জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তিব্বতে হিমবাহের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলছে। ফলে বাংলাদেশ-ভারতসহ এশিয়ার অনেক দেশেই পানির সংকট দেখা দিতে পারে। বড় নদ-নদীতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও বাঁধ নির্মাণ বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলছে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন যে বেড়ে চলেছে, তা জানার জন্য আর বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রয়োজন হচ্ছে না। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ প্রতি বছর তা অল্প অল্প করে অনুভব করছেন। তবে এর সামগ্রিক প্রবণতা ও প্রভাব সম্পর্কে এখনো অনেক কিছু জানা বাকি রয়েছে।
চীনের এক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবার এমনই এক চাঞ্চল্যকর প্রবণতার খবর প্রকাশ করেছে। চীনা বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির ‘ইনস্টটিটিউট অফ টিবেটান প্ল্যাটো রিসার্চ’-এর সূত্র অনুযায়ী, তিব্বতের মালভূমির হিমবাহের তাপমাত্রা গত ৫০ বছরে আশঙ্কাজনক মাত্রায় বেড়ে গেছে– যা গোটা বিশ্বের গড় হারের প্রায় দ্বিগুণ! গত দুই হাজার বছরে এমন অঘটন দেখা যায়নি।
এই প্রবণতা চালু থাকলে বরফ আরো দ্রুত গলে যাবে, সেই জায়গায় মরু অঞ্চল সৃষ্টি হবে। তিব্বতের হিমবাহ ধীরে ধীরে উধাও হয়ে গেলে বাংলাদেশ ও ভারতসহ এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পানির সরবরাহ মারাত্মক হারে কমে যাবে।
বাংলাদেশে ও ভারতের ব্রহ্মপুত্র বা যমুনা, চীনের ইয়েলো ও ইয়াংসি নদী, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মেকং ও সালউইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর পানির সরবরাহ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
চীনা গবেষকদের খুঁটিনাটি কিছু হিসেব পরিস্থিতির ভয়াবহতা স্পষ্ট করে দিচ্ছে। মে মাসের হিসেব অনুযায়ী গত ৩০ বছরে তিব্বতের হিমবাহ প্রায় ১৫ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে৷ অর্থাৎ প্রায় ৮,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা থেকে হিমবাহ উধাও হয়ে গেছে।
এখন প্রশ্ন হলো, এমন প্রবণতা বন্ধ করা হয়ত আর সম্ভব না হলেও এর গতি কি কমানো সম্ভব? কারণ এমন অস্বাভাবিক মাত্রায় জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মানুষের কার্যকলাপ দায়ী।
বিজ্ঞানীরা সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর প্রতি ঠিক সেই আবেদনই জানিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে চীন ও ভারতের মতো দেশ উল্টো পথে হাঁটছে। চীনের সরকার তিব্বত অঞ্চলেই একের পর এক জলবায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২০২০ সালে আরও বড় আকারের বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার কথা।
জীবাশ্ম-ভিত্তিক জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে চীন গত কয়েক দশক ধরে জলবিদ্যুতের ওপর বিশেষ জোর দিয়ে আসছে। ভারতও ব্রহ্মপুত্র নদে বেশ কয়েকটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। এই মর্মে প্রায় ১০০টি প্রস্তাব পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে।
আরটিএনএন
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন যে বেড়ে চলেছে, তা জানার জন্য আর বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রয়োজন হচ্ছে না। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ প্রতি বছর তা অল্প অল্প করে অনুভব করছেন। তবে এর সামগ্রিক প্রবণতা ও প্রভাব সম্পর্কে এখনো অনেক কিছু জানা বাকি রয়েছে।
চীনের এক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবার এমনই এক চাঞ্চল্যকর প্রবণতার খবর প্রকাশ করেছে। চীনা বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির ‘ইনস্টটিটিউট অফ টিবেটান প্ল্যাটো রিসার্চ’-এর সূত্র অনুযায়ী, তিব্বতের মালভূমির হিমবাহের তাপমাত্রা গত ৫০ বছরে আশঙ্কাজনক মাত্রায় বেড়ে গেছে– যা গোটা বিশ্বের গড় হারের প্রায় দ্বিগুণ! গত দুই হাজার বছরে এমন অঘটন দেখা যায়নি।
এই প্রবণতা চালু থাকলে বরফ আরো দ্রুত গলে যাবে, সেই জায়গায় মরু অঞ্চল সৃষ্টি হবে। তিব্বতের হিমবাহ ধীরে ধীরে উধাও হয়ে গেলে বাংলাদেশ ও ভারতসহ এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পানির সরবরাহ মারাত্মক হারে কমে যাবে।
বাংলাদেশে ও ভারতের ব্রহ্মপুত্র বা যমুনা, চীনের ইয়েলো ও ইয়াংসি নদী, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মেকং ও সালউইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর পানির সরবরাহ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
চীনা গবেষকদের খুঁটিনাটি কিছু হিসেব পরিস্থিতির ভয়াবহতা স্পষ্ট করে দিচ্ছে। মে মাসের হিসেব অনুযায়ী গত ৩০ বছরে তিব্বতের হিমবাহ প্রায় ১৫ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে৷ অর্থাৎ প্রায় ৮,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা থেকে হিমবাহ উধাও হয়ে গেছে।
এখন প্রশ্ন হলো, এমন প্রবণতা বন্ধ করা হয়ত আর সম্ভব না হলেও এর গতি কি কমানো সম্ভব? কারণ এমন অস্বাভাবিক মাত্রায় জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মানুষের কার্যকলাপ দায়ী।
বিজ্ঞানীরা সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর প্রতি ঠিক সেই আবেদনই জানিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে চীন ও ভারতের মতো দেশ উল্টো পথে হাঁটছে। চীনের সরকার তিব্বত অঞ্চলেই একের পর এক জলবায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২০২০ সালে আরও বড় আকারের বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার কথা।
জীবাশ্ম-ভিত্তিক জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে চীন গত কয়েক দশক ধরে জলবিদ্যুতের ওপর বিশেষ জোর দিয়ে আসছে। ভারতও ব্রহ্মপুত্র নদে বেশ কয়েকটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। এই মর্মে প্রায় ১০০টি প্রস্তাব পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে।
আরটিএনএন