Saturday, February 15, 2014

ঢাবি ছাত্রলীগের অপহরণ নাটক চলছেই

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্তৃক ছাত্র অপহরণকে প্রেমের নামে চালিয়ে দেয়ার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ছাত্র অপহরণ ও এর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক আছে কি না তার প্রকৃত রহস্য এখনো উদঘাটন করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

এদিকে অপহৃত ছাত্র এবং অপহরণকারী ঢাবি ছাত্রলীগ নেতার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরেফিন সিদ্দিক সুজনের একান্ত ঘনিষ্ঠ কর্মী ও হলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক লিয়ন বহিরাগত এক ছাত্রকে অপহরণ করে। পরে তাকে হলের ২১৯ নম্বর রুমে আটকে রাখে। তিনদিন আটকে রেখে ওই ছাত্রের ওপর অমানষিক নির্যাতন চালায় আরেফিন সিদ্দিক সুজনের ক্যাডার লিয়ন ও ছাত্রলীগ কর্মীরা।

বুধবার বিকেলে রুমের বেলকনি থেকে লাফিয়ে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার করতে থাকে অপহৃত ওই ছাত্র। সঙ্গে সঙ্গে লিয়নও রুম থেকে লাফিয়ে ছেলেটিকে আটক করে হলের পশ্চিম পাশের সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় নিয়ে যায়। তারপর থেকেই ওই শিক্ষার্থী ও লিয়নকে খুঁজে পওয়া যাচ্ছে না।

হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ার পর ওই শিক্ষার্থী ‘বাঁচাও বাঁচাও, আমাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে’ বলে চিৎকার করে। এতে আশেপাশের শিক্ষার্থীদের বিষয়টি নজরে পড়ে। পরে হল শাখা ছাত্রলীগ ও লিয়ন বিষয়টি প্রেম ঘটিত কারণে লাফিয়ে পড়েছে বলে অপপ্রচার চালাতে থাকে এবং ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে ছাত্রলীগের কর্মীরা দাবি করে।

কিন্তু ঘটনার পরপরই হলের আবাসিক শিক্ষকরা যখন বিষয়টি যাচাই করতে আসেন তখন ছাত্রলীগের কর্মীরা অপহরণকৃত ওই শিক্ষার্থীর পরিচয় গোপন রাখে। এবং কোনো হাসপাতালের কত নম্বর ওয়ার্ডে নেয়া হয়েছে তা জানায় না। রাজধানীর স্কয়ার হাপাতালের কথা শোনা গেলেও সেখানে ওই শিক্ষার্থীকে খুঁজে পাওয়া যায় না।

ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যে লিয়নের কোনো খোঁজ পায় না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার মোবাইলে ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পর থেকেই লিয়ন ও অপহরণকৃত ওই শিক্ষার্থীর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় হল কর্তৃপক্ষ ২১৯ নম্বর রুমটি সিলগালা করে এবং বিষয়টির রহস্য উদঘাটন করার জন্য আবাসিক শিক্ষক মো. আমিনুল হককে প্রধান করে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ১৭ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও ঘটনার মূলরহস্য এবং ওই শিক্ষার্থীর পরিচয় উদঘাটন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হলে আবাসিক শিক্ষক এবং তদন্ত কমিটির প্রধান মো. আমিনুল হক শীর্ষ নিউজকে বলেন, অপহরণকারী ছাত্রলীগ ক্যাডার লিয়নকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার নম্বরে ফোন করা হলে সে ফোন ধরছে না। এছাড়া অপহরণকৃত ওই শিক্ষার্থীরও কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। যার ফলে রহস্য উদঘাটন করতে আমাদের সময় লাগবে।

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল শীর্ষ নিউজকে জানান, ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হচ্ছে। তদন্ত কমিটি এ ব্যাপারে তদন্ত করে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই রহস্য উদঘাটন হবে। যদি লিয়নের বিরুদ্ধে ছাত্র অপহরণের কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে তাকে শাস্তি দেয়া হবে।

উল্লেখ্য, ছাত্রলীগ ক্যাডার লিওনের নেতৃত্বে সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের কর্মীরা সৌহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাদদের গ্রুপটিকে নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানা গেছে।
ঢাবি ছাত্রলীগের অপহরণ নাটক চলছেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কর্তৃক ছাত্র অপহরণকে প্রেমের নামে চালিয়ে দেয়ার রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ছাত্র অপহরণ ও এর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক আছে কি না তার প্রকৃত রহস্য এখনো উদঘাটন করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। এদিকে অপহৃত ছাত্র এবং অপহরণকারী ঢাবি ছাত্রলীগ নেতার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার দা সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরেফিন সিদ্দিক সুজনের একান্ত ঘনিষ্ঠ কর্মী ও হলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক লিয়ন বহিরাগত এক ছাত্রকে অপহরণ করে। পরে তাকে হলের ২১৯ নম্বর রুমে আটকে রাখে। তিনদিন আটকে রেখে ওই ছাত্রের ওপর অমানষিক নির্যাতন চালায় আরেফিন সিদ্দিক সুজনের ক্যাডার লিয়ন ও ছাত্রলীগ কর্মীরা। বুধবার বিকেলে রুমের বেলকনি থেকে লাফিয়ে ‘বাঁচাও বাঁচাও’ বলে চিৎকার করতে থাকে অপহৃত ওই ছাত্র। সঙ্গে সঙ্গে লিয়নও রুম থেকে লাফিয়ে ছেলেটিকে আটক করে হলের পশ্চিম পাশের সিঁড়ি দিয়ে দোতলায় নিয়ে যায়। তারপর থেকেই ওই শিক্ষার্থী ও লিয়নকে খুঁজে পওয়া যাচ্ছে না। হলের একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ার পর ওই শিক্ষার্থী ‘বাঁচাও বাঁচাও, আমাকে কিডন্যাপ করা হয়েছে’ বলে চিৎকার করে। এতে আশেপাশের শিক্ষার্থীদের বিষয়টি নজরে পড়ে। পরে হল শাখা ছাত্রলীগ ও লিয়ন বিষয়টি প্রেম ঘটিত কারণে লাফিয়ে পড়েছে বলে অপপ্রচার চালাতে থাকে এবং ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে ছাত্রলীগের কর্মীরা দাবি করে। কিন্তু ঘটনার পরপরই হলের আবাসিক শিক্ষকরা যখন বিষয়টি যাচাই করতে আসেন তখন ছাত্রলীগের কর্মীরা অপহরণকৃত ওই শিক্ষার্থীর পরিচয় গোপন রাখে। এবং কোনো হাসপাতালের কত নম্বর ওয়ার্ডে নেয়া হয়েছে তা জানায় না। রাজধানীর স্কয়ার হাপাতালের কথা শোনা গেলেও সেখানে ওই শিক্ষার্থীকে খুঁজে পাওয়া যায় না। ঘটনার এক ঘণ্টার মধ্যে লিয়নের কোনো খোঁজ পায় না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তার মোবাইলে ফোন দেয়া হলেও তিনি ফোন ধরেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পর থেকেই লিয়ন ও অপহরণকৃত ওই শিক্ষার্থীর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনার পর সন্ধ্যায় হল কর্তৃপক্ষ ২১৯ নম্বর রুমটি সিলগালা করে এবং বিষয়টির রহস্য উদঘাটন করার জন্য আবাসিক শিক্ষক মো. আমিনুল হককে প্রধান করে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ১৭ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা দেয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু ঘটনার দুই দিন পেরিয়ে গেলেও ঘটনার মূলরহস্য এবং ওই শিক্ষার্থীর পরিচয় উদঘাটন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হলে আবাসিক শিক্ষক এবং তদন্ত কমিটির প্রধান মো. আমিনুল হক শীর্ষ নিউজকে বলেন, অপহরণকারী ছাত্রলীগ ক্যাডার লিয়নকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার নম্বরে ফোন করা হলে সে ফোন ধরছে না। এছাড়া অপহরণকৃত ওই শিক্ষার্থীরও কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। যার ফলে রহস্য উদঘাটন করতে আমাদের সময় লাগবে। হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল শীর্ষ নিউজকে জানান, ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হচ্ছে। তদন্ত কমিটি এ ব্যাপারে তদন্ত করে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই রহস্য উদঘাটন হবে। যদি লিয়নের বিরুদ্ধে ছাত্র অপহরণের কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে তাকে শাস্তি দেয়া হবে। উল্লেখ্য, ছাত্রলীগ ক্যাডার লিওনের নেতৃত্বে সূর্যসেন হল ছাত্রলীগের কর্মীরা সৌহরাওয়ার্দী উদ্যানে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাদদের গ্রুপটিকে নিয়ন্ত্রণ করে বলে জানা গেছে।

No comments:

Post a Comment