Thursday, March 27, 2014

কূটনৈতিক চাপে সরকার বিব্রত.....চাপে পড়েছে আওয়ামী লীগ

রাজনীতি, মানবাধিকার ও শ্রম পরিস্থিতির উন্নয়ন প্রশ্নে বৈশ্বিক চাপ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডার পর এবার ‘কড়া বার্তা’ দিয়ে গেছেন ঢাকা সফর করে যাওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের সদস্যরা। নবগঠিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, বিরোধী রাজনীতিক আর নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের ভিন্ন ভিন্ন বৈঠকে প্রায় অভিন্ন ভাষায় কথা বলেছেন তারা। ঢাকা ছাড়ার আগে দেয়া এক যৌথ বিবৃতিতে রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তরণে বেশ কিছু সুপারিশও করেছেন ইইউ’র সংসদ সদস্যরা। সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা, বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

গুরুতর অভিযোগগুলোর তদন্তে জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্টিয়ারকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানাতে সরকারের প্রতি আহ্বানও জানিয়ে গেছেন। ৫ই জানুয়ারির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং চলমান উপজেলা নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি ও সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা। তাদের মতে, সঙ্কট নিরসনে রাজনৈতিক সংলাপই একমাত্র পথ। ওই সংলাপের মধ্য দিয়ে জনগণের প্রকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। এতে দুই নেত্রীর সমান দায়িত্ব রয়েছে। নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করার জোর তাগিদ দেয়া হয়েছে। গোলযোগে যে সব উপজেলায় ভোট স্থগিত হয়েছে তার পূর্ণ তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। নাগরিক সমাজের কাজের সুযোগ এবং মত প্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। আইসিটি আইন সংশোধন ও পুলিশের নির্যাতনের ব্যাপারে ন্যূনতম ছাড় না দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

বিবৃতিতে সরকার ও বিরোধী দলের বিভিন্ন পর্যায়ের বৈঠকের উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে। ৫ই জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর ৪ সদস্যের ইইউ পার্লামেন্ট প্রতিনিধি দলের প্রথম ঢাকা সফর ছিল এটি। প্রধান বিরোধী জোটসহ বিরোধী দলগুলোর বর্জনের মুখে অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেনি ইইউ। তাদের পথ অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র ও সংস্থাগুলো। ১৫৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না হওয়া এবং বাকি আসনগুলোতে নামমাত্র নির্বাচন হয়েছে। ওই নির্বাচনের ফলের ওপর ভিত্তি করে সরকার গঠিত হয়েছে। এ সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই পশ্চিমা দেশগুলো নতুন নির্বাচনের জন্য অব্যাহতভাবে চাপ দিচ্ছে।

ঢাবিতে ছাত্রলীগের ২ নেত্রীকে জুতাপেটা : হলচ্যুত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত-মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আজমিরা বিনতে জামান নীলা ও সাধারণ সম্পাদিকা লিসা চাম্বুগংকে মেরে ও জুতাপেটা করে হল থেকে বের করে দিয়েছে সাধারণ ছাত্রীরা। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ কর্তৃক হলের সাধারণ শিক্ষার্থীকে অন্যায়ভাবে মারধর এবং শারীরিক নির্যাতন করায় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এদিকে, ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, গত বুধবার মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে প্যারেড গ্রাউন্ডে লাখো কন্ঠে জাতীয় সংগীত গাইতে যায় হলের ছাত্রীরা। সেখানে তাদেরকে হলের আবাসিক শিক্ষক এবং কর্মচারীরা নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়। আর এতে করে অনেক ছাত্রী ইভটিজিং এবং যৌন হয়রানির শিকার হয় বলে অভিযোগ উঠে।

পরে হলের শিক্ষার্থীরা ওইদিন রাত ১১টার দিকে হল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে। তাদের আন্দোলনের ফলে ওইদিন রাত ১২টার দিকে প্রায় তিন শতাধিক ছাত্রী ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সাথে সাক্ষাত করেন।

হল থেকে বের হওয়ার সময় ছাত্রীদের মধ্য থেকে কয়েকজন ছাত্রলীগের ব্যানার ছিড়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে জানা গেছে। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে দর্শন চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী সুমাইয়া ইসলামকে শিবির আখ্যা দিয়ে মারধর করে ছাত্রলীগের নেত্রীরা। পরে সাধারণ ছাত্রীরা একত্রিত হয়ে হল ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদিকাকে জুতা পেটা ও গণধোলাই দেয়।খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং হল কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

লক্ষ্মীপুরে ওয়াজ মাহফিলে হামলা ভাঙচুর গুলিবর্ষণ ৩ গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার পোদ্দার বাজার এলাকায় রামনগর ফোরকানিয়া মাদরাসা ওয়াজ মাহফিলে হামলা, ভাঙচুর ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মাহফিল থেকে যাওয়ার সময় জামায়াত নেতা ও চাটখিল উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন হাসানের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা মহিউদ্দিন হাসানকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করা হয়। গত রাত ৯টায় এ ঘটনা ঘটে।
এ দিকে তার মোবাইলে ফোন করা হলে রিং বাজলেও রিসিভ হচ্ছে না। স্থানীয়রা মনে করেন অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা তাকে অপহরণ করেছে।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ও চৌদ্দগ্রামে ছাত্রলীগের তাণ্ডব

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে বিজয় দিবসের বিতর্ক প্রতিযোগিতা আমন্ত্রণ না পেয়ে এবং জেলার চৌদ্দগ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে ছাত্রলীগ ক্যাডাররা।
তারা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে বিতর্ক প্রতিযোগিতা আয়োজনকারী কয়েক ছাত্র ও চৌদ্দগ্রামে পিটিয়ে আহত করেছে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতাকে।

বিস্তারিত খবর : কুমিল্লা (উত্তর)
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত দিনব্যাপী বিতর্ক উত্সবে আমন্ত্রণ না করায় ‘ভিক্টোরিয়া কলেজ বিতর্ক পরিষদের সংগঠকদের মারধর করেছেন ছাত্রলীগের কতিপয় নেতাকর্মী। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের জিয়া মিলনায়তনে ওই ঘটনা ঘটে। এতে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়।
কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, প্রত্যক্ষদর্শী ও আয়োজকরা জানিয়েছেন, সকাল ১১টায় কলেজের জিয়া মিলনায়তনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ একেএম আছাদুজ্জামান। এতে সভাপতিত্ব করেন ভিক্টোরিয়া কলেজ বিতর্ক পরিষদের মডারেটর ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারী।
অনুষ্ঠান চলাকালে মিলনায়তনে প্রবেশ করেন ছাত্রলীগের কলেজ শাখার কর্মী ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে রাষ্ট্রবিজ্ঞান চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. শাকিল, অর্থনীতি চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী বাপ্পি ও বহিরাগত খোকনসহ ২০-২৫ জন ছাত্রলীগের কর্মী। তারা চিত্কার চেঁচামেচি করতে করতে মঞ্চে হামলা চালায়। একপর্যায়ে বিতর্ক পরিষদের সভাপতি মো. ইসরাফিল, সাধারণ সম্পাদক মো. মোশাররফ রহিম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামকে মিলনায়তনের দোতলায় তুলে নিয়ে মারধর করেন। তখন আতঙ্ক ও ভয়ে মিলনায়তন ভর্তি শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। পরে ওই অনুষ্ঠান ভণ্ডল হয়ে যায়।
কলেজ বিতর্ক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ রহিম বলেন, ‘বিতর্ক পরিষদ একটি অরাজনৈতিক সংগঠন। আমি হলে থাকি, কী কারণে পণ্ড হলো কিংবা মারধর করা হলো তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আমার অসুবিধা হবে।’
উল্লেখ্য, ছাত্রলীগের কর্মী সাইফুলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ৬ মার্চ কলেজের একাদশ শ্রেণীর মানবিক বিভাগের শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে এক ছাত্রের পায়ে গুলি করার ঘটনা রয়েছে। তাছাড়া কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কায়সার আহমেদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা উপজেলা আ.লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলালের বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও গুলি চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার রাতে উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর (ফেরিঘাট) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় হেলালের বোন রোখসানা আক্তার গুলিবিদ্ধ হন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, গতকাল বিকাল ৩টায় লক্ষ্মীপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় মুজিব সেনা ক্লাব কর্তৃক স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ওই সভা পণ্ড করতে ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বুধবার রাত দুইটায় চারটি মোটরসাইকেলযোগে ৮-১০ জন অস্ত্রধারী হেলালের বাড়িতে গিয়ে তাকে খোঁজ করে। একপর্যায়ে তারা গুলি ও ককটেল ফাটিয়ে দরজা-জানালার গ্লাস ও উঠানে থাকা ৪০-৫০টি চেয়ার ভাংচুর করে ঘরের ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। অস্ত্রধারীদের গুলিতে হেলালের বোন রোখসানা আক্তার গুলিবিদ্ধ হয়ে বর্তমানে ফেনীর একটি ক্লিনিকে চিকিত্সা নিচ্ছেন। খবর পেয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা ছুটে এলে অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যায়। জনতা ছাত্রলীগ কর্মী পার্শ্ববর্তী পূর্ব ডেকরার সালাউদ্দিন, রিয়াদ, লক্ষ্মীপুরের মামুন ও শিলবির শুভকে চিনতে পারে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মীদের গ্রেফতার দাবিতে জনতা ভোর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে কিছুক্ষণ সময় গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে জনতা ব্যারিকেড সরিয়ে নেয়। অপরদিকে হামলার কারণে নির্ধারিত সভাটি অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। এ ঘটনায় এলাকায় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয় জনগণ যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন।
এ বিষয়ে আ.লীগ নেতা গোলাম ফারুক হেলাল সাংবাদিকদের জানান, ‘বিগত ইউপি নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও এলাকায় স্থানীয়ভাবে আ.লীগ নেতাকর্মীদের দিয়ে সভা ডাক দেয়ার জেরে বর্তমান চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর নির্দেশে তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার বাড়িতে হামলা চালায়। আমি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
বর্তমান আলকরা ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চু এ ঘটনার সঙ্গে তার ও তার দলের কেউ জড়িত নয় দাবি করে সাংবাদিকদের বলেন, হেলালের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো দ্বন্দ্ব নেই। বিগত ইউপি নির্বাচনে আমি দলীয় মনোনয়ন নিয়ে দলের ব্যানারে ভোট করি। কিন্তু সে জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করে বিদ্রোহী হিসেবে হেরে যায়। এরপর থেকে সে দলে কোণঠাসা হয়ে পড়ে। এলাকার শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে সে নিজেই এ নাটক সাজিয়ে আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিচ্ছে। উল্টো তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাতে একই সময়ে কুলাসার গ্রামের ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনের বাড়িতে হেলালের সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালায়।

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করবা?

জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করবা?
কর..সমস্যা নাই...
জামায়াতের প্রতিষ্ঠান করায়ত্ব করতে চাও?
না...তাতেও সমস্যা হবেনা... (ইনশাআল্লাহ)

ভাবিয়া কর্ম কর হে মিস্টের বাকশাল!
তোমার যে জন্য কামটা হাতে নিয়েছ,তার ফল কী আদৌ পাবে?

"আমাকে পিটালে,বাড়ি ঘর পুড়িয়ে দিলে,জেলে ঢুকালে.শেষে গুলি করে হত্যা করলে...
ফলাফল কী পেলে?

গত উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান আমার (জামায়াতের) ছিল ৫-১২,এবার পেয়েছি ৩৩-১০৩.যদিও এখন শেষ হইনি.
এরপর নিষিদ্ধ করলে ফলাফল কেমন হতে পারে?

এইযে বাকশাল!!! আমি প্রস্তুত...আমার জন্ম এমনভাবে...আমার পথচলাও এমন:জামায়াত"

দ্রোহের আগুন

দায়িত্ব দিলে বিনা পয়সায় ১০ লাখ লোক সমাগম করতাম : শিবির নেতা

দায়িত্ব দিলে বিনা পয়সায় ১০ লাখ লোক সমাগম করতাম : শিবির নেতা

26 Mar

দশ লাখ লোকের সমাগম ঘটিয়ে জাতীয় সংগীতের বিশ্ব রেকর্ড করা যেত বলে দাবী করেছে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রচার সেক্রেটারী আবু সালেহ ইয়াহইয়া।তিনি আজ দুপুরে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে এই দাবী করেন। রাষ্ট্রীয় কোষাগারের ৯০ কোটি টাকা খরচ করে যে রেকর্ড অর্জন করেছে ছাত্রশিবিরকে দায়িত্ব দিলে বিনা পয়সায় ১০ লাখ লোকের সমাগম ঘটিয়ে এ রেকর্ড গড়া সম্ভব হতো বলেও তিনি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে দাবী করেন। আগামী ডিসেম্বরে ছাত্রশিবিরকে একবারের জন্য এ দায়িত্ব দিয়ে দেখার জন্যও তিনি তার স্ট্যাটাসে উল্লেখ করেন।
নীচে তার স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

দুই লাখ ৫৪ হাজার ছয়শত ৮১ জন মিলে জাতীয় সঙ্গীত গেঁয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ। ষোলকোটি মানুষের মধ্যে এ সংখ্যা নিতান্তই কম। যে কোন দেশ খুব সহজেই ভেঙে দিতে পারে এ রেকর্ড। ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা আর রাষ্ট্রীয় কোষাগারের ৯০ কোটি টাকা খরচ করে বাংলাদেশ অর্জন করলো এ কৃতিত্ব। যদি ছাত্রশিবিরকে এ আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হতো আর সময় দেয়া হতো মাত্র তিন দিন, তাহলে কমপক্ষে দশ লক্ষ লোকের সমাগম ঘটিয়ে বিশাল রেকর্ড গড়া সম্ভব হতো। আর খরচ..? রাষ্ট্রের এক টাকাও খরচ না করে একমাত্র শিবিরের পক্ষেই এমন কাজ করা সম্ভব। বিশ্বাস না হলে আগামী ষোল ডিসেম্বরে দায়িত্বটা একবার দিয়েই দেখেন না, কেমনে কি হয়……?

Wednesday, March 26, 2014

প্যারেড গ্রাউন্ডে ঢাবি ছাত্রীদের হয়রানি ও নির্যাতনের অভিযোগ

জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে জাতীয় সংগীতে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার কর্মসূচিতে অংশ নেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কুয়েত-মৈত্রী হলের ছাত্রীরা হয়রানি, উত্ত্যক্ত ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে বুধবার দিবাগত রাতে প্রায় তিনশ’ ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে।
ছাত্রীদের অভিযোগ, হলের আবাসিক শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সেখানে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে তাদের। সেনাসদস্য ও পুলিশের উপস্থিতিতেই অনেকে তাদের উত্ত্যক্ত করে। কিন্তু এ ব্যাপারে তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি।
তারা আরো অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সাহায্য না করে তাদের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে উল্টো তাদের টিজ করেছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকারও হয়েছেন কোনো কোনো ছাত্রী।
হলসূত্রে জানা জানা যায়, রাত ৯টা থেকে প্রথমে হলের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ শুরু করে ছাত্রীরা। সাড়ে ১০টার দিকে হলের প্রধান ফটক ভেঙে ফেলে তারা। এরপর বাইরের গেটের সামনে বিপুল সংখ্যক ছাত্রী জড়ো হয়ে অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। এসময় গেটে সাঁটানো ওই হলের ছাত্রলীগ সভাপতি আজমিরার ব্যানার ছিড়ে ফেলে তাতে অগ্নিসংযোগ করে তারা।
রাত সোয়া ১১টার দিকে বাহিরের গেট খুলে দেয়া হলে মেয়েরা সারিবদ্ধভাবে ভিসির বাসভবনের দিকে রওনা হয়। এ সময় ছাত্রীদের সাথে হলের আবাসিক শিক্ষিকরা ছিলেন। এছাড়া নিউমার্কেট থানার পুলিশ তাদের নীলক্ষেত মোড় পর্যন্ত এবং শাহবাগ থানা পুলিশ তাদের নীলক্ষেত মোড় থেকে ভিসির বাসভবন পর্যন্ত পৌঁছে দেয়।
রাত পৌনে একটা পর্যন্ত ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সাথে বৈঠক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আমজাদ আলী, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের প্রাধ্যক্ষ ফরিদা বেগম, হলের আবাসিক শিক্ষক ও বিুব্ধ ছাত্রীরা।  
বৈঠকের পর ভিসি সাংবাদিকদের জানান, ‘এত বড় একটি ইভেন্ট-এর মধ্যে বিচ্ছিন্ন দু’একটি ঘটনা ঘটতেই পারে। বিষয়টি যাচাই করা হবে। ছাত্রীরা  যে অভিযোগ করেছে তা খতিয়ে দেখা হবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ জড়িত থাকলে বা কোনো অব্যবস্থাপনা থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ভিসির সাথে বৈঠকের পর রাত দেড়টার দিকে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী ও সহকারী প্রক্টররা ছাত্রীদের হলে পৌঁছে দেন।

দাজ্জালের ফেতনা থেকে বাঁচার জন্য সহজ আমল

দাজ্জালের ফেতনা থেকে বাঁচার জন্য সহজ আমলঃ

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“যে ব্যক্তি সুরা কাহফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্ত করবে সে দাজ্জালের হাত থেকে রক্ষা পাবে।” অন্য এক হাদীসে আছে, “সুরা কাহফের শেষ দশ আয়াত।” 
সহীহ মুসলিম, রিয়াদুস স্বালেহীনঃ ১০২১।

> দাজ্জালের ফেতনা থেকে বাঁচার জন্য সুরা কাহফের প্রথম বা শেষের ১০ আয়াত মুখস্থ করার কথা হাদীসে এসেছে, দুইটা হাদীসই সহীহ। যার যেই আয়াত ভালো লাগে, প্রথম বা শেষের যেকোন ১০ আয়াত মুখস্থ করলেই হবে।

>> যারা সকাল সন্ধ্যার ওযীফার মাঝে কুরআন থেকে নির্দিষ্ট অংশ তেলাওয়াত করেন তারা এই ১০ আয়াতকে ওযীফার অংশ হিসেবে সকাল সন্ধ্যায় তেলাওয়াত করতে পারেন।

>>> বাংলা উচ্চারণ দেখে আরবী পড়লে উচ্চারণ ঠিক হয়না। আপনারা অবশ্যই নামাযের জন্য জরুরী কিছু সুরা কেরাত উস্তাদের কাছ থেকে শিখে নেবেন। নারীরা নারী ও পুরুষেরা আর পুরুষের পুরুষ উস্তাদের কাছ থেকে। নারী উস্তাদ না পাওয়া গেলে নারীরা পুরষ উস্তাদের কাছ থেকে শিখলে অবশ্যই কঠোর হিজাব পর্দা ও পুরুষ মাহরাম এর উপস্থিতিতে শিখবেন। এইখান থেকে অনেক ফেতনা হয়, সচেতন সকলেই জানেন।

>>>> উস্তাদ না পেলে আরেকটা কাজ করতে পারেন, মক্কা ও মদীনার ভালো ক্বারী যেমন শায়খ শুরাইম, শায়খ সুদাইস, মাহের আল-মুয়াইকিলি, মিশারি রাশিদ আল-আফাসী উনাদের তেলাওয়াত বারবার শুনে তাদের কপি করবেন এতে সহজে মুখস্থ ও তাজবীদ ঠিক হবে ইন শা' আল্লাহ।

>>>> আমি আরবী উচ্চারণ দিয়ে দেই যাতে করে মূল আরবী যাদের কঠিন লাগে তারা বাংলা উচ্চারণ থেকে সাহায্য নিতে পারেন, কিন্তু আপনার শেখার সুরা/দুয়া শেখার সময় অবশ্যই আরবী হরফের দিকে লক্ষ্য রাখবেন। আর সুরা কাহফের ১০ আয়াতের উচ্চারণ দেওয়ার জন্য অনেকেই অনুরোধ করেছিলেন, আজকে তাই প্রচলিত একটা মুসহাফ থেকে ২টি ছবিতে দিয়ে দেওয়া হলো। আপনারা ছবিগুলো ডাউনলোড করে পড়তে পারবেন ইন শা আল্লাহ।

যেকোন সুরা মুখস্থ জন্য সহজ পদ্ধতিঃ 
সুন্দর একটা তেলাওয়াত নিয়ে বেশ কয়েকবার শুনবেন। এর পরে মুখস্থ করা শুরু করবেন প্রতিদিন ৫ অথবা ১০ আয়াত করে। এইভাবে যতদিন না মুখস্থ হচ্ছে প্রতিদিন বারবার তেলাওয়াত শুনতে থাকবেন ও বারবার পড়ে মুখস্থ করার চেষ্টা করবেন। আর বড় সুরা হলে (যেমন সুরা মুলক মুখস্থ করতে পারেন, এই সুরাটা মুখস্থ রাখা ও প্রতিদিন তেলাওয়াত করার অনেক ফযীলত) প্রতিদিন ১বার তেলাওয়াত করলে ২-১ মাসে এমনিতেই মুখস্থ হয়ে যায়।

সুরা আল-কাহাফ (১৮ নাম্বার সুরা, আয়াত ১-১০)
কাহাফ – অর্থ হচ্ছে – গুহা/Cave. 
এই সুরাতে কয়েকজন যুবকের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। যাদেরকে ততকালীন কাফের রাজা বেঈমান বানাতে চাচ্ছিলো। তারা তখন একটা কুকুরসহ গুহায় আশ্রয় নেয় এবং আল্লাহ তখন তাদেরকে একঘুমে ৩০৯ বছর পার করে দেন। তাদেরকে আসহাবে কাহাফ বা গুহাবাসী বলা হয়।

আ'উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম। বিসমিল্লাহির-রাহমানির রাহীম। 
১. সব প্রশংসা আল্লাহর যিনি নিজের বান্দার প্রতি এ গ্রন্থ নাযিল করেছেন এবং তাতে কোন বক্রতা রাখেননি।
২. একে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন যা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি ভীষণ বিপদের ভয় প্রদর্শন করে এবং মুমিনদেরকে যারা সৎকর্ম সম্পাদন করে-তাদেরকে সুসংবাদ দান করে যে, তাদের জন্যে উত্তম প্রতিদান রয়েছে।
৩. তারা তাতে চিরকাল অবস্থান করবে।
৪. এবং তাদেরকে ভয় প্রদর্শন করার জন্যে যারা বলে যে, আল্লাহর সন্তান রয়েছে।
৫. এ সম্পর্কে তাদের কোন জ্ঞান নেই এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরও নেই। কত কঠিন তাদের মুখের কথা। তারা যা বলে তা তো সবই মিথ্যা।
৬. যদি তারা এই বিষয়বস্তুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করে, তবে তাদের পশ্চাতে সম্ভবতঃ আপনি পরিতাপ করতে করতে নিজের প্রাণ নিপাত করবেন।
৭. আমি পৃথিবীস্থ সব কিছুকে পৃথিবীর জন্যে শোভা করেছি, যাতে লোকদের পরীক্ষা করি যে, তাদের মধ্যে কে ভাল কাজ করে।
৮. এবং তার উপর যাকিছু রয়েছে, অবশ্যই তা আমি উদ্ভিদশূন্য মাটিতে পরিণত করে দেব।
৯. আপনি কি ধারণা করেন যে, গুহা ও গর্তের অধিবাসীরা আমার নিদর্শনাবলীর মধ্যে বিস্ময়কর ছিল ?
১০. যখন যুবকরা পাহাড়ের গুহায় আশ্রয়গ্রহণ করে তখন দোআ করেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদেরকে নিজের কাছ থেকে রহমত দান করুন এবং আমাদের জন্যে আমাদের কাজ সঠিকভাবে পূর্ণ করুন।



‘জাতীয় সংগীত নিয়ে রেকর্ডের ঘটনা চেতনা ব্যবসা, সস্তা ও সহিহ্ দেশপ্রেম’

আয়োজন ভাঙলে এভাবেই পায়ের নিচে পিষ্ট হয় জাতীয় পতাকা (ছবিতে)
‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ গেয়ে বিশ্ব রেকর্ড করার উদ্যোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ব্লগ সরগরম। শুধুই রেকর্ড করার উদ্দেশ্যে ৫০ কোটি টাকা খরচ করে এই অনুষ্ঠানের উদ্যোগ কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। অন্যদিকে এই টাকা খরচ করার দায়িত্বে ছিল সংস্কৃতিমন্ত্রীরই নিজের প্রতিষ্ঠান। এসব নিয়েও সমালোচনার ঝড় ওঠেছে ফেসবুক-ব্লগে।


সস্তা দেশপ্রেম

ব্লগার মারুফ অভিক সামহোয়ার ইন ব্লগে ‘সস্তা দেশপ্রেম’ নামে একটি ব্লগ লিখেছেন। ব্লগটি এরকম- আগামী ২৬শে মার্চ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সন্মিলিতভাবে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হবে। শুনলাম সরকার এই কার্যক্রমের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে!! বিভিন্ন স্কুল-কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়য়ের ছাত্র ছাত্রীদের সেখানে নেয়া হচ্ছে বাধ্যতামূলকভাবে! শুনলাম গান গাওয়ার পরে লাঞ্চ করাবে। ভালো কথা!! এবার আসি কিছু বিশ্লেষণ এ। একত্রে জাতীয় সংগীত গাইলে
কিনবা একত্রে পতাকা বানিয়ে রেকর্ড করে কি আসলেই দেশপ্রেম প্রকাশ পায়??!! আমার অফিসের এক জার্মান কলিগ একবার আমাকে বলেছিলো তারা নাকি স্কুলে জাতীয় সংগীত গায় না এমনকি তাদের দেশে অনেকে নাকি জাতীয় সংগীত জানেও না!! শুধু জার্মানি নয় পৃথিবীর কোন সভ্য দেশে স্কুলে জাতীয় সংগীত গাওয়ার উদাহরন হয়ত পাওয়া যাবে না। তার মানে কি তাদের মাঝে দেশপ্রেম নেই??!!! উত্তর হচ্ছে ”আছে” আছে বলেই আজ তারা এত উন্নত!! তারা ২৪ ঘন্টা দেশপ্রেম দেশপ্রেম করে না বরং কাজের মাধ্যমে সেটা করে দেখায়। একটা প্রবাদ আছে ”চোরের মন পুলিশ পুলিশ” আমাদের অবস্থা হইছে তাই!! যে দেশ দুর্নীতিতে ৫ বার টানা চ্যাম্পিয়ন হয় তাদেরই দরকার পড়ে এইসব রেকর্ড বানিয়ে নিজেদের দেশপ্রেম দেখানোর!! এই ১০০ কোটি টাকা যদি গরীব মানুষগুলোর জন্য খরচ করা হতো হয়ত সেটাই আসল দেশপ্রেম হত। কারন দেশপ্রেম বলতে দেশের মানুষকে প্রেম করা বুঝায় আমি মনে করি। এই ধরনের উদ্ভট কর্মকাণ্ড এদেশে হচ্ছে আরো হবে কারন কোন একটা সমাজ পরিবর্তন করতে পারে তরুণরা। অথচ আমাদের দেশের তরুণরা মনে করে দেশপ্রেম মানে হচ্ছে কেউ যদি কোন খেলায় পাকিস্তান-ইন্ডিয়া কে সাপোর্ট দেয় তাকে গালি দেয়া ক্রিটিসাইজ করা। সারাবছর যারা ব্যস্ত থাকে রেষ্টুরেন্টে খাইতে,গার্ল ফ্রেন্ডদের নিয়া ঘুরতে,যাদের কোন ভ্রূক্ষেপ নেই দেশে কি হচ্ছে!! তাদের দেশপ্রেম উতলিয়ে পড়ে ফেসবুকে যদি কেউ পাকিস্তান সাপোর্ট করে ক্রিকেটে!! শেষে একটা কথাই বলতে হয়:
”আমার দেশে হবে সেই ছেলে কবে, কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে”
৫০ কোটি টাকার জাতীয় সঙ্গীতের বিশ্ব রেকর্ড এবং সুরেন্দ্র কারবারি পাড়ার ১.৫ লক্ষ টাকার স্কুলের ছাদ- আমি ব্যবহৃত হতে অস্বীকার করি

‘উপরোক্ত শিরোনামে’ ‘শাহবাগ থেকে হেফাজত: রাজসাক্ষীর জবানবন্দী’ বইয়ের লেখক জিয়া হাসানও তার ফেসবুকে লিখেছেন। লেখাটি এরকম-

আজকে সকাল ১০টা থেকে ৫০ কোটি টাকা ব্যয় করে (সূত্র: সংস্কৃতি মন্ত্রী), মন্ত্রী এমপিদের সরকারের সাথে ব্যবসা করার আইন ভঙ্গ করে, প্রতিটা ব্যাংক এবং বেশ কিছু বড় প্রতিষ্ঠানের সাথে বাধ্যতামূলক চাঁদাবাজি করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষের এক সাথে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার বিশ্ব রেকর্ড।

একটা মর্মস্পর্শী ছবি

কে জানে, এমন একটা রেকর্ড প্রতিদিন আমরা ভাঙছি কিনা, স্কুল ঘর না থাকায় পৃথিবীতে সর্বোচ্চ সংখ্যক ছাত্রছাত্রী প্রতিদিন খোলা মাঠে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার এবং পাঠ দান নেয়ার। কিন্তু এর মধ্যেই ফেসবুকে, তন্দ্রা চাকমার স্ট্যাটাস অনেকেই দেখেছেন, খাগড়াছড়ির সদর উপজেলায় সুরেন্দ্র কারবারি পাড়ার মহাসেনের আঘাতে ভেঙ্গে যাওয়া স্কুলের টিন-শেড ঠিক করে দেয়ার জন্যে ১.৫ লক্ষ টাকা জোগাড় করতে।

পেছন থেকে তোলা, একটা ভাঙ্গা স্কুল ঘরের সামনে চার লাইনে দাড়িয়ে শপথ নিতে থাকা এই অত্যন্ত মর্মস্পর্শী এই ছবিটা দেখলেই বোঝা যায়, এই রাষ্ট্র-যন্ত্র কি ভাবে তার জনগণের বেসিক চাহিদা পূরণ করতে পদে পদে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে।

এক বছর আগে হয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের ভেঙ্গে যাওয়া স্কুলঘর ঠিক করতে যেই রাষ্ট্র ব্যর্থ, সেই রাষ্ট্রের কোন অধিকার নাই ৫০ কোটি টাকা খরচ করে, জাতীয় সঙ্গীতের বিশ্ব রেকর্ড করার।

কিন্তু সেই গুলো করছে আওয়ামী লিগের সরকার। কেন করছে ? কারণ, এই দলের জনগণের কাছে কোন দায়বদ্ধতা নাই। এই দল জানে, তারা মানুষের ভোট জিতে ক্ষমতায় আসে নাই। তারা জানে, তারা ক্ষমতায় আসছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে দেশকে দুইটি ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন রকম গুটি-বাজি করে এবং ইন্ডিয়ার স্বার্থ রক্ষা করার মাধ্যমে। ফলে তাদের সমস্ত চিন্তা চেতনায় এই দুইটি ধারা প্রবাহিত হয়।

এই জন্যে আমরা দেখেছি, সমালোচনার মুখেও তারা ৫০ কোটি টাকা খরচ করে, এই অর্থহীন অনুষ্ঠানটা করে যাচ্ছে। কারো কথায় কান দিচ্ছে না। এই গুলো ক্লাসিক স্বৈরচারী আচরণ। বড় বড় মূর্তি বানানো, বড় বড় অনুষ্ঠান করা। স্বৈরাচার নিজেই তার গড়া এই ফানুসে উড়ে বেরায়। তার ধারনা থাকে, মানুষের জীবনে শান্তি সুখের নহর বয়ে যাচ্ছে। এই জন্যে স্বৈরাচার নিয়ম করে, আচ্ছা জনগণের যেহেতু অনেক টাকা, সেহেতু আমরা সব রাস্তায় টোল বসিয়ে দেই। বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দেই।

এই অনুষ্ঠান আরও অনেক গুলো সম্পূরক প্রশ্নের জন্ম দেয়

তা হলো রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এই ভাবে কোন অনুষ্ঠানের জন্যে বাধ্যতামূলক চাঁদাবাজি করা আইন সম্মত কি না? এ কোন রাষ্ট্র সৃষ্টি করলাম আমরা যার সরকার এই ধরনের ভ্যানিটি প্রজেক্টের জন্যে নিজেই চাঁদাবাজি করে? এই টাকার একাউন্টেবিলিটি কে নিশ্চিত করছে? এই টাকাটা অডিটেবেল কিনা? সরকার যাদের কাছ থেকে এই টাকা নিয়েছে, তারা এই অনুদানের কি পে-ব্যাক নিবে ?

এই টাকা সরকারী নিয়ম মেনে খরচ হয়েছে কিনা। এবং এই অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি-মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুরের প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিকের তত্ত্বাবধানে হওয়াতে মন্ত্রী এমপিদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সরকারের সাথে ব্যবসা না করার যে নিয়ম তার প্রকাশ্য বাত্যয় হলো, দুদক তার তদন্ত করবে কিনা? এই রাষ্ট্র কি, এতো নাঙ্গা হয়ে গ্যেছে যে, এই ধরনের দুর্নীতি করতে আজ রাখ ঢাক ও করতে হয় না?

এই প্রশ্নগুলোকে উপেক্ষা করে

আজকে যখন সমালোচনার ঝড় ওঠে, ইসলামী ব্যাংকের কাছ থেকে টাকা নেয়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বরখেলাপ কিনা তখন বোঝা যায়, সরকার চাইছে নবীনদেরকে এবং প্রতিবাদীদেরকে দেশপ্রেমের একটা ধোঁয়াটে অন্ধকারে বুঁদ করে রাখা যাতে, আজকের প্রজন্ম, তার চোখের সামনে লুটপাট দেখেও সঠিক প্রশ্ন করতে ব্যর্থ হয়। যাতে সে সুশাসন না চায়, প্রকাশ্য দুর্নীতি দেখলেও বিভাজিত রাজনীতিতে নিজের অবস্থানের কারণে চুপ থাকে, প্রতিবাদী না হয়।

যাতে সে দেখতে ব্যর্থ হয়, সুরেন্দ্র কারবারি পাড়ার বাচ্চাদের সরকারী স্কুলের ঘর মাত্র ১.৫ লক্ষ টাকার জন্যে, নির্মাণ করতে ব্যর্থ হয় যে সরকার সেই সরকারের ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার লুটপাটের মহোচ্ছবের কোন অধিকার নাই। এই উৎসব বার বার মনে করিয়ে দেয়, সেমুয়েল জনসনের বিখ্যাত উক্তি, patriotism is the last refuge of a scoundrel । বদমাইশের শেষ আশ্রয় হচ্ছে দেশ প্রেম।

এই প্রজন্মকে মনে রাখতে হবে , দেশ কিন্তু মা। মাকে নিয়ে ব্যবসা করতে হয় না

(লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ এর আয়োজনের সময় জাতীয় পতাকা বসার জন্য ব্যবহৃত হয়। ছবিটি নিয়ে ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।-ছবিতে)
এবং যারা করে, তারা কোন একটা ধান্দার জন্যে করে। এই প্রজন্মের চ্যালেঞ্জ, সেই ধান্ধাবাজদের সৃষ্ট ধোয়ার থেকে সত্যকে দেখতে পাওয়া এবং সঠিক প্রশ্নটা করা। মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার দায়, এই চেতনা ব্যবসায়ীদের হাতে ব্যবহৃত না হওয়া।

আজকে আমাদেরকে তাই এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর চাইতে হবে। এই চাদাবাজি আইনসম্মত কিনা ? এর একাউন্টিবিলিটি কে দেখবে ? এবং মন্ত্রীর প্রতিষ্ঠান এশিয়াটিক আইন ভঙ্গ করে কিভাবে এই কাজ পায় ?

যাদের সামর্থ্য আছে, তারা সুরেন্দ্র কারবারি পাড়ার মহাসেনের আঘাতে ভেঙ্গে যাওয়া সরকারী স্কুলের পরিচালক দয়ানন্দ দাদার সাথে যোগাযোগ করবেন ০১৮২৮৮৬১৩০৩ নাম্বারে। এই স্কুলটি ঠিক করতে ১.৫ লক্ষ টাকা লাগবে। সরকার যদি না করে, আমরাই পারবো এই স্কুল ঠিক করে দিতে। এইটাই মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনা।

আই রিফিউজ টু বি ইউজড, আমি ব্যবহৃত হতে অস্বীকার করি। এবং এই ৫০ কোটি টাকার প্রতিটা পয়সার হিসেব চাই। সবাইকে ২৬শে মার্চের শুভেচ্ছা।

অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও একটি অনলাইন পত্রিকার প্রধান সহ-সম্পাদক মাহবুব রশিদ এ প্রসঙ্গে ‘ফেসবুকে একটি লেখা’ লিখেছেন। লেখাটি এরকম-

আলী যাকের-সারা যাকের-আসাদুজ্জামান নূর।

প্রত্যেকেই অনেক উঁচুদরের অভিনেতা। শৈশবে আলী যাকেরের অভিনয়ে ‘সক্রেটিসের জবানবন্দি’ নামের নাটকটি দেইখা অনেক আপ্লুত হইছিলাম। নূরের অভিনয়ে ‘নুরুলদিনের সারাজীবন’ আমার শিশুকালে আমার ভবিষ্যতের গণমূখি চিন্তার বুনিয়াদ।
এদের অভিনয় একটা প্রজন্মরে গড়ে তুলেছে, অস্বিকার করার উপায় নাই।

কিন্তু আমার দেশের প্রতিভাবানেরা বেশিরভাগই তাদের বাহ্যিক জীবন, তত্ত্বের জীবনের সাথে আপন চর্চার মিল রাখেন না।
সভা-সেমিনারে, নাটকে-সিনেমায়, গানে-বয়ানে, লেখা-কবিতায় তারা অনেক ভাল কথা বলে থাকেন। নিজের জীবনে তারা সেগুলা খাটান না।

এদেরও তো খেয়ে বাঁচতে হয়, করুক নাহয় কিছু ব্যবসাপাতি।
কিন্তু তারা গণবিরোধী অবস্থান নিবেন তা তো হবে না।

আগেই তারা সরাসরি দেশের শত্রুর পক্ষে দেশের সম্পদ চোরদের সাথে কাজ করতেন।
বাংলাদেশে ফুলবাড়ী কয়লাখনিতে উন্মুক্ত খননের পক্ষে জনমত গঠন তথা পাবলিক রিলেশানস (পিআর) তৈরির কাজ করছে এশিয়াটিক এর সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান ‘ফোরথট পিআর’ নামের একটা পিআর এজেন্সি! অর্থাৎ তারা বহুজাতিক এশিয়া এনার্জির জাতীয় সম্পদ লুটপাটেরও সহযোগী।

এখন সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ৫০ কোটি টাকা খরচ করে জাতীর সঙ্গীত গাইবার বিশ্বরেকর্ড করার দায়িত্বও পেয়েছে এই ফোরথট পিআর।

একজন শিল্পির তার দেশ জাতির প্রতি কমিটমেনট থাকার কথা। সেই সব মূল্যবোধের পাছায় লাথি মেরে আগের আমলে লীগ সরকারের ভাল মন্দ সব কিছুতে আনক্রিটিক্যাল আনুগত্যের পুরোষ্কার পেয়েছেন নূর। এবার তিনি সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রী হয়েছেন। একই সাথে অনৈতিক ভাবে আছেন একটা লাভজনক প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার হিসেবে।

নিজের মন্ত্রণালয়ের কন্ট্র্যাক্ট পাইয়ে দিচ্ছেন নিজের মালিকানার প্রতিষ্ঠানকে।

শুধু এইটুকু নৈতিক অবক্ষয় তার ও তাদের শিল্পিসত্বার সমস্ত হিপোক্রিসিকে নগ্ন করে প্রকাশ করে। টাকা খরচ করে এ্যান্থেম গেয়ে রেকর্ড করা কতটা জরুরি সেকথা নাহয় বাদই দিলাম।

এদের চেয়ে তো শামীম ওসমান ভাল। তিনিও দাবি করেন তিনি গড ফাদার, সন্ত্রাসী- হিপোক্রিসি করেন না। গিরগিটির মত নিজেকে লুকিয়ে রাখেন না। প্রগতিশীল চাপ দাঁড়ি মাখা মুখে পিছিলা হাসি নিয়ে দেশের মানুষের পকেট কাটেন না। সরাসরি রাম দা নিয়ে কোপাতে যান। আমরা চিনতে পারি আমাদের শত্রুকে।

এরা নাকি আমাদের দেশের শিল্পি। ঘেন্না হয়।

গণহত্যাকারী পাকিস্তানী আর রাজাকারদের প্রতি নয় শুধু, এই সব মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যাবসায়ীদের ঘেন্না জানায়া ২৬ মার্চের লেখা দিলাম।
জাতীয় সংগীত নিয়ে আহ্লাদ করাই সহিহ্ দেশপ্রেম!

অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও সাংবাদিক কল্লোল মুস্তাফা এ প্রসঙ্গে একটি লেখা লিখেছেন। ‘লেখাটি এরকম’-

‘লাখো কন্ঠে সোনার বাংলা’র মূল উদ্যোক্তা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আর অর্থের বিনিময়ে এটি আয়োজনের দ্বায়িত্ব পেয়েছে এশিয়াটিক এর সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান ‘ফোরথট পিআর’নামের একটা পিআর এজেন্সি।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান নূর আবার এই ফোরথট পিআর নামের প্রতিষ্ঠানটির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক বা ম্যানেজিং ডিরেক্টর!

আসাদুজ্জামান নূর নিজেই সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন এই অনুষ্ঠান আয়োজন করতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ৫০ কোটি টাকা খরচ হবে, অবশ্য তিনি বলেননি তার প্রতিষ্ঠান ফোরথট পিআর এর ভাগে ঠিক কত পড়েছে।

জনাব নুর এর মাধ্যমে যে গুরুতর অপরাধ করেছেন তা হলো- সরকারি দ্বায়িত্বে থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের লাভজনক পদে থাকা এবং দেশপ্রেমের রেকর্ডের নামে এমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাতে তার নিজের প্রতিষ্ঠান সরাসরি লাভবান হয়। ফলে ‘লাখো কন্ঠে সোনার বাংলা’ নামের আয়োজনটি কতটা দেশপ্রেম থেকে করা হয়েছে আর কতটা ব্যাবসায়িক ধান্দা থেকে করা হয়েছে সেই প্রশ্ন উঠা স্বাভাবিক।

কিন্তু এরচেয়ে মারাত্মক সমস্যা হলো- যে ফোরথট পিআর প্রতিষ্ঠানটি লাখো কন্ঠে সোনার বাংলা নামক দেশপ্রেমের প্রদর্শনী ও রেকর্ডের আয়োজন করছে, সেই পিআর প্রতিষ্ঠানটি আবার একই সাথে এশিয়া এনার্জি বা জিসিএম রিসোর্স নামের বহুজাতিক কোম্পানির পিআর এজেন্সি হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করছে! যে এশিয়া এনার্জি উন্মুক্ত খননের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদ লুন্ঠনের পায়তারা করেছে, শেয়ার বাজারে ফুলবাড়ির কয়লা নিজেদের বলে দেখিয়ে ব্যাবসা করছে, যে এশিয়া এনার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে ২০০৬ সালের ২৬ আগষ্ট ফুলবাড়ির আমিনুল, তরিকুল, সালেকিন জীবন দিয়েছেন এবং অসংখ্যা মানুষ আহত হয়েছেন যাদের কেউ কেউ পঙ্গুজীবন যাপন করছেন, সেই এশিয়া এনার্জির দালাল একটি প্রতিষ্ঠান এবং দালাল একজন ব্যাক্তির দ্বায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয় এই কথিত দেশপ্রেমের প্রদর্শনীর আয়োজন করছে!

দেশপ্রেম কাকে বলে আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জিনিসটাই বা কি? দেশপ্রেম কি দেশের মানুষ ও সম্পদকে বাদ দিয়ে কেবল দেশের পতাকা আর জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি লোকদেখানো ভালোবাসার কর্পোরেট প্রদর্শনী?

নাকি দেশপ্রেম বা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সংজ্ঞা পাল্টে গেছে! দেশটাকে ভাগা মাছের মতো দেশি/বিদেশী বিভিন্ন কোম্পানির হাতে তুলে দিতে দিতে, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করতে করতে, দেশের মানুষের বারোটা বাজাতে বাজাতে বিদেশী বহুজাতিক কোম্পানির আয়োজনে জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে আহল্লাদ করাকেই বুঝি আজকাল সহিহ দেশপ্রেম বলা হয়!

আসলে যেই দেশের শাসকদের মানুষের জীবন ও সম্পদের প্রতি কোন প্রেম নাই, সেই দেশের শাসকদেরকেই কোটি টাকা খরচ করে দেশপ্রেমের প্রদর্শনী করতে হয়- মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিদেশী কোম্পানির দালালদের আয়োজনে ‘লাখো কন্ঠে সোনার বাংলা’ অনুষ্ঠানটি তারই প্রমাণ।

উল্লেখ্য, ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’-র উদ্যোক্তা বাংলাদেশ সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। আর সার্বিক তত্ত্বাবধান ও সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ।

Monday, March 10, 2014

জাহান্নাম থেকে বাঁচার ও জান্নাতে যাওয়ার সহজ আমল...

প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় ৩ বার করে পড়তে হয়ঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ’উযু বিকা মিনান্নার।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই। 

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ৩ বার জান্নাত প্রার্থনা করে, জান্নাত আল্লাহর কাছে দুয়া করে, হে আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করো। যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ৩ বার জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে, জাহান্নাম আল্লাহর কাছে দুয়া করে, হে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দাও”।
তিরমিযিঃ ২৫৭২, ইবনে মাজাহ ৪৩৪০, শায়খ আলবানি এই হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, সহীহুল জামি ৬২৭৫।


*উল্লেখ্য – সকাল সন্ধ্যায় ৭ বার “আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার” পড়ার হাদীসটা জয়ীফ বা দুর্বল, শায়খ আলবানী সিলসিলা জয়ীফাহঃ ১৬২৪। 
সুতরাং সেটা না পড়ে এই দুয়া পড়বেন, কারণ এটাতে জান্নাত চাওয়া ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাওয়া দুইটা দোয়াই আছে, আর এটা সহীহ। “আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার” থেকে "আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ’উযু বিকা মিনান্নার" এই দুয়াটাই ভালো ও সহীহ।

বিএনপি ছাড়াই মহাসমাবেশ করবে জামায়াতে ইসলামী

বিএনপি ছাড়াই মহাসমাবেশ করবে জামায়াতে ইসলামী

উপজেলা নির্বাচনের পর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। নিজেদের অবস্থান জানান দিতে এ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটির একাধিক দয়িত্বশীল সূত্র। এ মহাসমাবেশে তারা বিএনপির কোনো সহায়তা নেবে না বলেও জানা গেছে।

পাশাপাশি সহিংস আন্দোলন ছেড়ে সহনশীল ও শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ফিরতে চায় দলটি। একই সঙ্গে দলকে শক্তিশালী করতে নতুন নতুন ফর্মুলাও খুঁজছেন শীর্ষ নেতারা। জামায়াতের এমন অবস্থানের কথা বাংলামেইলকে জানিয়েছেন দলটির শীর্ষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা।

তারা জানিয়েছেন, সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন শেষ হলে রাজধানীতে মহাসমাবেশ করার পরিকল্পনা রয়েছে জামায়াতের। এতে ১০ লাখের বেশি নেতা-কর্মী-সমর্থকের সমাবেশ ঘটানোর চেষ্টা থাকবে। এজন্য বেশ কিছুদিন আগ থেকেই সারাদেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। দলছে দাওয়াতের কাজও।

জানা গেছে, রাজধানীতে দুর্গ গড়ার লক্ষ্যে মহাসমাবেশের এ আয়োজন করা হচ্ছে। এজন্য ঢাকা মহানগরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে অবিরত সাংগঠনিক বৈঠক চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে ঢাকার পাশ্ববর্তী জেলায়গুলোতেও চলছে সাংগঠিনক শক্তি বাড়ানোর মহড়া।

সমাবেশ সম্পর্কে ঢাকা মহানগর জামায়াতের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, সম্ভাব্য এ প্রোগ্রামটি এ বছরের জানুয়ারির প্রথম দিকেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা করণে সমাবেশটি করতে দেরি হচ্ছে। তাছাড়া সরকারের কঠোর নজরদারি ও মনোভাবের কারণে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছে কেন্দ্রের বার্তা সঠিকভাবে পৌঁছানো যাচ্ছে না। এজন্য সমাবেশের আয়োজন করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘সরকারের কঠোর হিংসাত্মক মনোভাবের কারণে দেশবাসীর মনোভাব এখন জামায়াতের দিকে বেশি, যা গত দুই দফায় অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় জামায়াতকে আরো সাহস দিচ্ছে। উপজেলা নির্বাচন শেষ হলে সমাবেশের পূর্ণ প্রস্তুতি নেয়া হবে।’

সূত্র জানায়, উপজেলা নির্বাচনে মোটামুটি ভালো ফল অর্জনের পর কেন্দ্রীয়ভাবে একলা চলার নীতি অবলম্বন করে নিজেদের অস্তিত্ব আরো বেশি জানান দিতে এ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিই সম্ভাব্য এ সমাবেশের প্রধান লক্ষ্য।

এদিকে জামায়াত নিষিদ্ধ করতে আদালতে মামলা, নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন বাতিল, যুদ্ধাপরাধসহ ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা ও ট্রাইব্যুনাল থেকে একের পর এক ফাঁসি ও যাবজ্জীবন দণ্ডাদেশ আসছে কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে। তাছাড়া জামায়াতকে মিছিল মিটিং করতে না দেয়া, রাস্তায় দেখলেই গ্রেপ্তার, হামলা মামলাসহ সরকারের কঠোর অবস্থানের মধ্যেই নেয়া হয়েছে সম্ভাব্য এ মহাসমাবেশের প্রস্তুতি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দলটির ঢাকা মহানগরীর কর্মপরিষদের ওই সদস্য বাংলামেইলকে বলেন, ‘সরকার যতই জুড়িশিয়াল কিলিং, হামলা-মামলা, নির্যাতন গ্রেপ্তার করুক ইসলামি আন্দোলনের কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখতে পারবে না। ইসলাম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে যুগে যুগে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান শহীদ হয়েছেন। এ আন্দোলনের সৈনিকরা সব সময় শহীদ হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকেন।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাবেশের প্রস্তুতি ঠিকমতোই চলছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। কিন্তু সরকার চায় না আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করি। এ জন্যই তারা বার বার আমাদের ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালাচ্ছে।’

তিনি আরো জনান, উপজেলা নির্বাচন শেষে যে কোনো দিন মহাসমাবেশের জন্য স্থান চাওয়া হবে। এটা কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

জামায়াতের কেন্দ্রীয় আরেক নেতা বলেন, ‘সরকার সমাবেশের অনুমতি না দিলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ। যে কোনো মূল্যে সমাবেশ সফল করা হবে।’

জামায়াতের এমন প্রস্তুতির পাশাপাশি সম্ভাব্য মহাসমাবেশকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসলামী ছাত্রশিবির। যে কোনো মূল্যে এটি সফল করা হবে বলেও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তারা। এজন্য রাজধানী ঢাকা ও তার আশপাশের জেলাগুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন সংগঠনটির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।

জামায়াত মনে করে হরতাল অবরোধে দেশব্যাপী যে তাণ্ডব হয়েছে এজন্য সরকারই দায়ী। তারা বলছেন, সরকার যদি তাদের নেতাকর্মীদের ওপর তাণ্ডব না চলাতো তাহলে যে কোনো কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হতো। বাধা আসায় তার জবাব দিতে গিয়েই সহিংসতা হয়েছে।

অপন একটি সূত্র জানায়, দেশব্যাপী আবারো সংগঠনকে শক্তিশালী করতে দীর্ঘমেয়াদী কর্মসূচি হাতে নিয়েছে জামায়াত। এরমধ্যে তফসিল ঘোষিত এলাকাগুলোতে নির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করছে জামায়াত। এর মাধ্যমে দলের দাওয়াত ও আদর্শ সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা চলছে দলটির পক্ষ থেকে।

সূত্র আরো জনায়, উপজেলা নির্বাচনের পর থেকে হরতাল আহ্বানসহ সরকার পতনের যে কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রস্তুত করা হচ্ছে দলের নেতাকর্মীদের। এজন্য দেশের সব জেলা, থানা, ইউনিট শাখা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক সংগঠনকে শক্তিশালী করা হচ্ছে। নিষ্ক্রিয় নেতাদেরও সক্রিয় করার চেষ্টা চলছে।

সুত্রঃ বাংলামেইল

সাঈদী যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়: আদালত

সাঈদী যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত নয়: আদালত

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর যুক্তিতে অ্যাটর্নি জেনারেলের জবাবে ক্ষুব্ধ হয়ে আদালত বলেছেন,আসামিপক্ষের ডকুমেন্ট আমলে নিলে সাঈদী যুদ্ধাপরাদের সঙ্গে জড়িত নয়।

সোমবার প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের আপিল বেঞ্চ যুক্তি গ্রহণ করেন।

প্রধান বিচারপতি ছাড়া অন্য বিচারপতিরা হলেন,বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা,বিচারপতি আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞা,বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

ইব্রাহীম কুট্টিকে হত্যার অভিযোগে সাঈদীর বিরুদ্ধে আজ যুক্তি উপস্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। ইব্রাহীম কুট্টিকে হত্যার বিচার চেয়ে স্ত্রী মমতাজ বেগম ১৯৭২ সালে পিরোজপুরে মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় মোট ১৩ জন আসামি ছিল। কিন্তু আসামির তালিকায় সাঈদীর নাম ছিল না।

মমতাজ বেগমের করা মামলার ডকুমেন্ট আদালতে জমা দিয়েছেন আসামিপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষ এই ডকুমেন্ট জাল ডকুমেন্ট বলে দাবি করেন।

গতকালের ধারাবাহিকতায় যুক্তি শুরু করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। যুক্তির এক পর্যায়ে একজন বিচারপতি তাকে প্রশ্ন করেন,আসামিপক্ষ মমতাজ বেগমের মামলার ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে পারল আর আপনারা পারলেননা কেন? ১৯৭২ সালে এ ধরনের কোনো এফআইআর হয়েছিল কি-না? পিরোজপুরে অবশ্যই জিআর রেজিস্ট্রেশন বই আছে,আপনারা কি এই মামলার ডকুমেন্ট চাইতে পারতেন না? আপনাদের অনেক বড় মেশিনারীজ আছে, তাদের মাধ্যমে এই তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছেন? আমরা যদি আসামিপক্ষের দাখিল করা ডকুমেন্ট গ্রহণ করি তাহলে অ্যাটলিস্ট আমরা বলতে পারি সাঈদী এ ঘটনায় জড়িত নয়।

এসময় অপর আরেক বিচারপতি বলেন,মমতাজ বেগমের সেই মামলায় মোসলেম মাওলানা, দানেশ আলী মোল্লা,সেকেন্দার শিকদার সবারই নাম আছে শুধু সাঈদীর নাম নেই।

জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন,এগুলো এখন পাওয়ার উপায় নেই।

এসময় বিচারপতি বলেন,ট্রাইব্যুনালে একথা বলতে পারতেন যে এগুলো এখন পাওয়া যায়না। তাহলেই তো শেষ হয়ে যেত। কিন্তু আপনারা শুধু জাল ডকুমেন্ট বলে সাজেশন দিয়ে ছেড়ে দিলেন?

বিচারপিত আরও বলেন,মমতাজ বেগমের এ ডকুমেন্ট বিষয়ে ট্রাইব্যুনালের কোনো ফাইন্ডিংস আছে? এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী এসএম শাহজাহান দাড়িয়ে বলেন,কোনো ফাইন্ডিংস নেই।

এ পর্যায়ে অপর এক বিচারপতি বলেন,আপনারা ম্যারাথন আর্গুমেন্ট করছেন। অ্যাডভোকেট শাহজাহান সাহেব অনেক আগে এ বিষয়ে যুক্তি পেশ করেছেন। অনেক সময় পেয়েছেন আপনারা। এ দীর্ঘ সময়ে আপনারা চাইলে এ ডকুমেন্ট বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারতেন।

এ পর্যায়ে আরেক বিচারপতি বলেন,মমতাজ বেগমের মামলায় শুধু যে সাঈদীর নাম অনুপস্থিত তা নয়। বরং সেখানে ঘটনাস্থল হিসেবে উল্লেখ আছে ইব্রাহীম কুট্টিকে নলবুনিয়ায় হত্যা করা হয় অক্টোবর মাসে।

অপর বিচারপতি বলেন,৭২ সালে কে এবং কেন এ মামলার সার্টিফাইড কপি তুলেছিল এবং (আসামী পক্ষ ১৯৭২ সালে ইস্যু করা মামলার সার্টিফাইড কপি জমা দিয়েছে) কেনই বা সে এতদিন এ কপি সংগ্রহ করে রাখল এ বিষয়ে জেরায় আপনারা কোনো প্রশ্ন করেছিলেন?

জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বারবার বলার চেষ্টা করেন মমতাজ বেগমের মামলার এ ডকুমেন্ট ছাড়া আসামিপক্ষের সব ডকুমেন্ট জমা দিয়েছে ১৩তম সাফাই সাক্ষী।

তিনি বলেন,এ ডকুমেন্ট রাষ্ট্রপক্ষের আপত্তি সহকারে জমা নেয়া হয়েছে। এরপর তিনি এ ডকুমেন্ট বিষয়ে আসামিপক্ষের সাক্ষীর জেরা থেকে পড়ে শোনান । তিনি রাষ্ট্রপক্ষের সাজেশন পড়ে শুনিয়ে বলেন,মামলার প্রয়োজনে এ জাল ডকুমেন্ট তৈরি করা হয়েছে।

যুক্তি উপস্থাপন অসমাপ্ত অবস্থায় মামলার কার্যক্রম আগামীকাল পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম,অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মমতাজউদ্দিন মেহেদী।

আসামিপক্ষে ছিলেন,অ্যাডভোকেট এসএম শাহজাহান,গিয়াসউদ্দিন মিঠু,ব্যারিস্টার তানভির আহমেদ আল আমিন।

বাংলাদেশ মহিলা জামায়াত কেনো এগিয়ে আছেন?

বাংলাদেশ মহিলা জামায়াত কেনো এগিয়ে আছেন?

আজ জামায়াত
অফিসে সাংগাঠনীক কাজের জন্য গিয়ে দেখি ৬৮ জন মহিলাদের রুকন শপথ নিচ্ছে। তার মাঝে একজন মহিলা কে দেখলাম যার কিনা ভোর ৪ টায় একটি সন্তান হয়েছে। সেই শিশু সন্তান সাথে নিয়ে বিকাল ৪ টায় শপথ নিলেন ।

দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারলাম না ।মা ও শিশুর জন্য অনেক দোয়া করলাম।

ইসলামী আন্দোলোনের কর্মীদের কোন কিছুই বাধা হতে পারে না তারা সব সময় , সব অবস্থায় কাজ করে যায়।

লিখাটি মাহমুদা সুলতানা মিনু আপুর পোফাইল থেকে নিলাম। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, এই আদর্শের কাছে কোনো শক্তি কাজ হয়?

সংগৃহীত...