Monday, July 14, 2014

দক্ষিণ তালপট্টি মজুদ রয়েছে ১০০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি মামলায় বাংলাদেশের বিজয় হয়েছে বলে দাবি করে আসছেন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা। তাদের যুক্তি, মোট ২৫ হাজার ৬০২ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্রসীমা নিয়ে ভারতের সঙ্গে বিরোধ ছিল। রায়ে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গ কিলোমিটার এলাকার অধিকার পেয়েছে বাংলাদেশ। আর ভারত পেয়েছে ৬ হাজার ১৩৫ বর্গ কিলোমিটার।
কিন্তু বিস্ময়কর তথ্য হলো, ভারতের পাওয়া এই ৬ হাজার বর্গকিলোমিটারের মধ্যেই পড়েছে দক্ষিণ তালপট্টি। যেখানে মজুদ রয়েছে ১০০ ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। কিন্তু বাংলাদেশের পাওয়া অংশে কী পরিমাণ খনিজ সম্পদ রয়েছে তা নিয়ে এখনো কিছুই জানা যায়নি।
সমুদ্রসীমার রায়ের পর ভারতের গণমাধ্যমগুলো বিষয়টি নিয়ে তেমন কোনো তৎপরতা না দেখালেও এখন মুখ খুলতে শুরু করেছে। তারা যথারীতি ব্যাপক বিশ্লেষণ করা হচ্ছে সমুদ্রসীমার রায় নিয়ে। ভারতীয় অনলাইন ভিত্তিক পত্রিকা ফাস্ট পোস্ট ডটকম প্রথমবারের মতো এই রায় নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চালায় এবং রায়ের প্রতিফলন নিয়ে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরে।
রায়ের বিষয়ে ফাস্ট পোস্টের পরামর্শক এডিটর এবং কৌশলগত বিশ্লেষক রাজিব শর্মা বলেন, রায়ে দীর্ঘ দিনের একটি ইস্যুতে ভারতের পক্ষে একটি সমাধান করা সম্ভব হলো। রায়ের ফলে নিউ মুর আইল্যান্ডে ভারতের আসল স্বত্ত্বাধিকারের বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালত বুঝেই এই রায় দিয়েছেন। এই রায়ের ফলে হাড়িয়াভাঙ্গা নদীতে ভারতে প্রবেশাধিকারও নিশ্চিত করা হয়েছে।

হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনা ও মুখের জায়গাটি ভারতের কাছে বিভিন্ন কৌশলগত কারণে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। নদীর বিতর্কিত অংশে যদি ভারতের দাবি নিশ্চিত করা হয় তবে আগামীর দশকগুলোতে ভারতে অনেক লাভবান হবে। এর আগে ২০০৬ সালে হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায় দক্ষিণ মুখের ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে গবেষণা চালিয়ে ভারত সরকার জানতে পারে যে এই অঞ্চলে প্রায় একশ’ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট প্রাকৃতিক গ্যাস মজুদ রয়েছে। যেটি অন্ধ্র প্রদেশের কৃষ্ণা-গোদাবারি মোহনায় মজুদ সম্পদের চেয়েও দ্বিগুণ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে নিউমুর আইল্যান্ড প্রাকৃতিক তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের বিশাল এক সম্ভার। যার কারণে এই দ্বীপের মালিকানা নিয়ে প্রতিবেশি দুটি রাষ্ট্রের মধ্যে সাময়িক উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এছাড়া হাড়িয়াভাঙ্গা নদী যেটি পশ্চিম বাংলার সুন্দরবনের কোল ধরে বয়ে বেড়ায় সেই নদীতে প্রচুর পরিমাণ হাইড্রো কার্বন রয়েছে যেটি শুধুমাত্র অন্ধ্র প্রদেশের কৃষ্ণা-গোদাবারি নদীর মোহনায় পাওয়া যায়। পাশাপাশি এই রায়ে উভয় দেশের জেলেদের জন্য বিশাল এক সমুদ্রসীমা ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হয়ে গেল।
সূত্র : ফাস্ট পোস্ট ডটকম।

Friday, July 11, 2014

বাংলাদেশিদের রোহিঙ্গা বিবাহে নিষেধাজ্ঞা

বাংলাদেশিদের জন্য রোহিঙ্গা বিবাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ সরকারের আইন মন্ত্রণালয়। এ আদেশ জারি করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবেন না৷ এ ধরনের বিয়ে অবৈধ৷ এমন ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে৷

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, আদেশ অনুযায়ী এখন থেকে যদি কোনো কাজি রোহিঙ্গাদের বিবাহ নিবন্ধন করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিবাহ নিবন্ধন হলেও সেটি অবৈধ হবে।

তিনি আরো বলেন, কাজি ছাড়াও যারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন, তাদেরও শাস্তির আওতায় আনা হবে। তবে শাস্তির পরিমাণ এখনো নির্দিষ্ট করা হয়নি আদেশে। এছাড়া এই আদেশ জারির আগে কোনো বিয়ে হয়ে থাকলে সে ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা তা স্পষ্ট করেননি আইনমন্ত্রী।

চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার জেলা প্রশাসকদের এ বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার আদেশ জারির আগে আইন মন্ত্রণালয়ে এ বিষয় জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী। তারাই এ ধরনের বিবাহ বন্ধের প্রস্তাব করেন। রোহিঙ্গারা বিয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশিদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছেন বলে জানান জেলা প্রশাসকরা। এছাড়া আত্মীয়তার সূত্র ধরে ভোটার তালিকায় নামও ওঠাচ্ছে তারা। যা একটি জটিল পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে।

এদিকে, বাংলাদেশি-রোহিঙ্গা বিবাহ নিষিদ্ধে আইন মন্ত্রণালয়ের আদেশকে মানবাধিকারের লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ।

ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, কোনো আইনেই কোনো জাতি, গোষ্ঠী, বর্ণ, গোত্রের বা কোনো দেশের নাগরিকের সঙ্গে বিবাহ নিষিদ্ধ করা যায় না। তাই রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা কোনো কাজেও আসবে না।

তিনি মনে করেন, আইন করে বিবাহ, ভালোবাসা বন্ধ করা যায় না। যারা করবেন, তারা ঠিকই উপায় বের করবেন। তারচেয়ে বাংলাদেশ সরকারের উচিত রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারের সঙ্গে কার্যকর আলোচনা চালিয়ে যাওয়া। নতুবা বিবাহ নিষিদ্ধ করায় বাংলাদেশের ইমেজ আন্তর্জাতিক মহলে ক্ষুণ্ন হবে। তাই শরণার্থী হিসেবে তাদের সহযোগিতা করা উচিত।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এখন মিয়ানমারের নিবন্ধিত ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী আছেন৷ তবে অনিবন্ধিত শরণার্থীর সংখ্যা আট লাখ বলে ধারণা করা হয়ে থাকে।
সূত্র: ডি ডব্লিউ

শীর্ষ নিউজ ডটকম - See more at: http://www.sheershanews.com

ফিলিস্তিনের জন্য আমরা ব্যক্তিগত ভাবে যা করতে পারি তা হলো ইসরাইলের প্রোডাক্ট বয়কট।

হে বাংলার মুসলিম আমাদের সাধ্য নেই ফিলিস্তিন গিয়ে অস্ত্র হাতে নিয়ে ইসরাঈলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার। ফিলিস্তিনের জন্য আমরা ব্যক্তিগত ভাবে যা করতে পারি তা হলো ইসরাইলের প্রোডাক্ট বয়কট। কিছু পরিচিত ইসরাইলি প্রোডাক্ট : Pepsi ,Coca Cola,7up, KitKat, Lo real, Kodak Gillette Nike Intel Disney,এছাড়া Nestle এর সকল পণ্যঃ Nescafe,Maggi Noodles, Nedo, Nesta ইত্যাদি৷

ঈদ ও রোজাকে সামনে রেখে Nestle,Maggi Noodles ইত্যাদির ব্যবহার হয়তো হাজার গুন বেড়ে যাচ্ছে৷মনে রাখা উচিত এই পণ্যগুলোই ইসরাইলের অর্থনীতির প্রধান উৎস৷তাই আমরা অন্য ব্রান্ড এর পণ্য ক্রয় করি,পরিবারকে কট্টর ভাবে এসব কিনতে নিষেধ করি৷ ইসরাইলি পণ্য চেনার সহজ উপায় পিছনের লোগো৷ইসরাইলি পণ্যের ১ম তিন ডিজিট 729.যেমন নুডুলসের পিছনে 7293453459070 লেখা থাকলে ইসরাইলি নুডুলস৷এগুলো খাওয়া আর ফিলিস্তিন ভাই বোনদের রক্ত খাওয়া সমান !

তাই এতটুকু আশা রাখতেই পারি যে কয়জন এই পোস্টটা দেখছি তারা আর জীবনেও এসব পণ্য ছুবোনা৷ আর যদি এমন হয় যে এমতবস্হায় এগুলো ব্যবহার করতেই হবে তখন তবে ঘৃণা আর তাচ্ছিল্যের সাথে।

হিটলার একদিন মজা করে বলেছিল..

হিটলার একদিন মজা করে বলেছিল..

" আমি চাইলে সব ইহুদীদের হত্যা করতে পারতাম,,কিন্তু কিছু ইহুদী বাচিয়ে রেখেছি,,এই জন্যে যে, যাতে পৃথিবীর মানুষ বুঝতে পারে, আমি কেন ইহুদী হত্যায় মেতেছিলাম"

মুলত হিটলার এর পর ইহুদি আর কারো শাষন পায়নাই। আসুন দেখি কাদের হাতে এই ইহুদি দের মূল শিকড় উপড়ানো হবে মহান আল্লাহ এর ইচ্ছায়।

ফিলিস্তিন আবারও রক্তাত্ত, কিন্তু এই রক্তের বদলা কে নিবে? কিভাবে সম্ভব ফিলিস্তিন মুক্ত করা? কে বা কারা মুক্ত করবে ফিলিস্তিন? হামাস? নাকি স্বঘোষিত খলিফাহ বাগদাদি? নাকি জাতিসংঘের শান্তি চুক্তি?

আছে কি এই প্রশ্নের উত্তর আপনাদের কাছে? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে আধুনিকতার সকল জৌলুস মুক্ত হয়ে আমাদের সকলের প্রিয় রাসুলুল্লাহর(সাঃ)হাদীসের দিকে।

উনি আজ থেকে প্রায় চৌদ্দশত বছর আগেই এ ব্যাপারে ভবিষ্যৎ বানী করেছেন যে কে ফিলিস্তিন মুক্ত করবে? কোন বাহিনীর তরবারিই পারবে ইহুদীদের কচুকাটা করতে? যেদিন ইহুদীরা জীবন বাঁচাতে গাছের পেছনে আশ্রয় নিবে, যেদিন ইহুদীরা জীবন বাঁচাতে পাথরের পেছনে আশ্রয় নিবে।কিন্তু সেদিন গাছ ও পাথর তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাবে এবং বলবে, হে মুসলিম!এসো! আমার পেছনে একজন ইহুদি লুকিয়ে আছে, ওকে হত্যা কর! কোন সেই সৌভাগ্যবান মুজাহিদ বাহিনী?

রাসুল সাঃ বলেছেন, "খোরাসান থেকে কালো পতাকাবাহি একটি বাহিনী আসবে যাদেরকে কোন শক্তিই (সকল কুফফার রা জোট বাধলেও) পরাজিত করতে পারবে না যতক্ষন পর্যন্ত না তারা জেরুজালেমে পৌঁছায় (বিজয়ীর বেশে)"। খেয়াল করুণ জেরুজালেম ইহুদীদের দখলে আজ প্রায় ৬৬ বছর দজরে। অতএব রাসুল সাঃ এর ভবিষ্যতবাণীর বাস্তবায়ন হওয়ার সময়ও হয়ে এসেছে।

কোথায় সেই খোরাসান? কারা সেই কালো পতাকা বাহিনী? এই প্রশ্নের উত্তর আপনিই খুজে বের করুণ, আপনার বিবেক বুদ্ধি দিয়ে জানার চেষ্টা করুণ। কে বা কারা সেই কালো পতাকাবাহী বাহিনী।

অবশ্য এক্ষেত্র আমি আপনাদেরকে মোল্লা মুহাম্মদ উমর(হাঃ)ও তালিবান মুজাহিদ সম্পর্কে ডাঃ আয়মান আল জাওয়াহিরির'র (হাঃ) কিছু সাক্ষ্য উপস্থাপন করব। তিনি মোল্লা মুহাম্মদ উমর (হাঃ) সম্পর্কে ২০০৮ এর একটি অফিসিয়াল বার্তায় বলেন,

“জানতে চাও কেন আমরা (আল কায়দা) মোল্লা মুহাম্মদ উমরের কাছে বাইয়াহ দিয়েছি? আমরা অবশ্যই তাকে বাইয়াহ দিয়েছি আর হ্যা, আমরা তাকে বাইয়াহ দিতে পেরে নিজেদেরকে সম্মানিত বোধ করছি। ও দুনিয়ার মুসলিম! আমরা তোমাদেরকেও আহ্বান জানাই মুজাহিদদের এই সত্যবাদি আমীর মোল্লা মুহাম্মদ উমরের কাছে বাইয়াহ দেওয়ার জন্য।”

জানতে চাও, কেন আমরা তাকে (মুহাম্মদ উমর) বাইয়াহ দিয়েছিলাম? আমরা তাড়াহুড়া করে বা অধৈর্য হয়ে অথবা কোন রকম বিচার-বিবেচনা করা ছাড়া এরুপ (মোল্লা উমরকে বাইয়াহ দেয়া) করিনি।আমরা এমন একজন ব্যাক্তিকে বাইয়াহ দিয়েছিলাম যার সঙ্গে আমরা একত্রে বসবাস করেছি,যার সঙ্গে একত্রে চলেছি এবং যাকে আমরা বিভিন্নভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে তার সম্পর্কে আমাদের মূল্যায়ন হচ্ছে, যাদেরকে কারও সঙ্গে তুলনা করা যায় (নবী রাসুল) না তারা ব্যতীত ইসলামের ইতিহাসে অল্প যে সকল মুজাহিদ, মহৎ ও আল্লাহ্‌র উপর নির্ভরশীল ব্যাক্তি এসেছেন তিনি তাদেরই একজন।" আল্লাহু আকবর! আরও কিছু কথা বলার পরে উনি বলেন...

“আমরা সেই ব্যাক্তির কাছে বাইয়াহ দিয়েছি যিনি আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আফগানিস্থানের মুনাফিক মুক্ত করার পরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে জিহাদে অংশগ্রহণ করার এবং বায়তুল মুকাদ্দাস মুক্ত করার। আমরা সেই ব্যক্তিকে বাইয়াহ দিয়েছি যিনি আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইমাম বুখারির জন্মস্থান (উজবেকিস্থান) কমিউনিস্টদের কবল থেকে মুক্ত করার। (ইনশাল্লাহ)” (সম্পূর্ণ বক্তব্যের লিংক কমেন্টে)।

উনি শেষ পর্যন্ত বায়তুল মুকাদ্দাস মুক্ত পারবেন কি পারবেন না তা আল্লাহই ভাল জানেন। কিন্তু মোল্লাা মুহাম্মদ উমরের প্রতুশ্রুতি আর রাসুল সাঃ এর ভবিষ্যৎ বানীর মধ্যে আমি স্পষ্ট মিল দেখতে পাচ্ছি এবং এই মিল যে নিতান্তই কাকতালীয় কোন ঘটনা নয়, তাও অন্যান্য ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণ করলে আমাদের সামনে পরিষ্কার হয়ে যায়।

দেখুন আজ পর্যন্ত এই তালিবান এক দিনের জন্যও পরাজিত হয়নি। বিশেষ করে জর্জ বুশ ২০০১ সালে যখন তাদের সর্বোচ্চ শক্তি হাতে নিয়ে তালিবান ও আল কায়দার বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিল, তখন অনেকেই মনে করেছিল খেলা বোধহয় এখানেই খতম। মুনাফিকেরা তখন মায়া কান্না শুরু করল আগেই বলেছিলাম এত বাড়াবাড়ি ভাল না। কিন্তু আল্লাহ সুভহানা তায়ালও পরিকল্পনা করেন এবং শয়তানও পরিকল্পনা করে। কিন্তু নিশ্চয় শয়তানের পরিকল্পনা দুর্বল।

যাদের অন্তরে নেফাকি আছে তারা বলবে, আগে দেখি তারা জেরুজালেমে পৌছাতে পারে কিনা! যদি তারা জেরুজালেম মুক্ত করতে পারে তখন তাদেরকে বাইয়াহ দিব। ওহে মুনাফিকের দল! রাসুল সাঃ তোমাদের মত লোকদের জাহান্নামের সংবাদ দিয়েছেন। তোমরা তখন তওবা করলেও আল্লাহ্‌র কাছে সে তওবা কবুল হবে না কারণ তখন তওবার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে।

আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত, “তিনটি ঘটনা একদা ঘটার পরে আরও কোন কল্যাণ হবে না আল্লাহ কে বিশ্বাস করায় যদি না সে এতদিন আল্লাহকে বিশ্বাস করে থাকে... দাজ্জাল, দাব্বাহ (BEAST), সূর্যের পশ্চিম দিক থেকে অভ্যুদয়।” --তিরমিযী

তাই সকল মুসলিম ভাইয়ের প্রতি অনুরোধ আর দেরি না করে মোল্লা মুহাম্মদ উমরের প্রতি আপনার বাইয়াহ দিন। যদি সত্যই ফিলিস্তিনের মা বোনের কান্না আপনার হৃদয়ে আঘাত করে, যদি সত্যি আপনি চান যায়নিস্টদের অত্যাচার থেকে মুসলিম উম্মাহ কে রক্ষা করতে, তবে শরিক হোন কালো পতাকার ছায়া তলে।

আর যারা স্বঘোষিত খলিফার দিকে চেয়ে আছেন তাদের প্রতি আমার সুস্পষ্ট বার্তা। আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি তোমাদের এই স্বঘোষিত খলিফাহ জেরুজালেমের একটা গারকাদ গাছও কাটতে পারবে না। যেই আল্লাহ্‌র হাতে আমার জীবন তার শপথ করে আমি বলছি রাসুল সাঃ এর একটি হাদিসও মিথ্যা হতে পারে না। জেরুজালেম খোরাসানি বাহিনীর দ্বারাই মুক্ত হবে, ইরাকি বা মিশরি বাহিনীর দ্বারা নয়। তোমরা যদি সত্যি বায়তুল মুকাদ্দাসের মিনারে কালো পতাকা দেখতে চাও তাহলে সময় নষ্ট না করে এখনই খোরাসানের বাহিনীকে বাইয়াহ দিয়ে দাও, মুখের একটি কথা দিয়ে হলেও সহযোগীতা কর। আর তোমাদের ইরাকি বাহিনীকেও খোরাসানের আমীর মুহাম্মদ উমর হাফিযুল্লাহ’র হাতে শাইখ ওসামার মত বাইয়াহ দিতে বল। মনে রেখ, সারা পৃথিবী থেকেই বরফের উপর হামাগুরি দিয়ে মুসলিমরা খোরাসানে যোগ দিবে কিন্তু যারা খোরাসানের বিরোধীতা করবে বা বাতিল বলবে (যেমনটা আদনানি বলেছে) তারা নিশ্চিত ধ্বংস হয়ে যাবে, কালো পতাকার হাদিসের সাথে এই গোষ্ঠীর কোনই সম্পর্ক নেই। হয়ত পথের মাঝে এরা ঘেউ ঘেউ করে কিছুটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারবে, কিন্তু খোরাসানের কাফেলা শেষ পর্যন্ত জেরুজালেম মুক্ত করেই ছারবে ইনশাল্লাহ।

যারা রাসুল সাঃ হাদিস জানার পরেও জেরুজালেম মুক্ত কারি কালো পতাকাবাহী বাহিনীকে বাইয়াহ দিবে না অথচ জেরুজালেমের জন্য মায়াকান্না করবে তাদের অনিষ্ট থেকে আমি আল্লাহ'র কাছে আশ্রয় চাই।

[[ ISIS এর বিপক্ষে একটা পোষ্ট দেয়ায় অনেকেই ইনবক্স এ অনেক কিছু বলেছেন। তাদের জন্যে এই পোষ্ট। আমি একনিষ্ঠ ভাবে তালিবান সমর্থক। যারা এদের সাথে বিরুধি হবে। আমি ও তাঁর বিরুধি। সেটা ISIS হোক বা যে কেউ।]] ISIS এখনো সতন্ত্র আছে। সময় সব বলে দিবে।


Wednesday, July 9, 2014

http://dhakatimes.com.bd/2014/07/09/47033/mystery-of-sakib-ban/

ব্রাজিলের উপর জার্মানির প্রতিশোধের এক ম্যাচেই ৭ টি বিশ্ব রেকর্ড!

২০০২ সালের সেমিফানালে হারার প্রতিশোধ নিতেই যেন মাঠে নেমেছিল জার্মান ফুটবলার রা। ব্রাজিলকে ৭-১ গোলের ব্যাবধানে গুড়িয়ে দিয়ে ২০০২ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে হারার শোধ তুলল তারা। আর প্রতিশোধের এই ম্যাচে মোট বিশ্ব রোকের্ড হয়েছে ৭ টি





১. সেমিফাইনালে সবচেয়ে বেশী গোলঃ

এই প্রথম কোনো সেমি ফাইনালে মোট ৮ টি গোল হয়েছে। এর আগে বিশ্বকাপ ইতিহাসে কোনো সেমিফাইনালে মোট ৭ টির বেশী গোল হয়নি। ১৯৩০সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা-যুক্তরাষ্ট্র ও একই বছরউরুগুয়ে-যুগোস্লাভিয়া ম্যাচেই সর্বোচ্চ সাত গোলের রেকর্ড ছিল হয়। এরপর ৫৮’রসেমিফাইনালে ব্রাজিল-ফ্রান্স এবং ৭০’র ইটালি-পশ্চিম জার্মানিরসেমিফাইনালেও সর্বাধিক সাত গোলের রেকর্ড ছিল।





২. বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশী গোল করার রেকর্ডঃ
ব্রাজিল বনাম জার্মানির এই ম্যাচে গোল করে বিশ্বকাপে সর্বাধিক গোল করার রেকর্ড করেন মিরোস্লাভ ক্লোজা। ১৬ টি গোল করে তিনি ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তী রোনাল্ডোর রেকর্ড ভাঙেন।

৩. সেমিতে এক দলের সবচেয়ে বেশী গোল হজমঃ

এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের ইতিহাসে কোনো সেমি ফাইনাল ম্যাচে এক দল ৭ গোল হজম করেনি। এইটিই ছিল বিশ্বকাপে সেমিতে এক দলের সবচাইতে বেশী গোল হজম করার রেকর্ড।

৪. বিশ্বকাপে কোনো দলের মোট গোলঃ

জার্মানি এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশী গোলের রেকর্ড। গড়ল। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ১৮ বার অংশ নিয়ে জার্মানি গোল করেছে ২২৩ টি। এরআগে, ২০ বিশ্বকাপে ১০৩ ম্যাচ খেলা ২২১ গোলের রেকর্ড ছিল এই ম্যাচেই পরাজিত ব্রাজিলের।




৫. ব্রাজিলের সবচাইতে বড় ব্যাবধানে হারঃ

এই ম্যাচে ৬ গোলের ব্যাবধানে হার ব্রাজিলের সবচাইতে বড় ব্যাবধানের হার।

৭. ৬ মিনিটে চার গোলঃ

এই ম্যাচে হয়েছে সবচাইতে কম সময়ে চার গোলের রেকর্ড। ২৩ থেকে ২৯ মিনিট, এই ৬ নিনিটে জার্মানরা ব্রাজিলের জালে ৪ গোল জড়িয়ে রেকর্ড করেন।

Tuesday, July 8, 2014

বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি মামলা রায়ে দুই দেশই বিজয়ী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি মামলায় উভয় দেশই বিজয়ী হয়েছে বলে দাবি করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী।

মঙ্গলবার দুপুর ২টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

সোমবার নেদারল্যান্ডের দ্য হেগ- এর সালিশি ট্রাইব্যুনাল (Arbitral Tribunal) বঙ্গোপসাগরে ২০০ নটিক্যাল মাইলের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২০০ নটিক্যাল মাইলের বাইরে মহীসোপান অঞ্চলে বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ ও সার্বভৌম অধিকার সুনিশ্চিত করে বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা নির্ধারণী মামলার রায় ঘোষণা করে।

ট্রাইব্যুনালের রায় পর্যালোচনাপূর্বক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী ঘোষণা করেন ‘এই রায় উভয় রাষ্ট্রের বিজয় নিশ্চিত করেছে। এই বিজয় বন্ধুত্বের বিজয়। এই বিজয় বাংলাদেশ ও ভারতের জনগণের বিজয়। কেননা, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে উভয় রাষ্ট্রের মধ্যে এটি এমন একটি বিদ্যমান সমস্যা হিসেবে ছিল, যা উভয় রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছিল। আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে অবশেষে এর নিষ্পত্তি হলো।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক আইনগত প্রক্রিয়ায় দীর্ঘদিনের বিরাজমান এই সমস্যা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানে ভারতের সদিচ্ছাকে এবং ট্রাইব্যুনালের রায় মেনে নেওয়ার জন্য আমরা ভারত সরকারকে সাধুবাদ জানাই।’

এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘দীর্ঘদিনের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কে বিরাজমান সমস্যা অবশেষে আন্তর্জাতিক সালিশি ট্রাইব্যুনালের রায় অনুযায়ী শান্তিপূর্ণ সমাধান উভয় রাষ্ট্রকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং সমুদ্রবিষয়ক ক্ষেত্রে সমঝোতা ও সহযোগিতার সম্পর্কে এক নতুন দুয়ার খুলে দেবে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, ‘এখন থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইলের বাইরে মহীসোপানে বাংলাদেশের অবাধ প্রবেশাধিকার সুরক্ষিত হলো। গভীর সাগরে মৎস্য আহরণ, সমুদ্রের তলদেশে প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান ও উত্তোলনে বাংলাদেশের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠিত হলো।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ পুষ্টির উৎস, সম্পদ এবং কর্মসংস্থানের জন্য সমুদ্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত ও সমুদ্রের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। এই রায়ের স্বচ্ছতা ও আইনগত নিশ্চয়তার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের জনগণ গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করে লাভবান হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী টেকসই উন্নয়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বরেন, ‘এ রায়ের ফলে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত ১,১৮,৮১৩ বর্গকিলোমিটারের বেশি টেরিটোরিয়াল সমুদ্র, ২০০ নটিক্যাল মাইল একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং চট্রগ্রাম উপকূল থেকে ৩৫৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মহীসোপানের তলদেশে অবস্থিত সব ধরনের প্রাণিজ ও অপ্রাণিজ সম্পদের ওপর সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। ন্যায্যতা নিশ্চিত করার জন্য ট্রাইবুনাল বিরোধপূর্ণ আনুমানিক ২৫,৬০২ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্র এলাকার মধ্যে ১৯,৪৬৭ বর্গ কিলোমিটার  সমুদ্র এলাকা বাংলাদেশকে প্রদান করেছে।’

২০১৩ সালের ০৯ই ডিসেম্বরে দ্য হেগ এর পিস প্যালেসে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা নির্ধারণ মামলার মৌখিক শুনানিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলে ছিলেন ডা. দীপু মণি, এজেন্ট, মো. শহিদুল হক, পররাষ্ট্র সচিব এবং রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম (অব.), সচিব, মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট (ডেপুটি এজেন্ট)।

বাংলাদেশের পক্ষে বৈদেশিক কৌসুলি হিসেবে ছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পল রাইখলার এবং লরেন্স মার্টিন, যুক্তরাজ্যের প্রফেসর জেমস্ ক্রফোর্ড, ফিলিপ স্যান্ডস এন্ড এলান বয়েল এবং কানাডার প্রফেসর পায়াম আখাভান।

সালিশি ট্রাইব্যুনালে বিচারক হিসেবে ছিলেন, জার্মানির রুডিজার উলফ্রাম (প্রেসিডেন্ট), ফ্রান্সের জ্যাঁ-পীয়েরে কট, ঘানার টমাস এ. মেনশাহ, অস্ট্রেলিয়ার প্রফেসর আইভান শীয়ারার এবং ভারতের ড. প্রেমারাজু শ্রীনিবাসা রাও।

পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট  ট্রাইব্যুনাল রায় দেন, সমদূরবর্তী পদ্ধতিতে দুই দেশের সমুদ্রসীমা নির্ধারণ করা হলে বাংলাদেশের দাবি অনুযায়ী তা ন্যায্যতা নিশ্চিত করে না।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ৮ অক্টোবর আন্তর্জাতিক আইনানুযায়ী রাষ্ট্রাধীন অঞ্চলে, একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে এবং মহীসোপানের সমুদ্র সীমানা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে জাতিসংঘ সমুদ্র আইন কনভেনশন অনুযায়ী বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সালিশি ট্রাইব্যুনালে মিয়ানমার ও ভারত-এর অনুকূলে সালিশি নোটিশ দেয়।

২০১২ সালে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণী সংক্রান্ত একই ধরনের মামলার নিষ্পত্তি হয়। জার্মানির হামব্যুর্গে অবস্থিত International Tribunal for the Law of the Sea (ITLOS) এর ২১ সদস্যবিশিষ্ট বিচারক পর্ষদ মিয়ানমার প্রস্তাবিত ‘সমদূরত্ব’ পদ্ধতি প্রত্যাখ্যান করে ‘ন্যায্যতা’র ভিত্তিতে বাংলাদেশের অনুকূলে রায় দেয়। এতে করে বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে অমীমাংসিত ২০০ নটিক্যাল মাইলের একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২০০ নটিক্যাল মাইলের বাইরে মহীসোপান অঞ্চলে ন্যায্য হিস্যা লাভ করে।

২০১৪ সালের সালিশি ট্রাইব্যুনালের রায় উভয় রাষ্ট্রের নিজ নিজ সমুদ্র সীমানা চিহ্নিত করে দিয়েছে, যার বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ নেই। এই রায়ের মাধ্যমে ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা সম্পর্কিত বাংলাদেশের মামলার পরিসমাপ্তি ঘটলো।

শীর্ষ নিউজ ডটকম/বিজ্ঞপ্তি/এফইউ/একেএ
- See more at: http://www.sheershanews.com/2014/07/08/43808#sthash.mbPU810h.dpuf

দক্ষিণ তালপট্টি হারালো বাংলাদেশ

ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি মামলায় সাতক্ষীরার হাড়িয়াভাঙ্গা নদীর মোহনায় জেগে ওঠা দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ হারিয়েছে বাংলাদেশ।

দীর্ঘ ৪ বছর ৯ মাস আইনি লড়াইয়ের পর সোমবার নেদারল্যান্ডের হেগ-এ অবস্থিত আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে (পিসিএ) এ মামলার নিষ্পত্তি হয়।

আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতের নিয়ম অনুযায়ী রায় হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর তা আনুষ্ঠানিকভাবে জনসম্মুখে প্রকাশ করা হয়। এ প্রেক্ষিতেই মঙ্গলবার দুপুর ২টায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিডিয়া রুমে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ রায় প্রকাশ করেন সংশ্লিষ্টমন্ত্রী এ এইচ এম মাহমুদ আলী।

তিনি বলেন, রায়ের মাধ্যমে বঙ্গোপসাগরে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত একচ্ছত্র অর্থনৈতিক অঞ্চলে এবং এর বাইরে মহীসোপান অঞ্চলে বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ ও সার্বভৌম অধিকার নিশ্চিত হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরোধপূর্ণ এলাকা ছিল প্রায় ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা বাংলাদেশ পেয়েছে।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের পর এবার ভারতের সঙ্গেও সমুদ্র বিরোধে জয়ী হলো বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের বিজয়ের কথা বললেও বাস্তব অবস্থা ভিন্ন। রায় অনুযায়ী, দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ হারিয়েছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে বাংলাদেশ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কোনো সুযোগ পাবে না।



Sunday, July 6, 2014

এই বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ফাউল করেছে ব্রাজিল, সবচেয়ে কম আর্জেন্টিনা

এখন পর্যন্ত পাঁচটি করে ম্যাচ খেলা দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ফাউল করেছে স্বাগতিক ব্রাজিল। সবচেয়ে কম ফাউল করেছে আর্জেন্টিনা। ফিফার অফিসিয়াল ওয়েব সাইটেই মিলেছে এমন তথ্য।


এ থেকে বোঝা যায় ষষ্টবার বিশ্বকাপ জয়ের চাপ কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছে নেইমারদের খেলায়। সে কারণেই মাঠের খেলায় একটু হলেও বেশি ঝুঁকি নিয়ে ফেলছেন তারা। সবচেয়ে বেশিবার ফাউল করার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশিবার ফাউলের শিকারও হয়েছে তারাই।

শুধু ফাউল করাই নয়, সবচেয়ে বেশি হলুদ কার্ডও দেখেছে স্বাগতিক ব্রাজিল। এখানে তাদের সঙ্গে অবশ্য কোস্টারিকাও আছে।

ব্রাজিলের ফাউল সংখ্যা ৯৬টি, তারা হলুদ কার্ড দেখেছে ১০টি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কোস্টারিকার ফাউল ৯৪টি, হলুদ কার্ড ১০টি। তৃতীয় স্থানে আছে নেদারল্যান্ডস। ডাচরা প্রতিপক্ষকে ফাউল করেছে ৯১বার আর হলুদ কার্ড দেখেছে ৭বার।

ফিফার রেকর্ড অনুযায়ী ফাউল আর কার্ডের সংখ্যা

ফাউল করা ও হলুদ কার্ড দেখার তালিকায় চতুর্থ স্থানে কলম্বিয়া। তারা ৯১বার ফাউল করেছে আর হলুদ কার্ড দেখেছে পাঁচবার। পঞ্চম স্থানে বেলজিয়াম। কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে বাদ পড়া দলটি ফাউল করেছে ৮৬বার। তাদের হলুদ কার্ডের শাস্তি পেতে হয়েছে ৭ বার। ষষ্ট স্থানে ফ্রান্স। ৬২টি ফাউলের বিপরীতে তারা হলুদ কার্ড দেখেছে পাঁচবার। সপ্তম স্থানে জার্মানি। তারা ফাউল করেছে ৫৭বার, হলুদ কার্ড দেখেছে পাঁচবার।

অন্তত পাঁচটি ম্যাচ খেলা দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ফাউল করেছে আর্জেন্টিনা। মেসির দল প্রতিপক্ষকে অবৈধ আক্রমণ করেছে ৫৪বার। হলুদ কার্ড দেখেছে পাঁচবার।

খৃষ্টান মিশনারীদের দালালী ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে ষোযন্ত্রের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে জুতাবৃষ্টির পর রাঙ্গামাটিতে বাঙালী ছাত্রদের হামলার শিকার হলো বাংলাদেশের কুখ্যাত নাস্তিক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক আন্তর্জাতিক কমিশনের (সিএইচটি) কো-চেয়ারপার্সন সুলতানা কামাল চক্রবর্তী সহ তার সহযোগীরা।

খৃষ্টান মিশনারীদের দালালী ও পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালীদের বিরুদ্ধে ষোযন্ত্রের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে জুতাবৃষ্টির পর রাঙ্গামাটিতে বাঙালী ছাত্রদের হামলার শিকার হলো বাংলাদেশের কুখ্যাত নাস্তিক ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক
আন্তর্জাতিক কমিশনের (সিএইচটি) কো-চেয়ারপার্সন সুলতানা কামাল চক্রবর্তী সহ তার সহযোগীরা।
এতে চার জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
সিএইচটি কমিশনের সদস্যরা হলেন-
অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল,
খুশী কবির, ড.স্বপন আদনান, হানা শামস আহমেদ।
এদিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তিন রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার
দিকে সিএইচটির গাড়ি বহর জেলা শহরের পর্যটন মোটেল থেকে বের হয়ে একশ গজ দূরে গেলেই এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- রাঙামাটি সদর কতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ সোহেল (৪৭), পিআইডির ড. ইফতেখারুজ্জামান, কলামিস্ট ইলোরা দেওয়ান ও গাড়ি চালক। এতে চালকের নাম জানা যায়নি।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোস্তফা কামাল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত
করে জানান, সিএইচটি কমিশনের ৫
সদস্যসহ আহতদের কড়া নিরাপত্তায়
প্রথমে রাঙামাটি কতোয়ালি থানায়
নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাদের চট্টগ্রাম
সামরিক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
আহত কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত
কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ সোহেল
বলেন, ‘অবরোধকারীদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে। এসময় সংঘর্ষে তিনিসহ চার জন আহত হয়েছেন।’
এর আগে সকালে ৫ সদস্যকে পর্যটন
মোটেলে অবরুদ্ধ করে রাখে বাঙালি সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সকাল সোয়া ১০টা থেকে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ কর্মীরা মোটেলের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় নেতাকর্মীরা শহরে প্রবেশের প্রধান সড়কগুলো অবরোধ করে রাখে।
এতে যান চলচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর আগে শুক্রবার বাঙালি সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা ব্যাপক
বিক্ষোভের মুখে পার্বত্য খাগড়াছড়ি থেকে বের হয়ে জুতাবৃষ্টি অতিক্রম করে চট্টগ্রাম গিয়ে রাতের অন্ধকারে রাঙামাটি শহরে এসে পৌঁছায় সিএইচটি কমিশনের সদস্যরা। শুক্রবার
রাতে অনেকটা গোপনীয়ভাবেই পাহাড়ি এই শহরে প্রবেশ করেন তারা।
পরে রাতে চাকমা সার্কেল চিফ রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন তারা। কমিশন সদস্যগণ রাঙামাটি পর্যটন মোটেলে রাত যাপনের উদ্দেশ্যে চলে যান। রাঙামাটির পর্যটন কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসন সূত্র কমিশন সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পর্যটন মোটেলে অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জানা গেছে, কমিশনের সদস্য অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল,
খুশী কবির, ড. স্বপন আদনান, হানা শামস আহমেদ সেখানে অবস্থান করছেন। এর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম
কমিশনকে বিতর্কিত, পক্ষপাতদুষ্ট ও খৃষ্টান মিশনারীদের দালাল আখ্যা দিয়ে তাদের পার্বত্য চট্টগ্রামে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে ৪ ও ৫ জুলাই রাঙামাটি জেলায় অবরোধের ডাক দিয়েছিলো ৬টি বাঙালিভিত্তিক সংগঠন। শুক্রবার সকাল থেকে অবরোধ শুরু হলেও দুপুরে কমিশন সদস্যরা খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভেরমুখে সফর বাতিল করে চট্টগ্রাম চলে গেছে জানিয়ে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয় সংগঠনগুলো। কিন্তু এরই মধ্যে কমিশন সদস্যরা প্রশাসনের কাছে কোনো প্রকার তথ্য না দিয়েই অনেকটা গোপনেই রাঙামাটির
শহরে আসেন।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসনকে কোনো কিছু না জানিয়ে, গোপনে কমিশন সদস্যদের
রাঙামাটি আসার খবরে তোলপাড় ও
কৌতুহল সৃষ্ঠি হয়েছে সারা শহর জুড়ে।
রাতেই খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল
পর্যটন মোটেলে গেলেও সেখানে অবস্থান নেয়া কমিশন সদস্যরা ক্লান্তি ও শারীরিক দুর্বলতার কারণে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না জানা গেছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনু সোহেল ইমতিয়াজ জানিয়েছেন, তারা আমাদের কোনো কিছুই না জানিয়ে রাঙামাটিতে এসেছে এবং আমাদের কোনো নিরাপত্তা সহযোগিতাও চায়নি। তবুও নিজেদের দায়িত্বের অংশ হিসেবে আমি রাতেই পর্যটন মোটেলে গেছি, কিন্তু সেখানে তাদের সঙ্গে খুব একটা কথা বলার সুযোগ হয়নি।
উল্লেখ্য শুক্রবার সকালে খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেলে সংবাদ সম্মেলন
করাকালে পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদকর্মীরা মোটেলের
সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু
করে। ৩০ মিনিটের মধ্যে খাগড়াছড়ি ত্যাগের আল্টিমেটাম দিয়ে তাদের উপর জুতা নিক্ষেপপ করে বাঙ্গালী ছাত্ররা। দ্রুত খাগড়াছড়ি ছেড়ে চট্টগ্রামের দিকে রওনা দিয়ে দিক পরিবর্তন করে কৌশলে রাঙামাটি প্রবেশ করেন তারা।


Thursday, July 3, 2014

২০ মাইল দীর্ঘ ভয়ংকর ‘সর্প দ্বীপ’ ব্রাজিলে




টিবিটি আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ এক মাইল কিংবা দুই মাইল নয়, দীর্ঘ ২০ মাইল দীর্ঘ এক দ্বীপ। পুরোটা জুড়ে কেবল সাপ আর সাপ।

একটি দুটি নয়, চার হাজার সাপের বিশাল এক দল এই দীপে নিজেদের রাজ্য গড়ে তুলেছে। সেখানে মানুষ নেই, নেই বসতি। দ্বীপের একপাশ থেকে আরেক পাশ পর্যন্ত একই প্রজাতির সাপের বিচরণ। তাই দ্বীপের নামকরণ করা হয়েছে সাপের দ্বীপ। যদিও এই দ্বীপের কেতাবি নামও রয়েছে। ‘লা দ্য কুইমাদা গ্রানাদে’ নামে এটি প্রায় ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ। 


দ্বীপটি অবস্থিত আমাজন সংলগ্ন ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে বড় দেশে ব্রাজিলের সাও পাওলো সমুদ্র উপকূলে। সাও পাওলো উপকূলে সোনালী তীক্ষ্ম আকৃতির মাথা সদৃশ এই সাপের বসবাস। বোথরোপস ইনসুলারিস নামের এই সাপ কেবল এ অঞ্চলেই বাস করে। সাধারণ বিষধর সাপের চেয়ে প্রায় ৫ গুণ বিষধর এই সাপ পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপ হিসেবেও স্বীকৃত। এরা আকাশে উড়ন্ত পাখিকে ছো মেরে মুহূর্তে বিষের সাহায্যে নিস্তেজ করে উদরপূর্তি করে। এদের বিষ এতোই ভয়ানক যে মানুষের মাংসকে মুহূর্তে গলিয়ে ফেলতে পারে। রূপকথার মতো শোনালেও বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ও বিষধর এই সাপের অস্তিত্ত্ব রক্ষায় ব্রাজিল সরকার তাই লা দ্য কুইমাদা গ্রানাদে দ্বীপে মানুষের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। 




যদিও অনেকেই এর আগেই বোকামি করে ওই এলাকায় গিয়েছেন। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন ফর নেচার কর্তৃক ভয়ানক বিপদজনক প্রাণী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এই রাজ্যের বাসিন্দাদের। বোথরোপস ইনসুলারিস দেখতে উজ্জ্বল হলুদাভ ও বাদামী বর্ণের। এরা গড়ে ২৮ ইঞ্চি এবং সর্বোচ্চ ৪৬ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। মাথা তীক্ষ্ম আকৃতির বিধায় একে লানচিহেড ভাইপার নামেও ডাকা হয়। উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকার বেশিরভাগ মানুষের মৃত্যুর কারণ এই সাপ। জনমানবহীন নিজ রাজ্যে এরা সাধারণত পাখি খায়। তবে টিকিটিকিও এদের অন্যতম খাবার। এমনকি এরা অন্য সাপও ভক্ষণ করে। সাও পাওলোর সমুদ্র ঘেষা অপরূপ নৈসর্গিক এই দ্বীপের আকৃতি ৪ দশমিক ৬ মিলিয়ন বর্গফুট। এটা পৃথিবীর একমাত্র জায়গা যেখানে এই প্রজাতির সাপ বাস করে।




সাপের এই রাজ্যে জনমানবের বাস না থাকলেও প্রতিবছর সাপের ওপর গবেষণা করতে কিছু বিজ্ঞানীকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে ব্রাজিলের নৌবাহিনী উপলক্ষ্য অনুযায়ী এ এলাকায় আসে। এ সময় তারা ১৯০৯ সালের আগে তৈরি  বাতিঘরের কাছে তাবু গাড়ে। তবে মনে করা হয় সাপের বিষময় রাজ্যেও নিয়মিত বণ্যপ্রাণী শিকারীদের আগমন ঘটে। তারা জানিয়েছে, লিচেনহেডের বিষ মহামূল্যবান। কালো বাজারে এর দাম প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার পাউন্ড। এদের অবলুপ্তির পেছনে এটাও একটা বড় কারণ।

তবে এরা মূল ভূমিতে থাকা স্বগোত্রীয়দের চেয়ে খুব বেশি ভিন্নতর নয়। প্রচলিত রয়েছে, প্রায় ১১ হাজার বছর আগে সমুদ্র উচ্চতার কারণে ব্রাজিল থেকে এই দ্বীপ বিচ্ছন্ন হয়ে যায়। তখন এই সাপ এই দ্বীপে চলে আসে। এর বিষ অন্যান্য সাপের বিষের চেয়ে ৫ গুণ শক্তিশালী। এর কামড়ে একজন মানুশের সাত শতাংশ মৃত্যু সম্ভাবনা থাকে। এই দ্বীপের ভয়বাহবতা নিয়েও গল্প-কথার কমতি নেই।  এর একটি হলো এক জেলের গল্প। সেই জেলে যার  নৌকার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দ্বীপে নৌকা ভিড়িয়েছিলেন। কিন্তু জেলেকে অভ্যর্থনা জানাতে ওৎ পেতে ছিল লিচেনহেডরা। পরে সর্প দংশনে নৌকায় তার লাশ পাওয়া যায়। শেষ গল্পটা বাতিঘরের রক্ষীর। যিনি এই দ্বীপে পরিবার নিয়ে বাস করতেন।

একদিন তারা বাসার জানালায় সাপ দেখে ভয়ে দৌড়াতে শুরু করেন তারা। পরে দ্বীপের পাশে বিক্ষিপ্ত অবস্থায় তাদের লাশ পাওয়া যায়। একচ্ছত্র আধিপত্য থাকলেও ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছন্ন সমুদ্র অন্তরীণ সাপের দ্বীপে গাছপালা ও তৃণ কমে যাওয়ায় এবং রোগের কারণে গত ১৫ বছরে এই দ্বীপের বাসিন্দাদের সংখ্যা অন্তত ১৫ ভাগ কমে গেছে। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন ফর নেচার এই প্রাণীকে বিপন্ন প্রাণী হিসেবে তালিকাবদ্ধ করে রক্ষায় আগ্রহী।

Wednesday, July 2, 2014

কুটনৈতিকদের সাথে নিয়ে রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে জামায়াতের ইফতার।এসময় ইফতার পার্টিতে উপস্তিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত, মার্কিন রাষ্ট্রদূত,সৌদি রাষ্ট্রদূত,তুরস্কের রাষ্ট্রদূত ,মিশরের রাষ্ট্রদূত, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত, যুক্তরাষ্টের ডেপুটি চিপ অব মিশন প্রধান,ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত,অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত,কাতারের রাষ্ট্রদূত ,কানাডার রাষ্ট্রদূত, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত, পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত,ভারতের রাষ্ট্রদূত,জাপানের রাষ্ট্রদূত, ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত, ব্রুনাইয়ের রাষ্ট্রদূত,দক্ষিন কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত,ইরানের রাষ্ট্রদূত,ওমানের রাষ্ট্রদূত, ও লিবিয়ার রাষ্ট্রদূত সহ আরো অনেক দেশের রাষ্ট্রদূত এবং মিশন প্রধানরা উপস্তিত ছিলেন। 02/07/14

Tuesday, July 1, 2014

পাকস্থলীতে আড়াই কেজি চুল!

ভারতের কলকাতায় ১২ বছরের এক মেয়ের পাকস্থলীতে আড়াই কেজি চুল পাওয়া গেছে! ঘটনাটি ঘটেছে শিয়ালদহের ইএসআই হাসপাতালে।
হঠাৎ করেই মেয়েটির শরীর খারাপ হয়েছিল। খেলেই বমি হয়ে যেত। পেটে শুরু হত অসহ্য যন্ত্রণা। প্রথমদিকে মনে করা হয়েছিল গ্যাসের সমস্যার কারণে এমনটা হচ্ছে। কিন্তু কাঁড়ি কাঁড়ি অ্যাণ্টাসিডেও উপশম না হওয়ায় মেয়েটির এক্স-রে, অ্যান্ডোস্কোপি, সিটি-স্ক্যান করা হয়। তখন দেখা যায়, পাকস্থলীর মধ্যে বাসা বেঁধেছে বেশ বড় আকারের একটি টিউমার। কিন্তু অপারেশনের পর ডাক্তারদের চোখ কপালে। হায়, এ-তো টিউমার নয় আড়াই কেজি ওজনের চুল!
শিশুটির নাম নেহা সাউ। বাড়ি বালিগঞ্জের বন্ডেল গেট লাগোয়া লালকুঠি এলাকায়। নেহার বাবা আউধ সাউ ‘হিন্দুস্হান ইঞ্জিনিয়ারিং’- এর কর্মকর্তা।
তিনি জানান, বছরখানেক আগে মেয়ের শরীর হঠাৎ খারাপ হয়। পেট ব্যথা শুরু হয়। নারীঘটিত কোনো সমস্যা ভেবে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাই৷ তিনি গ্যাসের ওষুধ দেন। কিন্তু তাতে ব্যথা কমেনি। পরে এক্স-রে করে ধরা পড়ে পেটের মধ্যে একটি টিউমারের মতো হয়েছে। আর দেরি না করে মেয়েকে নিয়ে শিয়ালদহ ইএসআইতে চলে আসি। গত সোমবার ডাঃ সোমনাথ ঘোষ, ডাঃ সুপ্রিয় রায় ও ডাঃ বিজয় বিশ্বাসরা অপারেশন করেন।
কিন্তু নেহার পেটে অত চুল এরো কী করে?
আউধ সাউ জানান, ছোট থেকেই নেহার চুল ছেঁড়ার বাতিক ছিল। বদ অভ্যাস ফেরাতে মা শীলা সাউ কয়েকবার মারধরও করেছেন নেহাকে। মায়ের মারে কয়েকদিন আগে মাথা ফেটেছে নেহার। তবু নিজেকে শোধরাতে পারেনি ষষ্ঠ শ্রেণির এই ছাত্রী। এই পর্যন্ত ঠিক ছিল। এমন বদ অভ্যাস খুব একটা বিরল নয়।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের পরিভাষায়, এই রোগের একটা নামও আছে, ট্রাইকোটিলোম্যানিয়া। কিন্তু নেহার সমস্যা ছিল আরো গভীর। সে শুধু চুল ছিঁড়েই ক্ষান্ত হতো না তা মুখে পুরে নিতো। বছরের পর বছর সবার অলক্ষে এভাবেই চুল খেয়েছে সে। সেই চুলই পাকস্থলীতে গিয়ে হজমরসের সঙ্গে মিশে টিউমারের আকার নিয়েছে। তাই খেলে পেট ব্যথা, বমি হত নেহার। জানালেন শিয়ালদহ ইএসআই হাসপাতালের সুপার ডাঃ প্রদীপ ভট্টাচায।
জানা গেছে, নেহার অপারেশন সফল হয়েছে। সে যাতে চুল খাওয়ার বদ অভ্যাস থেকে বেরিয়ে আসতে পারে তার জন্য বিশিষ্ট সাইকিয়াট্রিস্ট ডাঃ পৃথ্বীশ ভৌমিকের তত্ত্ববধানে কাউন্সেলিং শুরু হয়েছে।
পৃথ্বীশ ভৌমিক জানান, শিশুদের মধ্যে ‘অখাদ্য’ খাওয়ার প্রবণতা বিরল নয়। কেউ মাটি খায়, কেউ সাবান। কেউ মাটির ভাড় তো কেউ দেওয়ালের চুন। নেহা খেত চুল। এটা এক ধরণের মানসিক রোগ। এ রোগটি সাধারণত ‘পিকা’ নামে পরিচিত ৷ উদ্বেগ থেকেই এই রোগের জন্ম হয়। পড়াশোনা বা অন্য কোনো বিষয়ে নেহার মনের উপর সম্ভবত চাপ সৃষ্টি হয়েছিল। সেখান থেকেই এই রোগের উৎস।

রাজপথে মৃত্যুফাঁদ

রাজধানীর প্রায় সর্বত্র রাস্তাঘাটের বেহাল। খানাখন্দে ভরা রাস্তায় যানবাহন আটকে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ যানজট। নগরীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা মালিবাগ থেকে মৌচাক মোড় পর্যন্ত সামান্য দূরত্বেই সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টির পানি জমে সেগুলো হয়ে উঠেছে মৃত্যুকূপ। মালিবাগ মোড়ে গতকাল এমনই এক মৃত্যুকূপে পড়ে কোনোক্রমে প্রাণে বেঁচে যান এই মা ও মেয়ে।

রোজা রেখেই খেলেছে আলজেরিয়ানরা, পরাজয়ে রোজার কোনো প্রভাব নেই বললেন গোলকিপার

গতকাল জার্মানির সাথে রাউন্ড অফ সিক্সটিনের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রোজা রেখেই খেলেছেন আলজেরিয়ান খেলোয়াড়রা।

আলজেরিয়াশক্ত প্রতিপক্ষ জার্মানির বিপক্ষে মাঠে নামার আগেই মুসলমানদের সিয়ামসাধনার মাস রমজান শুরু হয়ে যায়। ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে রোজা রেখেই মাঠেখেলতে নামেন আলজেরিয়ার অধিকাংশ খেলোয়াড়।

তারকা খেলোয়াড়ে পূর্ণ জার্মানির সঙ্গে ম্যাচের শুরু থেকেই হাড্ডাহাড্ডিলড়াই করে। আলজেরিয়ার খেলোয়াড়দের আক্রমণ রুখতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছেজার্মানির রক্ষণভাগকে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে প্রথমার্ধে গোলবঞ্চিত রাখেজার্মানিকে। দ্বিতীয়ার্ধেও গোল পেতে দেয় না। ফলে ম্যাচ গড়ায় ইনজুরি টাইমে।সেখানে অবশ্য আর পেরে ওঠেনি জার্মানির সঙ্গে।

রোজা রাখার প্রশ্নে আলজেরিয়ান গোলোকিপার বলেন, “আমার মনে হয়না রোজা কোনো সমস্যা করেছে আমাদের, আমাদের যতক্ষণ খেলার প্রয়োজন আমরা ততক্ষণ খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। কেউ বিশ্বাস করতে পারেনি আমরা রোজা রেখে এতোটা ভাল খেলেছিলাম।”

“শারীরিক কোনো সমস্যাও হয়নি আমাদের, আমরা সবাই শারীরিক ভাবে ফিট ছিলাম। আমাদের ভাগ্য খারাপ, শেষ মুহূর্তে আমরা দুটো গোল হজম করেছি।

“আর রোজা রাখা বা না রাখা এটা সম্পূর্ণই ব্যক্তিগত ব্যাপার, এটা কেবল রোজাদার এবং আল্লাহর মধ্যকার ব্যাপার”

রোজারেখে ১২০ মিনিট খেললেও আলজেরিয়ার কোনো খেলোয়াড়ের মধ্যে দুর্বলতা কিংবাউদ্যমের কোনো ঘাটতি দেখা যায়নি। রোজা রেখেও জার্মানির খেলোয়াড়দের সঙ্গেপাল্লা দিয়ে খেলেছে আলজেরিয়ার খেলোয়াড়রা। শেষ পর্যন্ত তারা হেরে গেলেও জয়করেছে কোটি কোটি ভক্তের হৃদয়।
এবং ২-১ গোলের পরাজয়ের উপর রোজা রাখার কোনো প্রভাব নেই বলে বললেন আলজেরিয়ান গোলকিপার।