বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতা ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিদ্রোহী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মান্নান খান ওরফে মনা খাকে (৫৫) দুই পায়ের রগ কেটে দিয়েছে সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মোরেলগঞ্জ উপজেলার পোলেরহাট বাজার এলাকায় এঘটনা ঘটে। আহত আব্দুল মান্নান খাঁ মোরেলগঞ্জ উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও মোরেলগঞ্জ থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ।
স্থানীয়রা জানায়, মোরেলগঞ্জ উপজেলার পোলেরহাট বাজারে নির্বাচনী গনসংযোগের সময় সন্ত্রসীরা প্রকাশ্যে সশস্ত্র হামলা করে তার দুই পায়ের রগ কেটে দেয়। এসময় অচেতন অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধারের পর প্রথমে তাকে পোলেরহাট ফাঁড়ি পুলিশ বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ও পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। আহত মনা খাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোরেলগঞ্জ থেকে ‘তালা’ প্রতীক নিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে গণসংযোগ করছিলেন।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছূক সরকার দলীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গণসংযোগ চলাকালে কয়েকজন পেছন থেকে তাকে তাড়া দেয়। এসময় তিনি নিজের পিস্তল বের করে গুলি করতে গেলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা আরো উত্তেজিত হয়ে পড়ে। এ সময়ে মনা খাঁ তার পিস্তল পুকুরে ফেলে দেন। সরকার দলীয় কর্মীরা তখন তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
বাগেরহাট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনা খাঁ সাংবাদিকদের বলেন,‘স্থানীয় আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি ডা. মোজাম্মেল হোসেনের নাতি জাপান বাবুল ও দৈবজ্ঞহাটি ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ফকিরের নেতৃত্বে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী পোলেরহাট বাজারে গণসংযোগকালে তাকে ধরে মারপিট করে দুই পায়ের রগ কেটে দেয়। তিনি বলেন, ‘এরাই ২০০৪ সালে আমার বড় ভাই রামচন্দ্রপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ খাঁনকে নব্বই রশ্মি বাসষ্ট্যান্ডে প্রাকাশে গুলি করে হত্যা করে।’
মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রকিব জানান, পোলেরহাট বাজারের ঘটনার সময়ে মনা খাঁর ফেলে দেয়া চার রাউন্ডগুলিসহ পিস্তলটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় হায়দার আলী মোড়েলগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে আব্দুল মান্নান ওরফে মনা খাঁর নামে একটি মামলা দায়ের করেছে।
No comments:
Post a Comment