রাহমাতাল্লিল আলামীন ওয়ালিহী ওয়াছাল্লীম।” ময়লার স্তূপে অর্ধমৃত ও বিবস্ত্র অবস্থায় রাসুল (সাঃ) কে দেখেছি।

▣ দেওয়ানবাগী ১৯৮৯ সালে নাকি একটি ব্যতিক্র মধর্ দেখে ফেলেন। এ স্বপ্ন সম্পর্কে তিনি বলেন, “ আমি দেখি ঢাকা ও ফরিদপুরের মধ্যবর্তী স্থান জুড়ে এক বিশাল বাগান ফুলে- ফলে সুশোভিত। ওই বাগানে আমি একা একা হেটে বা হঠাত বাগানের একস্থানে একটি ময়লার স্তূপ আমার চোখে পড়ে। আমি দেখতে পাই ওই ময়লার স্তূপে রাসুল (সাঃ) এর প্রানহীন দেহ মোবারক পড়ে আছে। তাঁর মাথা মোবারক দক্ষিন দিকে আর পা মোবারক উত্তর দিকে প্রসারিত। বাম পা মোবারক হাটুতে ভাজ হয়ে খারা অবস্থায় রয়েছে। আমি তাকে উদ্ধার করার জন্য পেরেশান হয়ে গেলাম। আমি এগিয়ে গিয়ে তাঁর বাম পায়ের হাটুতে আমার ডান হাত দ্বারা স্পর্শ করলাম। সাথে সাথেই তাঁর দেহ মোবারকে প্রাণ ফিরে এল। তিনি চোখ মেলে আমার দিকে তাকালেন। মূহুর্তের মধ্যেই রাসূল (সাঃ) সুন্দর পোশাকে সুসজ্জিত হয়ে গেলেন। তিনি উঠে বসে হাসি মুখে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, হে ধর্মপূনর্জীবন দানকারী! ইতমধ্যেই আমার ধর্ম আরও পাঁচবার পূনর্জীবন লাভ করেছে। একথা বলে রাসূল (সাঃ)উঠে দাঁড়িয়ে হেটে হেটে সাথে চলে এলেন। এরপর আমার ঘুম ভেঙে গেল। ” – সুত্রঃ (দেওয়ানবাগীর স্বরচিত গ্রন্থ “রাসূল স. সত্যিই কি গরীব ছিলেন?” ১১-১২ প্রকাশকালঃ জুন ১৯৯৯।)

▣ "দেওয়ানবাগী এবং তার মুরীদদের মাহফিলে স্বয়ং আল্লাহ্, সমস্ত নবী, রাসূল (সা), ফেরেস্তা, দেওয়ানবাগী ওতার মুর্শিদ চন্দ্রপাড়ার মৃত আবুল ফজলসহ সমস্ত ওলি আওলিয়া, এক বিশাল ময়দানে সমবেত হয়ে সর্বসম্মতিক্রমেদেওয়ানবাগীকে মোহাম্মাদী প্রচারক নির্বাচিত করা হয়। অতঃপর আল্লাহ সবাইকে নিয়ে একমিছিল বের করে। মোহাম্মাদী ইসলামের চারটি পতাকা চারজনের_যথাক্রমে আল্লাহ, রাসূল (সা), দেওয়ানবাগী এবং তার পীরের হাতে ছিল। আল্লাহ, দেওয়ানবাগী ও তার পীর প্রথম সারিতে ছিলেন। বাকিরা সবাই পিছনের সারিতে। আল্লাহ নিজেইস্লোগান দিয়েছিলেন_ ''মোহাম্মাদী ইসলামের আলো_ ঘরে ঘরে জ্বালো।"(সূত্রঃ সাপ্তাহি দেওয়ানবাগী পত্রিকা- ১২/০৩/৯৯ )

▣ দেওয়ানবাগীর এক পাচাটা কুত্তা বলে (নাম মাওলানা আহমাদুল্লাহ যুক্তিবাদী) "আমি স্বপ্নে দেখলাম হযরত ইব্রাহীম (আ) নির্মিত মক্কারকাবা ঘর এবং স্বয়ং রাসূলুল্লাহ (সা) বাবে রহমতে হাজির হয়েছেন। আমাকে উদ্দেশ্য করে নবী করীম (সা) বলছেন_''তুমি যে ধারণা করছ যে, শাহ্ দেওয়ানবাগী হজ্জ করেননি আসলে এটা ভুল। আমি স্বয়ং আল্লাহর নবী মোহাম্মাদ (সা) তার সাথে আছি এবং সর্বণ থাকি। আর কাবা ঘরওতার সামনে উপস্থিত আছে। আমার মোহাম্মাদী ইসলাম শাহ্দেওয়ানবাগীপ্রচার করতেছেন।"এই হলো দেওয়ানবাগীর ভন্ড আকিদা ও উক্তি সমূহ, বলুনঃ নাউজুবিল্লাহ!! আস্তাগফিরুল্লাহ!! একজন খুব সাধারন মানুষও এই কুৎসিত, নোংরা এবং শিরকি কথা গুলো পড়ে বুঝতে পারবে যে, এই শয়তানটার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। এই শয়তানটা আসলে ধর্মের নামে ব্যাবসা খুলে বসেছে। দয়া করে কেউ এই শয়তানটার পিছে গিয়ে নিজের ঈমানকে নষ্ট করবেন না। বাংলার জমিন তথা শাহজালাল, শাহপরাণ, শাহ আমানত, শেরে বাংলার (রহঃ) এর বাংলায় এই তথাকথিত ভন্ডপীরদের কোন ঠাঁই নাই। আসুন সবাই মিলে এই শয়তানটাকে জুতা মেরে বাংলা জমিন হতে বিতারিত করি।আর একজন মুসলিম হিসাবে এই ভণ্ডের ভণ্ডামি অন্য সবাইকে জানিয়ে দেয়ার মাধ্যমে তাদেরকে এই শয়তান থেকে সতর্ক করে দেয়া আমাদের একান্ত দায়িত্ব। সুতরাং একজন মুসলিম হিসাবে ছবিটি শেয়ার করে এই ভন্ডের ভণ্ডামি সম্পর্কে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন, আশা করি, সবাই শেয়ার করবেন।

গ্রেফতারকৃত ২৪ পর্দানশিন ছাত্রীকে জেলহাজতে প্রেরণ

গোড়ান থেকে গ্রেফতারকৃত ২৪ ছাত্রীকে দ্রুত বিচার আইনের মামলায় জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাদের জামিন ও রিমান্ড আবেদন নাকচ করে গতকাল আদালত এই নির্দেশ দেন। তবে জেলগেটে মহিলা পুলিশ তাদের চার কার্যদিবসের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে আদালতে নির্দেশে বলা হয়। গতকাল খিলগাঁও থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের সিএসএম আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চান। আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চান। ঢাকার মহানগর হাকিম আতাউল হক উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে ওই নির্দেশ দেন।
যাদের কারাগারে পাঠানো হলো তারা হলেনÑ তানজিলা বিনতে খায়ের, ফারজানা আজার লূনা, সামসুন্নাহার, ফাতেমা জান্নাত, আতিয়া জাহান, সুবাইতা সারা, মমতা হেনা, আয়েশা আক্তার, সালমা নাসরিন, ফাতেমা ফারহানা, ফারহানা আক্তার, ফারহানা বেগম, হাফিজা সিদ্দিকী, শামীমা আক্তার, উম্মে হাবিবা, সোমাইয়া সিদ্দিকা, সুমাইয়া আফরোজা, জাকিরা খান মুন্নী, নূরজাহান আক্তার, ফারজানা আক্তার, সুমাইয়া খাতুন, রডনফ জাহান, মাহবুবা ইসলাম ও ইসরাত জাহান।
আদালতে বেলা ৩টা ১৯ মিনিটের সময় পুলিশ ২৪ জন পর্দানশিন মহিলাকে ঢাকার সিএমএস আদালতে নিয়ে আসে। তাদের দ্রুত বিচার আইনের মামলায় হাজির করে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামিদের পক্ষে আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল করে জামিন চান।



Thursday, June 19, 2014

ডেনমার্কে প্রথম মসজিদের উদ্বোধন

ডেনমার্কে বৃহস্পতিবার প্রথম পূর্ণাঙ্গ মসজিদের উদ্বোধন করা হয়েছে। কাতার ১৫০ মিলিয়ন ক্রোনার (২৭.২ মিলিয়ন ডলার) দিয়ে এই মসজিদ নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা করেছে। ৬,৭০০ বর্গফুট আয়তনবিশিষ্ট মসজিদটিতে একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, একটি টেলিভিশন স্টুডিও এবং একটি ফিটনেস সেন্টার রয়েছে। রাজধানী কোপেনহেগেনের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকা গ্রিটিতে মসজিদটি নির্মিত হয়েছে।
ডেনমার্কের মুসলমানেররা কয়েক বছর ধরেই একটি মসজিদ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। দেশটিতে দুই লাখ মুসলমান বাস করেন।
তবে রক্ষণশীলদের কেউ কেউ মসজিদ নির্মাণের বিরোধিতাও করেছে। তাদের মতে, এতে করে ইসলামপন্থীদের উত্থান ঘটতে পারে।
সূত্র : এএফপি ও কোপেনহেগেন পোস্ট। 
                                    
                                                                


Wednesday, June 18, 2014

আপহৃত নন : মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করে ইমরানকে বিয়ে করেছেন আয়শা

স্বামীর কাছে থাকতে চান নওমুসলিম আয়শা বেগম। কিন্তু তার পরিবারের সদস্যরা মেয়েকে অপহরন করা হয়েছে বলে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। দৈনিক নয়া দিগন্ত কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে এই অভিযোগ করেন আয়শা বেগম।  আয়শা জানান, তিনি সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলেন।
তার বাবার নাম সুমল চন্দ্র রায়, মাথা মাধবী রায়, গ্রাম নলুয়াবাগী, থনা গলাচিপা জেলা পটুয়াখালী। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন যাবত ইসলাম ধর্মের আচার আচারন ও নিয়মন কানুন দেখে ও বই পুস্তক পড়ে এই ধর্ম ভালো লাগতে শুরু করে। যার কারনে গত বছরের ৪ আগষ্ট নোটারীর মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। তিনি আরো বলেন, লেখা-পড়া করার সময় একই এলাকার ইমরান মৃধার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তারা আগষ্টের চার তারিখেই মুসলিম শরীয়া মতে তিন লাখ টাকা দেন মোহর ধার্য করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি আরো জানান, তার বাবা সুমল চন্দ্র রায় এই বিয়ে মানতে পারেননি। যার কারনে তিনি ওইদিনই গলাচিপা থানায় একটি অপহরন মামলা করেন। আয়শা বলেন, ওই মামলায় তার স্বামী ইমরান ও তার পরিবারের সদস্যদের আসামী করা হয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতারও করেছে। আয়শা বলেন, আমি অপহৃত হয়নি। আমাকে কেউ অপহরন করেনি। আমি স্বেচ্ছায় বিয়ে করে আমার স্বামীর সংসারে রয়েছি। স্বামীর কাছেই থাকতে চাই। তিনি অপহরনের এই মিথ্যা মামলা তুলে নেয়ার আহবান জানান।

চৌদ্দগ্রামে শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল


কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার সকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। মিছিলে নেতৃত্ব দেন শিবিরের কুমিল্লা মহানগরী সভাপতি শাহ আলম, দক্ষিণ জেলা সভাপতি জয়নাল আবেদীন, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা জামায়াতের আমীর মাহফুজুর রহমান, মুন্সিরহাট ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মু. বেলাল হোসাইন, শিবিরের কুমিল্লা দক্ষিণ শাখার অফিস সম্পাদক আমজাদ হোসাইন রুমন, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম মানিক, সাবেক জেলা নেতা মোশারফ হোসেন ওপেল, উপজেলা উত্তর শাখা সভাপতি বোরহান উদ্দিন, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভা সভাপতি জোবায়ের মাসুম ও সদর সেক্রেটারী কফিল উদ্দিন প্রমুখ।


শেখ হাসিনা খুশি হবে

>>>>>>>>>>>মানুষগুলো লাশ
হবে<<<<<<<<<<<<
<<<<<<<<<<<<প্রশ্নপত্র ফাঁস
হবে>>>>>>>>>>>>>>
>>>>>>>>>সন্ত্রাসীরা পীর
হবে<<<<<<<<<<<<<<<< <<<<<<<<<<<<<কম্যুনিষ্টরা বীর হবে!
>>>>>>>>>> >>>>>>>>>জামায়াত শিবির
জঙ্গি হবে<<<<<<<<<<<
<<<<<<<<<<<<<র্যাব সন্ত্রাসীর
সঙ্গী হবে>>>>>>>>>
>>>>>>>>>ব্যাংক বীমা সব লুট
হবে<<<<<<<<<<<< <<<<<<<<<<<<<<এদেশ ভারতের রুট হবে ।
>>>>>> >>>>>>>>>>>এয়ারপোর্টে সোনার
খনি হবে<<<<<<<<
<<<<<<<<<<<<<<<
দূর্নীতিবাজরা ধনী হবে>>>>>>>>
<<<<<<<<<<<ডিজিটাল এক দেশ
হবে<<<<<<<<<<<< >>>>>>>>>>>>>>>>সোনার বাংলা শেষ
হবে। >>>>>>>>>>>>>>>>>""আর এই
ভাবে<<<<<<<<<<<<
>>>>>>>>>>>>>>>>>বঙ্গবন্দুর স্বপ্ন পূরন
হবে,<<<<<<<
>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>শেখ
হাসিনা খুশি হবে""<<
ভয়াবহ এক লড়াইয়ে ইরাকি সেনাবাহিনীকে হটিয়ে দিয়ে বুধবার সকালে দেশটির বৃহত্তম তেল শোধনাগার দখল করে নিয়েছে সুন্নী যোদ্ধারা। খবর নিউইয়র্ক টাইমস’র।

প্রত্যক্ষদর্শী, বাইজি তেল শোধনাগারের কর্মী ও সেখানে থেকে পালিয়ে আসা ইরাকি সেনা কর্মকর্তারা এখবর নিশ্চিত করেছেন।

এই প্রথম ইরাকের সুন্নী যোদ্ধারা, যা আইসিস নামে পরিচিত, কোনো সক্রিয় তেল শোধনাগার দখল করে নিল।

ইরাকের প্রধান তেল শোধনাগারটি বাইজি শহরে। শহরটির অবস্থান রাজধানী বাগদাদ থেকে উত্তরে মাত্র ২১০ মাইল দূরত্বে। বাগদাদ-মসুল হাইওয়েতেই বেইজির অবস্থান।

বুধবার ভোর ৪টার দিকে তেল শোধানাগারে হামলা চালায় সুন্নি যোদ্ধারা। শোধানাগারের তিন প্রবেশপথের দুটি দিক থেকে তারা হামলা চালায়।

গত এক সপ্তাহ ধরেই তেল শোধনাগারটি ঘিরে রেখেছিল সুন্নী যোদ্ধারা।

ইরাকি সেনাবাহিনী সেখানে বিমান হামলা চালিয়েও এটি রক্ষা করতে পারেনি।

তেল শোধনাগারটি দখলে নেয়ার সুন্নী যোদ্ধাদের আয়ের বিশাল একটি ক্ষেত্র তৈরি হলো। সিরিয়ার পূর্বের তেলক্ষেত্রগুলোও এখন তারাই নিয়ন্ত্রণ করছেন।

তবে ইরাকের সামরিক বাহিনীর একজন মুখপাত্র, জেনারেল কাসিম আতা, সুন্নী যোদ্ধাদের বাইজি দখলের খবর সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন।

বাইজি তেল শোধনাগারটি সুন্নী যোদ্ধারা দখল করে নেয়ার পর তিনি টেলিভিশনে উপস্থিত হয়ে এ খবর নাকচ করে দেন এই বলে যে ‘বাইজি এখনো পরিপূর্ণভাবে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।’

তবে বাইজি থেকে যেসব খবর পাওয়া যাচ্ছে তা তার দাবিকে নাকচ করে দিয়েছে।
আরটিএনএন



Tuesday, June 17, 2014

শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের অব্যাহত সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিবিরের বিক্ষোভ


শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের অব্যাহত সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শিবিরের বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
ধানমণ্ডি : রাজধানীর ধানমণ্ডি ২৭ নম্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। কেন্দ্রীয় শিক্ষা সম্পাদক মো. মোবারক হোসাইনের নেতৃত্বে মিছিলটি সকাল ৯টায় শুরু হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা কলেজ সভাপতি- নাজিম উদ্দিন, মহানগরী পশ্চিম সেক্রেটারি তামিম হোসাইন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সেক্রেটারি তারেক আব্দুল্লাহ, ঢাকা কলেজ সেক্রেটারি রেজাউল কবীর, মহানগরী পশ্চিম সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুল ইসলাম স্বপন প্রমুখ।
কমলাপুর: শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের অব্যাহত সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে রাজধানীর কমলাপুরে বিক্ষোভ মিছিল করে ইসলামী ছাত্রশিবির। কেন্দ্রীয় সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. মনির হোসেনের নেতৃত্বে মিছিলটি সকাল সাড়ে আটটায় কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে শুরু হয়ে মূল সড়ক প্রদক্ষিণ করে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্য দিয়ে শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগরী পূর্বের সভাপতি মো. রিয়াজ আহম্মেদ, সেক্রেটারি মুঈনুদ্দিন মৃধা, মনিরুজ্জামন শামিম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সাংগঠনিক সম্পাদক সাদেক বিল্লাহ, অর্থ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ।
চট্টগ্রাম মহানগরী দক্ষিণ : দেশব্যাপী শিাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিতকর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম মহানাগরীর ঈদগা কাঁচা রাস্তার মাথায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে চট্টগ্রাম মহানগরী দণি ছাত্রশিবির। মহানগরী দক্ষিণ সেক্রেটারি নুরুল হকের নেতৃত্বে মিছিলটি সকাল ৯টায় শুরু হয়। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগরী দক্ষিণের অফিস সম্পাদক রাকিবুল হাকিম, সাহিত্য সম্পাদক ইসমাইল, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক রফিকুল হাসান লদি, প্রচার সম্পাদক জামিল আব্দুল্লাহ প্রমুখ,।
ঢাকা জেলা দক্ষিণ : ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে শিবিরের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হল শাখার সেক্রেটারি মো: রাসেল আহমেদের ডান পা কর্তন ও দেশব্যাপী ছাত্রলীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ঢাকা-নবাবগঞ্জ-দোহার মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা জেলা দক্ষিণ। মিছিলটি কদমতলী চৌরাস্তা থেকে  সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিভিন্ন রাস্তা  প্রদক্ষিণ করে জিঞ্জিরার শহীদ মিনারের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন ঢাকা জেলা দক্ষিণের সভাপতি আব্দুর রহিম মজুমদার। আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল নোমান, বাইজিদ হাসান, ইলিয়াছ মৃধা, আসাদুল্লাহ গালিব, শাহআলম, আমিনুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন, সোলাইমান কবীর প্রমুখ।
বগুরা শহর : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবিরের হল সেক্রেটারি রাসেল আহমেদের উপর ছাত্রলীগের বর্বরোচিত হামলা ও ছাত্রলীগের অব্যাহত সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে বগুড়া শহর শিবিরের সেক্রেটারি রেজাউল করিমের নেতৃত্বে সকাল ৯টায় মিছিলটি সাতমাথা থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্টেশন  রোডে হকার্স মার্কেটের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বগুড়া শহর শিবিরের সেক্টেটারি রেজাউল করিম। মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন শহর অফিস সম্পদক সাব্বির সাহারিয়ার সুভ, প্রচার সম্পাদক খন্দকার বিপ্লব, এইচআরডি সম্পাদক এস আই সামিম, সামাজ কল্যাণ সম্পদক মুনছুর রহমান, সরকারি আজিজুল হক কলেজ সভাপতি শফিক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।


পাসের হার বাড়িয়ে রাজনৈতিক ক্রেডিট নেয়া হচ্ছে। প্রশ্নের মুখে শিক্ষার মান

পাবলিক পরীক্ষা নকলের অভিশাপ থেকে মুক্ত হওয়ার পর নতুন উপসর্গ যোগ হয়েছে প্রশ্ন ফাঁস। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পরীক্ষায় নকল নির্মূল করা সম্ভব হয়েছিল। বর্তমান সরকারের আমলে প্রাথমিক সমাপনী থেকে এইচএসসি পর্যন্ত পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এ নিয়ে শিক্ষাবিদ-অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন হলেও শিক্ষামন্ত্রী এবং শিক্ষা বোর্ডগুলো কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তারা প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি স্বীকারই করতে নারাজ। পরীক্ষার আগের দিন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন হুবহু ছাপিয়ে দিলেও মন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ড চেয়ারম্যানদের এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ ছিল না।
পাবলিক পরীায় যেভাবে পাল্লা দিয়ে ‘মেধার বিস্ফোরণ’ ঘটছে, এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামী দুই বছরেই শতভাগে পৌঁছবে পঞ্চম শ্রেণীর সমাপনী পরীা পাসের হার। প্রায় একই অবস্থা জেএসসি-জেডিসিরও। এসএসসি ও এইচএসসির শতভাগ পাস হতেও বেশি দেরি নেই। কিন্তু উদ্বেগের ব্যাপার হচ্ছে, শিার সংখ্যাগত সূচকে রীতিমতো বিস্ফোরণ ঘটলেও প্রশ্নের মুখে পড়েছে গুণগত মানের দিকটি। গুণগত মানোন্নয়নের বিষয়টি বছরের পর বছর উপেতি হওয়ায় প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত পুরো শিাব্যবস্থাই এখন চ্যালেঞ্জের মুখে। শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন সবারই মনে। সম্প্রতি সরকারের শিক্ষামন্ত্রীও শিক্ষার মান উন্নত করার বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে তিনি  বলেন, ১০ বছর  লেখাপড়ার পর কোনো শিক্ষার্থী ফেল করলে তাকে কি পড়ানো হলো?
বাংলাদেশের শিার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিশ্বব্যাংক বলছে, ভর্তির হার বাড়লেও কমছে শিার মান। সমাপনী পরীায় উত্তীর্ণদের শতকরা ৭৫ জন বাংলাতেই দ নয়। ইংরেজি ও গণিতের অবস্থা আরো করুণ। মানের সঙ্কটের এখানেই শেষ নয়, গেল বছর উচ্চমাধ্যমিকে সর্বোচ্চ জিপিএ ৫ পাওয়া শিার্থীদের মধ্যে ৮০ শতাংশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীায় ন্যূনতম পাস নম্বরই পায়নি। এমন অবস্থা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স প্রথম পর্ব পরীায় ৪৬ শতাংশই ফেল করেছে, যাদের অর্ধেকই ফেল করেছে অন্তত পাঁচ বিষয়ে। এক সময় ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ খ্যাতি নিয়ে সুনাম অর্জন করলেও এখন র‌্যাংকিংয়ে বিশ্বের কোনো তালিকাতেই স্থান পায় না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী শিার চিত্র তুলে ধরে বলা হয়েছে, শিােেত্র দুর্নীতির ফলে সেবাগ্রহীতার জন্য শিার ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে, অবনতি ঘটেছে শিার মানে। দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর জন্য প্রাতিষ্ঠানিক শিার সুযোগ সঙ্কুচিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো শিার মানের সঙ্কটের চিত্র তুলে ধরে আরো বলছে, বাংলাদেশে শিােেত্র শিকদের পর্যাপ্ত প্রশিণ বা ক্যারিয়ার সহায়ক সুযোগ-সুবিধা নেই। বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানের অভাব এবং সৃজনশীল চিন্তা-ভাবনা ও সমস্যা সমাধানের জন্য উৎসাহমূলক উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে না, যার ফল ভোগ করছেন শিার্থীরা।
পাবলিক পরীায় ফি-বছর রেকর্ড পাসের হার নিয়ে ‘আত্মতুষ্টির’ কিছু নেই উল্লেখ করে বিশিষ্ট শিাবিদসহ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রাথমিক থেকে উচ্চশিা পর্যন্ত শিার মানে এক ধরনের অরাজকতা বিরাজ করছে।
উদারভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়নের নির্দেশ : ফেল করলে পাস নম্বর ও উদারভাবে এসএসসি এবং সমমান পরীার উত্তরপত্র মূল্যায়নের নির্দেশ দেয়া হয় পরীকদের। একটি প্রশ্নের কিছু অংশ লিখলেও পুরো নম্বর দেয়ার নির্দেশ থাকে। পরীা শেষ হওয়ার পর উত্তরপত্র বিতরণের সময় সংশ্লিষ্ট বোর্ড থেকে প্রধান পরীক ও সহকারী পরীকদের নিয়ে করা বৈঠকে এ ধরনের নির্দেশ দেয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা বোর্ডের একজন প্রধান পরীক বলেন, আমার নেতৃত্বে প্রায় আট হাজারের বেশি উত্তরপত্র মূল্যায়ন হয়েছে। কিন্তু আমরা সঠিকভাবে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে পারিনি। তিনি বলেন, ওইসব উত্তরপত্রে একজনও ফেল করেনি। আমাদের আগেই নির্দেশ দেয়া হয়Ñ ‘ফেল করলে পাস নম্বর দিতে।’ এ ছাড়া একটু লিখলেও পুরো নম্বর দিতে বলা হয়। এ কারণেই আকাশচুম্বী ফল হয়েছে। ওই পরীক বলেন, বোর্ডের নির্দেশ মতো কাজ না করলে আমাদের নানা সমস্যা আছে। পরের বছর আর উত্তরপত্র দেয়া হবে না, পদোন্নতি হবে না এবং নানাভাবে হয়রানি করা হবে। তিনি বলেন, এভাবে শিাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হচ্ছে।
দিনাজপুর বোর্ডের একজন প্রধান পরীক বলেন, এবারের ফল ভালো হওয়ার পেছনে কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথমত সহানুভূতির দৃষ্টিতে উত্তরপত্র মূল্যায়নে আমাদের নির্দেশ দেয়া হয়। এ ছাড়া কোনোমতে উত্তর লিখলেও তাতে নম্বর দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এতে ফল ভালো হচ্ছে কিন্তু শিার্থীদের ধ্বংস ডেকে আনা হচ্ছে। শিার্থীরা আগের মতো পড়ালেখা করবে না। মনে করবে একটু লিখলেই নম্বর দেয়া হয়।
ইংরেজি বিভাগের একজন প্রধান পরীক্ষক জানান, তার নেতৃত্বে এসএসসি পরীক্ষার চার হাজার ২০০ উত্তরপত্র মূল্যায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে একজনও ফেল করেনি। এটা কি করে সম্ভব? জানতে চাইলে এ পরীক্ষক বলেন, কোনো শিক্ষার্থী ফেল করলে নানা হয়রানির শিকার হতে হয়। বিভিন্নজনের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। এরপর আগামীতে উত্তরপত্র না পাওয়া আশঙ্কা থেকে যায়। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, কোনো পরীক্ষক ১০০-এর মধ্যে ১০০ দিয়ে দিলেও কোনো জবাব দিতে হয় না। নম্বর বেশি দিলে কোনো প্রশ্ন নেই। কম নম্বর দিলেই যত সমস্যা। উত্তরপত্র সঠিকভাবে মূল্যায়ন না করে কেবল নম্বরই দেয়া হচ্ছে। এতে পাস ও জিপিএ ৫ বাড়ছে। কিন্তু শিক্ষার মান বাড়ছে না। সরকারি একটি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, সরকার ইচ্ছা করেই পাসের হার এবং জিপিএ ৫ বাড়াচ্ছে। এর দায় পুরোপুরি শিক্ষামন্ত্রীকে নিতে হবে। আমাদের হাত-পা বাঁধা। আমাদের যেভাবে নির্দেশ দেয়া হয় সেভাবেই কাজ করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিপরীক্ষায় বেশি ফেল করে জিপিএ ৫ প্রাপ্তরা: ২০১২-১৩ শিাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের অধীনে ‘খ’ ইউনিটের ভর্তিপরীায় জিপিএ ৫ পাওয়া ৭৫ ভাগ ফেল করেছে। দুই হাজার ২৭৫টি আসনের বিপরীতে ভর্তিপরীা দিয়েছিল ৩৮ হাজার ৩৭৪ জন পরীার্থী। যাদের পাঁচ হাজার ৯০১ জন জিপিএ ৫ পাওয়া। পাস করেছে মাত্র ১৪৫৪ জন। ‘খ’ ইউনিটে ১২০ নম্বরের পরীায় উত্তীর্ণ হতে হলে একজন পরীার্থীকে কমপে ৪৮ নম্বর পেতে হবে। ২০১০ ও ২০১১ সালে এ হার ছিল ৬৮ ও ৫৬ ভাগ।
বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘ক’ ইউনিটে ফেলের হার ৫১ ভাগ। ৬২ হাজার ১২০ জন শিার্থী ভর্তিপরীা দিয়েছিল। তাদের মধ্যে ৩০ হাজার ৯১৪ জন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে জিপিএ ৫ প্রাপ্ত। জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের মধ্যে পাস করেছে মাত্র ১৫ হাজার ১২৭ জন। বাকি ৫১ ভাগ পরীার্থী পাসই করতে পারেনি। ২০১০ ও ২০১১ সালের ভর্তিপরীায় ৩৫ ও ৪২ ভাগ জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী ফেল করেছিল। এ ছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে সব বিষয়ে জিপিএ ৫ (গোল্ডেন জিপিএ) পাওয়া ৭১০২ জন পরীার্থীর মধ্যে ২২২৭ জনই পাসই করতে পারেনি। বাণিজ্য অনুষদের অধীনে ‘গ’ ইউনিটে ফেলের হার ৫৮ ভাগ, ‘ঘ’ ইউনিটে ফেলের হার ৯০ ভাগ। ২০১০ ও ২০১১ সালে এই হার ছিল ৫২ ও ৬২ ভাগ।
শিাবিদদের বক্তব্য : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, এসএসসি ও এইচএসসির ফল নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ভালো ফল হলেও ভালো লেখাপড়া হচ্ছে না। সবকিছু হচ্ছে রাজনৈতিক বিবেচনায়। রাজনৈতিক চিন্তা থেকেই জিপিএ ৫ এবং পাসের হার বাড়ানো হচ্ছে। এজন্য শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না। প্রবীণ এ শিাবিদ বলেন, ১০০ ভাগ ফল হলেই কি লাভ? যদি শিার্থীদের ভালোভাবে পড়ালেখা শেখানো না হয়, এসব করে কিছু লাভ হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী বলেন, সৃজনশীল পদ্ধতি চালুর কারণে শিার্থীদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা বেড়েছে। এ ছাড়া শিকদের প্রশিণ দেয়ায় তাদের মধ্যেও বিচণতা এসেছে। তিনি বলেন, তারপরও প্রশ্ন থেকে যায় এত নম্বর কি শিার্থীরা আসলেই পেয়েছে?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন বলেন, শিার্থীদের লেখাপড়া না শিখিয়েই এখন পাস করানো হচ্ছে। শিকদের বলা হচ্ছে যা লেখে তাতেই নম্বর দেন। জিপিএ ৫ এখন রাজনৈতিক বিষয় হয়ে গেছে। যে সরকারের আমলে যত বেশি জিপিএ ৫ সে সরকার তত বেশি ক্রেডিট নিচ্ছে। কিন্তু শিার্থীরা যে পড়ালেখা শিখছে না এটা তারই প্রমাণ। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটে ৪০ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তিপরীক্ষা দিলে ৩২ হাজার ফেল করে। পাস নম্বর আটও পায় না। ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা দিচ্ছে এখনকার বেশিরভাগ শিক্ষার্থী। ফলে তারা কিছুই শিখছে না। এতে করে শিক্ষার মান কমেছে। সরকারের দুর্বলতার কারণে প্রশ্ন ফাঁস হচ্ছে। একটু সচেতন হলেই এটা প্রতিরোধ সম্ভব। প্রশ্ন ফাঁস বন্ধের দাবি জানান তিনি।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, পাসের হারের মতো ঢালাওভাবে মান বেড়েছে এটা বলা যাবে না। পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার মান নির্ণয় করা যায় না। এটা নিশ্চিত হওয়া যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সব ধরনের উপকরণ আছে কি না। প্রাথমিকে সৃজনশীল বিষয়ে ২০ ভাগ দক্ষতা অর্জন হয়েছে। দক্ষতা না থাকলে মান বেড়েছে তা বলা যাবে না। প্রশ্ন ফাঁস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রশ্ন ফাঁস এখন মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত। অসাধু চক্র এটি করছে। প্রযুক্তির ব্যবহারকারীরা বেশি সুবিধা পাচ্ছে, যা একেবারে অনৈতিক। এভাবে কোনো প্রজন্ম বেড়ে উঠলে তা ভালো কিছু অর্জন করবে না বলে তিনি মনে করেন।
শিামন্ত্রীর বক্তব্য : শিামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, সার্বিক শিার উন্নয়নের কারণেই ফল ভালো হচ্ছে। আগের ধারার শিা ব্যবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি চালু হয়েছে। এখন আর নোটবই পড়ে ভালো নম্বর পাওয়া যাবে না। তিনি বলেন, আমরা পাঁচ লাখ শিককে প্রশিণ দিয়েছি। তারা এখন অনেক বেশি দ। শ্রেণিকে মাল্টিমিডিয়া সিস্টেম চালু হয়েছে। ফলে শিার্থীরা শ্রেণিকে বসেই দেখতে পাচ্ছে কোথায় কী ঘটছে। আগে অনেক ছেলেমেয়ে বই কিনতে পারত না। এখন আমরা কোটি কোটি বই বিনামূল্যে বিতরণ করছি। এটা শিা েেত্র একটা যুগান্তকারী পরিবর্তন।
বোর্ডের বক্তব্য : আন্তঃশিা বোর্ড সমন্বয় সাবকমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম বলেন, পরীকদের কয়েক প্রকার নির্দেশ দেয়া হলেও বেশি নম্বর দেয়ার কথা বলা হয় না। তবে দুই দফা নির্দেশনা থাকে। প্রথমত আমরা বলে থাকি আপনারা ভুলকে সঠিক ভেবে নম্বর দেবেন না। দ্বিতীয়ত কোন শ্রেণীর উত্তরপত্র মূল্যায়ন করছেন তা বিবেচনায় রেখে নম্বর দেবেন। সম্প্রতি ফল ভালো করার পেছনে সৃজনশীল পদ্ধতি ও শিকদের প্রশিণকে প্রধান কারণ মনে করেন তিনি।


তাসকিনের অভিষেক॥ ইতিহাসের পঞ্চম সেরা


মিরপুরে মঙ্গলবার ভারতের বিরুদ্ধে তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিং ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। ২৮ রান দিয়ে তার ৫ উইকেট পেয়ে তিনি অভিষেকে পঞ্চম সেরা বোলারে পরিণত হয়েছেন।
ইতিহাসের পাতায় এখন তাসকিনের আগে রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অ্যাডওয়ার্ড (৬/২২), অস্ট্রেলিয়ার ডডমেইট (৫/২১), শ্রীলঙ্কার কারনাইন (৫/২৬), কানাডার কডরিনটন (২৭/)।
তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এখন তাসকিনই সেরা। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তিনিই অভিষেকে সেরা সাফল্য পেলেন।
১৯ বছর বয়সী আজই প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ খেললেও আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়ে গেছে গত এপ্রিলেই। তবে বেশি নয়, একটি টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ডানহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলার।
আজ মঙ্গলবার তার তাণ্ডবে কেঁপে যায় ভারত শিবির। তার শিকার হয়ে উত্থাপা (১৪), পূজারা (১১), রাইডু (১), বিনি (৩), মিশ্র (৪) বিদায় নেন। ভারত মাত্র ১০৫ রানে অলআউট হয়ে যায়।




কতোটা হিংস্র, নিষ্টুর আর নির্মম হলে
মানুষ এতোটা পাষন্ড,এতোটা পিচাশ
হতে পারে!!!
ছাত্রলীগ নামের কুলাংগারগুলো আসলে
হিংস্র পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট!
এতোবড় নির্মমতা!!! অথচ,মেডিয়া এবং
সুশিল সমাজ নিশ্চুপ!!!
হায়রে আমার দেশ!!!
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান
ট্যারা মিজান কানা হয়ে যান বিশেষ
সময়ে! আর এখন সম্পূর্ন অন্ধ হয়ে
গেছেন!!!
দালাল হলুদ মেডিয়াগুলোর অবস্থাও
ট্যারা-আন্ধা মিজনদের মতোই।
সরকারের পেইড দালাল এরা! তাদের
খবর ও প্রতিবেদনে পক্ষপাতিত্ব,মিথ্যাচার
আর নির্লজ্জতা এতোটাই প্রবলভাবে থাকে
যে খবর পাঠক-পাঠিকা পর্যন্ত লজ্জায় লাল
হয়ে যায়।
এদের কাছে আর কি প্রত্যাশা করা যায়!


মানুষ যখন তার মনুষত্ব হারিয়ে ফেলে তখন তাকে পশুর সঙ্গে তুলনা করা হয়। বাংলাদেশে ছাত্রলীগ আজ তার মনুষত্ব হারিয়ে সে পর্যায়ে এসে উপনীত হয়েছে। যারা মনুষত্ব হারিয়ে ফেলেছে অবশ্য আল্লাহতায়ালা তাদেরকে পশুর সঙ্গেও তুলনা করতে রাজি হননি, কুরআনে-‘বালহুম আদল’ বলা হয়েছে। বরং পশু তথা চতুষ্পদ জন্তু থেকে আরও নিম্নপর্যায়ের বলে উল্লেখ করেছেন। ছাত্র-যুবসমাজ একটি জাতির অহংকার। সমাজ-সভ্যতার কাণ্ডারী। দেশকে এগিয়ে নেবার দিকপাল। বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার শক্তি। কিন্তু সেই শক্তিকে নষ্ট করে দিচ্ছে নোংরা ছাত্ররাজনীতি। নষ্ট ও ভ্রষ্ট ছাত্ররাজনীতির নামে ছাত্রসমাজকে সবচেয়ে কলঙ্কিত, কলুুষিত ও ক্ষতিগ্রস্ত করছে ছাত্রলীগ। ছাত্রদের হাতে খাতা-কলমের পরিবর্তে অস্ত্র, মেধার চর্চার পরিবর্তে মদ-গাঁজা, হিরোইন ফেনসিডিল, ইয়াবা, ক্লাস-পরীক্ষার বদলে নারী, অবৈধ টাকা দিয়ে ধ্বংস করে দিচ্ছে জাতীয় নেতৃত্ব তৈরির এই খনিগুলোকে। জাতিবিনাশী এর থেকে ভয়ঙ্কর কাজ আর কি হতে পারে? ছাত্রলীগের নখরে আজ ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে আমাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানগুলো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের সামনে শিবির নেতার পা কেটে বিচ্ছিন্ন করেছে ছাত্রলীগের নেতারা। পা কাটার পর ছাত্রলীগ নেতারা বুকে গুলি করে ফেলে যায়। এমন নারকীয়, পৈশাচিক ও ঘৃণ্য হামলা কোনো সভ্য সমাজে কল্পনা করা 
 যায়?




Monday, June 16, 2014

সিয়াম অবস্থায় অত্যাবশ্যকীয় আমলসমূহ

প্রশ্নঃ সিয়াম পালনের ক্ষেত্রে কী কী কাজ ও আমল অত্যাবশ্যক?

সিয়াম অবস্থায় অত্যাবশ্যকীয় আমলসমূহ :

[১] পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাত আদায় করা। কোন শরয়ী উযর না থাকলে সালাত মাসজিদে গিয়ে জামাআতের সাথে আদায় করা। জামাআতে সালাত আদায়কে বিজ্ঞ ওলামায়ে কিরাম ওয়াজিব বলেছেন। যারা জামাআতের সাথে সালাত আদায় করে না তারা ২৭ গুণ সাওয়াব থেকে বঞ্চিততো হয়ই, উপরন্তু ফজর ও ঈশার জামাআত পরিত্যাগকারীকে হাদীসে মুনাফিকের সাথে তুলনা করা হয়েছে। যারা অবহেলা করে বিনা ওযরে সালাত দেরী করে আদায় করে তার সালাত একশবার পড়লেও তা কবুল হবে না বলে উলামায়ে কিরাম মন্তব্য করেছেন। আর মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় থেকে বিরত থাকতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্ধ ব্যক্তিকেও অনুমতি প্রদান করেন নি।

[২] মিথ্যা না বলা ও ক্রয় বিক্রয় ও অন্যান্য কাজে কাউকে ধোঁকা না দেয়া।
[৩] গীবত না করা- আর তা হলো অসাক্ষাতে কারো দোষত্রুটি বা সমালোচনা করা
[৪] চোগলখোরী না করা- আর তা হলো এক জনের বিরুদ্ধে আরেকজনকে কিছু বলে ক্ষেপিয়ে তোলা ও ঝগড়া লাগিয়ে দেয়া।
[৫] গান গাওয়া ও বাদ্যযন্ত্র বাজানো থেকে বিরত থাকা

[৬] সকল প্রকার হারাম কাজ-কর্ম পরিহার করা।
জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন,যখন তুমি রোযা রাখবে তখন যেন তোমার কর্ণ, চক্ষু এবং জিহবাও মিথ্যা ও হারাম কাজ থেকে রোযা রাখে। তুমি প্রতিবেশিকে কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকো। আত্মমর্যাদা ও প্রশান্তভাব যেন তোমার উপর বজায় থাকে এমন হলে তোমার রোযা রাখা ও না রাখা সমান হবে না। (ইবন আবী শাইবা : ৮৮৮০)
[৭] ইসলামকে জীবনের সকলক্ষেত্রে অনুসরণ করা।
মসজিদে যেমনভাবে ইসলাম তেমনি পরিবার, সমাজ, ব্যবসা এবং রাষ্ট্রীয় জীবনেও ইসলামকে একমাত্র জীবন বিধান হিসেবে বাস্তবায়ন করা।
আল্লাহ বলেন,‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইসলামে দাখিল হও পরিপূর্ণভাবে (অর্থাৎ জীবনের সর্বক্ষেত্রে)। (বাকারাহ ২০৮)

[৮] সিয়াম আবস্থায় পাপাচার ত্যাগ করা এবং অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকা।
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :
(ক) কত সিয়াম পালনকারী আছে যাদের রোযা হবে শুধু উপোস থাকা। আর কতলোক রাতের ইবাদতকারী আছে যাদের রাত জাগরণ ছাড়া ইবাদতের কিছুই হবে না। (অর্থাৎ পাপকাজ থেকে বিরত না হওয়ার কারণে তার রোযা যেন রোযা নয়, তার রাতের সালাতও যেন ইবাদত নয়)। (আহমাদ : ৯৬৮৩; দারেমী : ২৭৬২)

(খ) তোমাদের মধ্যে কেউ যদি রোযা রাখে, সে যেন তখন অশ্লীল কাজ ও শোরগোল থেকে বিরত থাকে। রোযা রাখা অবস্থায় কেউ যদি তাকে গালাগালি ও তার সাথে মারামারি করতে আসে, সে যেন বলে ‘‘আমি রোযাদার’’। (মুসলিম : ১১৫১)

(গ) শুধুমাত্র পানাহার ত্যাগের নাম রোযা নয়, প্রকৃত রোযা হল (সিয়াম অবস্থায়) বেহুদা ও অশ্লীল কথা এবং কাজ থেকে বিরত থাকা। (ইবনু খুযাইমা : ১৯৯৬)

(ঘ) যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও কাজ এবং অজ্ঞতা থেকে মুক্ত হতে পারেনি সে ব্যক্তির শুধুমাত্র পানাহার বর্জনের (এ সিয়ামে) আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই। (বুখারী : ৬০৫৭)

[৯] রোযা রাখা (ও অন্যান্য ইবাদত) একমাত্র আল্লাহকে খুশী করার জন্য করা। আল্লাহ বলেন,‘‘মানুষকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, তাদের ইবাদত যেন শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশী করার জন্য হয়।’’ (বাইয়্যেনাহ : ৫)
[১০] সকল হুকুম আহকাম পালনে নাবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র সুন্নাত তরীকা অনুসরণ করা।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
‘‘যে ব্যক্তি এমন (তরীকায়) কোন আমল করল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক নির্দেশিত সেই কাজ আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য তো হবেই না রবং) তা হবে প্রত্যাখ্যাত’। (মুসলিম : ১৭১৮)

Friday, June 13, 2014

বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী চিকিৎসক

বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী চিকিৎসক হিসেবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন ফিলিস্তিনি তরুণী ইকবাল আসয়াদ।

সাধারণত মেডিসিনের ওপর চিকিৎসা শাস্ত্রে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করতে ৩০ বছরের কাছাকাছি সময় লাগে। কিন্তু মাত্র ২০ বছরেই তা সম্পন্ন করে রেকর্ড গড়েছেন আসয়াদ।

কর্নেল ইউনিভার্সিটি কাতার শাখা থেকে মেডিসিনের ওপর গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন এই তরুণী। প্রথম স্থান দখল করে মাত্র ১২ বছর বয়সে স্কুলের পাঠ সম্পন্ন করা আসয়াদ বায়োক্যামিস্ট্রি ও ম্যাথমেটিকসে মাস্টার্সও শেষ করেছেন।

একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরবর্তী শিক্ষার জন্য তার যুক্তরাস্ট্রের ওহিও যাওয়ার কথা রয়েছে।

দখলদার ইসরাইলের কাছে বাস্তু হারানো এই ফিলিস্তিনির জন্ম হয়েছে লেবাননে। প্রায়শই উদ্বাস্তু শিবির পরিদর্শনে যেতেন তিনি। আর সেখান থেকেই হয়তো চিকিৎসক হওয়ার প্রেরণা।
আরটিএনএন


ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট (আইসিল) যোদ্ধাদের হাতে মসুল ও তিকরিতের পতন ঘটার পর সামরা দখলের জন্য প্রচ- লড়াই চলছে। আইসিল যোদ্ধাদের বাগদাদের দিকে অগ্রসর হওয়ার কথা জানা গেছে। আইসিল যোদ্ধারা বাগদাদ ও কারবালা দখলের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। এদিকে ইরাকি সেনাবাহিনী তিকরিত পুনর্দখলের কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে অপহৃত তুর্কী নাগরিকদের মুক্তি দেয়া না হলে তাদের উদ্ধারে তুরস্ক এ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওদিকে ইরান হস্তক্ষেপের হুমকি দিয়ে জানিয়েছে, তেহরান সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে ইরাকের নূরি আল-মালিকি সরকারকে জোরালো সমর্থন দেবে।
জানা গেছে, আইসিলের বিরুদ্ধে মার্কিন বিমান সহায়তা চেয়েছে ইরাক সরকার। পাশাপাশি মার্কিন বিমান হামলার জন্য ইরাকের আকাশসীমা উন্মুক্ত করে দেয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে বাগদাদ সরকার। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র মনুষ্যচালিত বিমান বা ড্রোনের ব্যবহার নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে।
জানা যায়, বুধবার আইসিল যোদ্ধারা তিকরিত দখল করার পর ইরাক সরকার সারাদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। পরে সরকারের সন্ত্রাস দমন বাহিনী সেখানে পৌঁছে। এ সময় বিমানবাহিনী হামলা চালায়। তাদের সম্মিলিত হামলার পর সরকারি সৈন্যরা তিকরিত পুনর্দখল করে বলে এবং তা তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে রাষ্ট্র পরিচালিত ইরাকিয়া টিভির খবরে বলা হয়।
ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোশিয়ার জেবারি বলেন, ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড আল শাম (আইসিস)-এর সশস্ত্র যোদ্ধারা ইরাকের জন্য ভয়ঙ্কর হুমকির সৃষ্টি করেছে। উল্লেখ্য, আল-কায়েদা সম্পর্কিত আইসিস যোদ্ধারা ইরাকের সুন্নী প্রধান আনবার প্রদেশ থেকে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার রাক্কা প্রদেশ পর্যন্ত একটানা বিস্তৃত ভূখ-ে একটি ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করছে।
বুধবার সন্ধ্যায় সামারা শহরের উপকণ্ঠে ইরাকি সেনা ও আইসিস যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষ চলার কথা জানা যায়। সামারা বাগদাদ থেকে ৮০ মাইল উত্তরে অবস্থিত। তবে ইসলামী যোদ্ধাদের হাতে শহরটির পতন ঘটেছে কি না তা জানা যায়নি। এদিকে আইসিস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে তেমন কোনো লড়াই না করায় হুমকির মুখে ইরাকি সেনারা বাগদাদ রক্ষা করতে সক্ষম হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে ইরান সরকার কর্তৃক প্রশিক্ষিত ও অর্থসাহায্যপুষ্ট ইরাকি শিয়া মিলিশিয়ারা বলেছে, তারা বাগদাদ রক্ষায় প্রস্তুত রয়েছে। শিয়া মিলিশিয়ারা বাগদাদে আইসিস সদস্য বলে সন্দেহভাজনদের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে।
সিএনএনের খবরে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকালে প্রচারিত এক শ্রুতি রেকর্ডিংয়ে আইসিল যোদ্ধারা রাজধানী বাগদাদসহ ইরাকের আরো শহর দখলের অঙ্গীকার করেছে। রেকর্ডে আইসিলের মুখপাত্র আবু মোহাম্মদ আল মাদনানি বলেন, বাগদাদ ও কারবালাসহ অন্যান্য শহর দখল করার জন্য লড়াই চলতে থাকবে। আমরা বাগদাদ ও কারবালায় আঘাত হানতে যাচ্ছি। তার জন্য তৈরি হোন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনেক স্থানে ইসলামী যোদ্ধাদের উপস্থিতির আগেই সরকারি সৈন্যরা তাদের অবস্থান পরিত্যাগ করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাত্র কয়েক ডজন আইসিস যোদ্ধার হামলার মুখে বিপুল অস্ত্র সজ্জিত সরকারি বাহিনীর কয়েকশ’ সদস্য পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, মসুল ও তিকরিতের পতনের পর বাগদাদের প্রতি হুমকি সৃষ্টি হওয়ার প্রেক্ষিকে ইরাক সরকার মার্কিন বিমান হামলা চালানোর অনুমতি দেয়ার ইঙ্গিত দেয়। একই সাথে তারা আল-কায়েদার শাখা সংগঠন ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড আল শাম বা আইসিস যোদ্ধাদের বিতাড়িত করতে প্রতিশ্রুত সামরিক সাহায্য বিশেষ করে অ্যাপাচি হেলিকপ্টার, এফ-১৬ জঙ্গি বিমান ও নজরদারি সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এ প্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র মনুষ্যচালিত জঙ্গি বিমান হামলা চালাবে না ড্রোন হামলা চালাবে সে বিষয়ে কিছু জানাতে কর্মকর্তারা অস্বীকার করেন। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, ওবামা প্রশাসন বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তা করছে। বুধবার পররাষ্ট্র দফতরের মহিলা মুখপাত্র জেন পিসাকি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ বিষয়ে ইরাক ও তুরস্ক সরকারের সাথে আলোচনা করছে।
হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মহিলা মুখপাত্র বার্নাডেট মিহান বলেন, ইরাকের সাথে বর্তমান আলোচনায় আইসিসের হুমকির মোকাবিলায় ইরাকিদের সক্ষম করে তোলার ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
এদিকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ মালিকির সরকারের সাথে সংহতি প্রকাশ করেছে ও সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। মসুলের পতনের পর ইরাকি প্রধানমন্ত্রী নূরী আল মালিকি প্রচ- চাপের মুখে পড়েছেন। তার এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। মসুলের গভর্নর নগরীর পতনের জন্য তাকে দায়ী করেছেন। সকল রাজনীতিকও একই অভিযোগ করেছেন, যেহেতু তিনিই দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সর্বাধিনায়ক। এদিকে মালিকি আইসিসকে বেড়ে উঠতে দেয়ার জন্য সিরিয়া সরকারকে দায়ী করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, তার শিয়া সরকারকে উৎখাতের জন্য সউদী আরব ও কাতার সন্ত্রাসীদের অর্থ যোগাচ্ছে।
এদিকে মালিকির জরুরি অবস্থা ঘোষণার ব্যাপারে ভোট গ্রহণে ইরাকি পার্লামেন্ট ব্যর্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে জরুরি অধিবেশন আহ্বান করা হলেও কিছুসংখ্যক পার্লামেন্ট সদস্য উপস্থিত হতে অস্বীকৃতি জানান, যে কারণে কোরাম হয়নি।
ওদিকে মসুলে তুর্কি দূতাবাস থেকে অপহৃত ৪৮ জন স্টাফকে মুক্তি দেয়া না হলে তুরস্ক ইরাকে হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে হুমকি দিয়েছে। তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ দাভোতোগলু বলেন, আমাদের নাগরিকদের কোনো ক্ষতি হলে তার জবাব দেয়া হবে। তুরস্ককে আরো পরীক্ষা করার সাহস করা উচিত নয়।
প্রতিবেশী ইরাকে সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী লড়াইয়ে জোরালো সমর্থন দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান। ইরানের আরব ও আফ্রিকাবিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান বলেছেন, ইরাকে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আমরা জোরালো সমর্থন দেব। তিনি আরো বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, ইরাকের সামরিক বাহিনী যথেষ্ট সক্ষমতার সঙ্গে গেরিলাদের মোকাবিলা করবে’।
আব্দুল্লাহিয়ান বলেন, ইরাক যখন গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাচ্ছে তখন দেশটিতে সন্ত্রাসবাদকে সফল হতে দেয়া হবে না। গত মঙ্গলবার ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লিভ্যান্ট বা আইসিল উত্তরাঞ্চলীয় মসুল শহরসহ নেইনাভা প্রদেশের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পর ইরান এ কথা বলল। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনও গত বুধবার এক বিবৃতিতে ইসলামপন্থী গেরিলাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইরাক সরকারের প্রতি সমর্থন নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।
আইসিস যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ইরাকে ব্রিটিশ সেনা পাঠাবে না বলে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ জানিয়েছেন। বুধবার তিনি বলেন, ইরাকের পরিস্থিতি যদিও গভীর উদ্বেগজনক, তা সত্ত্বেও ব্রিটেন সেখানে সংশ্লিষ্ট হতে চায় না। তিনি বলেন, এ হুমকি মোকাবিলায় ইরাকের যথেষ্ট সৈন্য আছে। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনা সিরিয়া সংকটের সমাধানের ওপর নতুন করে গুরুত্বারোপ করেছে। কারণ, সেখান থেকে সংঘাত প্রতিবেশী দেশগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে, অস্থিতিশীল করে তুলছে ইরাককে। ব্রিটিশ সৈন্যরা পাঁচ বছর আগে ইরাক ত্যাগ করে। তারা আবার ইরাকে ফিরবে কি না জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, তার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। সূত্র : ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল, রয়টার্স, এএফপি, আইবি টাইমস, ডি ডব্লিউ।