Thursday, May 29, 2014

চৌদ্দগ্রামে জামায়াতের বিােভ মিছিল অনুষ্ঠিত
সারাদেশে গুম, খুন ও অপহরণ এবং শীর্ষ নেতাদের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিয়া বাজারে বিােভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উজিরপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওঃ আবদুল হালিমের নেতৃত্বে বিােভ মিছিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কালিকাপুর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাওঃ আবুল হাশেম, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা উত্তর শিবিরের সভাপতি বোরহান উদ্দিন, সেক্রেটারী রবিউল হোসেন মিলন, জামায়াত নেতা ইউনুস মেম্বার, ফেয়ার আহমদ প্রমুখ।

কুমিল্লায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা নিহত॥ গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০


কুমিল্লায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছেন। নিহত যুবলীগ নেতার নাম আহসান হাবিব সুমু (৩০)। সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে নগরীর মনোহরপুর এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সুমু স্থানীয় এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিনের ভাতিজা ও মুন্সেফবাড়ি এলাকার মৃত ওমর ফারুকের ছেলে। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতারা হলেন প্রিতম চক্রবর্তী পিংকু (২৫) ও পিয়ম দাস (২১)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা মহানগরীর ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় ভর্তি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ আহমেদ রাসেল ও পলিটেনিক ইন্সটিটিউটের সাবেক ভিপি জহিরুল ইসলাম রিন্টু গ্রুপের মধ্যে বেলা পৌনে ১২টায় কলেজ ক্যাম্পাসে বাকবিতন্ডা হয়। পরে এ নিয়ে দুপুর একটার দিকে দুই গ্রুপ নগরীর মনোহরপুর এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহসান হাবিব সুমু, প্রিতম চক্রবর্তী পিংকু ও পিয়ম দাস আহত হন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতদের মধ্যে হাসপাতালে নেয়ার পথে আহসান হাবিব সুমু নিহত হন।
গুলিবিদ্ধ দুই জনসহ অপর আহতদের কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ ও স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া উভয় গ্রুপই স্থানীয় এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার সমর্থিত বলে জানা গেছে। সংঘর্ষে আহত অন্যদের পরিচয় জানা যায়নি।
কোতয়ালী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) শামসুজ্জামান জানান, নিহত আহসান হাবিব সুমুর লাশের ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
Share on facebook Share on twitter Share on email Share on print More Sharing Services 8

শামীম ওসমানকে পুলিশ কি ভয় পায় : মান্না

 নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সঙ্গে ঘটনার ১০ মিনিট পরে নূর হোসেনের কি কথা হয়েছিল সে বিষয়ে কেন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে না পুলিশ। শামীম ওসমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ কি ভয় পায়। আমার অবাক লাগছে ৭ খুনের ঘটনায় শামীম ওসমানকে কেন তদন্তকারীরা জিজ্ঞাসাবাদ করছে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে মান্না তার সংগঠন নাগরিক ঐক্যের উপদেষ্টা ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি এস এম আকরামের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা নির্বাচন অফিসে যান এবং মনোনয়নপত্র জমা দেন এস এম আকরাম। পরে দু’জন যোগ দেন আইনজীবি সমিতির কর্মসূচিতে।
মানববন্ধনে মান্না বলেন, মানুষ যখন শয়তানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় আল্লাহ তখন তার নজীর দেখান। পেট কেটে ফুটো করে দিয়ে বস্তাভর্তি ইট রশি দিয়ে বেধেও খুনীরা লাশ ডুবিয়ে রাখতে পারেনি। এই নারায়ণগঞ্জে এর আগেও অনেক হত্যা হয়েছে। অনেক লাশ শীতলক্ষ্যা নদীতে পাওয়া গেছে। আবার অনেক লাশের কোন হদিস মেলেনি। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয় লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে খুন গুমের ঘটনা ঘটেছে। তবে প্রথম জ্বলে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ।
শামীম ওসমানকে ইঙ্গিত করে তিনি আরো বলেন, কথায় আছে ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। যত বড় নেতা হোক তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। হাত যার যতই লম্বা হোক না কেন জনতার হাত তার চেয়েও লম্বা।
সাবেক সংসদ সদস্য এস এম আকরাম বলেন, এক মাসেও খুনীদের গ্রেফতারে পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ২ মাসের মধ্যে খুনীদের গ্রেফতারের কথা বলেছেন কিন্তু আমার প্রশ্ন ২ মাস লাগবে কেন। যারা অপরাধী তাদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেছেন, ৭ খুনের মূল রহস্য একটি জায়গায় থমকে গেছে। শামীম ওসমানের বিষয়টি যখন এসেছে তখন প্রশাসন স্থবির হয়ে পড়েছে। শামীম ওসমান যদি জড়িত থাকে তাহলে আমরা কেন তার গ্রেফতার দাবি করবো না। মন্ত্রীর পুত্র জড়িত থাকলে তার গ্রেফতার ও বিচার কেন চাইবো না। শামীম ওসমানকে বাচাঁতেই আইনজীবীদের আন্দোলনকে স্তিমিত করতে আইনজীবীদের একটি গ্রুপ দালাল হিসেবে আন্দোলন করছে। তারা একদিকে ৭ খুনের বিচার দাবি করছে অপরদিকে নূর হোসেনের স্ত্রী কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস নীলার মামলা পরিচালনা করছে।
এর আগে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবীদের সংগঠন সম্মিলিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদের মানববন্ধন করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত বক্তারা বলেছেন, একটি পক্ষ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা চালাচ্ছে। এ হত্যার বিচার নিয়ে কাঁদা ছুড়াছুড়ি করা হচ্ছে। তারা শামীম ওসমানকে ৭ খুনের মামলায় জড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিল করতে চায়। যা কোন দিন সফল হতে দিব না।

Wednesday, May 28, 2014

বিশ্বের ১০০ ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় শেখ হাসিনা

বিশ্বের ১০০ ক্ষমতাধর নারীর তালিকা প্রকাশ করেছে সুপরিচিত ফোর্বস ম্যাগাজিন। এ তালিকায় রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে শীর্ষ অর্থাৎ এক নম্বর আসন দখল করেছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন রয়েছেন ৬ নম্বরে। তার থেকে আরও একধাপ নিচে স্থান পেয়েছেন ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রয়েছেন ৪৭ নম্বর অবস্থানে। গতকাল এ তালিকা প্রকাশ করে ফোর্বস ম্যাগাজিন। এতে শেখ হাসিনা সম্পর্কে বলা হয়, জানুয়ারির নিম্নমাত্রার ভোট ও সহিংস নির্বাচনের পর টানা দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। তার বিজয়কে ‘নির্বাচনী প্রতারণা’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ২০১৩ সালে রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে কমপক্ষে ৫০০ মানুষ নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের আপত্তি সত্ত্বেও গত বছর ডিসেম্বরে তার সরকার ফাঁসি কার্যকর করে আবদুল কাদের মোল্লার। পাকিস্তানের কাছ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার সময় যে নৃশংসতা ঘটেছিল তার দায়ে অভিযুক্ত করা হয় তাকে। ১৯৮১ সাল থেকে শেখ হাসিনা ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে রয়েছেন। তার পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট। তাকে হত্যা করা হয ১৯৭৫ সালে। ১৬ কোটি ৬০ লাখ মানুষের এ দেশটি জনসংখ্যার বিচারে বিশ্বের নবম সর্ববৃহৎ দেশ। এখানে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ মুসলমান। ওই তালিকায় মিয়ানমারের বিরোধী দলীয় নেত্রী অং সান সু চির অবস্থান শেখ হাসিনারও নিচে, ৬১ নম্বরে। তবে তালিকায় নাম নেই ভারতের কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর। তালিকায় পর্যায়ক্রমে প্রথম শীর্ষ ১০ নারী হলেন অ্যাঙ্গেলা মারকেল, জ্যানেট ইলেন, মেলিন্ডা গেটস, দিলমা রুশেফ, ক্রিস্টাইন লগার্ড, হিলারি ক্লিনটন, মেরি বারা, মিশেল ওবামা, শেরিল স্যান্ডবার্গ ও ভার্জিনিয়া রোমেত্তি। 
বিশ্বকাপ ফুটবলে বিতরণ করা হবে পবিত্র কোরআনের ২,৫০,০০০ কপি

কুয়েতের আওকাফ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় তারা বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত পবিত্র কোরআনের ২ লাখ ৫০ হাজার কপি বিতরণ করবে।স্পেনিস, পর্তুগিজ, ইংরেজি এবং ফরাসি ভাষায় অনূদিত কোরআনের এসব কপি হোটেল,
স্টেডিয়াম এবং অন্যান্য পাবলিক
প্লেসে বিতরণ করবে কুয়েতের কোরআন
বোর্ড, যা আল কাবাস নামেও পরিচিত। ১২ জুন থেকে ফিফার ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে এবং চলবে ১৩ জুলাই পর্যন্ত।
৩২টি দেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ৬টি মুসলিম প্রধান দেশ-আলজেরিয়া, ক্যামেরুন, আইভরি কোস্ট, নাইজেরিয়া, ইরান এবং বসনিয়া-হারজেগোভিনাও রয়েছে।

সূত্র: ওয়ার্ল্ড বুলেটিন
বিশ্বকাপ ফুটবলে বিতরণ করা হবে পবিত্র কোরআনের ২,৫০,০০০ কপি কুয়েতের আওকাফ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিতব্য আসন্ন বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় তারা বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত পবিত্র কোরআনের ২ লাখ ৫০ হাজার কপি বিতরণ করবে।স্পেনিস, পর্তুগিজ, ইংরেজি এবং ফরাসি ভাষায় অনূদিত কোরআনের এসব কপি হোটেল, স্টেডিয়াম এবং অন্যান্য পাবলিক প্লেসে বিতরণ করবে কুয়েতের কোরআন বোর্ড, যা আল কাবাস নামেও পরিচিত। ১২ জুন থেকে ফিফার ফুটবল বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে এবং চলবে ১৩ জুলাই পর্যন্ত। ৩২টি দেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে ৬টি মুসলিম প্রধান দেশ-আলজেরিয়া, ক্যামেরুন, আইভরি কোস্ট, নাইজেরিয়া, ইরান এবং বসনিয়া-হারজেগোভিনাও রয়েছে। সূত্র: ওয়ার্ল্ড বুলেটিন


কীবোর্ডের F1 থেকে F12 পর্যন্ত কী গুলোর কাজের বিবরণ

আমরা জানি, F1 থেকে F12 পর্যন্ত যে এক ডজন কি আছে সেগুলোকে ফাংশন কি বলা হয় । এখন আসুন জেনে নেয় এই কী গুলোর কাজ কি।

F1 : সহায়তাকারী কি হিসেবে ব্যবহূত হয়। F1 চাপলে প্রতিটি প্রোগ্রামের ‘হেল্প’ চলে আসে।

F2 : সাধারণত কোনো ফাইল বা ফোল্ডারের নাম বদলের (রিনেম) জন্য ব্যবহূত হয়। Alt+Ctrl+F2 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের নতুন ফাইল খোলা হয়। Ctrl+F2 চেপে ওয়ার্ডে প্রিন্ট প্রিভিউ দেখা যায়।

F3: এটি চাপলে মাইক্রোসফট উইন্ডোজসহ অনেক প্রোগ্রামের সার্চ সুবিধা চালু হয়। Shift+F3 চেপে ওয়ার্ডের লেখা বড় হাতের থেকে ছোট হাতের বা প্রত্যেক শব্দের প্রথম অক্ষর বড় হাতের বর্ণ দিয়ে শুরু ইত্যাদি কাজ করা হয়।

F4 : ওয়ার্ডের last action performed আবার (Repeat) করা যায় এ কি চেপে। Alt+F4 চেপে সক্রিয় সব প্রোগ্রাম বন্ধ করা হয়। Ctrl+F4 চেপে সক্রিয় সব উইন্ডো বন্ধ করা হয়।

F5 : মাইক্রোসফট উইন্ডোজ, ইন্টারনেট ব্রাউজার ইত্যাদি Refresh করা হয় F5 চেপে। পাওয়ার পয়েন্টের স্লাইড শো শুরু করা যায়। ওয়ার্ডের find, replace, go to উইন্ডো খোলা হয়।

F6 : এটা দিয়ে মাউস কারসারকে ওয়েব ব্রাউজারের ঠিকানা লেখার জায়গায় (অ্যাড্রেসবার) নিয়ে যাওয়া হয়। Ctrl+Shift+F6 চেপে ওয়ার্ডে খোলা অন্য ডকুমেন্টটি সক্রিয় করা হয়।

F7 : ওয়ার্ডে লেখার বানান ও ব্যাকরণ ঠিক করা হয় এ কি চেপে। ফায়ারফক্সের Caret browsing চালু করা যায়। Shift+F7 চেপে ওয়ার্ডে কোনো নির্বাচিত শব্দের প্রতিশব্দ, বিপরীত শব্দ, শব্দের ধরন ইত্যাদি জানার অভিধান চালু করা হয়।

F8 : অপারেটিং সিস্টেম চালু হওয়ার সময় কাজে লাগে এই কি। সাধারণত উইন্ডোজ Safe Mode-এ চালাতে এটি চাপতে হয়।

F9 : কোয়ার্ক এক্সপ্রেস ৫.০-এর মেজারমেন্ট টুলবার খোলা যায় এই কি দিয়ে।

F10 : ওয়েব ব্রাউজার বা কোনো খোলা উইন্ডোর মেনুবার নির্বাচন করা হয় এ কি চেপে। Shift+F10 চেপে কোনো নির্বাচিত লেখা বা সংযুক্তি, লিংক বা ছবির ওপর মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করার কাজ করা হয়।

F11: ওয়েব ব্রাউজার পর্দাজুড়ে দেখা যায় ।

F12 : ওয়ার্ডের Save as উইন্ডো খোলা হয় এ কি চেপে। Shift+F12 চেপে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের ফাইল সেভ করা হয়। এবং Ctrl+Shift+F12 চেপে ওয়ার্ড ফাইল প্রিন্ট করা হয়।

আশা করি এই তথ্য গুলো আপনাদের অনেক কাজে আসবে।

Tuesday, May 27, 2014

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁকাল এলাকায় একটি মুরগির ডিম থেকে চার পা বিশিষ্ট ফুটফুটে বাচ্চা ফুটেছে।
এ ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা মুরগির বাচ্চাটিকে একনজর দেখতে আবদুল মুজিদের বাড়িতে ভিড় জমায়।
মুরগির মালিক আব্দুল মুজিদের ছেলে সবুজ জানান, মুরগির বাচ্চাটি সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। বাচ্চাটি হাঁটা চলার সময় চারটি পা ব্যবহার করছে।

ক্যাডবেরি চকোলেটে শূকরের উপাদান॥ মালয়েশিয়ায় ক্ষোভ


মালয়েশিয়ায় ক্যাডবেরি চকোলেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের দুটি চালানে শূকরের উপাদান পাওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে সেখানকার মুসলমানরা কারখানাটি বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছে। তারা কোম্পানিটির বিরুদ্ধে ১০০ মালয়েশিয়ান রিংগিত ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করার হুমকিও দিয়েছে।
অভিযোগ পাওয়ার পর ক্যাডবেরি ডেইরি মিল্ক হাজেলনাট ও আলমন্ডের দুটি চালান প্রত্যাহার করে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। ক্যাডবেরি মালয়েশিয়া জানিয়েছে, তারা তাদের পণ্যের হালাল মান নিশ্চিত করে থাকে।
আর ক্যাডবেরি ইউকে জানিয়েছে, তাদের কোনো কোনো পণ্যে শূকরের উপাদান থাকার বিষয়টি কেবল মালয়েশিয়ায় সীমাবদ্ধ।
আন্দোলনকারী একটি গ্রুপের প্রধান আবু বকর ইয়াহিয়া দাবি করেন, মুসলমানদের ঈমান দুর্বল করে দেয়ার জন্য শূকরের উপাদান মেশানো হয়েছে।
১৮২৪ সালে জন ক্যাডবেরি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কনফেকশনারি ব্র্যান্ড (প্রথম স্থানে রয়েছে রিংলেস)। ২০১১ সালের রাজস্ব ছিল ১১,৩৪৬,০০২,০০০ পাউন্ড। প্রধান কার্যালয় লন্ডনে হলেও অর্ধ শতাধিক দেশে তাদের কারখানা রয়েছে।
তাওহীদ অর্থ কি?
তাওহীদ আরবী শব্দ। তাওহীদ অর্থ কোন কিছুকে একক সাব্যস্ত করা। আল্লাহর একত্বই হোল তাওহীদ।

তাওহীদ কাকে বলে?
তাওহীদ হোল আল্লাহতা’লা তাঁর কার্যাবলীতে একক, তাঁর নাম এবং গুনাবলীতে একক মর্যাদার অধিকারী এবং সমস্ত ইবাদত পাওয়ার হকদারও একমাত্র আল্লাহ।
পক্ষানতরে যে কোন ইবাদত আল্লাহর জন্য না করে অন্য কোন স্বার্থে করাকে বলে শিরক।

তাওহীদ কয় প্রকার ও কি কি?

তাওহীদ বা আল্লাহ্র একত্ববাদ তিন প্রকারঃ

১. রুবুবিয়াত তথা প্রতিপালনের ক্ষেত্রে আল্লাহ্র একত্ববাদঃ

আমাদেরকে এই অকাট্য বিশ্বাস পোষণ করতে হবে যে, একমাত্র আল্লাহই সবকিছুর সৃষ্টিকর্তা, রিযিক্বদাতা এবং পরিচালক; এক্ষেত্রে তার কোনো অংশীদার নেই এবং নেই কোনো সহযোগীও। মহান আল্লাহ বলেন,
“আল্লাহ ব্যতীত এমন কোন স্রষ্টা আছে কি, যে তোমাদেরকে আসমান ও যমীন থেকে রিযিক্ব দান করে? তিনি ব্যতীত সত্য কোন উপাস্য নেই। অতএব, তোমরা কিভাবে (তাঁর তাওহীদ থেকে) ফিরে যাচ্ছ?” (ফাতির ৩)। তিনি আরো বলেন,

“নিশ্চয় মহান আল্লাহই একমাত্র রিযিক্বদাতা, মহাশক্তিমান এবং পরাক্রান্ত” (যারিয়াত ৫৮)। তিনি আরো বলেন,
“তিনি আকাশ থেকে পৃথিবী পর্যন্ত সবকিছু পরিচালনা করেন” (সাজদাহ ৫)।

২. আল্লাহ্র সুন্দরতম নামসমূহ এবং গুণাবলীর ক্ষেত্রে একত্ববাদঃ

অর্থাৎ এই বিশ্বাস করতে হবে যে, মহান আল্লাহ্র সুন্দরতম নামসমূহ এবং পরিপূর্ণ গুণাবলী রয়েছে, যেগুলি কুরআনুল কারীম ও সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। মহান আল্লাহ বলেন,“আর আল্লাহ্র রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ। অতএব, সেগুলির মাধ্যমেই তাঁকে ডাকো” (আ'রাফ ১৮০)। এই নামসমূহ এবং গুণাবলীতে কোনোরূপ পরিবর্তন-পরিবর্ধন করা যাবে না এবং এগুলির কল্পিত কোনো আকৃতি যেমন স্থির করা যাবে না, তেমনি কোনো সৃষ্টির সাথে সেগুলির কোনোরূপ সাদৃশ্য বিধানও করা চলবে না। আমাদেরকে আরো বিশ্বাস করতে হবে যে, মহান আল্লাহ্র মত আর কেউ নেই। আল্লাহ বলেন,
“কোন কিছুই তাঁর অনুরূপ নয়। তিনি সর্বশ্রোতা এবং সর্বদ্রষ্টা” (শূরা ১১)

৩. উলুহিয়াত তথা ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহ্র একত্ববাদঃ

এর অর্থ হচ্ছে, আমাদেরকে এমর্মে অকাট্য বিশ্বাস পোষণ করতে হবে যে, একমাত্র আল্লাহই এককভাবে ইবাদত পাওয়ার যোগ্য, এতে তাঁর কোনো অংশীদার নেই। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
“তাদেরকে কেবলমাত্র এই নির্দেশ করা হয়েছে যে, তারা খাঁটি বিশ্বাসের সহিত এবং একনিষ্ঠভাবে আল্লাহ্র ইবাদত করবে” (বাইয়্যেনাহ ৫)।


বিসমিল্লাহ। ওয়ালহা'মদুলিল্লাহ। ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আ'লা রাসূলিল্লাহ। আম্মা বা'দ।
আল্লাহ বলেছেনঃ
“তোমার প্রতিপালককে মনে মনে সবিনয় ও সশঙ্কচিত্তে নিচুস্বরে প্রত্যুষে ও সন্ধ্যায় স্মরণ কর এবং তুমি উদাসীনদের দলভুক্ত হইয়ো না”। (সূরা আ’রাফঃ ২০৫)
* এ (সন্ধ্যা) হল আসর ও মাগরিবের মধ্যবর্তী সময়।
তিনি আরও বলেছেনঃ
“সূর্যের উদয় ও অস্তের পূর্বে তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা কর”। (সূরা ত্বাহাঃ ১৩০)
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি তার রবের যিক্‌র (স্মরণ) করে, আর যে ব্যক্তি তার রবের যিক্‌র করে না— তারা যেন জীবিত আর মৃত” ।
রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেন, “আমি কি তোমাদেরকে তা জানাবো না— আমলের মধ্যে যা সর্বোত্তম, তোমাদের মালিক (আল্লাহ্‌র) কাছে যা অত্যন্ত পবিত্র, তোমাদের জন্য যা অধিক মর্যাদা বৃদ্ধিকারী, (আল্লাহ্‌র পথে) সোনা-রূপা ব্যয় করার তুলনায় যা তোমাদের জন্য উত্তম এবং তোমরা তোমাদের শত্রুদের মুখোমুখি হয়ে তাদেরকে হত্যা এবং তারা তোমাদের হত্যা করার চাইতেও অধিকতর শ্রেষ্ঠ?” সাহাবীগণ বললেন, অবশ্যই হ্যাঁ। তিনি বললেন, “আল্লাহ্ তা‘আলার যিক্‌র”।
সহীহ, শায়খ আলবানী সহীহঃ ইবন মাজাহ্‌ ২/৩১৬, সহীহ তিরমিযী ৩/১৩৯।
!!!সকাল ও সন্ধ্যার যিকিরঃ
প্রাণপন চেষ্টা করুন এই দুআ’গুলো মুখস্থ করে প্রতিদিন আমল করার জন্যঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহ থেকে যিকিরের জন্য ৩টি বিশেষ সময় পাওয়া যায়। আর তা হলোঃ
১. সকালে (ফযরের পরে)।
২. সন্ধ্যায় (আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত)।
৩. রাতে ঘুমানোর আগে।
সকাল ও সন্ধ্যার যিকর থেকে কয়েকটি বিশেষ দুআ’ যেইগুলো ছোট কিন্তু আমাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী ও প্রয়োজনীয়, অশেষ সওয়াব ও মর্যাদার অধিকারী তার বর্ণনা দেওয়া হলো।
দুয়াগুলো মুখস্থ না হওয়া পর্যন্ত বই দেখে দেখে পড়া যাবে, কোনো সমস্যা নাই। এই দুয়াগুলো করা সুন্নত, ফরয নয়। তবে চেষ্টা করা উচিত, সবার নিজেদের সময় ও সাধ্য অনুযায়ী যতগুলো দুয়া সম্ভব হয় তার উপর আমল করা। যার পক্ষে যগুলো সম্ভব ও ভালো লাগে। মা-বোনেরা মাসিক ঋতু থাকা অবস্থাতেও এই দুয়াগুলো পড়বেন, কোনো বাঁধা নাই।
!!!এতো দুআ পড়ার সময় কোথায়??
এই দুআ’গুলো পড়তে খুব অল্প সময় লাগবে। মোটামুটি ৫-৭ মিনিটের মতো সময় লাগতে পারে। সর্বোচ্চ নাহয় সকালে ১০ আর বিকালে ১০, মোট ২০ মিনিট সময়ই ব্যয় করলেন আল্লাহর রাস্তায়। সর্বোত্তম হয় আপনি যদি সালাতের পরপর মুসাল্লাতে বসেই দুয়াগুলো পড়ে নেন। এতে আপনি বেশি আন্তরিকতা ও মনোযোগের সাথে দুআ’গুলো পড়তে পারবেন, আর যতক্ষণ মসজিদে বসে থাকবেন, ফেরেশতারা আপনার জন্য রহমতের দুয়া করতে থাকবে। আর যদি আপনার ব্যস্ততা একটু বেশি হয়ে থাকে, ফযর ও আসর সালাত মসজিদে পড়ে বাসায় আসতে আসতে পড়ে নিতে পারেন। মা-বোনদের ঘরের ছোটখাট কাজ যাতে মনোযোগ নষ্ট হয় না, সেইগুলো করার সময়ও দুয়াগুলো পড়তে পারেন।
!!!দুয়াগুলো কঠিন!!
সত্যি কথা বলতে ২-১ টা দুয়া যারা আরবিতে এক্সপার্ট না তাদের জন্য একটু কঠিন লাগতে পারে। এমনকি আমার কাছেও প্রথম প্রথম একটু কঠিন মনে হতো। কিন্তু ভেবে দেখুন, আপনি যদি দুয়াগুলো কষ্ট করে একবার মুখস্থ করে নিতে পারেন, এর পরে সারা জীবন প্রত্যেকদিন এইগুলো পড়তে পারবেন। বিইজনিল্লাহ, আপনার যেইদিন মৃত্যু হবে সেই দিন যদি আপনি ‘সাইয়্যিদুল ইসতিগফার’ পড়ে থাকেন, ইন শা’ আল্লাহ আপনি জান্নাতে যাবেন। এটা সহ এমন দু’আ আছে যা আপনাকে অনেক বিপদ আপদ, এক্সিডেন্ট ও দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্ত চিন্তা ভাবনা থেকে মুক্তি দিবে। এতোবড় “আল্লাহর রহমত” পাওয়ার জন্য আপনি সামান্য মুখস্থ করার এই কষ্টটুকু করতে পারবেন না?
!!!কিভাবে মুখস্থ করবেন??
প্রথমে যেকোনো একটা দুয়া (যেটা বেশি দরকারী/যেটা বেশি ভালো লাগে) কয়েকবার শুধু পড়বেন আরবীতে (পড়তে কষ্ট হলে বাংলা উচ্চারণ থেকে সাহায্য নেবেন), অথবা বারবার অডিও শুনতে পারেন। এইভাবে কয়েকবার পড়া/শোনার পরে যখন দুয়াটা পড়া সহজ হয়ে যাবে তখন মুখস্থ করা শুরু করবেন। দুয়াটাকে কয়েকটা সুবিধাজনক অংশে ভাগ করবেন। আর একটা একটা অংশ বারবার দেখে ও না দেখে পড়ে মুখস্থ করার চেষ্টা করবেন। এইভাবে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করে না দেখে কয়েকবার বলতে পারলে অর্থাৎ মুখস্থ হলে পরের অংশ মুখস্থ করা শুরু করবেন। একদিনে না পারলে ২-৩ দিন বা এক সপ্তাহেও যদি আপনি একটা দুয়া মুখস্থ করতে পারেন তবুও ভালো।
***সকাল ও সন্ধ্যার আমল ১ - সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার সর্বশ্রেষ্ঠ দুআঃ ১ বার
জান্নাতে যাওয়ার নিশ্চিত গ্যারান্টি কে পেতে চান?
“সায়্যিদুল ইস্তিগফার” বা “ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠ দুয়া” নামে একটা দুয়া আছে – আন্তরিক বিশ্বাসের সাথে কেউ যদি প্রতিদিন সকাল (ফযরের পরে) ও সন্ধ্যায় (আসর বা মাগরিবের পরে) পড়ে – আর সে ঐদিন মারা যায় – ইন শা’ আল্লাহ সে জান্নাতে যাবে। এই গ্যারান্টি দিয়ে গেছেন স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সাঃ)। (বুখারী, তিরমিযী ৫/৪৬৬)
দুয়াটা পাবেন হিসনুল মুসলিম বইয়ের ১২৭ নাম্বার পৃষ্ঠাতে।
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَّا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِر لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণঃ আল্লাহুম্মা আনতা রাব্বি লা-ইলাহা ইল্লা আনতা, খালাক্বতানি ওয়া আনা আ’বদুক, ওয়া আনা-আ’লা আহ’দিকা ওয়া-ওয়াদিকা মাস্তা-তোয়া’ত, আ’উযুবিকা মিন শাররি মা-ছানাআ’ত আবু-উ-লাকা বিনি’মাতিকা আলায়্যা ওয়া-আবু-উ-বি-যামবি, ফাগফিরলী, ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুযযুনুবা ইল্লা-আনতা। (বুখারী)
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছো আর আমি তোমার বান্দা। আমি আমার সাধ্যানুযায়ী তোমার সাথে যে ওয়াদা করেছি তা পূরণ করার চেষ্টায় রত আছি, আমি আমার কর্মের অনিষ্ট থেকে পানাহ্ চাই, আমি স্বীকার করছি আমার প্রতি তোমার প্রদত্ত নিয়ামতের কথা এবং আমি আরো স্বীকার করছি আমার পাপে আমি অপরাধী, অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করো, তুমি ছাড়া ক্ষমা করার আর কেউ নাই।
বিঃদ্রঃ অনেকের কাছে দুয়াটা কঠিন মনে হতে পারে, কিন্তু চিন্তা করে দেখুন – কঠিন এই দুয়া মুখস্থ করে আমল করার কি প্রতিদান। বিশেষ করে মা বোনদের উচিত – বেশি বেশি সকাল ও সন্ধ্যার দুয়াগুলো মুখস্থ করে রাখা, যাতে করে নামায বন্ধ থাকার দিনগুলোতে সারাদিন দুনিয়াবি কাজকর্ম করে বা গান শুনে, নাটক সিনেমা দেখে বা গল্পের বই না পড়ে আমলনামায় শুধু পাপ কাজ জড়ো করার পরিবর্তে ঐদিনগুলোতে কিছু নেক আমলও থাকলো – যার বিনিময়ে আল্লাহর কাছে জান্নাতের আশা করা যেতে পারে। আর কঠিন হলেও কোনো কাজই অসম্ভব না, আপনি শুরু করুন দেখবেন খুব শীঘ্রই মুখস্থ হয়ে যাবে ইন শা’ আল্লাহ।
হাদীসের রেফারেন্সঃ শাদ্দাদ ইবনে আউস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘‘সায়্যিদুল ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনার শ্রেষ্ঠতম দোআ) হল বান্দার এই বলা যে, ‘আল্লা-হুম্মা আন্তা রাব্বি...শেষ পর্যন্ত"।
যে ব্যক্তি দিনে (সকাল) বেলায় দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এ দুআটি পড়বে অতঃপর সে সেই দিনে সন্ধ্যা হওয়ার আগেই মারা যাবে, সে জান্নাতিদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি রাতে (সন্ধ্যায়) এ দুআটি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে পড়বে অতঃপর সে সেই রাতে ভোর হওয়ার পূর্বেই মারা যাবে, তাহলে সে জান্নাতিদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’’
সহীহুল বুখারী ৬৩০৬, তিরমিযী ৩৩৯৩, নাসায়ী ৫৫২২, আহমাদ ১৬৬৬২।
সকাল ও সন্ধ্যার আমল ২ - জান্নাত প্রার্থনা করা ও জাহান্নাম থেকে আশ্রয় চাওয়ার দুয়াঃ ৩ বার
اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ النَّارِ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ’উযু বিকা মিনান্নার।
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ৩ বার জান্নাত প্রার্থনা করে, জান্নাত আল্লাহর কাছে দুয়া করে, হে আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করো। যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে ৩ বার জাহান্নাম থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করে, জাহান্নাম আল্লাহর কাছে দুয়া করে, হে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দাও”।
তিরমিযিঃ ২৫৭২, ইবনে মাজাহ ৪৩৪০, শায়খ আলবানি এই হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন, সহীহুল জামি ৬২৭৫।
***উল্লেখ্য – সকাল সন্ধ্যায় ৭ বার “আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান্নার” পড়ার হাদীসটা জয়ীফ বা দুর্বল, শায়খ আলবানী সিলসিলা জয়ীফাহঃ ১৬২৪।
সুতরাং সেটা না পড়ে এই দুয়া পড়বেন, কারণ এটাতে জান্নাত চাওয়া ও জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাওয়া দুইটা দোয়া আছে আর এটা সহীহ। ঐটা থেকে এইদুয়াটা ভালো ও সহীহ।
***সকাল ও সন্ধ্যার আমল ৩ - কিয়ামতের দিন আল্লাহর সন্তুষ্টি বা জান্নাত পাওয়ার জন্য সহজ আমলঃ ৩ বার
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ (তাঁর বান্দাদের সাথে) ওয়াদা করেছেন যে, যে ব্যক্তি প্রত্যেক দিন সকালে ৩ বার ও সন্ধ্যায় ৩ বার এই দুআ পড়বে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ তার উপর সন্তুষ্ট থাকবেন"।
হিসনুল মুসলিম, পৃষ্ঠা ১৩৮।
رَضِيْتُ بِاللهِ رَبـاًّ، وَبِاْلإِسْلاَمِ دِيْنـًا، وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيـًّا
উচ্চারণঃ রদ্বীতু বিল্লা-হি রব্বান, ওয়াবিল ইসলা-মি দ্বীনান, ওয়াবি মুহা’ম্মাদিন সাল্লাল্লা-হু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামা নাবিয়্যান। (৩ বার)
অর্থঃ আমি আল্লাহকে রব হিসাবে, ইসলামকে দ্বীন হিসাবে ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে নবী হিসেবে গ্রহণ করে সন্তুষ্ট”।
আহমাদঃ ১৮৯৬৭, নাসাঈ, ইবনুস সুন্নীঃ ৬৮, আবু দাউদঃ ১৫৩১, তিরমিযীঃ ৩৩৮৯। আব্দুল আজীজ ইবনে বায (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর ‘তুহফাতুল আখইয়ার’ এর ৩৯ পৃষ্ঠায় এই হাদীসকে “হাসান সহীহ” বলেছেন।
***সকাল ও সন্ধ্যার আমল ৪ – হঠাৎ কোন বিপদ-আপদ ও দুর্ঘটনা থেকে নিরাপদ থাকার জন্য আমলঃ ৩ বার
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সকালে তিনবার ও সন্ধ্যায় তিন বার এই দুআ পড়বে, কোনো কিছুই ঐ ব্যক্তির ক্ষতি করতে পারবেনা”।
بِسْمِ اللهِ الَّذِي لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الأَرْضِ وَلاَ فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ العَلِيمُ
আরবী উচ্চারণঃ বিসমিল্লা-হিল্লাযী লা ইয়াদুররু মা আ’সমিহী শাই’উন ফিল আরদি, ওয়ালা ফিস সামা-য়ী, ওয়াহুয়াস সামীউ’ল আ’লীম। (৩ বার)।
বাংলা অর্থঃ আমি সেই আল্লাহর নামে শুরু করছি, যার নামে শুরু করলে আসমান ও যমীনের কোনো কিছুই কোনো ক্ষতি করতে পারেনা। প্রকৃতপক্ষে তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী। (৩ বার)।
আবু দাউদ, তিরমিযী ৩৩৮৮, ইবনে মাজাহ ৩৮৬৯, মুসনাদে আহমাদ ৪৪৮, ৫২৯। হিসনুল মুসলিম, পৃষ্ঠা ১৩৮। শেখ আলবানীর মতে হাদীসটি হাসান।
***সকাল ও সন্ধ্যার আমল ৫ – দুনিয়া ও আখেরাতের যেকোনো টেনশান বা দুঃচিন্তা এবং মানসিক অস্থিরতা থেকে বেঁচে থাকার জন্য আমলঃ ৭ বার
আপনি কি দুনিয়া অথবা আখেরাতের কোনো বিষয় নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করছেন? কি হবে না হবে? না জানি কি ক্ষতির মাঝে পড়ে গেলাম? যা করছি ভুল করছি নাতো? এইরকম দুনিয়াবি অথবা আখেরাতের যেকোনো দুঃশ্চিন্তা, টেনশান বা পেরেশানি থেকে বাচার জন্য একটা দুয়া আছে যা সকাল ও সন্ধ্যায় ৭ বার করে পড়তে হয়...
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় ৭ বার এই দুয়া পাঠ করবে আল্লাহ্‌ তার সকল চিন্তা, উৎকণ্ঠা ও সমস্যা মিটিয়ে দেবেন”।
হিসনুল মুসলিম ১৩২-১৩৩ নাম্বার পৃষ্ঠা। সুনান আবূ দাউদ, হাদীস ৫০৮১।
*উল্লেখ্য এই দুয়াটা সুরা তাওবার সর্বশেষ ১২৯ নাম্বারে আয়াতে আল্লাহ তাআ’লা পড়ার জন্য বলেছেন।
حَسْبِيَ اللهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ
উচ্চারণঃ হা’সবিয়াল্লাহু লা-ইলাহা ইল্লা-হুয়া, আ’লাইহি তাওয়াক্কালতু, ওয়া হুয়া রব্বুল আ’রশিল আ’যীম।
অর্থঃ আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ছাড়া আর কোন মা’বুদ নাই, আমি তাঁরই উপর নির্ভর করছি, তিনি মহান আরশের প্রভু।
***সকাল ও সন্ধ্যার আমল ৬ – শিরক থেকে বাঁচার দুয়াঃ (১/২/৩)
কেউ ৪০ বছর আল্লাহর ইবাদত করলো, কতযে নফল সুন্নত নামায পড়লো, রোযা রাখলো - কিন্তু মরণের আগে শিরক করা অবস্থায় তোওবা না করেই মারা গেলো...শিরক তার সমস্ত আমল নষ্ট করে দেবে (নাউযুবিল্লাহ)!
কেয়ামতের দিন তার আমলগুলোর কোনো ওযন আল্লাহ তাকে দেবেন না, এইগুলোকে ধূলো বালিতে রূপান্তরিত করে দেবেন। সে লাঞ্চিত হয়ে চিরজাহান্নামী হবে। অবশ্য ঈমানদার যারা তারা যদি অজ্ঞতাবশত ছোট শিরক যেমন রিয়াতে লিপ্ত হয় তাহলে চিরজাহান্নামী হবেনা, কিন্তু এইগুলো থেকে তোওবা না করে মারা গেলে কঠিন শাস্তির পরে জান্নাতে যেতে পারবে।
আর জেনে হোক বা না জেনেই হোক যে কেউ, যেকোনো সময় শিরকে লিপ্ত হতে পারে, যে যত বড় নেককারই হোক না কেনো (মা যা' আল্লাহ)।
এইজন্য শিরক করা অথবা অনিচ্ছায় শিরকে লিপ্ত হওয়া থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হয়।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) শেখানো একটা দুয়া আছে, কেউ যদি প্রতিদিন সকাল বিকাল একবার করে পড়েন, তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তাকে শিরক থেকে হেফাজত করবেন।
আপনি কি জানেন, সেই দুয়াটা কি?
দুয়াটা হচ্ছেঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لاَ أَعْلَمُ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ’উযুবিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া আনা আ’লাম, ওয়া আস-তাগফিরুকা লিমা লা আ’লাম।
অনুবাদঃ হে আল্লাহ! আমার জানা অবস্থায় তোমার সাথে শিরক করা থেকে তোমার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আর আমার অজানা অবস্থায় কোনো শিরক হয়ে গেলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
আহমাদ ৪/৪০৩, হাদীসটি সহীহ, সহীহ আল-জামে ৩/২৩৩।
হিসনুল মুসলিমঃ পৃষ্ঠা ২৪৬।
***সকাল ও সন্ধ্যার আমল ৭ – চারজন দাস মুক্ত করার সমান সওয়াব পাওয়ার আমলঃ ১০ বার
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَـرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
এই দুয়া যেকোনো সময় পড়লে ৪ জন দাস মুক্ত করার সমান সওয়াব পাওয়া যাবে। প্রদিতিন অন্তত সকাল ও সন্ধ্যায় একবার পড়ার অভ্যাস করা যেতে পারে।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহ্দাহু লা শারীকা লাহ, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আ’লা কুলি শায়ইন ক্বাদীর’ দিনে দশবার পাঠ করবে, সে ব্যক্তি ইসমাইল (আঃ) বংশের চারজন দাস মুক্ত করার সমান সওয়াব পাবে। (সহীহ্ বুখারীঃ ৬৪০৪, মুসলিম ৪/২০৭১)
***সকাল ও সন্ধ্যার আমল ৮ – অনেক “বড় সওয়াব” পাওয়ার একটা আমলঃ ৩ বার
সকাল ও সন্ধ্যায় ৩ বার-
سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ: عَدَدَ خَلْقِهِ، وَرِضَا نَفْسِهِ، وَزِنَةَ عَرْشِهِ وَمِدَادَ كَلِمَاتِهِ
উম্মুল মু’মিনীন জুওয়াইরিয়া বিনতিল হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী করীম (সাঃ) সকালে নামায পড়ার পর তার নিকট থেকে বের হলেন। তিনি তখন নিজের নামাযের জায়গায় বসাবস্থায় ছিলেন। তারপর নবী করীম (সাঃ) আবার চাশতের পর ফিরে এলেন। তখনো তিনি বসাবস্থায় ছিলেন। অতঃপর তিনি বললেন, আমি তোমাকে যে অবস্থায় রেখে গিয়েছিলাম সেই একই অবস্থায় তুমি বসে রয়েছো? তিনি জবাব দিলেনঃ জি হ্যাঁ। নবী করীম (সা) বললেনঃ আমি তোমার এখান থেকে যাওয়ার পর এমন চারটি কালেমা তিনবার পড়েছি যা তুমি আজ যা কিছু পড়েছো তার সাথে যদি ওজন করা যায় তাহলে তুমি ওজন করতে পার, অর্থাত তার সমান হবে। সেই কালেমাগুলো হচ্ছেঃ “সুবহানাল্লাহ ওয়া বিহামদিহি, আদাদা খালকিহি, ওয়া রিদ্বা নাফসিহি, ওয়া যিনাতা আরশিহি, ওয়া মিদাদা কালিমা তিহ্‌- (আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করছি এবং তাঁর প্রশংসা গাইছি, তাঁর সৃষ্টির সমান সংখ্যক, তাঁর মর্জি অনুযায়ী, তাঁর আরশের ওজনের সমান এবং তাঁর বাক্যাবলীর সমান সংখ্যক। (মুসলিম)
***জিনের আসর, যাদু-টোনা, চোখের নজর, অসুস্থতা, রোগ-ব্যধিসহ সমস্ত বালা-মুসিবত থেকে বাঁচার অথবা এইগুলোতে আক্রান্ত হলে শিফা বা চিকিতসার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী একটা আমলঃ
আব্দুল্লাহ ইবনে খুবাইব রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন,
“সকাল-সন্ধ্যায় ‘ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ (সূরা ইখলাস) এবং ‘ক্বুল আঊযু বিরাবিবল ফালাক্ব’ ও ‘ক্বুল আঊযু বিরাবিবন্নাস’ তিনবার করে পড়।
তাহলে প্রতিটি (ক্ষতিকর) জিনিস থেকে নিরাপত্তার জন্য যথেষ্ট হবে।”
তিরমিযী ৩৫৭৫, আবূ দাউদ ৫০৮২, নাসায়ী ৫৪২৮, ৫৪২৯, হাসান সহীহ বলেছেন। ইমাম তিরমিযী, শায়খ আলবানী।
***পড়ার নিয়ম হচ্ছে আউযুবিল্লাহ...বিসমিল্লাহ...পড়ে সুরা ইখলাস, ফালাক, নাস, ১ বা পড়ার পরে এই সিরিয়ালে আরো ২ বার। প্রত্যেক সুরার আগে বিসমিল্লাহ...

ঢাকা: আইসিসি ওয়ার্ল্ড র‌্যাঙ্কিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে’র (আইপিএল) চলতি আসরে শীর্ষ দশ খেলোয়াড়ের তালিকায় উঠে এসেছেন।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হয়ে খেলা বাংলাদেশি এ অলরাউন্ডার আইপিএল’র চলতি আসরে (আইপিএল ৭) ৯ নম্বরে অবস্থান করছেন।

এছাড়া আইপিএল’র এবারের আসরে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ৩৭তম এবং বোলারদের তালিকায় ২২তম স্থানে অবস্থান করছেন সাকিব।

কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) এ অলরাউন্ডার ১১ ম্যাচ খেলে ব্যাট হাতে করেছেন ১৯৭ রান। নিয়েছেন ১১ উইকেটও।

সাকিবের এ পারফরম্যান্সে কেকেআর’র মালিক কিং খান খ্যাত বলিউড অভিনেতা শাহরুখ খানও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।

এদিকে, কোয়ালিফায়িং রাউন্ডে মঙ্গলবারের খেলায় কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে সাকিব ভালো পারফরম্যান্স করবে এমনিটই আশা করেছেন দলের সর্তীথরা।
- See more at: http://www.basherkelladigitalbangladesh.blogspot.com
 
















Monday, May 26, 2014

মহাকাশ বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ২৮ মে দুপুর নাগাদ মক্কার পবিত্র কাবা শরীফের সঙ্গে সরাসরি একই লাইনে অবস্থান করবে সূর্য। সূর্যের কেন্দ্রবিন্দুটি এই কাবার ঠিক ওপরে উঠে আসবে। জেদ্দা অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটি এক বিবৃতিতে এই কথা জানিয়েছে।

তারা জানিয়েছেন, মক্কানগরীতে বুধবার ভোর ৫টা ৩৮ মিনিটে সূর্যোদয় হবে। উত্তরপূর্ব দিকটি থেকে সূর্য ধীরে ধীরে উপরে উঠতে শুরু করবে এবং দূপুর ১২টা ১৫ মিনিটে তা ঠিক কাবা শরীফের মাথার ওপর উঠে আসবে। আর সে কারণে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য হলেও পবিত্র এই মসজিদ ঘরের কোনো দিকে কোনো ছায়া থাকবে না।

সূর্যের এই অবস্থানকে ‘ছায়াশূন্য (জিরো শ্যাডো)’ অবস্থা বলেই চিহ্নিত করেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা। আর বছরে অন্তত দুইবার পবিত্র মক্কা নগরীর ক্ষেত্রে এই ঘটনাটি ঘটে।

গবেষকরা জানান, পবিত্র কাবা ঘরটি বিষুব রেখা ও কর্কটক্রান্তির মাঝখানে অবস্থিত হওয়ার কারণেই এমনটা ঘটে। ২৮ মে ছাড়াও প্রতিবছর ১৬ জুলাই তারিখেও একই ঘটনা ঘটে বলে জানান তারা।

পৃথিবীর অক্ষরেখায় সূর্য ২৩.৫ ডিগ্রি কৌণিক অবস্থান নিয়ে বিষুব রেখার উত্তর ও দক্ষিণ দিকে ঘুরতে থাকে। এভাবে একবার উত্তর গোলার্ধে একবার দক্ষিণ গোলার্ধে যায়। আর এই আসা যাওয়ার পথে বছরে দুইবার সরাসরি উপরে অবস্থান নিয়ে পবিত্র কাবা শরীফকে ছায়াশূন্য করে দেয়।

জ্যোতির্বিদরা ওইদিন ঠিক মধ্যআকাশে থাকা অবস্থায় সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকাতে নিষেধ করেছেন।

বাংলাদেশ সময় ১০১৪ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০১৪
http://basherkelladigitalbangladesh.blogspot.com/
কাবা শরীফ

Wednesday, May 21, 2014

ওবায়দুল কাদের কেন নোয়াখালীর এমপি হয়ে ফেনীতে এতো সময় দিচ্ছেন ?


জনাব ওবায়দুল কাদের, কখনও অধীনস্তদের চর থাপ্পর মারেন, কখনও ফাঁপা বুলি ঝাড়েন, এইতো পদ্মা সেতু হোল। কোনও কাজ না করলেও এক দঙ্গল সাংবাদিক নিয়ে সবসময় লাইমলাইটে থাকেন। শেখ হাসিনার চাইতেও বেশী এয়ারটাইম উপভোগ করেন। অত্যন্ত বিশ্রী রকমের ইংরেজি উচ্চারণে কথায় কথায় ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজি বলার চেষ্টা করেন, যা তাকে সকলের হাসির পাত্র করে। দামী দামী স্যুইট, দামী ঘড়ি, চশমা ব্যবহার করেন, দামী কোলোন ব্যবহার করেন। রাত কাটান হাইক্লাস কলগার্লদের সাথে। একটা ইমেজ মেইন্টেইন করেন। কিন্তু এসবের পিছে যে এক জঘন্য গডফাডার হিসেবেই তিনি যে কাজ করেন তা কি জানেন ? সদ্য ফেনীর ফুলগাজীর একরাম হত্যার মূল গ্রীন সিগন্যাল যে তিনিই দিয়েছেন, সেটা কি জানেন ? না জানলে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। অনেক অজানা তথ্য জানবেন ইনশাল্লাহ।


ফেনীর ফুলগাজি একদম সীমান্তবর্তী এলাকা। ভারতের ত্রিপুরা থেকে চট্টগ্রাম বাইপাস করে সরাসরি দেশের অভ্যন্তরে চোরাচালানের একটি হটস্পট সেটি। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়াতে ফেণীর ঐ বিশেষ এলাকাটার উপর নজড় ছিলো অনেকেরই । মন্ত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় সাংসদ সবাই ঐ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে ছিলেন মরিয়া । একরামুল হক (যে কিনা ফেণীর কুখ্যাত গডফাদার জয়নাল হাজারির স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ছিলো ) ছিলো ঐ এলাকার নিয়ন্ত্রক ।মূলতো নিজাম হাজারীর প্রতিনিধি হিসেবের স্থানীয় চোরাচালানী নিয়ন্ত্রণ করতেন । যাই হোক ।খুব সম্প্রতি একরামুল হক নিজাম হাজারীর বশ্যতা স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং উপজেলা নির্বাচনে ফেণী সদর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সিদ্ধান্ত নেয় ।এই সিদ্ধান্ত কে নিজাম হাজারী তাঁর স্থানীয় আধিপত্যের প্রতি হুমকি স্বরূপ দেখে ।বিষয়টি মধ্যস্থতা করার জন্য শেখ হাসিনা ব্যাক্তিগত ভাবে ওবায়দুল কাদের কে নির্দেশনা দেয় । একরামুল হক ওবায়দুল কাদেরের সাথে চরম দূর্ব্যবহার করলেও পরে চাপে পরে সদর থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে । কিন্তু স্থানীয় চাঁদাবাজি এবং চোরাচালানীর হিস্যা নিজাম হাজারী কে দেওয়া বন্ধ করে দেয় ।এক্ষেত্রে তাকে সর্বাত্মক সমর্থন দেয় স্থানীয় আরেক গড ফাদার সেলিম চৌধুরী। ওবায়দুল কাদের সেই অপমান ভুলে যাননি। উচিত শিক্ষা দেবার প্রত্যয় নেন তিনি।

মূলতঃ নিজাম হাজারীর একছত্র অবস্থান এর জন্যে হুমকি হয়ে গিয়েছিলো একরামুল। আর গত কিছু দিন আগে একরামুল ফেনীর পতিত গডফাদার জয়নাল হাজারীকে হেলিকাপ্টার করে ফেনী পাইলট ইস্কুল মাঠে নিয়ে আসে! আর এটাই কাল হয়ে যায় একরামুলের জন্যে। কারন এই জয়নাল হাজারী ফেনী এবং নেয়াখালি থেকে বিতাড়িত করেছিলো বর্তমান আওয়ামী প্রভাবশালী নেতা ওবায়দুল কাদেরকে। দীর্ঘ ৬ বছর ফেনীতে প্রবেশ করতে দেয়া হয় নাই হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন নাসিমকে। এদের মিলিত চেষ্টা থেকেই নিজাম হাজারীকে সামনে রেখে ফেনীর রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করা হয় জায়নাল হাজারীকে। বিলোনিয়া বর্ডারের চোরাচালানির হিস্যা, নদী শাসনের বিশাল প্রজেক্ট ও মাদকদ্রব্য ব্যাবসার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে অন্ত কন্দল চলছিলো অনেকদিন যাবত।

কিন্তু শেষ কয়েক দিনের একরামুলের অবস্থান আর পুনরায় জয়নাল হাজারীর ফেনীর রাজনিতীতে সক্রিয় হয়ে উঠায় আঁতে ঘা লাগে ঐ সিন্ডিকেটের। এখানে উল্লেখ্য,ওবায়দুল কাদের তার নিজের নির্বাচনী আসন বসুর হাটে অবস্থান না করে সব সময় ফেনীতেই অবস্থান করেন। কারন ফেনী থেকে প্রতি মাসে তার কাছে প্রায় ৫০ কোটি টাকার মতন চাঁদা যায়।

একরামুল বুঝে যায় যে নিজাম হাজারী ও ওবায়দুল কাদেরের সাথে একসাথে লাগতে যেয়ে কি ভুল করে সে। বিষয়টি নিয়ে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে একরামুল হক সাংবাদিক দের মাধ্যমে কিছু গোপন তথ্য গণ মাধ্যমে প্রকাশ করে দেয় ।এর মাঝে ছিলো নিজাম হাজারীর কারাবাসের থেকে কম সময় জেল খেটেবের হয়ে আসা সহ নানাদিক ।আরো চমকপ্রদ কিছু তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করে দেবার সিদ্ধান্ত নেয় ।কিন্তু সেই সাংবাদিক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিজাম হাজারীকে বিস্তারিত জানিয়ে দেয় ।যার পরিপ্রেক্ষিতে নিজাম হাজারী ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে একরামুল কে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় ।

বিষয়টি আঁচ করতে পেরে একরামুল শরণাপন্ন হন তার আগের বস কুখ্যাত জয়নাল হাজারীর । এসময় ত্রাণকর্তা হিসেবে মঞ্চে আবির্ভাব ঘটে সাবেক গডফাদার জয়নাল হাজারীর । নিজাম হাজারীর পরবর্তী চাল জানতে পেরে একরামুল কে রক্ষা করার জন্য সম্ভাব্য গুম-খুনের খবর সে তাঁর দৈনিক হাজারিকা পত্রিকায় প্রকাশ করে দেয় । যার উদ্দেশ্য ছিলো নিজাম হাজারী যাতে ভয় পেয়ে একরামুল কে হত্যা করা থেকে দূরে থাকে।
১৯ই মে এটি প্রকাশ হওয়ায় ক্রুদ্ধ হয় ওবায়দুল কাদেরে ও নিজাম হাজারী। সিদ্ধান্ত হয় পরের দিনই শেষ করে দেবার একরামুলকে।

কমিশনার শিবলুর নেতৃতে নিজাম হাজারীর ক্যাডাররা একরামুল হত্যাকাণ্ডে অংশ গ্রহন করে। এই ব্যাপারে তারা সাপ্তাহ খানেক আগে থেকেই সকল পরিকল্পনা সম্পন্ন করে আসছিলো। কিলিং মিশনে মোট অংশ গ্রহন করে ৩৫ জন কিলার। আর এদের মধ্যে ১০ জন কে আনা হয় ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে। তারা হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিন আগে ফেনীতে এসে অবস্থান নিয়ে সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে এলাকায় বারবার রেকি করে। অবশেষে ১৯ তারিখ গ্রীন সিগন্যাল পেলেই ২০ তারিখ তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।

নারায়ণগঞ্জ ট্র্যাজেডির পর এরকম একটি ঘটনার মাধ্যমে বিএনপিকে জড়িয়ে ফায়দা লুটার জন্যেও হাসিনার সিগন্যাল পায় ওবাইদুল কাদের। ওবায়দুল কাদেরের স্কুল শিক্ষিকা নামেমাত্র স্ত্রীর নামে বাসুর হাট ও এর আশেপাশের এলাকায় কয়'শ বিঘা জমি আছে। বিশাল চাঁদা ও চোরাকারবারীর ভাগ নিরঙ্কুশ করতে এবং সকলের নজর নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরাতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়। আর নারায়ণগঞ্জে যেমন নজরুলের শ্বশুর শহীদ চ্যায়ারমান গনমাধ্যমের সাথে কথা বলে বলে আওয়ামী লীগের বারোটা বাজিয়েছে, এবার আর তা যাতে না হয়, তাই আগেই একরামুলের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

টিভি এর সামনে এই ভন্ড, লম্পট, দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসের গডফাডার বলেছে যে ফেনীর এই ঘটনা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। সত্য কথাটাই সে বলেছে। শুধু বলেনি যে পরিকল্পনাটা সেই করেছে।

সবাইকে শেয়ার করে জানিয়ে দিন। আর এইসব ভয়ংকর লোকদের মুখোশ উন্মোচন করুন।

* মদ্যপ ওবায়দুল কাদেরের নিশিগমন ও তার নিশিকন্যাদের সম্পর্কে জানতে ওয়েস্টিন হোটেলে পরিচিত হাই কোনও অফিসিয়ালকে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন।
ওবায়দুল কাদের কেন নোয়াখালীর এমপি হয়ে ফেনীতে এতো সময় দিচ্ছেন ? জনাব ওবায়দুল কাদের, কখনও অধীনস্তদের চর থাপ্পর মারেন, কখনও ফাঁপা বুলি ঝাড়েন, এইতো পদ্মা সেতু হোল। কোনও কাজ না করলেও এক দঙ্গল সাংবাদিক নিয়ে সবসময় লাইমলাইটে থাকেন। শেখ হাসিনার চাইতেও বেশী এয়ারটাইম উপভোগ করেন। অত্যন্ত বিশ্রী রকমের ইংরেজি উচ্চারণে কথায় কথায় ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজি বলার চেষ্টা করেন, যা তাকে সকলের হাসির পাত্র করে। দামী দামী স্যুইট, দামী ঘড়ি, চশমা ব্যবহার করেন, দামী কোলোন ব্যবহার করেন। রাত কাটান হাইক্লাস কলগার্লদের সাথে। একটা ইমেজ মেইন্টেইন করেন। কিন্তু এসবের পিছে যে এক জঘন্য গডফাডার হিসেবেই তিনি যে কাজ করেন তা কি জানেন ? সদ্য ফেনীর ফুলগাজীর একরাম হত্যার মূল গ্রীন সিগন্যাল যে তিনিই দিয়েছেন, সেটা কি জানেন ? না জানলে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। অনেক অজানা তথ্য জানবেন ইনশাল্লাহ। ফেনীর ফুলগাজি একদম সীমান্তবর্তী এলাকা। ভারতের ত্রিপুরা থেকে চট্টগ্রাম বাইপাস করে সরাসরি দেশের অভ্যন্তরে চোরাচালানের একটি হটস্পট সেটি। সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়াতে ফেণীর ঐ বিশেষ এলাকাটার উপর নজড় ছিলো অনেকেরই । মন্ত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয় সাংসদ সবাই ঐ এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে ছিলেন মরিয়া । একরামুল হক (যে কিনা ফেণীর কুখ্যাত গডফাদার জয়নাল হাজারির স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য ছিলো ) ছিলো ঐ এলাকার নিয়ন্ত্রক ।মূলতো নিজাম হাজারীর প্রতিনিধি হিসেবের স্থানীয় চোরাচালানী নিয়ন্ত্রণ করতেন । যাই হোক ।খুব সম্প্রতি একরামুল হক নিজাম হাজারীর বশ্যতা স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানায় এবং উপজেলা নির্বাচনে ফেণী সদর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সিদ্ধান্ত নেয় ।এই সিদ্ধান্ত কে নিজাম হাজারী তাঁর স্থানীয় আধিপত্যের প্রতি হুমকি স্বরূপ দেখে ।বিষয়টি মধ্যস্থতা করার জন্য শেখ হাসিনা ব্যাক্তিগত ভাবে ওবায়দুল কাদের কে নির্দেশনা দেয় । একরামুল হক ওবায়দুল কাদেরের সাথে চরম দূর্ব্যবহার করলেও পরে চাপে পরে সদর থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে । কিন্তু স্থানীয় চাঁদাবাজি এবং চোরাচালানীর হিস্যা নিজাম হাজারী কে দেওয়া বন্ধ করে দেয় ।এক্ষেত্রে তাকে সর্বাত্মক সমর্থন দেয় স্থানীয় আরেক গড ফাদার সেলিম চৌধুরী। ওবায়দুল কাদের সেই অপমান ভুলে যাননি। উচিত শিক্ষা দেবার প্রত্যয় নেন তিনি। মূলতঃ নিজাম হাজারীর একছত্র অবস্থান এর জন্যে হুমকি হয়ে গিয়েছিলো একরামুল। আর গত কিছু দিন আগে একরামুল ফেনীর পতিত গডফাদার জয়নাল হাজারীকে হেলিকাপ্টার করে ফেনী পাইলট ইস্কুল মাঠে নিয়ে আসে! আর এটাই কাল হয়ে যায় একরামুলের জন্যে। কারন এই জয়নাল হাজারী ফেনী এবং নেয়াখালি থেকে বিতাড়িত করেছিলো বর্তমান আওয়ামী প্রভাবশালী নেতা ওবায়দুল কাদেরকে। দীর্ঘ ৬ বছর ফেনীতে প্রবেশ করতে দেয়া হয় নাই হাসিনার সাবেক প্রটোকল অফিসার আলাউদ্দিন নাসিমকে। এদের মিলিত চেষ্টা থেকেই নিজাম হাজারীকে সামনে রেখে ফেনীর রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করা হয় জায়নাল হাজারীকে। বিলোনিয়া বর্ডারের চোরাচালানির হিস্যা, নদী শাসনের বিশাল প্রজেক্ট ও মাদকদ্রব্য ব্যাবসার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে অন্ত কন্দল চলছিলো অনেকদিন যাবত। কিন্তু শেষ কয়েক দিনের একরামুলের অবস্থান আর পুনরায় জয়নাল হাজারীর ফেনীর রাজনিতীতে সক্রিয় হয়ে উঠায় আঁতে ঘা লাগে ঐ সিন্ডিকেটের। এখানে উল্লেখ্য,ওবায়দুল কাদের তার নিজের নির্বাচনী আসন বসুর হাটে অবস্থান না করে সব সময় ফেনীতেই অবস্থান করেন। কারন ফেনী থেকে প্রতি মাসে তার কাছে প্রায় ৫০ কোটি টাকার মতন চাঁদা যায়। একরামুল বুঝে যায় যে নিজাম হাজারী ও ওবায়দুল কাদেরের সাথে একসাথে লাগতে যেয়ে কি ভুল করে সে। বিষয়টি নিয়ে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠলে একরামুল হক সাংবাদিক দের মাধ্যমে কিছু গোপন তথ্য গণ মাধ্যমে প্রকাশ করে দেয় ।এর মাঝে ছিলো নিজাম হাজারীর কারাবাসের থেকে কম সময় জেল খেটেবের হয়ে আসা সহ নানাদিক ।আরো চমকপ্রদ কিছু তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশ করে দেবার সিদ্ধান্ত নেয় ।কিন্তু সেই সাংবাদিক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিজাম হাজারীকে বিস্তারিত জানিয়ে দেয় ।যার পরিপ্রেক্ষিতে নিজাম হাজারী ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে একরামুল কে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় । বিষয়টি আঁচ করতে পেরে একরামুল শরণাপন্ন হন তার আগের বস কুখ্যাত জয়নাল হাজারীর । এসময় ত্রাণকর্তা হিসেবে মঞ্চে আবির্ভাব ঘটে সাবেক গডফাদার জয়নাল হাজারীর । নিজাম হাজারীর পরবর্তী চাল জানতে পেরে একরামুল কে রক্ষা করার জন্য সম্ভাব্য গুম-খুনের খবর সে তাঁর দৈনিক হাজারিকা পত্রিকায় প্রকাশ করে দেয় । যার উদ্দেশ্য ছিলো নিজাম হাজারী যাতে ভয় পেয়ে একরামুল কে হত্যা করা থেকে দূরে থাকে। ১৯ই মে এটি প্রকাশ হওয়ায় ক্রুদ্ধ হয় ওবায়দুল কাদেরে ও নিজাম হাজারী। সিদ্ধান্ত হয় পরের দিনই শেষ করে দেবার একরামুলকে। কমিশনার শিবলুর নেতৃতে নিজাম হাজারীর ক্যাডাররা একরামুল হত্যাকাণ্ডে অংশ গ্রহন করে। এই ব্যাপারে তারা সাপ্তাহ খানেক আগে থেকেই সকল পরিকল্পনা সম্পন্ন করে আসছিলো। কিলিং মিশনে মোট অংশ গ্রহন করে ৩৫ জন কিলার। আর এদের মধ্যে ১০ জন কে আনা হয় ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে। তারা হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিন আগে ফেনীতে এসে অবস্থান নিয়ে সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্যে এলাকায় বারবার রেকি করে। অবশেষে ১৯ তারিখ গ্রীন সিগন্যাল পেলেই ২০ তারিখ তারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়। নারায়ণগঞ্জ ট্র্যাজেডির পর এরকম একটি ঘটনার মাধ্যমে বিএনপিকে জড়িয়ে ফায়দা লুটার জন্যেও হাসিনার সিগন্যাল পায় ওবাইদুল কাদের। ওবায়দুল কাদেরের স্কুল শিক্ষিকা নামেমাত্র স্ত্রীর নামে বাসুর হাট ও এর আশেপাশের এলাকায় কয়'শ বিঘা জমি আছে। বিশাল চাঁদা ও চোরাকারবারীর ভাগ নিরঙ্কুশ করতে এবং সকলের নজর নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরাতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়। আর নারায়ণগঞ্জে যেমন নজরুলের শ্বশুর শহীদ চ্যায়ারমান গনমাধ্যমের সাথে কথা বলে বলে আওয়ামী লীগের বারোটা বাজিয়েছে, এবার আর তা যাতে না হয়, তাই আগেই একরামুলের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। টিভি এর সামনে এই ভন্ড, লম্পট, দুর্নীতিবাজ সন্ত্রাসের গডফাডার বলেছে যে ফেনীর এই ঘটনা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। সত্য কথাটাই সে বলেছে। শুধু বলেনি যে পরিকল্পনাটা সেই করেছে। সবাইকে শেয়ার করে জানিয়ে দিন। আর এইসব ভয়ংকর লোকদের মুখোশ উন্মোচন করুন। * মদ্যপ ওবায়দুল কাদেরের নিশিগমন ও তার নিশিকন্যাদের সম্পর্কে জানতে ওয়েস্টিন হোটেলে পরিচিত হাই কোনও অফিসিয়ালকে জিজ্ঞেস করলেই জানতে পারবেন।

জেনে নিন কেন খুন হোল একরাম - আওয়ামী এমপি নিজাম হাজারীর সাথে কেন ছিল দ্বন্দ্ব

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক একরাম নৃশংসভাবে খুন হওয়ার পর আলোচনায় প্রাধান্য পাচ্ছে সদর আসনের আওয়ামী লীগদলীয় সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর সঙ্গে একরামের বিরোধের বিষয়টি। বলা হচ্ছে, নিজাম হাজারী ফেনীর রাজনীতিতে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতেন একরামকে।
১৯৮৩ সাল থেকে ফেনীর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন একরাম। জয়নাল হাজারীর অনুসারী ছিলেন তিনি। এক-এগারোর সময় জয়নাল হাজারী ফেনী থেকে বিতাড়িত হলেও জেলার রাজনীতিতে অবস্থান ধরে রাখেন তিনি। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ফেনী-১ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন একরাম। তবে রাজনৈতিক কৌশলে ধরাশায়ী হয়ে মনোনয়নবঞ্চিত হতে হয় তাঁকে। তবে পিছু হটেননি তিনি। অভিযোগ আছে, মনোনয়নবঞ্চিত হওয়ার পর নিজাম হাজারী তাঁকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য উৎসাহ দেন, যাতে এ ছুতো ধরে পরে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করার সুযোগ পাওয়া যায়। তবে সে প্রলোভনে পা দেননি একরাম। আবারও নির্বাচন করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে। তত দিনে ফেনীর সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে যান নিজাম উদ্দিন হাজারী। এমপি হয়ে উপজেলা নির্বাচনেও একরামকে অসহযোগিতা করতে শুরু করেন তিনি। শত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে শুধু নিজের রাজনৈতিক কৌশল দিয়ে আর ব্যাপক ভোট চুরির মাধ্যমে বিএনপি এর ঘাটিতে একরাম জিতে আসেন উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে।

নিজাম হাজারী ফেনীতে ঘাঁটি করে নেওয়ার পর এ পর্যন্ত একরামের সঙ্গে ছোট-বড় অসংখ্য বিরোধের সৃষ্টি হয়। ফেনীর কয়েকজন প্রবীণ নেতা বলেন, এত বড় একটি ঘটনা ঘটেছে ফেনীতে, কিন্তু প্রতিবাদের ভাষা নেই বললেই চলে। মুখ খুলতে চান না অনেকেই।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, টেন্ডার বাণিজ্য, ফেনীর ডায়াবেটিক হাসপাতালের আধিপত্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ও কমিটি ঘোষণা নিয়ে ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম হাজারীর সঙ্গে একরামের বিরোধ শুরু হয়। ফেনীর পানি উন্নয়ন বোর্ড, এলজিইডিসহ অনেক প্রতিষ্ঠানের টেন্ডার একপর্যায়ে নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন একরাম চেয়ারম্যান। এ নিয়ে দু-তিন দফা নিজাম হাজারীর বাহিনীকে আটকে রাখে একরামের দলবল। ডায়াবেটিক হাসপাতালের নিয়ন্ত্রণ ছিল একরামের কাছে। গত বছর এর আধিপত্য নিতে যায় নিজাম হাজারীর ঘনিষ্ঠ ও তাঁর ‘বুদ্ধিদাতা’ হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীর কবির আদেল ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশীদ। তাঁরা ডায়াবেটিক হাসপাতালে একরামের রুমে তালাও ঝুলিয়ে দেন। পরে জেলার অন্য নেতাদের মধ্যস্থতায় আধিপত্য একরামেরই থাকে।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে চরম বিরোধ সৃষ্টি হয় নিজাম হাজারীর সঙ্গে একরামের। একরামের রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ফুলগাজী উপজেলায় একরাম চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হন। এটা মেনে নেননি নিজাম হাজারী। ফলে নির্বাচনে পরাজিত করতে ভেতরে ভেতরে নিজাম হাজারী বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মিনার চৌধুরীর সঙ্গে হাত মেলান। এতে বেকায়দায় পড়ে যান একরাম। তবে একরাম উপজেলা নির্বাচনে এমপির বিরোধিতার জবাব দেন অন্যভাবে। একসময়ের নিজাম হাজারী ও একরামের রাজনৈতিক গুরু ফেনীর গডফাদারখ্যাত জয়নাল হাজারীকে হেলিকপ্টারযোগে ফেনী পাইলট হাই স্কুল মাঠে নিয়ে আসেন একরাম। বলা হয়, এর মধ্য দিয়ে নিজাম হাজারীকে হুমকি প্রদর্শন করে একরাম। এ বিষয়টিও ভীষণভাবে ক্ষুব্ধ করে নিজাম হাজারীকে। এর ফলে দুজনের বিরোধ আরো চাঙ্গা হতে শুরু করে। নিজাম হাজারী তখন থেকে মনে করে, জয়নাল হাজারীর সঙ্গে একরামের যোগাযোগ রয়েছে। এটি যেকোনো সময়ে তাঁর জন্য বিপদ ডেকে আনতে পারে। এরই সূত্র ধরে উপজেলা নির্বাচনে একরামের নির্বাচনী গণসংযোগেও প্রথম প্রথম যাননি নিজাম হাজারী। বরং অভিযোগ আছে, একরামের নির্বাচনী গণসংযোগে নিজাম বাহিনীর লোকজন কয়েক দফা হামলা চালায়। আরো অভিযোগ আছে, একরামের নির্বাচনী প্রচারণায় থাকা দুটি গাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় নিজাম বাহিনীর দলবল। অবশ্য পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যস্থতা ও কেন্দ্রীয় উদ্যোগের ফলে নির্বাচনের মাত্র দুই দিন আগে একরামের পক্ষে সমর্থন দেন নিজাম হাজারী।

আরো জানা গেছে, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন ফুলগাজী উপজেলার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহিদ চৌধুরী। এলাকায় তাঁর নেতিবাচক ইমেজের কারণে একরাম তাঁকে প্রার্থী হতে দিতে চাননি। জানা গেছে, জাহিদ চৌধুরী নিজাম হাজারীর ঘনিষ্ঠ কর্মী। একরামের এ আচরণেও ক্ষুব্ধ হন নিজাম হাজারী ও জাহিদ চৌধুরী।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে সাজা কম খেটে জালিয়াতি করে জেল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার যে সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে, এর সঙ্গে একরামের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে সন্দেহ করে নিজাম হাজারী। এ বিষয়টি নিয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ হন নিজাম হাজারী। একরামকে সরাসরি দোষারোপ করেন তিনি। একরামের ঘনিষ্ঠ আরেক সহকর্মী জানান, নিজাম হাজারী একরামকে দেখে নেওয়া হবে বলেও হুমকি দেন। একরামের রাজনৈতিক সহকর্মী দুজন নেতা বলেন, ফেনীতে নিজাম হাজারী সব সময় তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করতেন একরামকে।

সুত্রঃ কালের কণ্ঠ

Tuesday, May 20, 2014


সাকিব আল হাসানের ‘ঝড়ো’ ব্যাটিংয়ে আইপিএলের সবচেয়ে সফল দল চেন্নাই সুপার কিংসকে সহজেই ৮ উইকেটে হারিয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স।

১২ ম্যাচে সপ্তম জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে কলকাতা। রান-রেটে তাদের চেয়ে এগিয়ে তিন নম্বরে রয়েছে রাজস্থান রয়্যালস। আর সমান ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা চেন্নাইয়ের এটি চতুর্থ হার।

মঙ্গলবার কলকাতার ইডেন গার্ডেনে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৫৪ রান করে চেন্নাই।

ব্রেন্ডন ম্যাককালামের (২৮) সঙ্গে ৫৫ ও ফাফ দু প্লেসির (২৩) সঙ্গে ৬২ রানের দুটি জুটি উপহার দিয়ে দলকে ২ উইকেটে ১২২ রানে পৌছেঁ দিয়েছিলেন সুরেশ রায়না।

সাকিবের বলে দুবার জীবন পাওয়া রায়নার ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৬৫ রান। তার ৫২ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি ছক্কা ও ৩টি চার।

শেষ দিকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে দেড়শ’ পার হয় অতিথিদের সংগ্রহ।

কলকাতার পক্ষে সুনীল নারায়ণ, প্যাট কামিন্স ও পীযুষ চাওলা একটি করে উইকেট নেন। ৪ ওভার বল করে ৩০ রান দেন সাকিব।

জবাবে ১২ বল অব্যবহৃত রেখেই লক্ষ্যে পৌছেঁ যায় টানা পঞ্চম জয় পাওয়া কলকাতা।

গৌতম গম্ভীরের (২১) সঙ্গে ৭ ওভার স্থায়ী ৬৪ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়ার পর দলকে ১ উইকেটে ৯৮ রানে পৌছেঁ দেন রবিন উথাপ্পা (৬৭)। তার ৩৯ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও ১টি ছক্কা।

চার নম্বরে ফিরে ২১ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত ৪৬ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলে দুই ওভার অব্যবহৃত রেখেই স্বাগতিকদের জয় এনে দেয়ার কৃতিত্ব সাকিবের।

এই রান করার পথে মনিশ পাণ্ডের (অপরাজিত ১৮) সঙ্গে ৩৮ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫৮ রানের জুটি গড়েন সাকিব।

শ্রীলঙ্কার চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের কোচ নিয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি আজ সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ কথা ঘোষণা করেছে। তাকে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
তার কোনো আন্তর্জাতিক দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব গ্রহণ এটাই প্রথম। নতুন দায়িত্বে যোগ দিতে তিনি অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার শেন জার্গেনসেন পদত্যাগ করার পর থেকে কোচ খুঁজছিল বাংলাদেশ।
অস্ট্রেলিয়ায় কোচ হিসেবে হাথুরুসিংহে বেশ সুনাম অর্জন করেছেন


প্রথমে কুপিয়ে, তারপর গুলি করে এবং সবশেষে গাড়িসহ আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে হত্যা করা হয়েছে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান
গুলি করে ও পুড়িয়ে হত্যা করা হলো ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরামুল হক একরামকে (৪৫)। লাশটি ডিএনএ পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ৩টার দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে লাশটি নিয়ে রওনা হয়েছেন ফেনী মডেল থানার এসআই মোবারক হোসেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অগ্নিদ্বগ্ধ লাশটির সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করতে না পারায় ডিএনএ পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রাম পাঠানো হয়েছে।
সকালে ফেনী শহরের অ্যাকাডেমি রোডস্থ বিলাসী সিনেমা হলের সামনে প্রকাশ্য কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার পর একরামের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে লাশ পুড়িয়ে ফেলে দুস্কৃতিকারীরা।
এর জের ধরে তার সমর্থকরা সদর হাসপাতাল মোড এলাকায় ও ফুলগাজীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানায়, সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে শহরের বাসা থেকে ফুলগাজী যাওয়ার পথে বিলাসী সিনেমার সামনে গুলি ও বোমা ফাটিয়ে একদল দুস্কৃতিকারী তার ব্যক্তিগত প্যাডো গাড়ি গতিরোধ করে। গাড়ির সামনের আসনে চালক মামুন ও একরাম চেয়ারম্যান ছাড়াও পেছনের আসনে ব্যবসায়িক পার্টনার হোসেন, ফুলগাজী সদর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন সামু, দৈনিক ফেনী প্রতিদিনের নির্বাহী সম্পাদক মহিব্ব্ল্লুাহ ফরহাদ ছিলেন। হামলাকারীরা গাড়িটি ঘিরে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকে।
মহিব্বুল্লাহ ফরহাদ জানান, অন্যরা আহত অবস্থায় দৌঁড়ে নামতে পারলেও একরামের বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে একপর্যায়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুস্কৃতিকারীরা। এসময় গুলি ও বোমার শব্দে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে উঠে। আতঙ্কে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। হামলাকারীরা সরে পড়লে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আহতদের গাড়ী চালক মামুন ও হোসেনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ফরহাদ ও সামু ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা একরামকে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে ফেনী ও ফুলগাজীতে তার সমর্থকরা যানবাহন ও দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ, র‌্যাব ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে বলে পুলিশ সুপার অফিস সূত্র নিশ্চিত করেছে।


Monday, May 19, 2014

বিশ্বের ৪৩টি দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বালিকা হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশী শিশু হাফেজা ফারিহা তাসনিম। আলহামদুলিল্লাহ।

এতগুলো দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে ১ম হওয়া অনেক গৌরবের ব্যাপার। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশী শিশু হাফেজা ফারিহা তাসনিমের বিশ্বের ৪৩টি দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বালিকা হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হবার খবরটি বাংলাদেশের অধিকাংশ পত্রিকার প্রথম পাতা তো দূরের কথা, ভিতরের পাতাতেও ছাপা হয়নি। আর টিভি নিউজত দুরের কথা।

ওরা ছাপাক আর না ছাপাক, দেখাক আর না দেখাক। আমরা যাতে এইটা জানতে পারি যে ফারিহা তাসনিম নামের ছোট্ট মেয়েটা আমাদের জন্য, আমাদের দেশের জন্য কতটা সম্মান এনেছে। ফারিহা তাসনিমকে অভিনন্দন আমাদের গর্বিত করার জন্য।
বিশ্বের ৪৩টি দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বালিকা হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন বাংলাদেশী শিশু হাফেজা ফারিহা তাসনিম। আলহামদুলিল্লাহ। এতগুলো দেশের প্রতিযোগীদের মধ্যে ১ম হওয়া অনেক গৌরবের ব্যাপার। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশী শিশু হাফেজা ফারিহা তাসনিমের বিশ্বের ৪৩টি দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বালিকা হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হবার খবরটি বাংলাদেশের অধিকাংশ পত্রিকার প্রথম পাতা তো দূরের কথা, ভিতরের পাতাতেও ছাপা হয়নি। আর টিভি নিউজত দুরের কথা। ওরা ছাপাক আর না ছাপাক, দেখাক আর না দেখাক। আমরা যাতে এইটা জানতে পারি যে ফারিহা তাসনিম নামের ছোট্ট মেয়েটা আমাদের জন্য, আমাদের দেশের জন্য কতটা সম্মান এনেছে। ফারিহা তাসনিমকে অভিনন্দন আমাদের গর্বিত করার জন্য।

Sunday, May 18, 2014

একটা কৌতুক....

"জামাইঃ একটা জিনিস খেয়াল করলাম আব্বা । একটু চালাক না হইলে দুনিয়াতে টেকা খুব কঠিন !!!

শ্বশুরঃ যেমন??
জামাইঃ এই যে যেমন, একই রেজাল্ট আপনি করলেন ২ বছর লেখা- পড়া কইরা, আর আমি ১ দিন প্রশ্নের পিছনের দৌড়াইয়া!!
শ্বশুরঃ প্রশ্ন পাইয়া A+ পাইলেই কি মেধাবী হওয়া যায় ?
জামাইঃ হে! হে! কেন যাবে না ?
শ্বশুরঃ অতি চালাকের ভবিষ্যত কিন্তু ভালো না ।

.......[কয়েক মাস পর ... ].......

বৌঃ আমি যাবো না!!
জামাইঃ কেন যাবা না ??
শ্বশুরঃ কি হইসেরে মা ?
বৌঃ আব্বা, আপনার জামাই খালি প্রশ্নের পিছনে ঘুর ঘুর করে !!! আর কি লেখা-পড়া করছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও চান্স পায় না!
জামাইঃ হইছে কি আব্বা, প্রশ্ন পাই নাই তো !!
শ্বশুরঃ প্রশ্ন তো আমিও পাই নাই !
জামাইঃ ইয়ে মানে ….........আব্বা
শ্বশুরঃ শোন, পরীক্ষায় A+ পাইতে গিয়া তুমি সময় ব্যয় করছ প্রশ্নের পিছনে দৌড়াইয়া ! আর আমি নিজের মেধা দিয়ে লেখা- পড়া করে।
জামাইঃ ইয়ে মানে...
শ্বশুরঃ শোনো পরিশ্রম বেশি যে করে তার ফলও একটু বেশী প্রাপ্য হয় ।"
রংপুরে নিজেকে নবী দাবিকারী ভন্ড ফিরোজ কবিরকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

শনিবার দুপুর তিনটার দিকে তাকে আটক করা হয়।

র‌্যাব-১৩ কমান্ডার মোতাহেরুল ইসলাম জানান, ভন্ড ফিরোজ দীর্ঘদিন থেকে মহানগরীর মাহীগঞ্জ বনহাজরা এলাকার দরবার শরীফ তৈরি করে অগ্নিপূজা ও ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে বিভিন্ন বিতর্কিত বক্তব্য দিয়ে আসছিলেন।

উল্লেখ্য, গত কয়েক মাস আগে রংপুরের আলেম সমাজ জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি দিয়ে ভন্ড নদী ফিরোজ কবিরের অপতৎপরতা বন্ধের জোর আহবান জানিয়েছিলেন।
<<<<<<<<<<<<<সর্বশেষ>>>>>>>>>>>>>>* চট্টগ্রামে আটক ২১ জামায়াত নেতার রিমান্ড নামঞ্জুর; জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছে আদালত ।* বাগেরহাটের সুন্দরবনে এক মৎস্য ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার দায়ে চারজনের ফাঁসি এবং ছয়জনের যাবজ্জীবন কারদণ্ড দিয়েছে বাগেরহাটের একটি আদালত।

Saturday, May 17, 2014


যেসব মেয়েরা সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাঁদের বলে পতিতা ।
অপরদিকে, যেসব মেয়েরা হাজার টাকার বিনিময়ে লুকিয়ে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাদের বলে সোসাইটি গার্ল ।
যারা আর একটু বেশী দামে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাদের বলে পার্টি গার্ল ।

আর সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে তথাকথিত শিক্ষিত মেয়েরা যখন রাস্তা দিয়ে দেহ দেখিয়ে-দেখিয়ে হাঁটে TSC,NSU, KFC, ধানমণ্ডি লেকে বয়ফ্রেন্ডের কোলে বসে আড্ডা দেয়, মাঝে মাঝে, কিস খায় এবং মাঝে মাঝে সেই বয়ফ্রেন্ডের সাথে লিটনের ফ্ল্যাটে যায়, পয়লা বৈশাখে লাল-সাদা শাড়ী পড়ে হাজারটা ছেলের সাথে ডলাডলি করে, পান্তা খায়, আর রিক্সায় হুড তুলে দিয়ে ,,,,, আবার বলে আমরা শুধুই ফ্রেন্ড! সমাজ তখন তাঁদের বলে আধুনিক মেয়ে !



তাদের নিয়ে কথিত (!) দৈনিক পত্রিকায় লেখা হয় “দেশে নারীরা সমান অধিকার পাচ্ছে” ।
হাজার-হাজার মেয়েরা বছরে বছরে জিপিএ ৫ পাচ্ছে, আবার পরিমলের সাথে শুটিং (!) করতে পারছে ।

যারা আরও বেশী দামে দেহ বিক্রি করে সমাজ তাদের বলে মডেল গার্ল বা অভিনেত্রী (সব মডেল বা অভিনেত্রীকে বলছি না) । সমাজের অনেকের চোখে এরা আবার ড্রিমগার্ল ! তাদের আবার ভিডিও বের হয় ।

কিন্তু তারপরও তারা সমাজে সকলের নিকট সম্মানপ্রাপ্ত । অথচ দেহ ব্যবসায় যারা শুধুমাত্র পেটের দায় করে বা জোরপূর্বক তাদের করানো হয়, তারাই বেশ্যা বলে আখ্যায়িত । কিন্তু কেন ?
তাঁদের এত টাকা-পয়সা, পাওয়ার নেই বলে ? থুতু মারি চুশীলদের এই দ্বৈত নীতিকে ।

যারা পেটের দায়ে এই ঘৃণ্য কাজটি করে তাঁদেরকে আমি পতিতা বলি না, আমি পতিতা বলি তাদেরকে যারা অর্থ বা কাজের লোভে পর পুরুষের সামনে বিবস্ত্র হতে দ্বিতীয় বার ভাবে না।
বাংলাদেশে কোন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে,আওয়ামীলীগের অবস্থান হতে পারে চতুর্থ অর্থাৎ বিএনপি (প্রথম),জামায়াত (দ্বিতীয়) এবং জাতীয় পার্টি (তৃতীয়) এরপরে আঃলীগ।
কংগ্রেস আশা করতে পারে তাদের প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা দেওয়া হতে পারে। যেটা আওয়ামীলীগ আশা করতে পারবে নাহ।
- শফিক রেহমান

তাকে ঘিরে অবিশ্বাস ছিল, ছিল দাঙ্গার কলঙ্ক আর ঘৃণা। তারপরও তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনসমর্থন নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। গুজরাটের এক ঘাঞ্চি পরিবারের সন্তান মোদির কৈশোরে অনেকটা সময় কেটেছে রেলস্টেশনে চা বিক্রি করে, ক্যান্টিনবয়ের কাজও করেছেন কিছু দিন। তিনি হতে চলেছেন ভারতের চতুর্দশ প্রধানমন্ত্রী। তার নেতৃত্বেই তৃতীয়বারের মতো দিল্লির মসনদে যাচ্ছে বিজেপি। 
উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) এই ৬৩ বছর বয়স্ক নেতা গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছেন সেই ২০০১ সাল থেকে। অনেক বিশ্লেষকের মতে, তার গতিশীল নেতৃত্বে গুজরাট পরিণত হয়েছে ভারতের অন্যতম অর্থনৈতিক শক্তিতে। কৌশলী প্রচার মোদিকে দিয়েছে উন্নয়নের অগ্রদূতের ভাবমূর্তি, বিপুল জনসমর্থন।
২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার সময়টা ছিল মোদির উত্থানের সবচেয়ে বড় অনুঘটক। ওই সময়ে হিন্দু দাঙ্গাবাজদের উসকে দিয়ে তিন হাজার মুসলমানকে হত্যা ষড়যন্ত্রে মোদিকে জড়িয়ে অভিযোগ করা হয়। স্বাধীন ভারতের সবচেয়ে ভয়াবহ ওই দাঙ্গার কারণে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যেতে পারত। তার পদত্যাগের দাবি ওঠেছিল বিভিন্ন মহল থেকে। কিন্তু তাকে বাঁচিয়ে দেন বর্ষীয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি। আর ওই বছরে গুজরাটের নির্বাচনে মোদির জয় তাকে আবারো আলোচনায় আনে। মোদির রাজনৈতিক জীবনের মোড় ঘোরে তখন থেকেই।
এবারের নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক আদর্শের কারণে ভারতজুড়ে তার বিরোধিতার ছিল প্রবল। কিন্তু নির্বাচনের আগে দিল্লিকেন্দ্রিক রাজনীতির পুরনো ছক ভেঙে পরিবর্তনকামী তারুণ্যের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি ছিনিয়ে এনেছেন বড় জয়। 
আরএসএস থেকে মুখ্যমন্ত্রী
জন্ম ১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর। পারিবারিক নাম নরেন্দ্র দামোদারদাস মোদি। ছয় ভাইবোনের মধ্যে তৃতীয় মোদি স্কুলজীবনে ছাত্র হিসেবে ছিলেন মাঝারি মানের। তবে সেই সময়ই বিতর্ক আর থিয়েটারে ছিল তার প্রবল আগ্রহ, যার প্রভাব তার রাজনৈতিক জীবনেও স্পষ্ট। পরিচিতজনদের ভাষ্য অনুযায়ী, ওই বয়স থেকেই তিনি ছিলেন ধর্মপ্রাণ হিন্দু। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, টানা চার দশক ধরে ‘নবরাত্রি’র (উত্তর ভারতে পালিত হিন্দুদের একটি উৎসব) সময় উপবাস করছেন তিনি।
তার পরিবারও ছিল একেবারে সাদামাটা। কৈশোরে বাবাকে সাহায্য করতে রেল ক্যান্টিনে চা বিক্রি করেছেন মোদি। পরে কাজ করেছেন গুজরাট রোড ট্রান্সপোর্ট অথোরিটির ক্যান্টিনবয় হিসেবে। তারা যে বাড়িতে বাস করতেন তাতে আলো-বাতাস ঢোকার সুযোগ ছিল খুবই কম। সেখানে জ্বলতে থাকা একমাত্র বাতিটি নিরন্তর জোগান দিত ধোঁয়া আর কালি।
নির্বাচনের আগে তার এই অতীত টেনে এনে কংগ্রেস শিবির থেকে অপপ্রচার চালানো শুরু করলেও মোদির জন্য তা শাপে বর হয়েছে। তার প্রার্থিতাকে সমর্থন দিয়ে মনোনয়নপত্রে সই করেন এক চাওয়ালা, যা তাকে শ্রমজীবী ভোটারদের নজর কাড়তে সাহায্য করে।
ঘাঞ্চি সম্প্রদায়ের রীতি অনুযায়ী, ১৭ বছর বয়সেই যশোদাবেন নামের এক বালিকার সাথে বিয়ে হয় মোদির। তার জীবনীকার নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায়ের মতে, সেই সংসার ছিল মাত্র তিন বছরের, শারীরিক সম্পর্কও তাদের ছিল না। বিয়ের বিষয়টি গোপন করার পেছনে একটি বড় কারণ ছিল হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলোর সম্মিলিত মোর্চা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (আরএসএস) ‘প্রচারক’ পদ। স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আট বছর বয়স থেকেই রাষ্ট্রীয় সংগঠনটির সাথে যুক্ত ছিলেন মোদি। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পাওয়ার সময়ও তিনি প্রচারক হিসেবে এর সাথে ছিলেন।
বিষয়টি গোপনীয়তা বজায় না রাখলে হয়তো ওই পদে আসীন হতে পারতেন না তিনি। স্কুলে পড়ার সময়ই মোদির অর্চনার বিষয়টি অনেকের নজরে আসে। তিনি প্রায়ই পরিবার থেকে বেরিয়ে দূরে নির্জন স্থানে গিয়ে উপাসনা করতেন। কখনো তাকে দেখা যেত হিমালয়ে গিয়ে উপাসনা করতে। ১৯৬৭ সালে চূড়ান্তভাবে পরিবারের সঙ্গ ত্যাগ করেন তিনি।
১৯৭১ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর আনুষ্ঠানিকভাবে আরএসএসে যোগ দেন মোদি। উগ্র সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডের কারণে সংগঠনটি এ পর্যন্ত তিন দফা নিষিদ্ধ হলেও মোদির জন্য তা কোনো সমস্যা ছিল না। কিছুদিন পরই সংগঠনটির দিল্লির কার্যালয়ে যান তিনি। সেখানে তার অনেকগুলো কাজের মধ্যে ছিল ভোর চারটায় ঘুম থেকে ওঠা, নাশতার জন্য চা তৈরি এবং কোনো কোনো সময় জ্যেষ্ঠ সতীর্থদের জন্য হালকা নাশতা তৈরি। ওই সময় আরএসএসে আসা বিভিন্ন চিঠির উত্তরও দিতেন তিনি। বাসন- কোসন মাজা, ঝাড়– দেয়া ছাড়াও সমগ্র ভবন পরিষ্কার করতেন মোদি। এর পাশাপাশি নিজের পোশাক-আশাকও তাকেই ধুতে হতো।
ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭৫ সালে দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে ধরপাকড় শুরু করলে আত্মগোপনে যান মোদি। এর দশ বছর পর আরএসএস-এর সিদ্ধান্তে ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে কাজ শুরু করেন তিনি।
১৯৯৫ সালের রাজ্যসভা নির্বাচনে মোদি ছিলেন বিজিপির অন্যতম কৌশলপ্রণেতা, তখন তিনি দলের গুজরাট শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক। সেই সাফল্যের পর অন্যান্য নির্বাচনেও তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৯৮ সালে দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
২০০১ সালে কেশুভাই প্যাটেলের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আবির্ভূত হন নরেন্দ্র মোদি। ভারতের ডানপন্থী হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিতে মোদিই প্রথম ‘প্রচারক’, যিনি মাত্র ১৩ বছরের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় দেশটির সবচেয়ে উন্নত গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হন। অথচ এর আগে প্রশাসন চালানোর কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না তার। তবে মোদির সমালোচকদের অভিযোগ, রাজনৈতিক জীবনে তার উত্থানের পথে সহায়তাকারীদের ছুঁড়ে ফেলেছেন তিনি। এই তালিকার সর্বশেষ সংযোজন বিজেপির অন্যতম তারকা রাজনীতিক লালকৃষ্ণ আদভানি। প্রায় অচেনা মোদিকে তিনিই আজকের অবস্থানে এনেছিলেন। এরপর আরো তিন দফা তিনি রাজ্যটির শীর্ষ পদে বিজয়ী হয়েছেন, গুজরাটকে পরিণত করেছেন বিজেপির ভাষায় উন্নয়নের মডেলে।
গুজরাটের দাঙ্গা, হিন্দুত্ববাদ
২০০২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি গোধরা স্টেশনে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি ট্রেনে আগুন দেয়া হলে ৫৯ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনার জন্য মুসলমানদের দায়ী করে গুজরাটে ব্যাপক হামলা, অগ্নিসংযোগ চালায় হিন্দুত্ববাদীরা। টানা কয়েক দিনের দাঙ্গায় বিপুলসংখ্যক  মানুষের মৃত্যু হয়।
মোদির বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েও তিনি দাঙ্গায় উসকানি দিয়েছিলেন। তিনি নিজে কখনো ওই অভিযোগ স্বীকার করেননি। আদালতও তাকে অভিযোগ থেকে রেহাই দিয়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে রাজ্যসভা নির্বাচনে মোদি কার্যত দাঙ্গার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন এবং হিন্দুত্ববাদের ধুঁয়া তুলে ছিনিয়ে নিয়েছেন জয়।
ওই দাঙ্গার পর ভারত ও ভারতের বাইরে মোদির ভাবমূর্তি দারুণভাবে ুণœ হয়। যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দিতে অস্বীকার করে, যুক্তরাজ্যের সাথেও তিক্ততা তৈরি হয়। এই প্রেক্ষাপটে বিতর্কিত নেতার বদলে উন্নয়নের কাণ্ডারি হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে কৌশলী প্রচার শুরু করেন তিনি।
২০০৭ সালের পর তিনি নিজেকে তুলে ধরতে শুরু করেন সর্বভারতীয় নেতা হিসেবে, প্রতিষ্ঠা করেন ‘ব্র্যান্ড মোদি’। আর এই চেষ্টায় তিনি যে পুরোপুরি সফল, তার প্রমাণ ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন।
তারুণ্যে কুর্নিশ, অভিনব প্রচার
গত বছর জুনে বিজেপি যখন প্রধানমন্ত্রী পদে তাদের প্রার্থী হিসাবে নরেন্দ্র মোদির নাম ঘোষণা করে, এনডিএ জোটের অন্যতম শরিক জনতা দল (ইউনাইটেড) নিজেদের সরিয়ে নেয় এই আশঙ্কায় যে মোদিই হয়ত নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ হবেন।
তবে সব আশঙ্কাকে মোদি মিথ্যা প্রমাণ করেছেন তরুণদের আস্থা অর্জনের মধ্য দিয়ে। দলের প্রার্থী মনোনীত হওয়ার পরপরই তিনি ভারতের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অগ্রসর তরুণদের সাথে বসেন, নির্বাচনী প্রচারের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন। এর মধ্য দিয়ে মোদি কার্যত বিজেপির দিল্লিকেন্দ্রিক নেতৃত্ব কাঠামোকে প্রত্যাখ্যান করে ভারতীয় তারুণ্যের পরিবর্তনকামী মানসিকতাকেই কুর্নিশ করেন। হলোগ্রাম থেকে হোয়াটসঅ্যাপ- সর্বত্র চলে মোদির পক্ষে অভিনব প্রচার।
কৌশলী প্রচার মোদিকে দিয়েছে উন্নয়নের অগ্রদূতের ভাবমূর্তি, বিপুল জনসমর্থন
ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌঁড়ে নরেন্দ্র মোদি পাড়ি দিয়েছেন তিন লাখ কিলোমিটার পথ। সারা ভারতে পাঁচ হাজার ৮২৭টি জনসভায় তিনি অংশ নিয়েছেন, নয় মাসে মুখোমুখি হয়েছেন পাঁচ কোটি মানুষের। হাজার হাজার কর্মী সমর্থক মোদির মুখোশ পরে এ সব জনসভায় হাজির হয়েছেন। সারা ভারতে এক হাজার স্টল থেকে ভোটারদের মাঝে বিলি করা হয়েছে ‘মোদি চা।’
কট্টর হিন্দুত্ববাদী নেতা হলেও এবারের নির্বাচনে হিন্দুত্ব নিয়ে প্রচার সুকৌশলে এড়িয়ে গেছেন মোদি। যদিও বাংলাদেশের মানুষ, ভূখণ্ড এবং ধর্ম নিয়ে নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি নেতাদের বক্তব্য নতুন সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
নির্বাচনে বিজেপির প্রতিশ্রুতি ছিল, মোদি প্রধানমন্ত্রী হলে ভারতের অর্থনীতি নতুন গতি পাবে, গুজরাটের আদলে তিনি পুরো ভারতকে বদলে দেবেন। ভারতকে কখনো মাথা নোয়াতে দেবেন না।
অবশ্য উচ্চাকাক্সী মোদীর সমালোচনাও ছিল অনেক। বলা হয়েছে, তিনি স্বৈরাচারী মেজাজে দল চালাতে চান, প্রাতিষ্ঠানিক রীতিনীতি মানেন না। মোদির শিক্ষা ও অর্থনীতির জ্ঞান নিয়েও ঠাট্টা-বিদ্রুপ হয়েছে বিরোধী শিবিরে। বলা হয়েছে, দাঙ্গার কলঙ্ক আড়াল করতেই মোদি উন্নয়নের ফাঁপা বুলি আওড়াচ্ছেন। 
কিন্তু তা কাজে লাগেনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষক নরসিমা রাও বলেন, ‘মোদি দৃঢ়প্রত্যয়ী। তিনি একেবারেই সৎ। আর ভীষণ পরিশ্রমী। পরিণতির কথা ভেবে কোনো কিছুতেই ছাড় দেননি তিনি। সাময়িক জয়ের মোহে কখনোই মোদিকে বাধা যায়নি।’
বর্তমানে সেই মোদিই উন্নয়ন ও সুশাসনে দলীয় সামর্থ্যরে প্রতীক। বিপুল মধ্যবিত্ত তাকে সমর্থন জোগাচ্ছে। তার ‘আমিও পারি’ নীতি অনেকের মধ্যেই আশার সঞ্চার করেছে। আর এরই ফল হিসেবে এক দশক ক্ষমতার বাইরে থাকা বিজেপি তাকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মনোনয়ন দেয়। তিনি ভালোভাবেই সুযোগটি কাজে লাগিয়েছেন।
সূত্র : ডয়চে ভেল, এএফপি, জি নিউজ ও অন্যান্য মাধ্যম।
বাংলাদেশ এর আয়তন ১,৪৭,৫৭০ বর্গকিলোমিটার আর এইবার  SSC  তে জিপিএ-5 পাওয়া ছাত্র এর সংখ্যা ১,৪২,২৭৬ জন...

আর মাত্র ৫২৯৪জন এ+ পেলে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম প্রতি বর্গকিলোমিটারে একজন করে জিপিএ-৫ধারী থাকত।

সামনের বছর আশা করছি এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পরি বর্গ কিলোমিটারে দুজন করে জিপিএ-৫ ধারী মনোনয়ন দেওয়া হবে

যথাযথ কতৃপক্ষ বিষয়টা ভেবে দেখবেন কি?