ঢাকা: ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক ও বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক নুরুল কবির বলেছেন, বাংলাদেশে র্যাব সৃষ্টির পর থেকেই তারা এবং তাদের সঙ্গে অপরাপর আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।
জলজ্যান্ত মানুষকে গ্রেপ্তার করে র্যাব তাদের মেরে মেলছে। আর এ বিষয়টি তারা নিজেরা যেমন জানে, দেশের মানুষও তা জানে। একই সঙ্গে সারা বিশ্বও তা জানে। এগুলো ঠাণ্ডা মাথায় হত্যা ছাড়া আর কিছু নয়।
রেডিও তেহরানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নুরুল কবির এসব মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, র্যাবসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে যারা মারা গেছেন তাদের সবাইকে খুব ভালো মানুষ মনে করার কারণ নেই। তবে এটাও মনে করার কারণ নেই সমাজের চোখে যারা অপরাধী তাদের বিনাবিচারে হত্যা করা যাবে। এ ধরনের হত্যা করার অধিকার তাদের নেই।
নুরুল কবির বলেন, দেশের বিভিন্ন পর্যায় থেকে র্যাবের এসব হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হলেও র্যাব তাতে ভ্রুক্ষেপ করেনি। কারণ, র্যাবের এসব হত্যাকাণ্ডকে সরকার অনুমোদন দিয়ে যাচ্ছে; এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক ব্যাপার। যেভাবে র্যাব হত্যা করে চলেছে তাতে তাদের চেয়ে চরমপন্থী কেউ হতে পারে না।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আগের টার্মে দেশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি খুব খারাপ ছিল একথা সত্য। তারা বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল নির্বাচনের আগে। নির্বাচনে জয়লাভের পর ক্ষমতায় এসে সরকারি এবং বেসরকারি সেক্টর মিলে প্রায় দেড় বছর পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের কোনো উদ্যোগ নিল না। এর মধ্যে বিদ্যুৎ সঙ্কট আরো তীব্র আকার ধারণ করল।
নুরুল কবির বলেন, সে অবস্থা থেকে পরিত্রাণের নামে কিছু কোম্পানির সঙ্গে অত্যন্ত চড়া দামে ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের চুক্তি করল সরকার। আর এই বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো যারা পেয়েছে তাদের অধিকাংশের সঙ্গে সরকারের সুস্পষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে কেন্দ্র করে জনগণের টাকা কতগুলো কোম্পানির মধ্যে বিতরণ করার জন্যই সরকার ভাড়া বিদ্যুৎ প্রকল্প আমদানি করে।
নিউ এজ সম্পাদক বলেন, ভাড়া বিদ্যুৎ প্রকল্পে অনেক দুর্নীতি হয়েছে। আর এ প্রকল্পে দুর্নীতি হবে এ বিষয়টি আওয়ামী লীগ সরকার পরিষ্কারভাবে জানতো। আর জানত বলেই এ প্রকল্প শুরুর আগে তারা ইনডেমনিটি আইন পাস করে। ফলে বিদ্যুতের নামে এই সরকার যেসব কর্মকাণ্ড করেছে তা অত্যন্ত গর্হিত অপরাধ।
No comments:
Post a Comment