Friday, August 15, 2014

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ-ভারতসহ এশিয়ার অনেক দেশেই পানির সংকট দেখা দিতে পারে।

জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে তিব্বতে হিমবাহের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে চলছে। ফলে বাংলাদেশ-ভারতসহ এশিয়ার অনেক দেশেই পানির সংকট দেখা দিতে পারে। বড় নদ-নদীতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প ও বাঁধ নির্মাণ বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলছে।

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন যে বেড়ে চলেছে, তা জানার জন্য আর বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রয়োজন হচ্ছে না। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ প্রতি বছর তা অল্প অল্প করে অনুভব করছেন। তবে এর সামগ্রিক প্রবণতা ও প্রভাব সম্পর্কে এখনো অনেক কিছু জানা বাকি রয়েছে।

চীনের এক গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবার এমনই এক চাঞ্চল্যকর প্রবণতার খবর প্রকাশ করেছে। চীনা বিজ্ঞান অ্যাকাডেমির ‘ইনস্টটিটিউট অফ টিবেটান প্ল্যাটো রিসার্চ’-এর সূত্র অনুযায়ী, তিব্বতের মালভূমির হিমবাহের তাপমাত্রা গত ৫০ বছরে আশঙ্কাজনক মাত্রায় বেড়ে গেছে– যা গোটা বিশ্বের গড় হারের প্রায় দ্বিগুণ! গত দুই হাজার বছরে এমন অঘটন দেখা যায়নি।
এই প্রবণতা চালু থাকলে বরফ আরো দ্রুত গলে যাবে, সেই জায়গায় মরু অঞ্চল সৃষ্টি হবে। তিব্বতের হিমবাহ ধীরে ধীরে উধাও হয়ে গেলে বাংলাদেশ ও ভারতসহ এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পানির সরবরাহ মারাত্মক হারে কমে যাবে।

বাংলাদেশে ও ভারতের ব্রহ্মপুত্র বা যমুনা, চীনের ইয়েলো ও ইয়াংসি নদী, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মেকং ও সালউইনের মতো গুরুত্বপূর্ণ নদ-নদীর পানির সরবরাহ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
চীনা গবেষকদের খুঁটিনাটি কিছু হিসেব পরিস্থিতির ভয়াবহতা স্পষ্ট করে দিচ্ছে। মে মাসের হিসেব অনুযায়ী গত ৩০ বছরে তিব্বতের হিমবাহ প্রায় ১৫ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে৷ অর্থাৎ প্রায় ৮,০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা থেকে হিমবাহ উধাও হয়ে গেছে।

এখন প্রশ্ন হলো, এমন প্রবণতা বন্ধ করা হয়ত আর সম্ভব না হলেও এর গতি কি কমানো সম্ভব? কারণ এমন অস্বাভাবিক মাত্রায় জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মানুষের কার্যকলাপ দায়ী।
বিজ্ঞানীরা সংশ্লিষ্ট সরকারগুলোর প্রতি ঠিক সেই আবেদনই জানিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে চীন ও ভারতের মতো দেশ উল্টো পথে হাঁটছে। চীনের সরকার তিব্বত অঞ্চলেই একের পর এক জলবায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২০২০ সালে আরও বড় আকারের বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার কথা।

জীবাশ্ম-ভিত্তিক জ্বালানির উপর নির্ভরতা কমাতে চীন গত কয়েক দশক ধরে জলবিদ্যুতের ওপর বিশেষ জোর দিয়ে আসছে। ভারতও ব্রহ্মপুত্র নদে বেশ কয়েকটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। এই মর্মে প্রায় ১০০টি প্রস্তাব পরীক্ষা করা হচ্ছে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে।
আরটিএনএন

কমলাপুর স্টেশনে ৭০০ ইয়াবাসহ নারী আটক

কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সাতশ ইয়াবাসহ এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রাম মেইল ট্রেন থেকে নামার পর তাকে আটক করা হয়।

কমলাপুর রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদ পাওয়ার পর তাকে শৌচাগারে নিয়ে নারী পুলিশ দিয়ে তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিতে তার গোপনাঙ্গের ভেতরে একটি কনডমে সাতশ ইয়াবা পাওয়া গেছে। এটি স্কচটেপ দিয়ে বিশেষভাবে আটকানো ছিলো।

আটককৃত নারী (২৮) চট্টগ্রামে একটি পোশাক কারখানায় চাকরে করেন বলে জানা গেছে। তার এক সহকর্মী ইয়াবা ট্যাবলেট বহন করে কমলাপুর এনে এক ব্যক্তিকে দিতে বলেন।

আজ শুক্রবার আকটকৃত নারীকে কমলাপুর রেলওয়ে থানায় মামলা করার পর আদালতে হাজির করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়া হয়।
নয়া দিগন্ত অনলাইন

Tuesday, August 12, 2014

প্রাণঘাতী ইবোলা সম্পর্কে জেনে নিন

পশ্চিম আফ্রিকায় মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে ইবোলা ভাইরাস। ইতোমধ্যে বহু লোক মারা গেছেন ইবোলা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। শুধু আফ্রিকাবাসীই নন, বিশ্বব্যাপী ইবোলা ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

ইবোলা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। পশ্চিম আফ্রিকায় বিভিন্ন শান্তি মিশনে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর সদস্যরাসহ বিভিন্ন বাহিনীর শান্তিরক্ষীরা কর্মরত রয়েছেন। যাদের মাধ্যমে বংলাদেশেও চলে আসতে পারে এই ভাইরাস।

প্রাণঘাতী ইবোলা ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশেও সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যেই ৯০ দিনের বিশেষ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের সব আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, স্থল ও নৌবন্দরে চিকিৎসক দল ভাইরাস আক্রান্ত মানুষদের শনাক্তে কাজ করবে।

এছাড়াও চিকিৎসক দলের কার্যক্রম সমন্বয় ও তদারকি করবে স্বাস্থ্য সচিবের নেতৃত্বে গঠিত অ্যাকশন কমিটি। এ দলে স্বাস্থ্য অধিদফতর, আইইডিসিআর, ইমিগ্রেশনসহ সংশ্লিষ্ট দফতরের প্রতিনিধি থাকবেন বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

তবে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস যেন বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেজন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জনসচেতনতা। এ কারণে বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য ইবোলা ভাইরাস সংক্রান্ত কিছু জরুরি তথ্য তুলে দেওয়া হলো।

ইবোলা কী?
ইবোলা ভাইরাস আগে রক্তপ্রদাহজনিত জ্বর [Ebola hemorrhagic fever (EHF)] হিসেবেই সমধিক পরিচিত ছিল। ইবোলা মূলত একটি আরএনএ ভাইরাস। যেটির নামকরণ করা হয়েছে কঙ্গোর ইবোলা নদীর নাম থেকে। ইবোলা ভাইরাস গোত্রের ৫টির মধ্যে ৩টি প্রজাতি মানুষের শরীরে সংক্রমিত হয়ে গুরুতর অসুস্থ করার ক্ষমতা রাখে! বাকি ২টি মানুষের জন্য তেমন ক্ষতিকর নয়। এদের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হচ্ছে জাইরে (Zaire) ইবোলা ভাইরাস (জাইরে হলো একটি জায়গার নাম যেখানে সর্বপ্রথম এই ভাইরাসে কোনো মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলো)। প্রথমবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর হার ছিল শতকরা ৯০ শতাংশ! ভয়াবহ এই ভাইরাসটি মানবদেহে রক্তপাত ঘটায়। লিভার, কিডনিকে অকেজো করে দেয়, রক্তচাপ কমিয়ে দেয়, হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন কমিয়ে দেয় এবং শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যাহত করে।
ebola_bg
ইবোলা ভাইরাস মানবদেহে প্রবেশের পর কয়েকদিন থেকে প্রায় ৩ সপ্তাহ কোনো লক্ষণ প্রকাশ না করেই অবস্থান করতে পারে। অর্থাৎ এর লক্ষণসমূহ পরিলক্ষিত হওয়ার জন্য সর্বোচ্চ ২১দিন লাগতে পারে। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি এই রোগ নিয়ে চলে যেতে পারেন এক দেশ থেকে অন্য দেশে। আর সেখানে ছড়িয়ে দিতে পারেন নিজের অজান্তেই।

ইবোলার লক্ষণ
ইবোলা আক্রান্ত ব্যক্তি প্রথমে নিরীহ ফ্লু’র মতো হালকা জ্বর, মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা অনুভব করে। কিছুদিন পর তীব্র মাথা ব্যথা, জ্বর, শরীর ব্যথা, ত্বকে দানা দানা উঠা, মুখে ঘা, ডায়রিয়া এবং মারাত্মক বমি শুরু হতে পারে। চূড়ান্ত পর্যায়ে শরীরের ভিতরে বাইরে রক্তপাত শুরু হতে পারে। এই ভাইরাসটি আক্রান্ত ব্যক্তির লিভার, কিডনি, হৃদপিন্ড অকেজো করে দেয়, যার ফলে রোগীর মৃত্যু ঘটে।

এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলো সাধারণ ফ্লু’র মতোই। সর্দি কাশি, মাথা ব্যথা, বমি, ডায়েরিয়া এবং জ্বর এই রোগের প্রাথমিক উপসর্গ। তাই কারো উপরোক্ত কোনো উপসর্গ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে! রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হবে যে এটা ম্যালেরিয়া, হ্যাপাটাইটিস, কলেরা বা অন্য কোনো রোগের জীবাণুর কারণে হচ্ছে কিনা!

কিভাবে ছড়ায়?
বলা হয়ে থাকে বাদুরের খাওয়া ফল থেকেই ইবোলা ভাইরাস মানুষের দেহে প্রথম প্রবেশ করে এবং পরবর্তীতে তা মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে শুরু করে। ইবোলা আক্রান্ত মানুষের দেহরস অপর কোনো মানুষের দেহের স্পর্শে আসলে সেই ব্যক্তিও আক্রান্ত হতে পারেন। এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যুর পরও ভাইরাসটি বেশ কয়েকদিন টিকে থাকে।

আশার কথা হলো, রোগটি ফ্লু ও অন্যান্য বায়ুবাহিত রোগের মতো ছড়ায় না, আক্রান্ত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে না আসলে এই রোগে সংক্রমিত হবার ভয় নেই।

চিকিৎসা
রিহাইড্রেশন এবং হালকা বেদনানাশক দিয়ে করা হচ্ছে ইবোলা আক্রান্তের চিকিৎসা। খুব একটা কার্যকরী কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। নেই কোনো প্রতিষেধক টিকাও। তথ্য মতে এই রোগে মৃত্যুর হার ৫০%-৯০%।

সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে এই রোগের লক্ষণগুলো অন্য আরও অনেকগুলো রোগের লক্ষণের সাথে মিলে যায়! ফলে রোগ শনাক্ত করতে সময় লেগে যায়!

তাই সঠিক রোগ শনাক্ত করা এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেয়াটাও অনেক বড় একটা চ্যালেঞ্জ! তবে যদি রোগ দ্রুত সময়ের মধ্যে শনাক্ত করা যায় এবং সঠিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া যায় তাহলে রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়!

** ইবোলা ভাইরাস ঠেকাতে বন্দরে বন্দরে প্রতিরোধ


Saturday, August 9, 2014

সাংবাদিকদের 'খবিশ', 'চরিত্রহীন' ও 'লম্পট' বললেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী

আদিবাসী দিবস উপলক্ষে সিলেটে একটি আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের 'খবিশ' 'চরিত্রহীন' 'লম্পট' মন্তব্য করেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী। এ ছাড়া তিনি নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তিনি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করেন এবং অকথ্য ভাষা ব্যবহার করেন।
বিকেলে নগরের সুরমা পয়েন্টস্থ জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তিনি ছিলেন সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন। মঞ্চে ওঠেই তিনি মাইক নিয়ে সাংবাদিকদের অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগের নির্দেশ দেন। কিন্তু পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাংবাদিকরা সেখানে থেকে গেলে সমাজকল্যাণমন্ত্রী সেখানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের নানাভাবে ভর্ৎসনা করেন। সিলেট বিভাগীয় আদিবাসী উদযাপন কমিটির এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
একপর্যায়ে তিনি 'খবিশ' ও 'চরিত্রহীন' বলে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করলে উপস্থিত সাংবাদিকরা অনুষ্ঠান বয়কট করেন। এ সময় মিলনায়তনে হট্টগোল শুরু হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে মন্ত্রী বক্তৃতা শেষ করতে গিয়েও সাংবাদিকবিহীন মিলনায়তনে আবারও সাংবাদিকদের আক্রমণ করে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে সিলেটের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সাংসদ শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ বিশেষ অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথিদের বক্তৃতা পর্ব শেষে ৬টার দিকে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বক্তৃতা শুরু করেন। বিষয় বস্তু আদিবাসী নিয়ে হলেও প্রায় ৪০ মিনিট বক্তৃতায় তিনি ঘুরে ফিরে সাংবাদিকদের নানা রকম অশ্লীল শব্দ প্রয়োগে আক্রমণাত্মক বক্তৃতা দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বক্তৃতা দেওয়ার জন্য তাঁকে আহ্বান করা মাত্র তিনি মাইক্রোফোনের সামনে এসে সাংবাদিকদের সরে যেতে বলেন। এ সময় তিনি 'সর সর...' বলেন। একপর্যায়ে 'তোমাদের মুখ দেখতে আসি নাই...' বলে সাংবাদিকদের মাইক্রোফোনের সামনে থেকে ক্যামেরা নিয়ে চলে যেতে বলেন।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন- 'সাংবাদিকদের ঠিক করতে নীতিমালা হয়েছে। ওই দিন কেবিনেট মিটিংয়ে আমি থাকলে সাংবাদিকদের .... (অকথ্য শব্দ) দিয়ে বাঁশ ঢুকাতাম। সাংবাদিকদের এখন এমনভাবে ঠিক করা হবে যাতে নিজের স্ত্রীকে পাশে নিয়েও শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না। সাংবাদিকরা বদমাইশ, চরিত্রহীন, লম্পট।'
মন্ত্রিত্বর পরোয়া করেন না এমন দম্ভোক্তি করে মহসিন আলী বলেন 'মন্ত্রিত্ব থাকলেই কী, আর না থাকলে কী? জনগণ আমাকে ভালোবাসে, আমিও জনগণের ভালোবাসা নিয়ে বাঁচতে চাই।'
সাংবাদিকরা অল্পশিক্ষিত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন 'আমার মেয়ে সাংবাদিকতায় মাস্টার্স। আর যারা পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে লেখালেখি করে তারা দু-এক কলম পড়ালেখা করেছে। আমি বলি একটা, তারা লিখে আরেকটা। দুই টাকা খেয়ে তারা আমার ... (অকথ্য শব্দ) দিয়ে বাঁশ ঢুকাতে চায়। আমার শ্বশুরবাড়ি সিলেটে। সাংবাদিকদের পেছনে সিলেটের মানুষ লেলিয়ে দিতে আমার সময় লাগবে না। সাংবাদিকরা আমার ... (অকথ্য শব্দ) ছিঁড়তে পারবে না।'
মন্ত্রী বক্তৃতার একপর্যায়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রতি অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করে 'খবিশ' ও 'চরিত্রহীন' বলে ভর্ৎসনা করেন। তিনি বলেন, 'এরা সবটা খবিশ, চরিত্রহীন! স্বাধীন কমিশন হলে পরে দেখ নেব- তোমরা (সাংবাদিকরা) কতটুকু যেতে পার!'
সমাজকল্যাণমন্ত্রী যখন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিচ্ছিলেন, পেছনে অনেকটা বিব্রত ভাব নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মন্ত্রীর এপিএস সাইফুল ইসলাম খান। অনুষ্ঠান শেষে জানতে চাইলে মন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'মন্ত্রীর বক্তৃতাকে বিকৃত করে এর আগে কয়েকটি পত্রিকা রিপোর্ট করায় মন্ত্রী ক্ষুব্ধ ছিলেন। সাংবাদিকরা সামনে এটা দেখে সেই ক্ষোভে মন্ত্রী কিছু কথা বলে ফেলেছেন। বিষয়টি আসলেই দুঃখজনক!'
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার সরকারের এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, দেশে কোনো আধিবাসী নেই। যে আলোচনা সভা, টকশো কিংবা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে 'আধিবাসী' শব্দ ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু সরকারের একজন মন্ত্রী হয়ে মহসীন আলী 'আধিবাসী' অনুষ্ঠানে গিয়ে সাংবাদিকদের ভর্ৎসনা করলেন।

Friday, August 8, 2014

যে কারণে ভেঙে গেল হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি


৮ আগস্ট (রেডিও তেহরান): মিশরের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিন ও ইহুদিবাদী ইসরাইলের মধ্যকার পরোক্ষ আলোচনা কোনো সফলতা ছাড়াই শেষ হয়েছে। ইসরাইল যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে আগ্রহী ছিল কিন্তু হামাসের প্রতিনিধিরা শর্ত না মানলে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে রাজি হন নি।



ইসরাইলের অবস্থানে আপাতত মনে হচ্ছে তারা আন্তরিকভাবে যুদ্ধবিরতি চেয়েছে কিন্তু আসল ঘটনা সম্পূর্ণ ভিন্ন।



হামাস যুদ্ধ বিরতির জন্য তিনটি প্রধান শর্ত দিয়েছিল। সেগুলো হচ্ছে- গাজার ওপর থেকে সাত বছরের অবরোধ সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করতে হবে, ইসরাইলের কারাগারে বন্দী ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিতে হবে এবং গাজার ওপর আগামী ১০ বছর কোনো হামলা করা যাবে না। এর সঙ্গে হামাসের দাবি ছিল গাজার বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর চালু করার সুযোগ দিতে হবে। কিন্তু এর একটি দাবিও মানে নি ইসরাইল। সে কারণে হামাসের পক্ষে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যাওয়া সম্ভব হয় নি। ফলে শুক্রবার সকাল ৮টার পরপরই পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আবার রকেট হামলা শুরু করে হামাস। ইসরাইলও বিমান ও ট্যাংক হামলা শুরু করেছে।



হামাসের দাবির যৌক্তিকতা ছিল যৌক্তিক ও সার্বজনীন। কারণ এখনই যদি ইসরাইল গাজার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার না করে তাহলে ভবিষ্যতেও করবে না। আর অবরোধ প্রত্যাহার না হলে গাজার জনজীবনকে স্বাভাবিক করা অসম্ভব। সমুদ্রবন্দর এবং বিমানবন্দরও চালু করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে, সমুদ্রে তেল-গ্যাস ও মৎস্য সম্পদ আহরণের মতো কার্যক্রমও চালানো যাবে না। সে ক্ষেত্রে হামাসের সামনে তাদের দাবি মানার কোনো বিকল্প নেই। অবরোধ তুলে নেয়ার বিষয়ে হামাসের দাবিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও সমর্থন করেছেন।



অন্যদিকে, ইসরাইল অযৌক্তিক শর্ত দিয়েছে যে, হামাসকে নিরস্ত্র করতে হবে। এখানে প্রশ্ন উঠেছে, যে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ করছে সেই হামাসকে নিরস্ত্র করার দাবি কতটা যৌক্তিক। মূলত হামাসের যৌক্তিক দাবি না মানা এবং ইসরাইলের অযৌক্তিক দাবি আদায়ে অনড় অবস্থান গ্রহণের কারণেই যুদ্ধবিরতি ভেঙে গেছে। নতুন করে গাজার ওপর বিমান হামলার মাধ্যমে তাদের সফলতার দাবিও প্রশ্নের মুখে পড়েছে।#



রেডিও তেহরান/এসআই/৮

Monday, July 14, 2014

দক্ষিণ তালপট্টি মজুদ রয়েছে ১০০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি মামলায় বাংলাদেশের বিজয় হয়েছে বলে দাবি করে আসছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। তাদের যুক্তি, মোট ২৫ হাজার ৬০২ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারতের সঙ্গে বিরোধ ছিল। রায়ে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকার অধিকার পেয়েছে বাংলাদেশ। আর ভারত পেয়েছে ৬ হাজার ১৩৫ বর্গ কিলোমিটার।
কিন্তু বিস্ময়কর তথ্য হলো, ভারতের পাওয়া এই ৬ হাজার বর্গকিলোমিটারের মধ্যেই পড়েছে দক্ষিণ তালপট্টি। যেখানে মজুদ রয়েছে ১০০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। কিন্তু বাংলাদেশের পাওয়া অংশে কী পরিমাণ খনিজ সম্পদ রয়েছে তা নিয়ে এখনো কিছুই জানা যায়নি।
সমুদ্রসীমার রায়ের পর ভারতের গণমাধ্যমগুলো বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো তৎপরতা না দেখালেও এখন মুখ খুলতে শুরু করেছে। তারা যথারীতি ব্যাপক বিশ্লেষণ করা হচ্ছে সমুদ্রসীমার রায় নিয়ে। ভারতীয় অনলাইন ভিত্তিক পত্রিকা ফাস্ট পোস্ট ডটকম প্রথমবারের মতো এই রায় নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চালায় এবং রায়ের প্রতিফলন নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে।
রায়ের বিষয়ে ফাস্ট পোস্টের পরামর্শক এডিটর এবং কৌশলগত বিশ্লেষক রাজিব শর্মা বলেন, রায়ে দীর্ঘ দিনের একটি ইস্যুতে ভারতের পক্ষে একটি সমাধান করা সম্ভব হলো। রায়ের ফলে নিউ মুর আইল্যান্ডে ভারতের আসল স্বত্ত্বাধিকারের বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালত বুঝেই এই রায় দিয়েছেন। এই রায়ের ফলে হাড়িয়াভাঙ্গা নদীতে ভারতে প্রবেশাধিকারও নিশ্চিত করা হয়েছে।

হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনা ও মুখের জায়গাটি ভারতের কাছে বিভিন্ন কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নদীর বিতর্কিত অংশে যদি ভারতের দাবি নিশ্চিত করা হয় তবে আগামীর দশকগুলোতে ভারতে অনেক লাভবান হবে। এর আগে ২০০৬ সালে হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায় দক্ষিণ মুখের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে গবেষণা চালিয়ে ভারত সরকার জানতে পারে যে এই অঞ্চলে প্রায় একশ’ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদ রয়েছে। যেটি অন্ধ্র প্রদেশের কৃষ্ণা-গোদাবারি মোহনায় মজুদ সম্পদের চেয়েও দ্বিগুণ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে নিউমুর আইল্যান্ড প্রাকৃতিক তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল এক সম্ভার। যার কারণে এই দ্বীপের মালিকানা নিয়ে প্রতিবেশি দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে সাময়িক উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এছাড়া হাড়িয়াভাঙ্গা নদী যেটি পশ্চিম বাংলার সুন্দরবনের কোল ধরে বয়ে বেড়ায় সেই নদীতে প্রচুর পরিমাণ হাইড্রো কার্বন রয়েছে যেটি শুধুমাত্র অন্ধ্র প্রদেশের কৃষ্ণা-গোদাবারি নদীর মোহনায় পাওয়া যায়। পাশাপাশি এই রায়ে উভয় দেশের জেলেদের জন্য বিশাল এক সমুদ্রসীমা ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হয়ে গেল।
সূত্র : ফাস্ট পোস্ট ডটকম।

Friday, July 11, 2014

বাংলাদেশিদের রোহিঙ্গা বিবাহে নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশিদের জন্য রোহিঙ্গা বিবাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকারের আইন মন্ত্রণালয়। এ আদেশ জারি করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন না৷ এ ধরনের বিয়ে অবৈধ৷ এমন ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে৷

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, আদেশ অনুযায়ী এখন থেকে যদি কোনো কাজি রোহিঙ্গাদের বিবাহ নিবন্ধন করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিবাহ নিবন্ধন হলেও সেটি অবৈধ হবে।

তিনি আরো বলেন, কাজি ছাড়াও যারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন, তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে। তবে শাস্তির পরিমাণ এখনো নির্দিষ্ট করা হয়নি আদেশে। এছাড়া এই আদেশ জারির আগে কোনো বিয়ে হয়ে থাকলে সে ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা তা স্পষ্ট করেননি আইনমন্ত্রী।

চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসকদের এ বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার আদেশ জারির আগে আইন মন্ত্রণালয়ে এ বিষয় জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী। তারাই এ ধরনের বিবাহ বন্ধের প্রস্তাব করেন। রোহিঙ্গারা বিয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশিদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন বলে জানান জেলা প্রশাসকরা। এছাড়া আত্মীয়তার সূত্র ধরে ভোটার তালিকায় নামও ওঠাচ্ছে তারা। যা একটি জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।

এদিকে, বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা বিবাহ নিষিদ্ধে আইন মন্ত্রণালয়ের আদেশকে মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।

ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, কোনো আইনেই কোনো জাতি, গোষ্ঠী, বর্ণ, গোত্রের বা কোনো দেশের নাগরিকের সঙ্গে বিবাহ নিষিদ্ধ করা যায় না। তাই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা কোনো কাজেও আসবে না।

তিনি মনে করেন, আইন করে বিবাহ, ভালোবাসা বন্ধ করা যায় না। যারা করবেন, তারা ঠিকই উপায় বের করবেন। তারচেয়ে বাংলাদেশ সরকারের উচিত রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের সঙ্গে কার্যকর আলোচনা চালিয়ে যাওয়া। নতুবা বিবাহ নিষিদ্ধ করায় বাংলাদেশের ইমেজ আন্তর্জাতিক মহলে ক্ষুণ্ন হবে। তাই শরণার্থী হিসেবে তাদের সহযোগিতা করা উচিত।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এখন মিয়ানমারের নিবন্ধিত ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী আছেন৷ তবে অনিবন্ধিত শরণার্থীর সংখ্যা আট লাখ বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।
সূত্র: ডি ডব্লিউ

শীর্ষ নিউজ ডটকম - See more at: http://www.sheershanews.com

ফিলিস্তিনের জন্য আমরা ব্যক্তিগত ভাবে যা করতে পারি তা হলো ইসরাইলের প্রোডাক্ট বয়কট।

হে বাংলার মুসলিম আমাদের সাধ্য নেই ফিলিস্তিন গিয়ে অস্ত্র হাতে নিয়ে ইসরাঈলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার। ফিলিস্তিনের জন্য আমরা ব্যক্তিগত ভাবে যা করতে পারি তা হলো ইসরাইলের প্রোডাক্ট বয়কট। কিছু পরিচিত ইসরাইলি প্রোডাক্ট : Pepsi ,Coca Cola,7up, KitKat, Lo real, Kodak Gillette Nike Intel Disney,এছাড়া Nestle এর সকল পণ্যঃ Nescafe,Maggi Noodles, Nedo, Nesta ইত্যাদি৷

ঈদ ও রোজাকে সামনে রেখে Nestle,Maggi Noodles ইত্যাদির ব্যবহার হয়তো হাজার গুন বেড়ে যাচ্ছে৷মনে রাখা উচিত এই পণ্যগুলোই ইসরাইলের অর্থনীতির প্রধান উৎস৷তাই আমরা অন্য ব্রান্ড এর পণ্য ক্রয় করি,পরিবারকে কট্টর ভাবে এসব কিনতে নিষেধ করি৷ ইসরাইলি পণ্য চেনার সহজ উপায় পিছনের লোগো৷ইসরাইলি পণ্যের ১ম তিন ডিজিট 729.যেমন নুডুলসের পিছনে 7293453459070 লেখা থাকলে ইসরাইলি নুডুলস৷এগুলো খাওয়া আর ফিলিস্তিন ভাই বোনদের রক্ত খাওয়া সমান !

তাই এতটুকু আশা রাখতেই পারি যে কয়জন এই পোস্টটা দেখছি তারা আর জীবনেও এসব পণ্য ছুবোনা৷ আর যদি এমন হয় যে এমতবস্হায় এগুলো ব্যবহার করতেই হবে তখন তবে ঘৃণা আর তাচ্ছিল্যের সাথে।

হিটলার একদিন মজা করে বলেছিল..

হিটলার একদিন মজা করে বলেছিল..

" আমি চাইলে সব ইহুদীদের হত্যা করতে পারতাম,,কিন্তু কিছু ইহুদী বাচিয়ে রেখেছি,,এই জন্যে যে, যাতে পৃথিবীর মানুষ বুঝতে পারে, আমি কেন ইহুদী হত্যায় মেতেছিলাম"

মুলত হিটলার এর পর ইহুদি আর কারো শাষন পায়নাই। আসুন দেখি কাদের হাতে এই ইহুদি দের মূল শিকড় উপড়ানো হবে মহান আল্লাহ এর ইচ্ছায়।

ফিলিস্তিন আবারও রক্তাত্ত, কিন্তু এই রক্তের বদলা কে নিবে? কিভাবে সম্ভব ফিলিস্তিন মুক্ত করা? কে বা কারা মুক্ত করবে ফিলিস্তিন? হামাস? নাকি স্বঘোষিত খলিফাহ বাগদাদি? নাকি জাতিসংঘের শান্তি চুক্তি?

আছে কি এই প্রশ্নের উত্তর আপনাদের কাছে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে আধুনিকতার সকল জৌলুস মুক্ত হয়ে আমাদের সকলের প্রিয় রাসুলুল্লাহর(সাঃ)হাদীসের দিকে।

উনি আজ থেকে প্রায় চৌদ্দশত বছর আগেই এ ব্যাপারে ভবিষ্যৎ বানী করেছেন যে কে ফিলিস্তিন মুক্ত করবে? কোন বাহিনীর তরবারিই পারবে ইহুদীদের কচুকাটা করতে? যেদিন ইহুদীরা জীবন বাঁচাতে গাছের পেছনে আশ্রয় নিবে, যেদিন ইহুদীরা জীবন বাঁচাতে পাথরের পেছনে আশ্রয় নিবে।কিন্তু সেদিন গাছ ও পাথর তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাবে এবং বলবে, হে মুসলিম!এসো! আমার পেছনে একজন ইহুদি লুকিয়ে আছে, ওকে হত্যা কর! কোন সেই সৌভাগ্যবান মুজাহিদ বাহিনী?

রাসুল সাঃ বলেছেন, "খোরাসান থেকে কালো পতাকাবাহি একটি বাহিনী আসবে যাদেরকে কোন শক্তিই (সকল কুফফার রা জোট বাধলেও) পরাজিত করতে পারবে না যতক্ষন পর্যন্ত না তারা জেরুজালেমে পৌঁছায় (বিজয়ীর বেশে)"। খেয়াল করুণ জেরুজালেম ইহুদীদের দখলে আজ প্রায় ৬৬ বছর দজরে। অতএব রাসুল সাঃ এর ভবিষ্যতবাণীর বাস্তবায়ন হওয়ার সময়ও হয়ে এসেছে।

কোথায় সেই খোরাসান? কারা সেই কালো পতাকা বাহিনী? এই প্রশ্নের উত্তর আপনিই খুজে বের করুণ, আপনার বিবেক বুদ্ধি দিয়ে জানার চেষ্টা করুণ। কে বা কারা সেই কালো পতাকাবাহী বাহিনী।

অবশ্য এক্ষেত্র আমি আপনাদেরকে মোল্লা মুহাম্মদ উমর(হাঃ)ও তালিবান মুজাহিদ সম্পর্কে ডাঃ আয়মান আল জাওয়াহিরির'র (হাঃ) কিছু সাক্ষ্য উপস্থাপন করব। তিনি মোল্লা মুহাম্মদ উমর (হাঃ) সম্পর্কে ২০০৮ এর একটি অফিসিয়াল বার্তায় বলেন,

“জানতে চাও কেন আমরা (আল কায়দা) মোল্লা মুহাম্মদ উমরের কাছে বাইয়াহ দিয়েছি? আমরা অবশ্যই তাকে বাইয়াহ দিয়েছি আর হ্যা, আমরা তাকে বাইয়াহ দিতে পেরে নিজেদেরকে সম্মানিত বোধ করছি। ও দুনিয়ার মুসলিম! আমরা তোমাদেরকেও আহ্বান জানাই মুজাহিদদের এই সত্যবাদি আমীর মোল্লা মুহাম্মদ উমরের কাছে বাইয়াহ দেওয়ার জন্য।”

জানতে চাও, কেন আমরা তাকে (মুহাম্মদ উমর) বাইয়াহ দিয়েছিলাম? আমরা তাড়াহুড়া করে বা অধৈর্য হয়ে অথবা কোন রকম বিচার-বিবেচনা করা ছাড়া এরুপ (মোল্লা উমরকে বাইয়াহ দেয়া) করিনি।আমরা এমন একজন ব্যাক্তিকে বাইয়াহ দিয়েছিলাম যার সঙ্গে আমরা একত্রে বসবাস করেছি,যার সঙ্গে একত্রে চলেছি এবং যাকে আমরা বিভিন্নভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে তার সম্পর্কে আমাদের মূল্যায়ন হচ্ছে, যাদেরকে কারও সঙ্গে তুলনা করা যায় (নবী রাসুল) না তারা ব্যতীত ইসলামের ইতিহাসে অল্প যে সকল মুজাহিদ, মহৎ ও আল্লাহ্‌র উপর নির্ভরশীল ব্যাক্তি এসেছেন তিনি তাদেরই একজন।" আল্লাহু আকবর! আরও কিছু কথা বলার পরে উনি বলেন...

“আমরা সেই ব্যাক্তির কাছে বাইয়াহ দিয়েছি যিনি আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আফগানিস্থানের মুনাফিক মুক্ত করার পরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে জিহাদে অংশগ্রহণ করার এবং বায়তুল মুকাদ্দাস মুক্ত করার। আমরা সেই ব্যক্তিকে বাইয়াহ দিয়েছি যিনি আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইমাম বুখারির জন্মস্থান (উজবেকিস্থান) কমিউনিস্টদের কবল থেকে মুক্ত করার। (ইনশাল্লাহ)” (সম্পূর্ণ বক্তব্যের লিংক কমেন্টে)।

উনি শেষ পর্যন্ত বায়তুল মুকাদ্দাস মুক্ত পারবেন কি পারবেন না তা আল্লাহই ভাল জানেন। কিন্তু মোল্লাা মুহাম্মদ উমরের প্রতুশ্রুতি আর রাসুল সাঃ এর ভবিষ্যৎ বানীর মধ্যে আমি স্পষ্ট মিল দেখতে পাচ্ছি এবং এই মিল যে নিতান্তই কাকতালীয় কোন ঘটনা নয়, তাও অন্যান্য ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করলে আমাদের সামনে পরিষ্কার হয়ে যায়।

দেখুন আজ পর্যন্ত এই তালিবান এক দিনের জন্যও পরাজিত হয়নি। বিশেষ করে জর্জ বুশ ২০০১ সালে যখন তাদের সর্বোচ্চ শক্তি হাতে নিয়ে তালিবান ও আল কায়দার বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিল, তখন অনেকেই মনে করেছিল খেলা বোধহয় এখানেই খতম। মুনাফিকেরা তখন মায়া কান্না শুরু করল আগেই বলেছিলাম এত বাড়াবাড়ি ভাল না। কিন্তু আল্লাহ সুভহানা তায়ালও পরিকল্পনা করেন এবং শয়তানও পরিকল্পনা করে। কিন্তু নিশ্চয় শয়তানের পরিকল্পনা দুর্বল।

যাদের অন্তরে নেফাকি আছে তারা বলবে, আগে দেখি তারা জেরুজালেমে পৌছাতে পারে কিনা! যদি তারা জেরুজালেম মুক্ত করতে পারে তখন তাদেরকে বাইয়াহ দিব। ওহে মুনাফিকের দল! রাসুল সাঃ তোমাদের মত লোকদের জাহান্নামের সংবাদ দিয়েছেন। তোমরা তখন তওবা করলেও আল্লাহ্‌র কাছে সে তওবা কবুল হবে না কারণ তখন তওবার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে।

আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত, “তিনটি ঘটনা একদা ঘটার পরে আরও কোন কল্যাণ হবে না আল্লাহ কে বিশ্বাস করায় যদি না সে এতদিন আল্লাহকে বিশ্বাস করে থাকে... দাজ্জাল, দাব্বাহ (BEAST), সূর্যের পশ্চিম দিক থেকে অভ্যুদয়।” --তিরমিযী

তাই সকল মুসলিম ভাইয়ের প্রতি অনুরোধ আর দেরি না করে মোল্লা মুহাম্মদ উমরের প্রতি আপনার বাইয়াহ দিন। যদি সত্যই ফিলিস্তিনের মা বোনের কান্না আপনার হৃদয়ে আঘাত করে, যদি সত্যি আপনি চান যায়নিস্টদের অত্যাচার থেকে মুসলিম উম্মাহ কে রক্ষা করতে, তবে শরিক হোন কালো পতাকার ছায়া তলে।

আর যারা স্বঘোষিত খলিফার দিকে চেয়ে আছেন তাদের প্রতি আমার সুস্পষ্ট বার্তা। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি তোমাদের এই স্বঘোষিত খলিফাহ জেরুজালেমের একটা গারকাদ গাছও কাটতে পারবে না। যেই আল্লাহ্‌র হাতে আমার জীবন তার শপথ করে আমি বলছি রাসুল সাঃ এর একটি হাদিসও মিথ্যা হতে পারে না। জেরুজালেম খোরাসানি বাহিনীর দ্বারাই মুক্ত হবে, ইরাকি বা মিশরি বাহিনীর দ্বারা নয়। তোমরা যদি সত্যি বায়তুল মুকাদ্দাসের মিনারে কালো পতাকা দেখতে চাও তাহলে সময় নষ্ট না করে এখনই খোরাসানের বাহিনীকে বাইয়াহ দিয়ে দাও, মুখের একটি কথা দিয়ে হলেও সহযোগীতা কর। আর তোমাদের ইরাকি বাহিনীকেও খোরাসানের আমীর মুহাম্মদ উমর হাফিযুল্লাহ’র হাতে শাইখ ওসামার মত বাইয়াহ দিতে বল। মনে রেখ, সারা পৃথিবী থেকেই বরফের উপর হামাগুরি দিয়ে মুসলিমরা খোরাসানে যোগ দিবে কিন্তু যারা খোরাসানের বিরোধীতা করবে বা বাতিল বলবে (যেমনটা আদনানি বলেছে) তারা নিশ্চিত ধ্বংস হয়ে যাবে, কালো পতাকার হাদিসের সাথে এই গোষ্ঠীর কোনই সম্পর্ক নেই। হয়ত পথের মাঝে এরা ঘেউ ঘেউ করে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারবে, কিন্তু খোরাসানের কাফেলা শেষ পর্যন্ত জেরুজালেম মুক্ত করেই ছারবে ইনশাল্লাহ।

যারা রাসুল সাঃ হাদিস জানার পরেও জেরুজালেম মুক্ত কারি কালো পতাকাবাহী বাহিনীকে বাইয়াহ দিবে না অথচ জেরুজালেমের জন্য মায়াকান্না করবে তাদের অনিষ্ট থেকে আমি আল্লাহ'র কাছে আশ্রয় চাই।

[[ ISIS এর বিপক্ষে একটা পোষ্ট দেয়ায় অনেকেই ইনবক্স এ অনেক কিছু বলেছেন। তাদের জন্যে এই পোষ্ট। আমি একনিষ্ঠ ভাবে তালিবান সমর্থক। যারা এদের সাথে বিরুধি হবে। আমি ও তাঁর বিরুধি। সেটা ISIS হোক বা যে কেউ।]] ISIS এখনো সতন্ত্র আছে। সময় সব বলে দিবে।


Wednesday, July 9, 2014

http://dhakatimes.com.bd/2014/07/09/47033/mystery-of-sakib-ban/

ব্রাজিলের উপর জার্মানির প্রতিশোধের এক ম্যাচেই ৭ টি বিশ্ব রেকর্ড!

২০০২ সালের সেমিফানালে হারার প্রতিশোধ নিতেই যেন মাঠে নেমেছিল জার্মান ফুটবলার রা। ব্রাজিলকে ৭-১ গোলের ব্যাবধানে গুড়িয়ে দিয়ে ২০০২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে হারার শোধ তুলল তারা। আর প্রতিশোধের এই ম্যাচে মোট বিশ্ব রোকের্ড হয়েছে ৭ টি





১. সেমিফাইনালে সবচেয়ে বেশী গোলঃ

এই প্রথম কোনো সেমি ফাইনালে মোট ৮ টি গোল হয়েছে। এর আগে বিশ্বকাপ ইতিহাসে কোনো সেমিফাইনালে মোট ৭ টির বেশী গোল হয়নি। ১৯৩০সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা-যুক্তরাষ্ট্র ও একই বছরউরুগুয়ে-যুগোস্লাভিয়া ম্যাচেই সর্বোচ্চ সাত গোলের রেকর্ড ছিল হয়। এরপর ৫৮’রসেমিফাইনালে ব্রাজিল-ফ্রান্স এবং ৭০’র ইটালি-পশ্চিম জার্মানিরসেমিফাইনালেও সর্বাধিক সাত গোলের রেকর্ড ছিল।





২. বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশী গোল করার রেকর্ডঃ
ব্রাজিল বনাম জার্মানির এই ম্যাচে গোল করে বিশ্বকাপে সর্বাধিক গোল করার রেকর্ড করেন মিরোস্লাভ ক্লোজা। ১৬ টি গোল করে তিনি ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তী রোনাল্ডোর রেকর্ড ভাঙেন।

৩. সেমিতে এক দলের সবচেয়ে বেশী গোল হজমঃ

এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোনো সেমি ফাইনাল ম্যাচে এক দল ৭ গোল হজম করেনি। এইটিই ছিল বিশ্বকাপে সেমিতে এক দলের সবচাইতে বেশী গোল হজম করার রেকর্ড।

৪. বিশ্বকাপে কোনো দলের মোট গোলঃ

জার্মানি এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশী গোলের রেকর্ড। গড়ল। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ১৮ বার অংশ নিয়ে জার্মানি গোল করেছে ২২৩ টি। এরআগে, ২০ বিশ্বকাপে ১০৩ ম্যাচ খেলা ২২১ গোলের রেকর্ড ছিল এই ম্যাচেই পরাজিত ব্রাজিলের।




৫. ব্রাজিলের সবচাইতে বড় ব্যাবধানে হারঃ

এই ম্যাচে ৬ গোলের ব্যাবধানে হার ব্রাজিলের সবচাইতে বড় ব্যাবধানের হার।

৭. ৬ মিনিটে চার গোলঃ

এই ম্যাচে হয়েছে সবচাইতে কম সময়ে চার গোলের রেকর্ড। ২৩ থেকে ২৯ মিনিট, এই ৬ নিনিটে জার্মানরা ব্রাজিলের জালে ৪ গোল জড়িয়ে রেকর্ড করেন।

Tuesday, July 8, 2014

বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি মামলা রায়ে দুই দেশই বিজয়ী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি মামলায় উভয় দেশই বিজয়ী হয়েছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।

মঙ্গলবার দুপুর ২টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

সোমবার নেদারল্যান্ডের দ্য হেগ- এর সালিশি ট্রাইব্যুনাল (Arbitral Tribunal) বঙ্গোপসাগরে ২০০ নটিক্যাল মাইলের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২০০ নটিক্যাল মাইলের বাইরে মহীসোপান অঞ্চলে বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ ও সার্বভৌম অধিকার সুনিশ্চিত করে বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা নির্ধারণী মামলার রায় ঘোষণা করে।

ট্রাইব্যুনালের রায় পর্যালোচনাপূর্বক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ঘোষণা করেন ‘এই রায় উভয় রাষ্ট্রের বিজয় নিশ্চিত করেছে। এই বিজয় বন্ধুত্বের বিজয়। এই বিজয় বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের বিজয়। কেননা, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে এটি এমন একটি বিদ্যমান সমস্যা হিসেবে ছিল, যা উভয় রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল। আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে অবশেষে এর নিষ্পত্তি হলো।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইনগত প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিনের বিরাজমান এই সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে ভারতের সদিচ্ছাকে এবং ট্রাইব্যুনালের রায় মেনে নেওয়ার জন্য আমরা ভারত সরকারকে সাধুবাদ জানাই।’

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘দীর্ঘদিনের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কে বিরাজমান সমস্যা অবশেষে আন্তর্জাতিক সালিশি ট্রাইব্যুনালের রায় অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধান উভয় রাষ্ট্রকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং সমুদ্রবিষয়ক ক্ষেত্রে সমঝোতা ও সহযোগিতার সম্পর্কে এক নতুন দুয়ার খুলে দেবে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘এখন থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইলের বাইরে মহীসোপানে বাংলাদেশের অবাধ প্রবেশাধিকার সুরক্ষিত হলো। গভীর সাগরে মৎস্য আহরণ, সমুদ্রের তলদেশে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলনে বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ পুষ্টির উৎস, সম্পদ এবং কর্মসংস্থানের জন্য সমুদ্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত ও সমুদ্রের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। এই রায়ের স্বচ্ছতা ও আইনগত নিশ্চয়তার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের জনগণ গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করে লাভবান হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী টেকসই উন্নয়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বরেন, ‘এ রায়ের ফলে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ১,১৮,৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্রগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। ন্যায্যতা নিশ্চিত করার জন্য ট্রাইবুনাল বিরোধপূর্ণ আনুমানিক ২৫,৬০২ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্র এলাকার মধ্যে ১৯,৪৬৭ বর্গ কিলোমিটার  সমুদ্র এলাকা বাংলাদেশকে প্রদান করেছে।’

২০১৩ সালের ০৯ই ডিসেম্বরে দ্য হেগ এর পিস প্যালেসে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা নির্ধারণ মামলার মৌখিক শুনানিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে ছিলেন ডা. দীপু মণি, এজেন্ট, মো. শহিদুল হক, পররাষ্ট্র সচিব এবং রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম (অব.), সচিব, মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট (ডেপুটি এজেন্ট)।

বাংলাদেশের পক্ষে বৈদেশিক কৌসুলি হিসেবে ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পল রাইখলার এবং লরেন্স মার্টিন, যুক্তরাজ্যের প্রফেসর জেমস্ ক্রফোর্ড, ফিলিপ স্যান্ডস এন্ড এলান বয়েল এবং কানাডার প্রফেসর পায়াম আখাভান।

সালিশি ট্রাইব্যুনালে বিচারক হিসেবে ছিলেন, জার্মানির রুডিজার উলফ্রাম (প্রেসিডেন্ট), ফ্রান্সের জ্যাঁ-পীয়েরে কট, ঘানার টমাস এ. মেনশাহ, অস্ট্রেলিয়ার প্রফেসর আইভান শীয়ারার এবং ভারতের ড. প্রেমারাজু শ্রীনিবাসা রাও।

পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট  ট্রাইব্যুনাল রায় দেন, সমদূরবর্তী পদ্ধতিতে দুই দেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করা হলে বাংলাদেশের দাবি অনুযায়ী তা ন্যায্যতা নিশ্চিত করে না।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী রাষ্ট্রাধীন অঞ্চলে, একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে এবং মহীসোপানের সমুদ্র সীমানা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ সমুদ্র আইন কনভেনশন অনুযায়ী বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সালিশি ট্রাইব্যুনালে মিয়ানমার ও ভারত-এর অনুকূলে সালিশি নোটিশ দেয়।

২০১২ সালে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণী সংক্রান্ত একই ধরনের মামলার নিষ্পত্তি হয়। জার্মানির হামব্যুর্গে অবস্থিত International Tribunal for the Law of the Sea (ITLOS) এর ২১ সদস্যবিশিষ্ট বিচারক পর্ষদ মিয়ানমার প্রস্তাবিত ‘সমদূরত্ব’ পদ্ধতি প্রত্যাখ্যান করে ‘ন্যায্যতা’র ভিত্তিতে বাংলাদেশের অনুকূলে রায় দেয়। এতে করে বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে অমীমাংসিত ২০০ নটিক্যাল মাইলের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২০০ নটিক্যাল মাইলের বাইরে মহীসোপান অঞ্চলে ন্যায্য হিস্যা লাভ করে।

২০১৪ সালের সালিশি ট্রাইব্যুনালের রায় উভয় রাষ্ট্রের নিজ নিজ সমুদ্র সীমানা চিহ্নিত করে দিয়েছে, যার বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ নেই। এই রায়ের মাধ্যমে ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সম্পর্কিত বাংলাদেশের মামলার পরিসমাপ্তি ঘটলো।

শীর্ষ নিউজ ডটকম/বিজ্ঞপ্তি/এফইউ/একেএ
- See more at: http://www.sheershanews.com/2014/07/08/43808#sthash.mbPU810h.dpuf

দক্ষিণ তালপট্টি হারালো বাংলাদেশ

ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি মামলায় সাতক্ষীরার হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায় জেগে ওঠা দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ হারিয়েছে বাংলাদেশ।

দীর্ঘ ৪ বছর ৯ মাস আইনি লড়াইয়ের পর সোমবার নেদারল্যান্ডের হেগ-এ অবস্থিত আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে (পিসিএ) এ মামলার নিষ্পত্তি হয়।

আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের নিয়ম অনুযায়ী রায় হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর তা আনুষ্ঠানিকভাবে জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়। এ প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার দুপুর ২টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া রুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ রায় প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টমন্ত্রী এ এইচ এম মাহমুদ আলী।

তিনি বলেন, রায়ের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে এবং এর বাইরে মহীসোপান অঞ্চলে বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ ও সার্বভৌম অধিকার নিশ্চিত হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরোধপূর্ণ এলাকা ছিল প্রায় ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা বাংলাদেশ পেয়েছে।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের পর এবার ভারতের সঙ্গেও সমুদ্র বিরোধে জয়ী হলো বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিজয়ের কথা বললেও বাস্তব অবস্থা ভিন্ন। রায় অনুযায়ী, দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ হারিয়েছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে বাংলাদেশ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কোনো সুযোগ পাবে না।



Sunday, July 6, 2014

এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ফাউল করেছে ব্রাজিল, সবচেয়ে কম আর্জেন্টিনা

এখন পর্যন্ত পাঁচটি করে ম্যাচ খেলা দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফাউল করেছে স্বাগতিক ব্রাজিল। সবচেয়ে কম ফাউল করেছে আর্জেন্টিনা। ফিফার অফিসিয়াল ওয়েব সাইটেই মিলেছে এমন তথ্য।


এ থেকে বোঝা যায় ষষ্টবার বিশ্বকাপ জয়ের চাপ কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছে নেইমারদের খেলায়। সে কারণেই মাঠের খেলায় একটু হলেও বেশি ঝুঁকি নিয়ে ফেলছেন তারা। সবচেয়ে বেশিবার ফাউল করার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশিবার ফাউলের শিকারও হয়েছে তারাই।

শুধু ফাউল করাই নয়, সবচেয়ে বেশি হলুদ কার্ডও দেখেছে স্বাগতিক ব্রাজিল। এখানে তাদের সঙ্গে অবশ্য কোস্টারিকাও আছে।

ব্রাজিলের ফাউল সংখ্যা ৯৬টি, তারা হলুদ কার্ড দেখেছে ১০টি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কোস্টারিকার ফাউল ৯৪টি, হলুদ কার্ড ১০টি। তৃতীয় স্থানে আছে নেদারল্যান্ডস। ডাচরা প্রতিপক্ষকে ফাউল করেছে ৯১বার আর হলুদ কার্ড দেখেছে ৭বার।

ফিফার রেকর্ড অনুযায়ী ফাউল আর কার্ডের সংখ্যা

ফাউল করা ও হলুদ কার্ড দেখার তালিকায় চতুর্থ স্থানে কলম্বিয়া। তারা ৯১বার ফাউল করেছে আর হলুদ কার্ড দেখেছে পাঁচবার। পঞ্চম স্থানে বেলজিয়াম। কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে বাদ পড়া দলটি ফাউল করেছে ৮৬বার। তাদের হলুদ কার্ডের শাস্তি পেতে হয়েছে ৭ বার। ষষ্ট স্থানে ফ্রান্স। ৬২টি ফাউলের বিপরীতে তারা হলুদ কার্ড দেখেছে পাঁচবার। সপ্তম স্থানে জার্মানি। তারা ফাউল করেছে ৫৭বার, হলুদ কার্ড দেখেছে পাঁচবার।

অন্তত পাঁচটি ম্যাচ খেলা দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ফাউল করেছে আর্জেন্টিনা। মেসির দল প্রতিপক্ষকে অবৈধ আক্রমণ করেছে ৫৪বার। হলুদ কার্ড দেখেছে পাঁচবার।

খৃষ্টান মিশনারীদের দালালী ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে ষোযন্ত্রের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে জুতাবৃষ্টির পর রাঙ্গামাটিতে বাঙালী ছাত্রদের হামলার শিকার হলো বাংলাদেশের কুখ্যাত নাস্তিক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশনের (সিএইচটি) কো-চেয়ারপার্সন সুলতানা কামাল চক্রবর্তী সহ তার সহযোগীরা।

খৃষ্টান মিশনারীদের দালালী ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে ষোযন্ত্রের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে জুতাবৃষ্টির পর রাঙ্গামাটিতে বাঙালী ছাত্রদের হামলার শিকার হলো বাংলাদেশের কুখ্যাত নাস্তিক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক
আন্তর্জাতিক কমিশনের (সিএইচটি) কো-চেয়ারপার্সন সুলতানা কামাল চক্রবর্তী সহ তার সহযোগীরা।
এতে চার জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সিএইচটি কমিশনের সদস্যরা হলেন-
অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল,
খুশী কবির, ড.স্বপন আদনান, হানা শামস আহমেদ।
এদিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার
দিকে সিএইচটির গাড়ি বহর জেলা শহরের পর্যটন মোটেল থেকে বের হয়ে একশ গজ দূরে গেলেই এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- রাঙামাটি সদর কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ সোহেল (৪৭), পিআইডির ড. ইফতেখারুজ্জামান, কলামিস্ট ইলোরা দেওয়ান ও গাড়ি চালক। এতে চালকের নাম জানা যায়নি।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত
করে জানান, সিএইচটি কমিশনের ৫
সদস্যসহ আহতদের কড়া নিরাপত্তায়
প্রথমে রাঙামাটি কতোয়ালি থানায়
নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের চট্টগ্রাম
সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ সোহেল
বলেন, ‘অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এসময় সংঘর্ষে তিনিসহ চার জন আহত হয়েছেন।’
এর আগে সকালে ৫ সদস্যকে পর্যটন
মোটেলে অবরুদ্ধ করে রাখে বাঙালি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকাল সোয়া ১০টা থেকে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ কর্মীরা মোটেলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় নেতাকর্মীরা শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কগুলো অবরোধ করে রাখে।
এতে যান চলচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে শুক্রবার বাঙালি সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা ব্যাপক
বিক্ষোভের মুখে পার্বত্য খাগড়াছড়ি থেকে বের হয়ে জুতাবৃষ্টি অতিক্রম করে চট্টগ্রাম গিয়ে রাতের অন্ধকারে রাঙামাটি শহরে এসে পৌঁছায় সিএইচটি কমিশনের সদস্যরা। শুক্রবার
রাতে অনেকটা গোপনীয়ভাবেই পাহাড়ি এই শহরে প্রবেশ করেন তারা।
পরে রাতে চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তারা। কমিশন সদস্যগণ রাঙামাটি পর্যটন মোটেলে রাত যাপনের উদ্দেশ্যে চলে যান। রাঙামাটির পর্যটন কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসন সূত্র কমিশন সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পর্যটন মোটেলে অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, কমিশনের সদস্য অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল,
খুশী কবির, ড. স্বপন আদনান, হানা শামস আহমেদ সেখানে অবস্থান করছেন। এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম
কমিশনকে বিতর্কিত, পক্ষপাতদুষ্ট ও খৃষ্টান মিশনারীদের দালাল আখ্যা দিয়ে তাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে ৪ ও ৫ জুলাই রাঙামাটি জেলায় অবরোধের ডাক দিয়েছিলো ৬টি বাঙালিভিত্তিক সংগঠন। শুক্রবার সকাল থেকে অবরোধ শুরু হলেও দুপুরে কমিশন সদস্যরা খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভেরমুখে সফর বাতিল করে চট্টগ্রাম চলে গেছে জানিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় সংগঠনগুলো। কিন্তু এরই মধ্যে কমিশন সদস্যরা প্রশাসনের কাছে কোনো প্রকার তথ্য না দিয়েই অনেকটা গোপনেই রাঙামাটির
শহরে আসেন।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসনকে কোনো কিছু না জানিয়ে, গোপনে কমিশন সদস্যদের
রাঙামাটি আসার খবরে তোলপাড় ও
কৌতুহল সৃষ্ঠি হয়েছে সারা শহর জুড়ে।
রাতেই খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল
পর্যটন মোটেলে গেলেও সেখানে অবস্থান নেয়া কমিশন সদস্যরা ক্লান্তি ও শারীরিক দুর্বলতার কারণে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না জানা গেছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনু সোহেল ইমতিয়াজ জানিয়েছেন, তারা আমাদের কোনো কিছুই না জানিয়ে রাঙামাটিতে এসেছে এবং আমাদের কোনো নিরাপত্তা সহযোগিতাও চায়নি। তবুও নিজেদের দায়িত্বের অংশ হিসেবে আমি রাতেই পর্যটন মোটেলে গেছি, কিন্তু সেখানে তাদের সঙ্গে খুব একটা কথা বলার সুযোগ হয়নি।
উল্লেখ্য শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলে সংবাদ সম্মেলন
করাকালে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদকর্মীরা মোটেলের
সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু
করে। ৩০ মিনিটের মধ্যে খাগড়াছড়ি ত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে তাদের উপর জুতা নিক্ষেপপ করে বাঙ্গালী ছাত্ররা। দ্রুত খাগড়াছড়ি ছেড়ে চট্টগ্রামের দিকে রওনা দিয়ে দিক পরিবর্তন করে কৌশলে রাঙামাটি প্রবেশ করেন তারা।


Thursday, July 3, 2014

২০ মাইল দীর্ঘ ভয়ংকর ‘সর্প দ্বীপ’ ব্রাজিলে




টিবিটি আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ এক মাইল কিংবা দুই মাইল নয়, দীর্ঘ ২০ মাইল দীর্ঘ এক দ্বীপ। পুরোটা জুড়ে কেবল সাপ আর সাপ।

একটি দুটি নয়, চার হাজার সাপের বিশাল এক দল এই দীপে নিজেদের রাজ্য গড়ে তুলেছে। সেখানে মানুষ নেই, নেই বসতি। দ্বীপের একপাশ থেকে আরেক পাশ পর্যন্ত একই প্রজাতির সাপের বিচরণ। তাই দ্বীপের নামকরণ করা হয়েছে সাপের দ্বীপ। যদিও এই দ্বীপের কেতাবি নামও রয়েছে। ‘লা দ্য কুইমাদা গ্রানাদে’ নামে এটি প্রায় ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ। 


দ্বীপটি অবস্থিত আমাজন সংলগ্ন ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশে ব্রাজিলের সাও পাওলো সমুদ্র উপকূলে। সাও পাওলো উপকূলে সোনালী তীক্ষ্ম আকৃতির মাথা সদৃশ এই সাপের বসবাস। বোথরোপস ইনসুলারিস নামের এই সাপ কেবল এ অঞ্চলেই বাস করে। সাধারণ বিষধর সাপের চেয়ে প্রায় ৫ গুণ বিষধর এই সাপ পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপ হিসেবেও স্বীকৃত। এরা আকাশে উড়ন্ত পাখিকে ছো মেরে মুহূর্তে বিষের সাহায্যে নিস্তেজ করে উদরপূর্তি করে। এদের বিষ এতোই ভয়ানক যে মানুষের মাংসকে মুহূর্তে গলিয়ে ফেলতে পারে। রূপকথার মতো শোনালেও বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও বিষধর এই সাপের অস্তিত্ত্ব রক্ষায় ব্রাজিল সরকার তাই লা দ্য কুইমাদা গ্রানাদে দ্বীপে মানুষের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। 




যদিও অনেকেই এর আগেই বোকামি করে ওই এলাকায় গিয়েছেন। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন ফর নেচার কর্তৃক ভয়ানক বিপদজনক প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এই রাজ্যের বাসিন্দাদের। বোথরোপস ইনসুলারিস দেখতে উজ্জ্বল হলুদাভ ও বাদামী বর্ণের। এরা গড়ে ২৮ ইঞ্চি এবং সর্বোচ্চ ৪৬ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। মাথা তীক্ষ্ম আকৃতির বিধায় একে লানচিহেড ভাইপার নামেও ডাকা হয়। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যুর কারণ এই সাপ। জনমানবহীন নিজ রাজ্যে এরা সাধারণত পাখি খায়। তবে টিকিটিকিও এদের অন্যতম খাবার। এমনকি এরা অন্য সাপও ভক্ষণ করে। সাও পাওলোর সমুদ্র ঘেষা অপরূপ নৈসর্গিক এই দ্বীপের আকৃতি ৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন বর্গফুট। এটা পৃথিবীর একমাত্র জায়গা যেখানে এই প্রজাতির সাপ বাস করে।




সাপের এই রাজ্যে জনমানবের বাস না থাকলেও প্রতিবছর সাপের ওপর গবেষণা করতে কিছু বিজ্ঞানীকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে ব্রাজিলের নৌবাহিনী উপলক্ষ্য অনুযায়ী এ এলাকায় আসে। এ সময় তারা ১৯০৯ সালের আগে তৈরি  বাতিঘরের কাছে তাবু গাড়ে। তবে মনে করা হয় সাপের বিষময় রাজ্যেও নিয়মিত বণ্যপ্রাণী শিকারীদের আগমন ঘটে। তারা জানিয়েছে, লিচেনহেডের বিষ মহামূল্যবান। কালো বাজারে এর দাম প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার পাউন্ড। এদের অবলুপ্তির পেছনে এটাও একটা বড় কারণ।

তবে এরা মূল ভূমিতে থাকা স্বগোত্রীয়দের চেয়ে খুব বেশি ভিন্নতর নয়। প্রচলিত রয়েছে, প্রায় ১১ হাজার বছর আগে সমুদ্র উচ্চতার কারণে ব্রাজিল থেকে এই দ্বীপ বিচ্ছন্ন হয়ে যায়। তখন এই সাপ এই দ্বীপে চলে আসে। এর বিষ অন্যান্য সাপের বিষের চেয়ে ৫ গুণ শক্তিশালী। এর কামড়ে একজন মানুশের সাত শতাংশ মৃত্যু সম্ভাবনা থাকে। এই দ্বীপের ভয়বাহবতা নিয়েও গল্প-কথার কমতি নেই।  এর একটি হলো এক জেলের গল্প। সেই জেলে যার  নৌকার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দ্বীপে নৌকা ভিড়িয়েছিলেন। কিন্তু জেলেকে অভ্যর্থনা জানাতে ওৎ পেতে ছিল লিচেনহেডরা। পরে সর্প দংশনে নৌকায় তার লাশ পাওয়া যায়। শেষ গল্পটা বাতিঘরের রক্ষীর। যিনি এই দ্বীপে পরিবার নিয়ে বাস করতেন।

একদিন তারা বাসার জানালায় সাপ দেখে ভয়ে দৌড়াতে শুরু করেন তারা। পরে দ্বীপের পাশে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় তাদের লাশ পাওয়া যায়। একচ্ছত্র আধিপত্য থাকলেও ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছন্ন সমুদ্র অন্তরীণ সাপের দ্বীপে গাছপালা ও তৃণ কমে যাওয়ায় এবং রোগের কারণে গত ১৫ বছরে এই দ্বীপের বাসিন্দাদের সংখ্যা অন্তত ১৫ ভাগ কমে গেছে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন ফর নেচার এই প্রাণীকে বিপন্ন প্রাণী হিসেবে তালিকাবদ্ধ করে রক্ষায় আগ্রহী।

Wednesday, July 2, 2014

কুটনৈতিকদের সাথে নিয়ে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে জামায়াতের ইফতার।এসময় ইফতার পার্টিতে উপস্তিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত, মার্কিন রাষ্ট্রদূত,সৌদি রাষ্ট্রদূত,তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ,মিশরের রাষ্ট্রদূত, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাষ্টের ডেপুটি চিপ অব মিশন প্রধান,ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত,অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত,কাতারের রাষ্ট্রদূত ,কানাডার রাষ্ট্রদূত, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত, পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত,ভারতের রাষ্ট্রদূত,জাপানের রাষ্ট্রদূত, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত, ব্রুনাইয়ের রাষ্ট্রদূত,দক্ষিন কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত,ইরানের রাষ্ট্রদূত,ওমানের রাষ্ট্রদূত, ও লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত সহ আরো অনেক দেশের রাষ্ট্রদূত এবং মিশন প্রধানরা উপস্তিত ছিলেন। 02/07/14

Tuesday, July 1, 2014

পাকস্থলীতে আড়াই কেজি চুল!

ভারতের কলকাতায় ১২ বছরের এক মেয়ের পাকস্থলীতে আড়াই কেজি চুল পাওয়া গেছে! ঘটনাটি ঘটেছে শিয়ালদহের ইএসআই হাসপাতালে।
হঠাৎ করেই মেয়েটির শরীর খারাপ হয়েছিল। খেলেই বমি হয়ে যেত। পেটে শুরু হত অসহ্য যন্ত্রণা। প্রথমদিকে মনে করা হয়েছিল গ্যাসের সমস্যার কারণে এমনটা হচ্ছে। কিন্তু কাঁড়ি কাঁড়ি অ্যাণ্টাসিডেও উপশম না হওয়ায় মেয়েটির এক্স-রে, অ্যান্ডোস্কোপি, সিটি-স্ক্যান করা হয়। তখন দেখা যায়, পাকস্থলীর মধ্যে বাসা বেঁধেছে বেশ বড় আকারের একটি টিউমার। কিন্তু অপারেশনের পর ডাক্তারদের চোখ কপালে। হায়, এ-তো টিউমার নয় আড়াই কেজি ওজনের চুল!
শিশুটির নাম নেহা সাউ। বাড়ি বালিগঞ্জের বন্ডেল গেট লাগোয়া লালকুঠি এলাকায়। নেহার বাবা আউধ সাউ ‘হিন্দুস্হান ইঞ্জিনিয়ারিং’- এর কর্মকর্তা।
তিনি জানান, বছরখানেক আগে মেয়ের শরীর হঠাৎ খারাপ হয়। পেট ব্যথা শুরু হয়। নারীঘটিত কোনো সমস্যা ভেবে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাই৷ তিনি গ্যাসের ওষুধ দেন। কিন্তু তাতে ব্যথা কমেনি। পরে এক্স-রে করে ধরা পড়ে পেটের মধ্যে একটি টিউমারের মতো হয়েছে। আর দেরি না করে মেয়েকে নিয়ে শিয়ালদহ ইএসআইতে চলে আসি। গত সোমবার ডাঃ সোমনাথ ঘোষ, ডাঃ সুপ্রিয় রায় ও ডাঃ বিজয় বিশ্বাসরা অপারেশন করেন।
কিন্তু নেহার পেটে অত চুল এরো কী করে?
আউধ সাউ জানান, ছোট থেকেই নেহার চুল ছেঁড়ার বাতিক ছিল। বদ অভ্যাস ফেরাতে মা শীলা সাউ কয়েকবার মারধরও করেছেন নেহাকে। মায়ের মারে কয়েকদিন আগে মাথা ফেটেছে নেহার। তবু নিজেকে শোধরাতে পারেনি ষষ্ঠ শ্রেণির এই ছাত্রী। এই পর্যন্ত ঠিক ছিল। এমন বদ অভ্যাস খুব একটা বিরল নয়।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায়, এই রোগের একটা নামও আছে, ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া। কিন্তু নেহার সমস্যা ছিল আরো গভীর। সে শুধু চুল ছিঁড়েই ক্ষান্ত হতো না তা মুখে পুরে নিতো। বছরের পর বছর সবার অলক্ষে এভাবেই চুল খেয়েছে সে। সেই চুলই পাকস্থলীতে গিয়ে হজমরসের সঙ্গে মিশে টিউমারের আকার নিয়েছে। তাই খেলে পেট ব্যথা, বমি হত নেহার। জানালেন শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালের সুপার ডাঃ প্রদীপ ভট্টাচায।
জানা গেছে, নেহার অপারেশন সফল হয়েছে। সে যাতে চুল খাওয়ার বদ অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারে তার জন্য বিশিষ্ট সাইকিয়াট্রিস্ট ডাঃ পৃথ্বীশ ভৌমিকের তত্ত্ববধানে কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে।
পৃথ্বীশ ভৌমিক জানান, শিশুদের মধ্যে ‘অখাদ্য’ খাওয়ার প্রবণতা বিরল নয়। কেউ মাটি খায়, কেউ সাবান। কেউ মাটির ভাড় তো কেউ দেওয়ালের চুন। নেহা খেত চুল। এটা এক ধরণের মানসিক রোগ। এ রোগটি সাধারণত ‘পিকা’ নামে পরিচিত ৷ উদ্বেগ থেকেই এই রোগের জন্ম হয়। পড়াশোনা বা অন্য কোনো বিষয়ে নেহার মনের উপর সম্ভবত চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। সেখান থেকেই এই রোগের উৎস।

রাজপথে মৃত্যুফাঁদ

রাজধানীর প্রায় সর্বত্র রাস্তাঘাটের বেহাল। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় যানবাহন আটকে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ যানজট। নগরীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা মালিবাগ থেকে মৌচাক মোড় পর্যন্ত সামান্য দূরত্বেই সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির পানি জমে সেগুলো হয়ে উঠেছে মৃত্যুকূপ। মালিবাগ মোড়ে গতকাল এমনই এক মৃত্যুকূপে পড়ে কোনোক্রমে প্রাণে বেঁচে যান এই মা ও মেয়ে।

রোজা রেখেই খেলেছে আলজেরিয়ানরা, পরাজয়ে রোজার কোনো প্রভাব নেই বললেন গোলকিপার

গতকাল জার্মানির সাথে রাউন্ড অফ সিক্সটিনের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রোজা রেখেই খেলেছেন আলজেরিয়ান খেলোয়াড়রা।

আলজেরিয়াশক্ত প্রতিপক্ষ জার্মানির বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই মুসলমানদের সিয়ামসাধনার মাস রমজান শুরু হয়ে যায়। ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে রোজা রেখেই মাঠেখেলতে নামেন আলজেরিয়ার অধিকাংশ খেলোয়াড়।

তারকা খেলোয়াড়ে পূর্ণ জার্মানির সঙ্গে ম্যাচের শুরু থেকেই হাড্ডাহাড্ডিলড়াই করে। আলজেরিয়ার খেলোয়াড়দের আক্রমণ রুখতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছেজার্মানির রক্ষণভাগকে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে প্রথমার্ধে গোলবঞ্চিত রাখেজার্মানিকে। দ্বিতীয়ার্ধেও গোল পেতে দেয় না। ফলে ম্যাচ গড়ায় ইনজুরি টাইমে।সেখানে অবশ্য আর পেরে ওঠেনি জার্মানির সঙ্গে।

রোজা রাখার প্রশ্নে আলজেরিয়ান গোলোকিপার বলেন, “আমার মনে হয়না রোজা কোনো সমস্যা করেছে আমাদের, আমাদের যতক্ষণ খেলার প্রয়োজন আমরা ততক্ষণ খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কেউ বিশ্বাস করতে পারেনি আমরা রোজা রেখে এতোটা ভাল খেলেছিলাম।”

“শারীরিক কোনো সমস্যাও হয়নি আমাদের, আমরা সবাই শারীরিক ভাবে ফিট ছিলাম। আমাদের ভাগ্য খারাপ, শেষ মুহূর্তে আমরা দুটো গোল হজম করেছি।

“আর রোজা রাখা বা না রাখা এটা সম্পূর্ণই ব্যক্তিগত ব্যাপার, এটা কেবল রোজাদার এবং আল্লাহর মধ্যকার ব্যাপার”

রোজারেখে ১২০ মিনিট খেললেও আলজেরিয়ার কোনো খেলোয়াড়ের মধ্যে দুর্বলতা কিংবাউদ্যমের কোনো ঘাটতি দেখা যায়নি। রোজা রেখেও জার্মানির খেলোয়াড়দের সঙ্গেপাল্লা দিয়ে খেলেছে আলজেরিয়ার খেলোয়াড়রা। শেষ পর্যন্ত তারা হেরে গেলেও জয়করেছে কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়।
এবং ২-১ গোলের পরাজয়ের উপর রোজা রাখার কোনো প্রভাব নেই বলে বললেন আলজেরিয়ান গোলকিপার।

Monday, June 30, 2014

তারাবীর নামাজে বাধা, রথযাত্রি এবং মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ : মসজিদে তালা ঝুলানোর হুমকি পুলিশের

তারাবীর নামাযে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্বামীবাগ মন্দিরের রথযাত্রি এবং মসজিদের মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। মন্দিরের হিন্দু ধর্মাাবলম্বিদের ইটের আঘাতে ৮ থেকে ১০ জন মুসল্লি আশঙ্কাজনক ভাবে আহত হন।

উল্লেখ্য ৮২ নং স্বামীবাগে অবস্থিত  ‘ঐতিহ্যবাহী স্বামীবাগ জামে মসজিদ’  ঢাকার প্রাচীনতম মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম। অপরদিকে ‘স্বামীবাগ মন্দির’  রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত একটি প্রধান হিন্দু মন্দির।
 অনুসন্ধানে জানা যায়  মসজিদ এবং মন্দির দুটি পাশাপাশি অবস্থিত হওয়ার কারনে ইবাদতে বিঘ্ন হওয়ার অভিযোগে বেশ কিছুদিন ধরেই স্থানিয় হিন্দু সম্প্রদায় এবং মসজিদের মুসল্লিরা একপক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করছিল।

সম্প্রতি মন্দিরের পক্ষ থেকে ৭ দিনব্যাপী রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। স্থানিয় মুসল্লিরা দবি করেন এই রথযাত্রার বাদ্য বাজনার কারনে তাদের ইবাদতে সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য মসজিদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হয়নি।

অপর দিকে আজ রথযাত্রায় অসুবিধার কারনে  তারাবির নামাজ চলাকালে মন্দিরের পক্ষ থেকে নামাজ রাত ১০টার মধ্যে শেষ করবার জন্য চাপ দেওয়া হয় মসজিদ কতৃপক্ষকে। কিন্তু তারাবির নামাজ দাবি মোতাবেক যথাসময়ে শেষ না করার কারনে মসজিদের মুসল্লিদের ঢিল ছোড়া শুরু করে মন্দিরের একদল উশৃঙ্খল গোষ্ঠীর পক্ষথেকে।

এ সময়ে ঘটনাস্থলে গেণ্ডারিয়া থানার এসআই অমল কৃষ্ণ উপস্থিত হয়। এবং মসজিদের ইমাম হাফেজ মৌলানা আবুল বাশারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালান। এসময় উপস্থিত মসজিদের মুসল্লিগন এবং মসজিদ কমিটির লোকজনের হস্তক্ষেপে ইমাম কে ছেড়ে দেন এসআই অমল কৃষ্ণ। মসজিদ কমিটির সভাপতি মহাম্মাদ সিরাজ বিডিহেরাল্ড কে জানান ‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে  তারাবির নামাজ রাত ১০টার মধ্যেই শেষ করতে করতে হবে। অন্যথায় মন্দিরের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার কারনে মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। ” বলে হুমকি দেন গেন্ডারিয়া থানার এসআই অমল কৃষ্ণ।

এসময় মসজিদ কমিটির সভাপতি  এসআই অমল কৃষ্ণের কাছে তারাবির নামাজ কিভাবে দ্রুত শেষ করব জানতে চাইলে এসআই অমল কৃষ্ণ  দ্রুত পড়ে তারাবির নামাজ শেষ করবেন বলে জানান।

মসজিদে তালা ঝুলানো কথা শুনে মসজিদের মুসল্লিরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে ঘটনা সামাল দেওয়ার জন্য গেন্ডারিয়া থানার ওসি মেহেদী নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই  মন্দির থেকে একদল লোক দা, লাঠি নিয়ে বের হয়ে মুসল্লিদের ধাওয়া করে বলে অভিযোগ করেন মুসল্লিরা।  হিন্দুদের ইটের আঘাতে ৮ থেকে ১০ জন মুসল্লি আশঙ্কাজনক ভাবে আহত হন।

এ সময় স্থানীয় মুরব্বী এবং মসজিদ কমিটির লোকজন মুসল্লিদের শান্ত রাখার চেস্টা করেন বিধায় বড় ধরনের মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে সাময়িক ভাবে রক্ষা হয় বলে জানান মসজিদ কর্তৃপক্ষ।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৯ গাড়ি দাঙ্গা পুলিশ এসে  পুরো ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানিয় অনেক মুসল্লিরা তাদের বাসায় ফিরতে না পেরে আশেপাশের মসজিদে অবস্থান করছে বলে রাত ১টা ৪০ মিনিটে পর্যন্ত জানা যায়। বিশ্বস্ত সুত্র থেকে জানা যায় ঢাকা ৬ আসন এর সংসদ কাজী ফিরোজ রশিদ বর্তমানে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। এবং মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে সমাধান দিবেন বলে আশ্বাস দেন।

কাজী ফিরোজ রশিদ ঘটনা স্থাল ত্যাগ করলে মন্দিরের ভিতর থেকে  আবারও উস্কানিমূলক শ্লোগান দিতে থাকে “মন্দিরে হামলা কেন,বিচার চাই। মসজিদে হামলা দেও! ওপারের হিন্দু এপারের হিন্দু এক হও”

সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বিবেচনা করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি মুসল্লিদের ধৈর্য ধারন করতে বলেন। হিন্দু ধর্মাাবলম্বিদের মন্দিরের মত পবিত্র জায়গায় কেন দা, কাচি সহ লাঠি-সোটা থাকবে বলে উপস্থিত অনেকেই প্রশ্ন ছুড়েদেন।
প্রতি মুহুর্তের খবর পেতে এখানে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন

Saturday, June 28, 2014

আগামী সোমবার থেকে রমজান

আজ দেশের কোথাও রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। তাই পবিত্র রমজান শুরু হচ্ছে সোমবার। আগামী ২৫ জুলাই রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে।

শনিবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মুকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমান।

ধর্মমন্ত্রী জানান, সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের কোথাও হিজরি ১৪৩৫ সনের রমজান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।

২৯ জুন রবিবার শাবান মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। ৩০ জুলাই সোমবার থেকে রমজান মাস শুরু হবে। আগামী ২৫ জুলাই রাতে (রমজানের ২৭তম রাত) পবিত্র লাইলাতুল কদর পালিত হবে। রোজার প্রস্তুতি হিসেবে রবিবার রাত থেকেই তারাবি নামাজ শুরু হবে।

সভায় ধর্ম সচিব চৌধুরী মো: বাবুল হাসান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি সামিম মোহাম্মদ আফজাল, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা তছির আহামদ, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব প্রফেসর মাওলানা মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনসহ তথ্য মন্ত্রণালয়, স্পারসো, ঢাকা জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

Thursday, June 26, 2014

এএসপিকে শামীম ওসমানের হুমকি : থানায় জিডি

আওয়ামী লীগের সাংসদ শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন পুলিশের এএসপি মো. বশির উদ্দিন।
এএসপি মো. বশির উদ্দিন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বন্দর উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের কেওডালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মদনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জাল ভোট দেয়ার চেষ্টা করলে তিনি বাধা দেন। আবদুস সালাম বিষয়টি শামীম ওসমানকে জানান। পরে শামীম ওসমান বশির উদ্দিনকে ছয় বার ফোন করেন।
বশির উদ্দিনের ভাষ্যমতে, ফোনে শামীম ওসমান বলেন, সালাম চেয়ারম্যান কেন্দ্রে ঢুকবে, যা ইচ্ছে তা-ই করবে। তাঁকে কোনো রকম বাধা দেয়া যাবে না।
বশির উদ্দিনের ভাষ্য, শামীম ওসমানের এই কথার জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের আন্ডারে চাকরি করছি। আমার পক্ষে কোনো অনৈতিক কাজ করা সম্ভব নয়।
বশির উদ্দিনের দাবি, তাঁর কথার জবাবে শামীম ওসমান বলেন, বশির উদ্দিন নারায়ণগঞ্জে কীভাবে চাকরি করেন, তা তিনি দেখে নেবেন।

মুঠোফোনে মো. বশির উদ্দিন নামের এই সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি-ট্রাফিক) দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়ায় তিনি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে সাংবাদিকদের জানান। বশির জানান, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের উপনির্বাচন চলাকালে তাকে এ হুমকি দেয়া হয়।

Monday, June 23, 2014

ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডদানকারী বিচারক রউফ আবদুর রহমানকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে

ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে মৃত্যুদণ্ডদানকারী বিচারক রউফ আবদুর রহমানকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। সুন্নি বিদ্রোহী সংগঠন আইএসআইএস এ ফাঁসি কার্যকর করে।

সুপ্রিম ইরাকি ক্রিমিনাল ট্রাইব্যুনালের প্রধান হিসেবে ২০০৬ সালে সাদ্দাম হোসেনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছিলেন আবদুর রহমান। সুন্নি বিদ্রোহীরা ১৬ জুন ৬৯ বছর বয়স্ক ওই বিচারককে আটক করে।
বিচারক রহমান নর্তকীর পোশাক পরে বাগদাদ থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

জর্দানি এমপি খালিল আত্তিয়া তার ফেসবুক পেইজে লিখেছেন, বিচারক রহমানকে গ্রেফতার ও মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, শহীদ সাদ্দাম হোসেনের মৃত্যুর বদলা নিতে ইরাকি বিপ্লবীরা তাকে আটক করে মৃত্যুদণ্ড দেয়।
সাদ্দামের সাবেক সহকারী এবং বর্তমানে বিদ্রোহীদের অন্যতম নেতা ইজ্জাত ইব্রাহিম আল দুরিও বিচারক রহমানকে আটক করার খবর তার ফেসবুকে প্রকাশ করেছেন।

তবে ইরাক সরকার এখনো তার মৃত্যু নিশ্চিত করেনি। তবে তাকে যে আটক করা হয়েছে, সে খবর অস্বীকার করেনি।

কুর্দিশ নগরী হালবিয়ায় জন্মগ্রহণকারী বিচারক রহমান ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে সাদ্দামের বিচার করার দায়িত্ব নেন। বিচারকাজ তখন মাঝপথে ছিল। তার আগের বিচারক রিজগার আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি সাদ্দাম হোসেন ও তার সহযোগীদের প্রতি বেশ নমনীয় ছিলেন।
বিচারক রহমান ১৯৯৬ সালে কুর্দিশ আপিল কোর্টের প্রধান বিচারক নিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনি ১৯৮২ সালে ব্যর্থ অভ্যুত্থানে জড়িত সন্দেহে ১৪৮ জনকে হত্যার অভিযোগে সাদ্দামকে ফাঁসি দিয়েছিলেন। ওই রায়ের পর সাদ্দামের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ঈদ উল আযহার দিন সাদ্দামের ফাঁসি দেয়া হয়।


Saturday, June 21, 2014

শিরক থেকে বাঁচার উপায় কি?

শিরক থেকে বাঁচার উপায় কি?

১. ই’লম বা দ্বীনি জ্ঞান অর্জনঃ
এই কাজটা প্রত্যেক মুসলমান নর ও নারীর উপর ফরয। আল্লাহর আসমা ও সিফাত, এইগুলোর সঠিক অর্থ ও ব্যখ্যা, তাওহীদ কি ও তাওহীদ কতপ্রকার, শিরক কি, শিরক কত প্রকার, কোন কাজগুলো শিরক, এইগুলো কেনো শিরক, কুরআন ও সহীহ হাদীসের উপর ভিত্তি করে দলীল কি – এসম্পর্কে বিস্তারিত জানা থাকলে আপনি শিরককে চিনতে পারবেন ও এইগুলো থেকে বেঁচে থাকতে পারবেন ইন শা’ আল্লাহ। বিশেষ করে আকীদাহ সম্পর্কে ভালো পড়াশোনা থাকা প্রত্যেকটা মুসলমানের জন্য জরুরী। নিচের এই তিনটা বই সংগ্রহ করে অবশ্যই পড়বেন ও আলেমদের কাছ থেকে এইগুলো ব্যখ্যা জেনে নেবেন।

#ঈমান_আকীদাঃ

তাওহীদ, শিরকসহ ঈমানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানার জন্য অবশ্যই এই বইগুলো বারবার পড়বেন।

ক. বইয়ের নামঃ “আকীদাহ আত-তাহাবীয়া”
এই বইটাতে আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের আকীদাহ সংক্ষেপে বলা হয়েছে। ইসলামী আকীদাহ সম্পর্কে জানার জন্য খুব সুন্দর ছোট একটি বই।
আহসান পাবলিকেশান। দাম – ১৫ টাকা

খ. বইয়ের নামঃ “কিতাব আত-তাওহীদের ব্যাখ্যা”
মূল - শায়খুল ইসলাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওহহাব (রহঃ)
ব্যখ্যাঃ শায়খ সালিহ বিন আব্দুল আজীজ ও শায়খ মুহাম্মাদ বিন ইব্রাহীম (রহঃ), তাওহীদ পাবলিকেশান/দারুস সালাম পাবলিকেশান, দাম – ১৫০টাকা।
এই বইটা পড়ে সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাওহীদ ও শিরক সম্পর্কে জানতে পারবেন।

গ. বইয়ের নামঃ “সহীহ আকীদার মানদন্ডে তাবলিগী নিসাব”
মুরাদ বিন আমজাদ, তাওহীদ পাবলিকেশান। দাম – ১৫০ টাকা।

প্রচলিত তাবলীগ জামাত ও ফাযায়েলে আমল বইয়ের মাঝে শিরক বেদাত নিয়ে দলীল ভিত্তিক সুন্দর আলোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও এই বইটা পড়লে প্রচলিত অনেক শিরক, বেদাত ও জাল হাদী সম্পর্কে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জানতে পারবেন। কেনো এইগুলো শিরক বেদাত সুন্দরভাবে ব্যখ্যা করা হয়েছে।

_______________________
 
২. দুয়া করাঃ
ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত কুফুরী ও শিরক বেঁচে থাকার জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হয়। এনিয়ে দুয়া মাসুরা আছে, সালাম ফেরানোর পরে দুয়া আছে, হিসনুল মুসলিম বই থেকে দেখে নেবেন।
ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় যেকোনো শিরক থেকে বাঁচার গুরুত্বপূর্ণ একটা দুয়াঃ
কেউ ৪০ বছর আল্লাহর ইবাদত করলো, কতযে নফল সুন্নত নামায পড়লো, রোযা রাখলো - কিন্তু মরণের আগে শিরক করে তোওবা না করেই মারা গেলো... একটা মাত্র শিরক তার সমস্ত আমল নষ্ট করে দেবে (নাউযুবিল্লাহ)!
কেয়ামতের দিন তার আমলগুলোর কোনো ওযন আল্লাহ তাকে দেবেন না, এইগুলোকে ধূলো বালিতে রূপান্তরিত করে দেবেন।
আর জেনে হোক বা না জেনেই হোক যেকেউ, যেকোনো সময় শিরকে লিপ্ত হতে পারে, যে যত বড় নেককারই হোক না কেনো (মা যা' আল্লাহ)।
এইজন্য শিরক করা অথবা অনিচ্ছায় শিরকে লিপ্ত হওয়া থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হয়।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) শেখানো একটা দুয়া আছে, কেউ যদি প্রতিদিন সকাল বিকাল একবার করে পড়েন, তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তাকে শিরক থেকে হেফাজত করবেন।
আপনি কি জানেন, সেই দুয়াটা কি? 
দুয়াটা হচ্ছেঃ

اللَّهُمَّ  إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لاَ أَعْلَمُ

উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ’উযুবিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া আনা আ’লাম, ওয়া আস-তাগফিরুকা লিমা লা আ’লাম।
অনুবাদঃ হে আল্লাহ! আমার জানা অবস্থায় তোমার সাথে শিরক করা থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আর আমার অজানা অবস্থায় কোনো শিরক হয়ে গেলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
আহমাদ ৪/৪০৩, হাদীসটি সহীহ, সহীহ আল-জামে ৩/২৩৩।
হিসনুল মুসলিমঃ পৃষ্ঠা ২৪৬।
______________________

৩. রাতের বেলা ঘুমানোর আগে একবার “সুরা কাফিরুন” পড়াঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
“এই সুরাটিতে (ক্বুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরুন বা সুরা কাফিরুন) শিরক থেকে বাঁচার শিক্ষা রয়েছে।”
আবু দাউদঃ ৫০৫৫, তিরমিযী, আহমাদ, ইমাম ইবেন হাজার আসকালানী ও শায়খ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।
১০০০ সুন্নত, পৃষ্ঠা – ১৬০।
__________________________

উপরের বইগুলো ঢাকার কাটাবনে ইসলামী বইয়ের দোকানগুলোতে পাবেন। এছাড়া তাওহীদ পাবলিকেশানের দোকানগুলোতে পাবেন।

তারাবীহর রাকায়াত সংখ্যা ৮ না ২০?

তারাবীহর রাকায়াত সংখ্যা ৮ না ২০?আল্লামা উসাইমীন (রহ:) এর একটি গুরুত্বপূর্ণ গবেষণাসম্মানিত শাইখ মোহাম্মাদ সালেহ আল উছাইমীন (র:) বলেন: সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব জগতের প্রভু আল্লাহ তায়ালার জন্য। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ নবী মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবার এবং তাঁর সকল সাহাবীর উপর।অতঃপর আমি তারাবীর নামায বিষয়ে একটি লিফলেট দেখতে পেলাম, যা মুসলমানদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। আমি আরও জানতে পারলাম যে, প্রবন্ধটি কতিপয় মসজিদে পাঠ করা হয়েছে। প্রবন্ধ বা লিফলেটটি খুবই মূল্যবান। কেননা লেখক তাতে তারাবীর নামাযে খুশু-খুযু এবং ধীর স্থিরতা অবলম্বনের উপর উৎসাহ দিয়েছেন। আল্লাহ তাকে ভাল কাজের বিনিময়ে ভাল পুরস্কার দান করুন।তবে প্রবন্ধটির মধ্যে বেশ কিছু আপত্তি রয়েছে, যা বর্ণনা করা ওয়াজিব মনে করছি। লেখক সেখানে উল্লেখ করেছেন যে, ইবনে আব্বাস (রা:) হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাযান মাসে বিশ রাকাত তারাবি পড়তেন।এর জবাব হচ্ছে এই হাদীছটি যঈফ। ইবনে হাজার আসকালানী সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যা ফতহুল বারীতে বলেন:وأما ما رواه ابن أبي شيبة” من حديث ابن عباس كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يصلي في رمضان عشرين ركعة والوتر، فإسناده ضعيف، وقد عارضه حديث عائشة هذا الذي في الصحيحين مع كونها أعلم بحال النبي صلى الله عليه وسلم ليلاً من غيرها.“যে হাদীছটি ইবনে আবী শায়বা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাযান মাসে বিশ রাকাত তারাবি ও বিতর পড়তেন-তার সনদ দুর্বল। আর এটি বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত আয়েশা (রা:)এর হাদীছের বিরোধী। আয়েশা (রা:) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রাতের অবস্থা অন্যদের চেয়ে বেশী জানতেন।”আয়েশা (রা:) থেকে বর্ণিত যে হাদীছটির প্রতি ফতহুল বারীর ভাষ্যকার ইবনে হাজার আসকালানী (রাহ:) ইঙ্গিত করেছেন, তা ইমাম বুখারী এবং মুসলিম স্বীয় কিতাব দ্বয়ে উল্লেখ করেছেন। আবু সালামা আব্দুর রাহমান আয়েশা (রা:)কে জিজ্ঞেস করলেন: রামাযান মাসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর নামায কেমন ছিল? উত্তরে তিনি বললেন: রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রামাযান কিংবা অন্য মাসে রাতের নামায ১১ রাকআতের বেশী পড়তেন না। (বুখারী) মুসলিমের শব্দে বর্ণিত হয়েছে, তিনি প্রথমে আট রাকআত পড়তেন। অতঃপর বিতর পড়তেন।আয়েশা (রা:)এর হাদীছে জোরালো ভাবে এই সংখ্যার উপর যে কোন সংখ্যা অতিরিক্ত করার প্রতিবাদ করা হয়েছে।ইবনে আব্বাস (রা:) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রাতের নামাযের ধরণ বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন যে, তিনি দুই রাকআত নামায পড়তেন, অতঃপর আরও দুই রাকআত পড়তেন। তারপর আরও দুই রাকআত, এভাবে ১২ রাকআত পূর্ণ করে বিতর পড়তেন। (সহীহ মুসলিম) এতে পরিষ্কার হয়ে গেল যে তাঁর রাতের নামায ১১ রাকআত বা ১৩ রাকআতের মধ্যেই ঘূর্ণ্যমান ছিল।• এখন যদি বলা হয় রাতের নামায (তাহাজ্জুদ) আর তারাবীর নামায এক নয়। কেননা তারাবী হচ্ছে উমর (রা:)এর সুন্নাত। তাহলে উত্তর কি হবে?এ কথার উত্তর হচ্ছে, রামাযান মাসে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর রাতের নামাযই ছিল তারাবী। সাহাবীগণ এটিকে তারাবীহ নাম দিয়েছেন। কেননা তারা এটা খুব দীর্ঘ করে পড়তেন। অতঃপর তারা প্রত্যেক দুই সালামের পর বিশ্রাম নিতেন। তারাবীহ অর্থ বিশ্রাম নেওয়া। তারাবীহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরই সুন্নাত ছিল।সহীহ বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত হয়েছে, আয়েশা (রা:) হতে বর্ণিত, কোন এক রাতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে নামায পড়লেন। তাঁর নামাযকে অনুসরণ করে কিছু লোক নামায পড়ল। অতঃপর দ্বিতীয় রাতেও নামায পড়লেন। এতে লোক সংখ্যা বৃদ্ধি পেল। অতঃপর তৃতীয় বা চতুর্থ রাতে প্রচুর লোকের সমাগম হল। কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবার ঘর থেকে বের হয়ে তাদের কাছে আসলেন না। সকাল হলে তিনি বললেন: আমি তোমাদের কাজ-কর্ম প্রত্যক্ষ করেছি। আমাকে তোমাদের কাছে বের হয়ে আসতে কোন কিছুই বারণ করে নি, কিন্তু আমি ভয় করলাম যে, তা তোমাদের উপর ফরজ করে দেয়া হয় কি না? আর এটি ছিল রামাযান মাসে। (বুখারী ও মুসলিম)• আর যদি বলা হয়, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১১ রাকআত পড়েছেন। তার চেয়ে বেশী পড়তে নিষেধ করেন নি। সুতরাং রাকআত বাড়ানোর মধ্যে বাড়তি ছাওয়াব ও কল্যাণ রয়েছে।তার উত্তরে আমরা বলবো যে, কল্যাণ ও ছাওয়াব হয়ত ১১ রাকআতের মধ্যেই সীমিত। কারণ এটি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর আমল দ্বারা প্রমাণিত। আর সর্বোত্তম হেদায়েত হচ্ছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হেদায়েত। সুতরাং তাই যদি হয় তাহলে কল্যাণ ও বরকত ১১ রাকআতের মধ্যেই। আর যদি বিশ্বাস করেন যে বাড়ানোর মধ্যেই কল্যাণ, তাহলে বুঝা যাচ্ছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কল্যাণ অর্জনে ত্রুটি করেছেন এবং উত্তম বিষয়টি তার উম্মতের জন্য গোপন করেছেন। নাউযুবিল্লাহ। এ ধরণের বিশ্বাস রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর ক্ষেত্রে অসম্ভব।• যদি বলা হয় ইমাম মালিক তার মুআত্তা গ্রন্থে ইয়াজিদ বিন রুমান থেকে বর্ণনা করেছেন যে,عن يزيد بن رومان قال: كَانَ النَّاسُ يَقُومُونَ فِي زَمَانِ عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ فِي رَمَضَانَ بِثَلاثٍ وَعِشرِينَ رَكعةًইয়াজিদ বিন রুমান থেকে বর্ণিত, লোকেরা উমর বিন খাত্তাব (রা:)এর আমলে রামাযান মাসে কিয়ামুল লাইল (বিতরসহ) ২৩ রাকআত আদায় করতেন। এই হাদীছের জবাবে কি বলবেন?এর জবাব হচ্ছে, হাদীছটি দুর্বল ও সহীহ হাদীছের বিরোধী।দুর্বল হওয়ার কারণ হচ্ছে:(১) তার সনদে ইনকিতা রয়েছে। অর্থাৎ কোন একজন রাবী বাদ পড়েছে। কারণ ইয়াজিদ বিন রুমান উমর (রা:) এর যুগ পায় নি। যেমন ইমাম নববী ও অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ ঘোষণা করেছেন।(২) ইয়াজিদ বিন রুমানের হাদীছটি ইমাম মালিক (র:) তাঁর মুআত্তা গ্রন্থে নির্ভরযোগ্য রাবী মোহাম্মাদ বিন ইউসুফ সায়েব বিন ইয়াজিদ থেকে বর্ণিত সহীহ হাদীছের বিরোধী। সায়েব বিন ইয়াজিদ বলেন:أمر عمر بن الخطاب أبي بن كعب وتميماً الداري أن يقوما للناس بإحدى عشرة ركعةউমর বিন খাত্তাব (রা:) উবাই বিন কা’ব এবং তামীম দারীকে মানুষের জন্য ১১ রাকআত তারাবীর নামায পড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন। দেখুন: (দেখুন শরহুয যুরকানী ১/১৩৮)সুতরাং সায়েব বিন ইয়াজিদের হাদীছ তিনটি কারণে ইয়াজিদ বিন রুমানের হাদীছের চেয়ে অধিক গ্রহণযোগ্য। ক) সায়েব বিন ইয়াজিদের হাদীছ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত সহীহ হাদীছের মোতাবেক। উমর (রা:) এ ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর সুন্নাত জানা সত্ত্বে কখনই তা বাদ দিয়ে অন্যটি নির্বাচন করতে পারেন না। খ) ১১ রাকআতের ব্যাপারে সায়েব বিন ইয়াজিদের হাদীছটি সরাসরি উমর (রা:)এর আদেশের দিকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। আর ইয়াজিদ বিন রুমানের হাদীছটি উমর (রা:)এর জামানার দিকে নিসবত করা হয়েছে। সুতরাং ইয়াজিদ বিন রুমানের হাদীছে বর্ণিত ২০ রাকআতের উপর উমর (রা:)এর সমর্থন বুঝায়। আর আদেশ সমর্থনের চেয়ে অধিক শক্তিশালী হয়। কেননা ১১ রাকআত তাঁর সরাসরি আদেশ দ্বারা প্রমাণিত। আর সমর্থন কখনও বৈধ বিষয়ের ক্ষেত্রেও হতে পারে, যদিও তা পছন্দের বাইরে হয়।সুতরাং উমর (রা:) ২৩ রাকআতের প্রতি সমর্থন দিয়ে থাকতে পারেন। কেননা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এ ব্যাপারে নিষিদ্ধতা পাওয়া যায় না। সাহাবীগণ এ ব্যাপারে ইজতেহাদ করেছিলেন। আর তিনি তাদের ইজতেহাদকে সমর্থন করেছেন। অথচ তিনি ১১ রাকআতই নির্বাচন করে তা আদায় করার আদেশ দিয়েছিলেন। গ) ১১ রাকআতের ব্যাপারে সায়েব বিন ইয়াজিদের হাদীছটি দোষ থেকে মুক্ত। তার সনদ মুত্তাসিল। আর ইয়াজিদ বিন রুমানের হাদীছ দুর্বল। সায়েব বিন ইয়াজিদ থেকে বর্ণনা করেছেন মুহম্মাদ বিন ইউসুফ। তিনি ইয়াজিদ বিন রুমান থেকে অধিক নির্ভর যোগ্য। কেননা মোহাম্মাদ বিন ইউসুফ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, তিনি ছিলেন ثقة ثبت (ছিকাহ ছাবেত)। আর ইয়াজিদ বিন রুমান সম্পর্কে মুহাদ্দিসগণ বলেছেন যে, তিনি শুধু ثقة (ছিকাহ)। আরউসুলে হাদীছের পরিভাষায় ছিকাহ ছাবেত রাবীর বর্ণনা শুধু ছিকাহ রাবীর বর্ণনা থেকে অধিক গ্রহণযোগ্য।الذي قيل فيه ثقة ثبت مرجح على الذي قيل فيه ثقة فقط كما في مصطلح الحديثআর যদি ধরেও নেওয়া হয় যে, ২৩ রাকআতের ব্যাপারে ইয়াজিদ বিন রুমানের হাদিছটি প্রমাণিত এবং সায়েব বিন ইয়াজিদের বিরোধী নয়, তারপরও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে সহীহ সূত্রে বর্ণিত ১১ রাকআতের উপর ইয়াজিদ বিন রুমানের হাদীছে বর্ণিত ২৩ রাকআতকে প্রাধান্য দেয়া কোন ভাবেই সম্ভব নয়। কারণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রামাযান কিংবা অন্য মাসে রাতের নামায ১১ রাকআতের বেশী কখনই পড়েন নি।সর্বোপরি বিষয়টি নিয়ে যেহেতু আমাদের মধ্যে মতবিরোধ হয়ে গেছে, তাই মত বিরোধপূর্ণ বিষয়ে আমাদের করণীয় কি? অবশ্যই আল্লাহ তাআলা এরূপ বিষয়ে আমাদের জন্য সমাধানের ব্যবস্থা করেছেন এবং আমাদেরকে তার কিতাবের দিকে ফেরত যেতে বলেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন:يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا أَطِيعُوا اللَّـهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنكُمْ فَإِن تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّـهِ وَالرَّسُولِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّـهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ ذَٰلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا“হে ঈমানদারগণ! আল্লাহ্‌র নির্দেশ মান্য কর, নির্দেশ মান্য কর রসূলের এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর- যদি তোমরা আল্লাহ্‌ ও কেয়ামত দিবসের ওপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।” (সূরা নিসাঃ ৫৯)সুতরাং মতবিরোধের সময় আল্লাহ তাআলা তাঁর কিতাবের দিকে ফিরে যাওয়া আবশ্যক করে দিয়েছেন এবং রাসূলের জীবদ্দশায় তাঁর কাছে এবং তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর সুন্নতের দিকে ফিরে আসতে বলেছেন। আর এটাকেই তিনি কল্যাণ এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহ তআলা আরও বলেন:فَلا وَرَبِّكَ لا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لا يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجاً مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيماً“অতএব, তোমার পালনকর্তার কসম, সে লোক ঈমানদার হবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে ন্যায়বিচারক বলে মনে না করে। অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে নিজের মনে কোন রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা সন্তুষ্ট চিত্তে কবুল করে নেবে।” (সূরা নিসাঃ ৬৫)এখানে আল্লাহ তাআলা মানুষের পারস্পরিক বিরোধের সময় আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের হুকুমের দিকে ফিরে যাওয়াকে ঈমানের দাবী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আর আল্লাহ কসম করে বলেছেন যে, যারা রাসূলের হুকুমের সামনে সম্পূর্ণরূপে আত্মসমর্পণ না করবে এবং খুশী মনে তা না মানবে, নিঃসন্দেহে তাদের ঈমান চলে যাবে।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর খুতবা সমূহে সবসময় বলতেন: “সর্বোত্তম কালাম হচ্ছে আল্লাহর কিতাব আর সর্বোত্তম সুন্নাত হচ্ছে রাসূলরে সুন্নাত।” মুসলমানগণ এ ব্যাপারে একমত যে মোহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর সুন্নাত হচ্ছে সর্বোত্তম পথ। মানুষ জ্ঞানে ও আমলে যতই বড় হোক না কেন, কোন অবস্থাতেই তার কথাকে রাসূলের কথার উপর প্রাধান্য দেয়া যাবে না এবং তার কথাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর কথার চেয়ে উত্তম মনে করা যাবে না।সাহাবীগণ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর কথার বিরোধিতা করতে কঠোর ভাষায় নিষেধ করতেন। এ ব্যাপারে ইবনে আব্বাস (রা:)এর কথাটি কতই না বলিষ্ঠ। তিনি বলেন: আমি বলছি, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন আর তোমরা আমার কথার বিরোধিতা করে বলছ আবু বকর ও উমর বলেছেন। আমার আশঙ্কা হচ্ছে তোমাদের এই কথার কারণে আকাশ থেকে প্রস্তর বর্ষণ করে তোমাদেরকে ধ্বংস করা হয় কি না। (দেখুন: যাদুল মাআদঃ ২/১৯৫)এখন যদি কোন মুসলিমকে বলা হয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে নিয়ে ১১ রাকআত তারাবী পড়তেন। আর উমুক ইমাম মানুষকে নিয়ে ২৩ রাকআত পড়াচ্ছেন, তার জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাত বাদ দিয়ে কোন ক্রমেই অন্যের সুন্নাত গ্রহণ করা বৈধ হবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত মোতাবেক আমল করাই অধিক উত্তম। আর অধিক উত্তম আমলের জন্যই মানুষ, আসমান-যমীন এবং সকল বস্তু সৃষ্টি করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন:الَّذِي خَلَقَ الْمَوْتَ وَالْحَيَاةَ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلاً“যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন- কে তোমাদের মধ্যে কর্মে অধিক উত্তম?” (সূরা মূলক: ২)আল্লাহ তাআলা আরও বলেন:وَهُوَ الَّذِي خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ فِي سِتَّةِ أَيَّامٍ وَكَانَ عَرْشُهُ عَلَى الْمَاءِ لِيَبْلُوَكُمْ أَيُّكُمْ أَحْسَنُ عَمَلاً“তিনিই আসমান ও যমীন ছয় দিনে তৈরি করেছেন, তার আরশ ছিল পানির উপরে, তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান যে, তোমাদের মধ্যে কে সবচেয়ে ভাল কাজ করে।” (সূরা হুদ: ৭)আল্লাহ তাআলা এ কথা বলেন নি যে, তিনি তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান যে, তোমাদের মধ্যে কে সবচেয়ে বেশী আমল করে? এটি জানা কথা যে, আমলের মধ্যে ইখলাস অর্থাৎ একনিষ্ঠতা যত বেশী হবে এবং সুন্নতের অনুসরণ যত বেশী করা হবে, আমলটি তত বেশী উত্তম হবে।সুতরাং ১১ রাকআত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নতের মোতাবেক হওয়ার কারণে বাড়ানোর চেয়ে ১১ রাকআত পড়াই উত্তম। বিশেষ করে যখন ধীর স্থীরভাবে, ইখলাসের সাথে এবং খুশু-খুযুর সাথে এই ১১ রাকআত পড়া হবে। যাতে ইমাম ও মুক্তাদী সকলেই দুআ এবং জিকিরগুলো সুন্দরভাবে পড়তে পারবে।• যদি বলা হয় ২৩ রাকআত পড়া তো আমীরুল মুমিনীন খলীফা উমর (রা:)এর সুন্নাত। তিনি খোলাফায়ে রাশেদার একজন। তাদের অনুসরণ করার জন্য আমাদেরকে আদেশ দেয়া হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: তোমরা আমার পরে আমার সুন্নাত ও সঠিক পথপ্রান্ত খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতের অনুসরণ করবে।এ কথার জবাবে বলবো যে, ঠিক আছে। উমর (রা:) খোলাফায়ে রাশেদার অন্তর্ভুক্ত। তাদের অনুসরণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে আমাদের ভালভাবে জানতে হবে তারাবীর রাকআত সংখ্যার ব্যাপারে উমর (রা:) এর সুন্নতটি কি?অনুসন্ধান করে আমরা যা জানতে পারলাম, তা হচ্ছে ২৩ রাকআতের বর্ণাগুলো দুর্বল ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত সহীহ হাদীছের বিরোধী। বরং সহীহ সনদে উমর (রা:) উবাই বিন কা’ব ও তামীম দারীকে ১১ রাকআত পড়ানোর আদেশ দিয়েছেন বলেই প্রমাণ পাওয়া যায়।আর যদি তর্কের খাতিরে ধরেও নেই যে উমর (রা:)২৩ রাকআত নির্ধারণ করেছেন, তারপরও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামএর আমলের বিরুদ্ধে তাঁর কথা দলীল হতে পারে না। আল্লাহর কিতাব, রাসূলের সুন্নাত, সাহাবীদের কথা এবং মুসলমানদের ইজমা দ্বারা প্রমাণিত যে, কারও কথা রাসূলের সুন্নতের সমান হতে পারে না। সে যত বড়ই হোক না কেন? কারও কথা টেনে এনে রাসূলের সুন্নতের বিরুদ্ধে দাঁড় করা যাবে না।ইমাম শাফেয়ী (র:) বলেন:أجمع المسلمون على أن من استبانت له سنة عن رسول الله صلى الله عليه وسلم لم يحل له أن يدعها لقول أحد“মুসলমানদের সর্বসম্মতিক্রমে কারও কাছে রাসূলের সুন্নাত সুস্পষ্ট হয়ে যাওযার পর তা ছেড়ে দিয়ে অন্যের কথা গ্রহণ করা জায়েজ নয়।”• যারা বলেন, সাহাবীদের জামানা থেকে আজ পর্যন্ত মুসলমানগণ ২৩ রাকআত পড়ে আসছেন। সুতরাং তা ইজমার মত হয়ে গেছে।তাদের এই কথা সঠিক নয়। সাহাবীদের যুগ থেকে আজ পর্যন্ত মুসলমানদের মাঝে তারাবীর রাকআত সংখ্যার ব্যাপারে খেলাফ (মতবিরোধ) চলেই আসছে। হাফেজ ইমাম ইবনে হাজার আসকালী (র:) ফতহুল বারীতে এ ব্যাপারে মতপার্থক্যের কথা আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন: আবান বিন উসমান এবং উমর বিন আব্দুল আজীজের আমলে মদীনাতে ৩৩ রাকআত তারাবী পড়া হতো। ইমাম মালিক (র:) বলেন একশ বছরেরও বেশী সময় পর্যন্ত চলমান ছিল। (দেখুন ফতহুল বারী আলমাকতাবা সালাফীয়া ৪/২৫৩)সুতরাং যেহেতু মুসলমানদের মধ্যে এ ব্যাপারে মতভেদ চলে আসছে, তাই কুরআন ও সুন্নাহর দিকে ফিরে আসাতেই রয়েছে এর সমাধান। আল্লাহ তাআলা বলেন:فإن تنازعتم في شيء فردوه إلى الله والرسول إن كنتم تؤمنون بالله واليوم الآخر ذلك خير وأحسن تأويلا“তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ্‌ ও তার রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর- যদি তোমরা আল্লাহ্‌ ও কেয়ামত দিবসের ওপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।” (সূরা নিসাঃ ৫৯)সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব জগতের প্রভু আল্লাহ তায়ালার জন্য। সালাত ও সালাম বর্ষিত হোক সর্বশেষ নবী, তার পরিবার এবং সকল সাহাবীর উপর।মোহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উছাইমীনঃ ০৮/০৯/১৩৯৫ হিজরী।আরবীতে পারদর্শী ভাইদের জন্য ফতোয়ার লিংক দেয়া হলhttp://www.kl28.com/ebnothiminr.php?search=1845একটি সংযোজন:হানাফী মাজহাবের যে সমস্ত বিজ্ঞ আলেম ২০ রাকআত তারাবী পড়ার পক্ষের হাদীছগুলাকে যঈফ বলেছেন, তাদের নামের একটি বিশাল তালিকাঃ১) মুআত্তা ইমাম মুহাম্মাদ, অধ্যায়ঃ কিয়ামে শাহরে রামাযান, পৃষ্ঠা নং-১৩৮। মুস্তফায়ী ছাপা, ১২৯৭ হিঃ।২) নাসবুর রায়া, (২/১৫৩)আল্লামা যায়লাঈ হানাফী,মাজলিসুল ইলমী ছাপা, ভারত।৩) মিরকাতুল মাফাতীহ,(৩/১৯৪) মোল্লা আলী কারী হানাফী, এমদাদীয়া লাইব্রেরী, মুলতান, ভারত।৪) উমদাতুল কারী শরহে সহীহ আল-বুখারী,(৭/১৭৭)প্রণেতা আল্লামা বদরুদ দীন আইনী হানাফী মিশরী ছাপা।৫) ফতহুল কাদীর শরহে বেদায়া (১/৩৩৪) প্রণেতা ইমাম ইবনুল হুমাম হানাফী।৬) হাশিয়ায়ে সহীহ বুখারী (১/১৫৪) প্রণেতা মাওলানা আহমাদ আলী সাহরানপুরী।৭) আল-বাহরুর রায়েক (২/৭২) প্রণেতা ইমাম ইবনে নুজাইম হানাফী।৮)হাশিয়ায়ে দুররে মুখতার (১/২৯৫) প্রণেতা আল্লামা তাহাভী (রঃ)হানাফী।৯) দুররুল মুখতার (ফতোয়া শামী)(১/৪৯৫) প্রণেতা আল্লামা ইবনে আবেদীন হানাফী।১০) হাশিয়াতুল আশবাহ পৃষ্ঠা নং-৯ প্রণেতা সায়্যেদ আহমাদ হামুভী হানাফী।১১) হাশিয়ায়ে কানযুদ দাকায়েক পৃষ্ঠা নং-২৬, প্রণেতা মাওলানা মুহাম্মাদ আহমাদ নানুতুভী।১২) মারাকীউল ফালাহ শরহে নুরুল ইজাহ পৃষ্ঠা নং- ২৪৭, প্রণেতা আবুল হাসান শরানবালালী।১৩) মা ছাবাতা ফিস সুন্নাহ,পৃষ্ঠ নং- ২৯২, প্রণেতা শাইখ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলবী।১৪) মাওলানা আব্দুল হাই লাখনুভী হানাফী বিভিন্ন কিতাবের হাশিয়াতে ২০ রাকআতের হাদীছগুলোকে যঈফ বলেছেন। উদাহরণ স্বরূপ দেখুন উমদাতুর রেআয়া (১/২০৭)।১৫) তালীকুল মুমাজ্জাদ, পৃষ্ঠা নং-১৩৮।১৬) তুহফাতুল আখয়ার পৃষ্ঠা নং-২৮,লাখনু ছাপা।১৭)হাশিয়ায়ে হেদায়া (১/১৫১) কুরআন মহল, করাচী ছাপা।১৮) ফাইযুল বারী,(১/৪২০) প্রণেতা মাওলানা আনোয়ার শাহ কাশমীরী।১৯) আলউরফুয্ শাযী পৃষ্ঠা নং- ৩০৯।২০) কাশফুস সিতর আন সালাতিল বিতর পৃষ্ঠা নং- ২৭।২১) শরহে মুআত্তা ফারসী,(১/১৭৭) প্রণেতা শাহ অলীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী। কুতুব খান রাহীমিয়া, দিল্লী, ১৩৪৬ হিঃ।উপরোক্ত আলেমগণ ছাড়া আরও অনেকেই ২০ রাকআত তারাবীর হাদীছগুলোকে যঈফ বলেছেন। আশা করি উপরোক্ত তথ্যগুলো জানার পর কেউ ২০ রাকআত তারবীর পক্ষের হাদীছগুলো সহীহ বলা থেকে সকলেই বিরত থাকবেন এবং অন্যদেরকেও বিরত রাখার চেষ্টা করবেন। আল্লাহ আমাদের সকলকে সহীহ হাদীছের উপর আমল করার এবং জাল ও যঈফ হাদীছ বর্জন করার তাওফীক দিন। আমীন।অনুবাদ: আব্দুল্লাহ শাহেদ আল-মাদানীসম্পাদনা: আব্দুল্লাহিল হাদী


Friday, June 20, 2014

৯০% মুসলমানের দেশে আর কতো অপমানিত হবার পর এদেশের মানুষদের হুশ হবে ?

ঘটনা---১
গতকাল খিলগাঁও থেকে প্রদানিশিন ২৪ জন মেয়েকে আটক করা হয়েছে । তারা সেখানে রমজানের তাৎপর্য নিয়ে ধর্মীয় বৈঠক করছিলেনভ। এসময় পুলিশ বাড়িটি ঘেড়াও করে তাদের আটক করে । সাংবাদিকরা তাদের আটক করার কারণ জানতে চাইলে খিলগাঁও থানার এসআই সৈয়দ আলী বলেন "তাদের কাছে কিছু ধর্মীয় বই পুস্তক পাওয়া গেছে ।" বাহ! কি চমৎকার !!
ঘটনা---২
গতবছরের মাঝামাঝি কোন এক সময় আওয়ামী টিভি চ্যানেলে দেখেছিলাম মিরপুরের এক মেস থেকে ছাত্রশিবিরের ১০-১২ কর্মীকে আটক করা হয়েছে । সেখান থেকে ২টা টর্চলাইট, কয়েকটা ব্যাটারি, স্কচটেপ ইত্যাদি ভয়ানক মরনাস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সেই সাথে সবচেয়ে ভয়ানক বস্তু "ইসলামী বই" সেখানে পাওয়া গেছে। ভয়াবহ ব্যাপারই বটে!!
আগে টিভি চ্যানেল বা পত্রিকায় ইসলামী বই পেলে লেখতো "জিহাদী বই ।" তারও আগে লেখা হতো "জঙ্গী বই ।" কিন্তু আজকাল রাখঢাক না করেই লিখছে "ইসলামী বই ।"

কি চমৎকার বিবর্তকা !

জঙ্গী বই---> জিহাদী বই ---> ইসলামী বই---> ধর্মীয় বই ।

মানে সময়ের বিবর্তনে আজ সমাজ ও রাষ্ট্রের চোখে ইসলামী ও ধর্মীয় বই রাখা ও পড়াটাও অপরাধের বিষয় । এভাবেই তিলে তিলে আমাদের মনকে এসবের সাথে এডজাস্ট করা হয়েছে । কিন্তু আমরা নিশ্চুপ থেকেছি ও থাকছি ।

শুনেছি শেখ হাসিনা নাকি প্রতিদিন ফজর নামাজ পড়ে কুরআন তেলাওয়াত করে দিন শুরু করেন । তাহলে তাকে কেন কুরআন রাখা ও পড়ার অপরাধে গ্রেপ্তার করা হবে না বা কবে হবে ??

ভারতীয় নগ্ন নায়িকাদের নিয়ে কনসার্ট করতে চান ? বাংলাদেশের যে কোন স্থানে অনুমতি ছাড়া এমনকি অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বাসস্থান গণভবনেও করতে পারবেন । কেউ কিছু বলবে না বরং হাসিনা নিজে সাঙ্গপাঙ্গ সহ উপস্থিত থেকে গান গাইবে উৎসাহ দিবে ! কোন হোটেলে, বাসায় নারী-পুরুষ মিলে ইয়াবা, মদ নিয়ে পার্টি করতে চান ? অবশ্যই পুলিশ, সরকার, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সবাই তৈরি, দলবল সহ অংশগ্রহণ করে সফল করে তুলতে !

তাফসীর মাহফিল, ইসলামি আলোচনা সভা করতে চান ? অসম্ভব ! এটা সংবিধান পরিপন্থী বিষয় ! এই হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশ ! ৯০% মুসলমানের ডিজিটাল বাংলাদেশ ! আওয়ামী লীগ ও তাদের পরজীবিরা সবসময় বলার চেষ্ঠা করে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ মানে ধর্মহীনতা নয় । এটা নাকি শুধু ধর্মকে রাষ্ট্র থেকে পৃথক রাখার নাম, ব্যাক্তিগত ভাবে ইসলাম পালনে নাকি বাঁধা নেই !
তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ এ সরকারের আমলে সারাদেশে হিজাব, পর্দা বিরোধী প্রচারণা চালানো হয়, সকল ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান বলতে গেলে বন্ধ, দাঁড়ি, টুপি, হিজাব দেখলেই পুলিশ ও লীগের আচরণ এমন যে তারা সবাই অপরাধী বা জঙ্গী ! এমনকি ঘরেও যদি কয়েকজন মিলে ধর্মীয় আলোচনা করে তাদেরকে জঙ্গী হিসেবে গ্রেফতার করা হচ্ছে, হয়েছে । তার সর্বশেষ নমুনা দেখা গেলো ঢাকার খিলগাঁও এর একটি বাসা থেকে ছাত্রীসংস্থার ২৪ ছাত্রীকে আটক করেছে পুলিশ । তাদের অপরাধ রমজানকে সামনে রেখে তারা ব্যাক্তিগত ভাবে কুরআন তালিমের মতো একটি ঘরোয়া বৈঠক করছিল !

চিন্তা করা যায় বাংলাদেশ আজ কোথায় দাঁড়িয়েছে ?! ৯০% মুসলমানের দেশে ২৬জন নারীকে পুলিশ আটক করেছে কুরআন তালিম করছিল বলে! তারা এই অনুষ্ঠানটি রাস্তায় নয়, হলে নয়, ক্লাবে নয় বরং একটি ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন বাড়িতে করছিল । হাসিনা শেষ পর্যন্ত ঘরের ভিতরও ইসলাম চর্চা নিষিদ্ধ করেছে ?!

নষ্টামিতে বাঁধা নেই, সুন্দরী প্রতিযোগীতার নামে অসভ্যতাতে বাঁধা নেই, অশ্লীল কনসার্টে বাঁধা নেই, বিভিন্ন হোটেল, বাসায় নানা নামে নানা স্টাইলে নারী-পুরুষের অশ্লীলতায় বাঁধা নেই, নৈতিকতা ধ্বংসের কর্মকান্ডে বাঁধা নেই, বাঁধা আছে শুধু ইসলামী অনুষ্ঠানে ?। এমনকি বাসাবাড়িতে করলেও সেখানে বাধাঁ ! ব্যাক্তিগত উদ্যােগে কারো বাসায় কুরআন শিক্ষার অনুষ্ঠান করলেও তাতেও হানা দেয় পুলিশ ? সেখান থেকেও নারী-ছাত্রীদের আটক করা হয় ?!
চোর, ডাকাত, খুনি, ইভটিজার, সন্ত্রাসী,টেন্ডারবাজ, চাদাবাজ্রা প্রকাশ্যে ঘুরবে আর প্রখ্যাত আলেম ওলামারা সহ প্রদানিশিন মহিলারা জেলে ?
এর নামই ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ? এর নামই স্বাধীনতার চেতনা ? এ জন্যই বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল ? আওয়ামী সরকারের মূল টার্গেট তাহলে ইসলামহীন বাংলাদেশ ! ৯০% মুসলমানের দেশে আর কতো অপমানিত হবার পর এদেশের মানুষদের হুশ হবে ?!